নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৪



১।
খবরের কাগজে পড়লাম, এক বিদেশি জাহাজ মধুমতি নদীতে একটু একটু করে ডুবে যাচ্ছে। সেই ডুবে যাওয়া জাহাজ দেখার জন্য আমি ছুটে চললাম- মধুমতি নদীতে।

জাহাজ এর নাম স্টিব অস্টিন। আমি মধুমতি'র পাড়ে দাঁড়িয়ে সত্যি সত্যি দেখলাম, জাহাজটি অর্ধেক ডুবে গেছে। আমি একটি নৌকা ভাড়া নিয়ে জাহাজটির সামনে যেতেই- এক পুলিশ অফিসার বলল- না, জাহাজের কাছে যাওয়া যাবে না। নো, নেভার।

আমার নৌকার মাঝি বলল- আপনাকে আগেই বলেছিলাম- ওই জাহাজের সামনে যাওয়া নিষেধ আছে। পুলিশটি সমানে চিৎকার করে যাচ্ছে। আমি মাঝিকে সাহস দিয়ে চলে এলাম একদম জাহাজের সামনে। লাফ দিয়ে জাহাজে উঠে পড়লাম।

পুলিশ অফিসারটি বলল, সাহস করে চলেই যখন এসেছেন, তাহলে দুপুরে আমার সাথে ভাত খান, খুব খুশি হবো। মেন্যু অতি সামান্য। ইলিশ মাছের ডিম দিয়ে করলা ভাজি, আর ডাল। হঠাত আমার মনে হলো- পুলিশ অফিসারটি চাচ্ছে- আমি যেন এই ডুবে যাওয়া জাহাজটির সাথে তলিয়ে যাই।

ভালো করে লক্ষ্য করে দেখলাম- পুলিশ অফিসারটি আমার পূর্ব পরিচিত। সে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলছে- ধ্রুন, আমার হাত ধরুন, নয়তো আপনি ডুবে যাবেন। সময় খুব কম। আমি এক আকাশ বিস্ময় নিয়ে পুলিশ অফিসারের চোখের দিকে তাকিয়ে আছি। ঠিক তখন কে যেন আমার কানে ফিস ফিস করে বলল- ''প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য, ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা''।

ঘুম ভেঙ্গে গেল। সারা শরীর ঘামে ভেজা। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ভোর চারটা। সুরভি গভীর ঘুমে। আমি ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ালাম, আকাশ ফরসা হতে শুরু করেছে। ভোরের আকাশ দেখা- দারুন একটা ব্যাপার।


২।
গতকাল রাতে স্বপ্নে দেখি- আমি আমার সব প্রিয় মানুষ ছেড়ে জঙ্গলে চলে গেছি। একা একা থাকি। ক্ষুধা পেলে বন থেকে ফল-টল সংগ্রহ করে খাই। রাতে চিন্তাহীন ঘুম দেই। বনের পশুদের সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়েছে- তারা আমার কোনো ক্ষতি করবে না। ছেড়ে আসা কোনো প্রিয় মানুষের কথা ইচ্ছা করেই মনে আনি না। অনেক রাত পর্যন্ত নদীর ধারে টীলার উপর বসে থাকি। আকাশের তারা দেখি। ব্যাপক আনন্দ! হঠাৎ কোথা থেকে একটি মেয়ে এসে হাজির। মেয়েটাকে একটা বাঘ তাড়া করেছে- মেয়েটি আমার সামনে এসে, আমাকে বলল- বাঘ! বাঘ! আমাকে বাঁচাও ।
আমি বললাম কোনো ভয় নেই- আমি আছি। আমি মেয়েটির হাত ধরলাম, মেয়েটি ভয়ে কাঁপছিল। বাঘটি এসে আমাকে দেখে চলে গেল। এমন ভাব যেন- ওস্তাদ স্যরি...ভুল হয়ে গেছে। ক্ষমা করবেন। তারপর সারারাত মেয়েটির সাথে অনেক গল্প করলাম। মেয়েটির অনুমতি নিয়ে মেয়েটিকে অনেক আদর করলাম।

তারপর বনে আমাদের সংসার জীবন শুরু হলো। দুই বছরের মধ্যে তিনটা বাচ্চা হলো। প্রথম বছর দু'টা জমজ বাচ্চা পরের বছর একটা। খুব আন্দময় জীবন। জঙ্গলে জ্যাম নেই, লোডশেডিং এর চিন্তা নেই। চুরী, ছিনতাই এর ভয় নেই। দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। বৌ এর শপিং এর ঝামেলা নেই। মোবাইল নেই। হরতাল নেই। কেউ কুপিয়ে মেরে ফেলবে এই ভয় নেই।
বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরি বৌ আগুনে পুড়ে দেয়- ফরমালিন মুক্ত মাছ, আহ! ফরমালিন মুক্ত ফল। বাচ্চা গুলোও খুব নাদুস-নুদুস হয়েছে। রাতের বেলা বৌ গান গেয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়- "ঐ পাথুরে শহর ছেড়ে সবুজ তেপান্তরে/ স্বপ্ন কিছু সাজিয়ে নিতে সুখের বন্যা ধারায়/ শেষ হবেনা কোন দিন যুগল পথচলা।"



৩। এই শহরে আমার কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। থ্রি কমরেডস- এর মতন বন্ধু আমার একজনও নেই। কোনো-কোনো সন্ধ্যায় ইচ্ছা করে- ঘরে না ফিরে, কোথাও বসে খুব আড্ডা দেই।
পুরো শহরটাকে একটা সবুজ ঘাসে ভরা মাঠ মনে করে- আমি শুধু এক রাস্তা থেকে আরেক রাস্তায় হাঁটতেই থাকি। নানান রকম চিন্তা-ভাবনা করতে করতে- রাস্তার পাশের চায়ের দোকান থেকে চা খাই। চিন্তা ভাবনা থেকে মুক্তির জন্য- চায়ের দোকানে থাকা লোকদের সাথে তর্কাতর্কীতে মেতে উঠে- সব চিন্তা ভাবনা ভুলে যাই।





মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩

প্রামানিক বলেছেন: ভালো লাগল।

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

মো:সাব্বির হোসাইন বলেছেন: আপনার স্বপ্ন গুলো তো খুবই চমৎকার।

ভালো লাগলো। আরো সুন্দর স্বপ্ন দেখেন।

শুভকামনা।

৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

" তারপর বনে আমাদের সংসার জীবন শুরু হলো। দুই বছরের মধ্যে তিনটা বাচ্চা হলো। "

আদি পুরুষ ইব্রাহিমের মত প্রসিদ্ধ হয়ে যাবেন; ভালো মতে প্রচার চালান, সবাই বনে চলে যাবে।

৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


"কোনো-কোনো সন্ধ্যায় ইচ্ছা করে- ঘরে না ফিরে, কোথাও বসে খুব আড্ডা দেই। "

-স্ত্রীর সাথে হাসিখুশী থাকার চেস্টা করুণ; উনি কি চাপে রাখছে?

৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এভাবে শুধূ ভাবনায় আর কল্পনাতেই বুঝি খুঁজে নিতে হবে সূখ- অনাগত দিনে!!!!!!!!!

আমরা আসলেই অসহায়?

না আমরা আসলেই ক্লিব???

৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩

আরিয়ান রাইটিং বলেছেন: অনেক সুন্দর লেখনি।

৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: স্বপ্ন এবং ভাবের প্রকাশ। দুটোই চমৎকার।

৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বনে জংগলে গিয়ে দুই তিন দিন ভাল লাগবে, তারপর উত্তেজনাহীন রাতদিন আর কাটবে না, জনাব

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.