নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সবসময় ভাড়া ঠিক করে রিকশায় উঠবেন

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৬



১। বই হচ্ছে অভিজ্ঞতা।
এতকাল ধরে মানুষের জ্ঞানের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা বইয়ের পাতায় লিখে রাখা হয়েছে আমাদের জন্য। ভবিষ্যতে যারা আসবে, তাদেরে জন্য আমাদেরও কিছু রেখে যেতে হবে।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের 'পূর্ব-পশ্চিম' পড়া শুরু করেছি। যদিও আগে একবার পড়েছি। আমি যখন যে বইটা পড়ি, তখন মনে হয়, সেই লেখক আমার সামনে বসে আসেন। লেখকের নিঃশ্বাসের শব্দও যেন শুনতে পাই!

২। দারিদ্যের সবচেয়ে বড় দোষ হলো- দারিদ্যে মানুষের নৈতিক চরিত্রটা বদলে যায়, নষ্ট হয়ে যায়, পচে যায়। কিন্তু নজরুল লিখেছেন, 'হে দারিদ্র, তুমি মোরে করেছো মহান'। এটা একেবারে ফালতু কথা।


৩।
তখন আমার ৭ বা ৮ বছর হবে।
সব ছেলেরা মাঠে ঘুড়ি উড়াচ্ছে। আমি খুব মন দিয়ে তাদের ঘুড়ি উড়ানো দেখছি। আমার নাটাই নেই, কাজেই অন্যদের ঘুড়ি উড়ানো দেখেই আমার আনন্দ।

সবচেয়ে বেশি আনন্দ হয়, যখন কারো ঘুড়ি কেটে যায়। আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে সেই ঘুড়ির পেছনে ছুটি। সুতা কেটে যাওয়া ঘুড়িটাকে আমার ধরতেই হবে।

একদিন বিকেলে একটি ঘুড়ি কেটে দূরে জংলা মত একটা জায়গায় পেয়ারা গাছে ঝুলে ছিল। আমি পা টিপে টিপে খুব সাবধানে সেই পেয়ারা গাছের সামনে গিয়ে হাজির হই। পেয়ারা গাছটির পেছনে একটা দোতলা ভাঙ্গা বাড়ি।

ঘুড়ি ধরার জন্য পেয়ারা গাছে উঠতেই বাতাসে উড়ে উড়ে ঘুড়িটি মাটিতে পড়ল। ঠিক তখন দেখি, একটি খুব সুন্দর তরুনী মেয়ে মাদুর পেতে বসে আছে। তার মাথা ভর্তি চুল, দুই হাত ভর্তি কাঁচের চুরি। চোখে মোটা করে কাজল দিয়েছে। মেয়েটি একটু মিষ্টি হেসে বলল, এই বাবু, আসো কাছে আসো। তুমি কোন বাড়ির ছেলে?
হঠাত করে আমি খুব ভয় পেলাম। মাটি থেকে ঘুড়িটি তুলেই এক দৌড় দিলাম।

আজ বাংলামটর-এ এই মেয়েটিকে আমি দেখেছি। তার একটুও বয়স বাড়েনি। সেই আগের মতোই আছে। এক নজর দেখেই চিনে ফেলি। আমি মেয়েটির কাছে গিয়ে বললাম, তুমি কেমন আছো? তারপর ...


৪। জন্মের সময় আমাকে যদি বলা হতো- 'তুমি কি পৃথিবীতে যেতে চাও? আমি চিৎকার করে বলতাম- না, আমি যাব না। এখন আমাকে প্রতিটা দিন যুদ্ধ করতে হয়, আমি শান্তিতে নিঃশ্বাস নিতে পারি না। কোথাও শান্তি নেই। মানুষ আর মানুষ নেই, তারা পশুর চেয়ে বেশি নিষ্ঠুর। তাদের মন মানসিকতা নোংরা। হিংসুটে, লোভী, চতুর। যত খারাপ বিশেষণ আছে- সব বললেও কম বলা হবে। আমার বাবা-মা যদি আমাকে পৃথিবীতে না আনতো- তাহলে কি আমাকে প্রতিদিন যুদ্ধ করতে হতো? হিমসিম খেতে হতো? মিথ্যা বলতে হতো? প্রতারনার স্বীকার হতে হতো? কুকুরের মতো পরিশ্রম করতে হতো? অভাবে-অভাবে জীবন যাপন করতে হতো? টেনশনে থাকতে হতো? ভয়ে থাকতে হতো? কারো গোলাম হতে হতো? খাওয়া পড়ার চিন্তা করতে হতো? অসুখ বিসুখের চিন্তা করতে হতো? আরও কত কি...

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৪৯

রিফাত_হাসান বলেছেন: এতটা হতাশ হবেন না। হয়তো আপনি এখন খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তাই আপনি ভাবছেন আপনার বাবা মা আপনাকে পৃথিবীতে না আনলেও পারতেন। কিন্তু এত কিছুর মাঝেও মানুষ ঠিকই বেঁচে আছে। পৃথিবীতে আসাটা আপনার হাতে নেই। কিন্তু এখানে শান্তিতে বেঁচে থাকাটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে। যেমন ধরুন আপনি যদি এমন মানুষগুলোর সাথে মিশেন যাঁরা ভাল, সৎ, অন্যকে বিরক্ত করেনা তাহলে একসময় দেখবেন আপনার আশে পাশে আপনি তেমন মানুষগুলোকেই পাচ্ছেন। আবার আপনি যদি এমন মানুষগুলোর সাথে মিশেন যারা অসৎ, মিথ্যেবাদী, চতুর তাহলে আপনি একসময় নিজেকে তাদের মাঝেই পাবেন। আপনি কোন পরিবেশে থাকবেন এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে।

এভাবে চিন্তা করুন, আপনার বাবা মা না থাকলে আপনি এই পৃথিবীতেই আসতে পারতেন না। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বই পড়তে পারতেন না। তাঁকে অনুভব করতে পারতেন না। আকাশে ঘুরি উড়া দেখতে দেখতে কেটে যাওয়া সোনালী বিকেলটা পেতেন না।
ব্লগে এসে লিখতে পারতেন না। আরো কত কি...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.