নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই যুগে বই-ই আমাদের প্রকৃত এবং শ্রেষ্ঠ বন্ধু

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬



যে বইগুলো কেউই ছাপাতে রাজি ছিলেন না এ রকমই কয়েকটি বিশ্বখ্যাত বই-

১। অ্যান্ড টু থিংক দ্যাট আই স ইট অন মালবেরি স্ট্রিট (এখন পর্যন্ত বইটির বিশটির বেশি সংস্করণ প্রকাশ পেয়েছে। ২৩জন প্রকাশক পান্ডুলিপি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।)

২। হ্যাভেন নোজ মি. এলিসন (দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে এক মার্কিন নাবিকের কাহিনী। এই অসাধারণ বইটি ছাপাতে অস্বীকৃতি জানায় প্রায় সব প্রকাশক এবং প্রায় ২০টি ব্রিটিশ প্রকাশনা।)

৩। কনটিকি (ভেলায় চেপে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেয়ার দুর্দান্ত কাহিনী। প্রকাশের পর পর দুই বছর শীর্ষ দশ মননশীল বইয়ের তালিকায় ঠাঁই পায় এই বইটি। এ পর্যন্ত বিভিন্ন ভাষায় এর মুদ্রণ সংখ্যা কোটি ছাড়িয়ে গেছে।)

৪। লর্না ডুন (সতের শতকের ইংল্যান্ডের চিত্র তুলে ধরা হয় এই উপন্যাস। ১৮৭৪ সালে আমেরিকায় এটি ছিল সর্বাধিক বিক্রীত বই।)

৫। লাস্ট ফর লাইফ (ভিনসেন্ট ভ্যান গগকে নিয়ে লেখা। এ পর্যন্ত ৭০টি ভাষায় ২ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছে।)

৬। জোনাথন লিভিংস্টোন সিগাল (দ্রুতগতিতে উড়ে চলা একটি গাঙচিলকে নিয়ে লেখা। রিচার্ড বাখের ১০ হাজার শব্দের এই কাহিনী প্রকাশকের কাছে এতটাই অলাভজনক মনে হয়েছে যে ১৮ জন প্রকাশক এটি ছাপার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।)

৭। ডাবলিনার্স (১৫টি ছোট গল্পের সংকলন। বইটি প্রত্যাখ্যাত হয় ২২ জন প্রকাশকের কাছ থেকে।)

৮। ম্যাশ (বইটির কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত দীর্ঘদিন ধরে চলা একটি টিভি সিরিয়ালের প্রচার শুরু হয় ১৯৭২ সালে। অসাধারণ ব্যবসাসফল একটি চলচ্চিত্র হু হু করে বাড়িয়ে দেয় বইয়ের কাটতি।)

৯। ডিউন (দুর্দান্ত বিজ্ঞান কল্পকাহিনী। বইটি শুধু এক কোটির বেশি বিক্রি হয়েছে শুধু তাই নয়, এ বইটির জন্য বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর শ্রেষ্ঠ দুটো পুরস্কার পান ফ্রাঙ্ক হার্বার্ট।)



সবার'ই একটাই কথা, বই পড়ার সময় নেই। জীবিকার প্রয়োজনে আমাদের অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়, তা ঠিক । সত্যি কথা বলতে, যে সময়ে আমরা দাঁড়িয়ে আছি সেখানে আমাদের অনেকেরই মনে হয়, বই পড়ে কী লাভ? ভোগবাদি জীবনের হাতছানি মানুষকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। তাই বই পড়ার জন্য কেউ সময় নিতে চাইছেন না।

বই না পড়ার ফলে অসংস্কৃত, অমার্জিত মানুষজনের সংখ্যা বাড়ছে। ভদ্র, রুচিশীল, সংবেদনশীল, হৃদয়বান মানুষের সংখ্যা দিনদিন কমে আসছে। মানুষের জীবনের গভীরে আত্মসঙ্কট দেখা দিয়েছে।

কে যেন বলেছিলেন, ‘ভুখা মানুষ হাতে নাও বই, এই তোমার হাতিয়ার।’ সত্যজিতের ‘হীরক রাজার দেশে’ ছবিটির কথা ভাবুন সেখানে পাঠশালার পন্ডিতমশাইয়ের বাড়ি থেকে সব বই বের করে হীরকরাজার অনুচরেরা পুড়িয়ে দিচ্ছে।

সবচেয়ে সহজ সরল সত্য কথা হলো- এই যুগে বই-ই আমাদের প্রকৃত এবং শ্রেষ্ঠ বন্ধু।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩

Murshid Kuly Khan বলেছেন: ধন্যবাদ পোষ্টটা পড়ে অনেককিছু জানলাম

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

হাবিব শুভ বলেছেন: ঠিক বলেছেন :)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস।

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭

মো:সাব্বির হোসাইন বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম ভাই।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লেই জানা যায়। তাই প্রচুর পড়তে হবে।

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: ঠিক বলেছেন বই আমাদের প্রকৃত বন্ধু। ব্যস্ততা ও প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে আমরা বই থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। সত্যি দু:খজনক।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: ধনবাদ। অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.