নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেই সুন্দর যে সুন্দর কাজ করে

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৫



১। গৌতম বুদ্ধ গৃহত্যাগ করার পর একবার গৃহে এসেছিলেন। তখন তাঁর স্ত্রী তাঁর পুত্র রাহুলকে বলেছিলেন বুদ্ধের অনেক সম্পদ আছে, তাঁর কাছ থেকে তা চেয়ে নিতে। সেই মতো রাহুল বুদ্ধের কাছে সম্পদ চাইলে বুদ্ধ বলেছিলেন আত্মদীপ ভব। নিজেকে প্রজ্জ্বলিত করো।

২। মানুষ কষ্ট তৈরি করে কেন? মানুষ চায় তার মনের মতো করে সবকিছু হোক, সবাই তার ইচ্ছাকে বুঝুক, গুরুত্ব দিক, মেনে নিক। ধ্রুব সত্য এই যে, আপনি যতই মনে করেন আপনার ইচ্ছাই সঠিক। আপনার ইচ্ছা মতো সবকিছু হওয়া উচিত কিন্তু আপনার কথামতো কেউই চলবে না। কারণ আপনার নিয়ন্ত্রণে কেউ নেই, আপনার নিয়ন্ত্রণে আছে শুধু একজন আর সেটা আপনি নিজে। মানুষের নিয়ন্ত্রণে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি থাকে তা হলো আপনি নিজে, আপনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই দেখবেন সবকিছু যেন নিয়ন্ত্রিত হয়ে গেছে।
আপনার পা দুটিকে ধুলার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য আপনি পৃথিবীটাকে চামড়া দিয়ে ঢেকে দিতে পারবেন না। কিন্তু আপনার নিজের ছোট পা দুটিকে চামড়া দিয়ে ঢেকে দিতে পারলেই পৃথিবীটা ঢাকা হয়ে যায়। সুতরাং নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন। দেখবেন সবকিছুই যেন ঠিক মনে হচ্ছে। আপনি যে রঙের চশমা পরবেন আপনি অন্যকে সেই রঙেই দেখবেন। লাল চশমা পরলে সব লাল, সবুজ পরলে সবকিছু সবুজ, হলুদ পরলে হলুদ। সুতরাং আপনার দৃষ্টিভঙ্গি যেমন হবে আপনি তেমনি সব দেখবেন। মনটি সুন্দর করলে আপনি সবকিছুই সুন্দর দেখবেন। আপনার সুখ, আপনার খুশি, আপনার আনন্দমতো অন্যের ওপর নির্ভর করে না, নির্ভর করে আপনার ওপর।

৩। হয়ত জরুরী কাজে হয়ত কোথাও যাবেন বা অফিসে বের হচ্ছেন, আপনার বাইক স্টার্ট নিচ্ছে না, অথচ গতকালই ঠিক ছিল, বা চলতে চলতে স্টার্ট বন্ধ হয়ে গেছে, কি করবেন তখন?

৪। বই পড়ার সবচেয়ে বড় যন্ত্রণা হল–‘‘যতই আমরা অধ্যয়ন করি ততই আমাদের অজ্ঞতাকে আবিষ্কার করি’’।

৫। প্রতিবছর ঈদের একই চিত্র।
পাখির মত, মাছির মত সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মরছে! এই পরিস্থিতি থেকে কি আমাদের মুক্তি নেই?
খুব কষ্ট হয়।

৬। 'ইস্পাত' লেখক- নিকোলাই অস্ত্রভস্কি।
বইতো নয় যেন জ্বলন্ত আগুণ। বই পড়তে যেয়ে আমার ভেতরটা মড়-মড় করে উঠলো। শরীরটা ঘেমে গেল, আমি কিসের যেন আওয়াজ শুনতে পেলাম!
বইয়ের লেখক নিকলাই অস্ত্রভস্কি তার জীবনীকেই এঁকেছেন এ বইয়ে। স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মাত্র ৩২ বছর বয়সে। জীবনের শেষ আটটি বছরের প্রথম চার বছর ছিলেন অন্ধ হয়ে। লাইন সোজা রাখার জন্য তার স্ত্রী তাকে কাগজ সেটে দিতেন কাঠের খাজ কাটা বোর্ডে।
আর শেষের চার বছর তার দিন কাটে একেবারে বিছানায়। অন্ধ আর পঙ্গুত্বে জড়াজড়ি করে।
ইস্পাত বইটির মূল নাম ‘হাও দ্যা স্টিল ওয়াজ টেম্পার্ড’। বইটি অনুদিত হয়েছে শতাধিক ভাষায় আর পেয়েছে রাশিয়ার সর্বোচ্চ খেতাব লেনিন অর্ডার।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৮

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন ভাই, ধন্যবাদ।

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪১

সিরাজুল লিটন বলেছেন: ভাল কথা বার্তা...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.