নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিনটি অমানুষের গল্প

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৬




১। সৌদি গিয়ে আমি অমানুষ হয়ে গেলাম। আমি যে এলাকায় থাকতাম তার নাম- হাফার আল বাতেন। মক্কা থেকে অনেক দূর। একদম ইরাকের বর্ডারের কাছে। চারপাশে মরুভুমি আর মরুভুমি। জোরে বাতাস এলেই- সারা গায়ে ধুলো লাগতো। রাতে বাসায় ফিরে অবশ্যই গোছল করতে হতো। সৌদিতে পানির সমস্যা। ফোণ দিলে গাড়ি এসে বাসার ছাদের উপর টাংকি ভরে দিয়ে যায়। আমি যেখানে থাকি- তার আশে পাশে পাঁচ মাইলের মধ্যে কোনো বাড়ি ঘর নেই। একটা গ্যারেজে আমি গাড়ির ডেন্টিং পেন্টিং করি। এর আগে আমি একটা হোটেলের টয়লেট পরিস্কার করতাম। সেখান থেকে পালিয়ে হাফার আল বাতেন এ চলে আসি। কেন পালিয়ে আসি- সেটা আমি বলতে পারব না। খুব'ই লজ্জার ব্যাপার। বুদ্ধিমান পাঠকরা নিশ্চয়ই বুঝে ফেলেছেন।

অনেক কষ্ট করে আমি সৌদি আসি। জমি বিক্রি করি, আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে ধারদেনা করে- সৌদি আসি। এই দেশে কোনো শান্তি বা বিনোদন নেই। কাজ আর বাসায় গিয়ে ঘুম। টিভি দেখতে আর কতক্ষন ভালো লাগে। প্রথমে এদেশে এসে আমি- মাত্র ৭০০ রিয়েল পেতাম। যা দিয়ে আমার চলতে খুব কষ্ট হতো। গ্রামে বাড়িতে কিছুই পাঠাতে পারতাম না। এমনও সময় গেছে- বাজারে গিয়ে বিভিন্ন দোকানের সামনে পড়ে থাকা- আলু, সবজি, পেঁয়াজ কুড়িয়ে বাসায় নিয়ে এসে রান্না করে খেতাম। আমার সাথে অনেক বাঙ্গালীকেও দেখেছি- মাটিতে পড়ে থাকা সবজি কুঁড়িয়ে এনে রান্না করে খায়। গাড়ির ডেন্টিং পেন্টিং শেখার পর- মোটামোটি ভালোই ইনকাম করতে পারি। গ্রামের বাড়িতেও টাকা পয়সা নিয়মিত পাঠাই। জমিও কিছু কিনেছি।

সৌদিতে আমাদের মানে যারা কাজের উদ্দেশ্যে আসে তাদের বিনোদন বলতে কিছুই নেই। সিনেমা হল নেই। বার নেই। ঢাকা শহরের মতো এত আবাসিক হোটেল নেই। হোটেলে মেয়ে নেই। খুব কঠিন নিয়ম। পার্ক থাকলেও সেখানে আমাদের যাওয়া নিষেধ। খুব কঠিন নিয়ম। বেশির ভাগ' লোকেরা হস্তমৈথুন করে। আযানের সময়- বাইরে থাকলে বা দোকানের সার্টার সারটার খোলা রাখলে, সাথে সাথে পুলিশ এসে মারতে শুরু করে। মিসকিন বলে গালাগালি দেয়। সৌদিরা ভিসাকে বলে আকামা। মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে অনেক টাকা দিয়ে আকামা করতে হয়। যার জায়গায় আমার গ্যারেজ, মানে জমির মালিক যে তাকে বলে কফিল। আমার কফিলের বউটা অনেক সুন্দর। একদিন এক ইয়া মোটা মহিলা আমার গ্যারেজে এসে গাড়ির কাজ করালো- কিন্তু টাকা না দিয়েই গাড়ি নিয়ে চলে যাচ্ছিল। আমি টাকা চাইতেই বলল- গাড়িতে ওঠো। আমি উঠলাম গাড়িতে। আমাকে সে তার বাসায় নিয়ে গেল। সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে আমার কাছে এলো। আমি তাকে খুব ভোগ করলাম। দীর্ঘ দিনের ক্ষুধার্থ আমি। তারপর যৌনতা উপভোগ করাই আমার নেশা হয়ে গেল। মরুভুমির মাঝখানে বেদুইনদের কাছে যাওয়া শুরু করলাম। তারা অনেক টাকা নেয়। যা ইনকাম করি, সব বেদুইন নারীদের পেছনে খরচ করি। এই সব নারীরা মনে হয় মিশরের। গ্রামের বাড়িতে টাকা পাঠাই না। যদি একবার পুলিশের কাছে ধরা খাই- তাহলে আমার খবর আছে। কোনো রেহাই নাই। তারপরও যাই। না গিয়ে পারি না।

২। আমি ঢাকা শহরের বড় একটা কোম্পানীতে চাকরি করি। কোম্পানীর নাম বলব না। নাম বললেই আপনারা হয়তো আমাকেও চিনে ফেলবেন। অনেক টাকা বেতন পাই। আমার নিজের ফ্লাট আছে, গাড়ি আছে। ব্যাংকেও প্রচুর টাকা জমিয়েছি। আমি দেখতে খুব সুন্দর। চমৎকার গল্প করতে পারি। দামী সব ব্যান্ডের জামা পড়ি। আমার বিয়ের বয়স হয়েছে- কিন্তু বিয়ে করি না। ইচ্ছে করেই করি না। বিয়ে মানেই অনেক দায়িত্ব পালন করা। অনেক ঝামেলা মাথায় নেওয়া। এর চেয়ে উড়ে উড়ে নানান ফুলের মধু খাওয়া অনেক আনন্দের।

আমি দারুন স্মার্ট এবং সুন্দর করে কথা বলতে পারার কারণেই- মেয়েরা আমাকে খুব পছন্দ করে। কত মেয়েকে যে আমার ফ্লাটে এনেছি- তার হিসাব নেই। কোনো মেয়েই আমার মিথ্যা অভিনয় ধরতে পারে না। মেয়েদের সাথে কিভাবে আচরণ করলে তারা খুশি হয়, আর কি করলে তারা সহজেই আমার সাথে বিছানায় যেতে রাজী হয়- তার সব নিয়ম কানুন আমার ভালোই জানা আছে। কোনো মেয়েকেই আমি জোর করি না। কিন্তু এমন পরিস্থিতি তৈরি করি যে মেয়েরা নিজে থেকে আমার কাছে এসে আত্মসমর্পণ করে। আল্লাহর রহমতে আমার বুদ্ধি কম নেই। যার বুদ্ধি আর টাকা আছে তার আর কিছুই লাগে না। আমার এই দু'টো জিনিস ছাড়াও আরও আছে স্মার্টনেস আর সুন্দর কন্ঠ। আমার চোখ দু'টাও খুব সুন্দর মমতা মাখানো। আর একটা ব্যাপার আমি যেটা সবচেয়ে ভালো পারি- তাহলো অভিনয়। আমার অভিনয়ে আমি নিজেই মুগ্ধ হই। নিজেকে নিজেই বাহবা দেই।

যাই হোক, মুল প্রসঙ্গে আসি- আমার অফিসের এক মেয়েকে আমি কিছুতেই হাসিল করতে পারছিলাম না। আমি সব রকম টোপ ফেলেছি কিন্তু বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলাম। প্রায় তিন মাস হয়ে গেল- তবুও পারছি না। এর আগে কখনও এমন লম্বা সময় লাগেনি। আমার খুব রাগ চেপে গেল। মেয়েটির নাম অহনা। খুব'ই সুন্দর। দেখলেই জড়িয়ে ধরে চুমু দিতে ইচ্ছে করে। কি ফর্সা! কি সুন্দর শরীর! কি সুন্দর চুল! কি সুন্দর বুক! অফিস'ই আমাকে অহনাকে পাওয়ার সুযোগ করে দিল। জাপান থেকে তিনজন লোক এসেছে। তারা চিটাগাং ফ্যাক্টরি ভিজিট করবে। চেয়ারম্যান স্যার বিশ্রামের জন্য সুইডেন গেছেন- অফিসে মেইল পাঠিয়েছেন, এখন জাপানিদের সাথে আমার আর অহনার মিটিং করতে হবে। বিমানে গেলাম চিটাগাং। জাপানিদের সাথে মিটিং করলাম। মিটিং সাকসেস ফুল। এবং অহনাকেও পেয়ে গেলাম। আমার শেষ অস্ত্র চালালাম। নানান রঙ ঢং করে অহনাকে বিয়ের কথা বললাম। এই কথাতেই অহনা কাত হয়ে গেল। আমি দেখেছি- কয়েকদিন কোনো মেয়ের সাথে ঘোরাঘুরি করার পর বিয়ের কথা বললেই মেয়ে গুলো কাত হয়ে যায়। একদম নিজেকে সঁপে দেয়। আর তখন'ই আমি তাদের মন ভরে উপভোগ করি। তারপর ছুড়ে ফেলি। শুধু আমি না, অনেক ছেলেই মেয়েদের বিয়ের কথা বলে শারীরিক সম্পর্ক করে দিনের পর দিন। বোকা মেয়ে গুলো বুঝতেই পারে না। আরে... যে ছেলে তোমাকে সত্যিই ভালোবাসবে- সে বিয়ের আগেই শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য কখনো'ই অস্থির হবে না। নো, নেভার।

৩। আপনারা শুনলে অবাক হবেন- আমি জানি না- আমি কত টাকার মালিক। আসলেই জানি না। আগে বলি- বিদেশে আমার কি কি আছে, আমেরিকাতে আমার একটি বাড়ি আছে। দামী তিনটা গাড়ি আছে। সিঙ্গাপুরে আছে সিরামিকের ব্যবসা। চীনে আছে একটা আবাসিক হোটেল। মালোশিয়াতে আছে মার্বেল টাইলসের ব্যবসা। আর দেশে কি কি আছে শুনুন- একটা টিভি চ্যানেল আছে। কাপড়ের ব্যবসা আছে। আছে প্রেট্রোল পাম্প আর ইটের ভাটা। সিমেন্ট এর ফ্যাক্টরি। গুঁড়ো দুধের ব্যবসা আছে। ব্যাংক আছে। আরও অনেক কিছু- যা বলে শেষ করা যাবে না। আমার বাপ কাঁধে করে গামছা বিক্রি করতো। এই আমি পথের ফকির থেকে অনেক টাকার মালিক হয়েছি। কেউ জানে না আমার কত টাকা। আমি নিজেও জানি না। অনেক টাকা থাকলে যা মন চায়, তাইই করা যায়। পৃথিবীতেই বেহশত পাওয়া যায়।

সব ধনী মানূষদের মতো আমারও একটু নারীদোষ আছে। মানে আমি নারীখোর। আমি মদ খাই না। অন্য কোনো বদ অভ্যাসও নেই। সামান্য সিগারেটও খাই না। আমার অনেকদিন বেঁচে থাকার শখ। কিন্তু প্রতি সপ্তাহে তিন বার আমার নারী সঙ্গ লাগেই। পৃথিবীর অনেক দেশ আমি ঘুরেছি। অনেক নারীর সাথে সেক্স করেছি- কিন্তু আমার ভালো লাগে না। আমার ভালো লাগে- দেশী নারী। অল্প বয়সী নারীর চেয়ে আমার মধ্যে বয়সী নারী'ই বেশি ভালো লাগে। তারা অভিজ্ঞ। আমার নিজের স্ত্রী সন্তান আছে। সন্তান'রা বিদেশে থাকে। লেখা-পড়া করে। আমার স্ত্রীর দুই একটা কথা বলি- একদিন রাতে বাসায় ফিরে দেখি, সে বাসায় নেই। ফোন দিলাম- কোথায় তুমি? সে বলল- আমি সিঙ্গাপুরে। প্রেসারটা বেড়েছে- ডাক্তার দেখাতে এসেছি। আমার ধারনা সে মাসে এক কোটি টাকা খরচ করে। সব সময় ৪/৫ টা দেশের ভিসা লাগানোই থাকে। এই বেটিকে ইচ্ছা করে পাছায় লাথথি মেরে বের করে দেই। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও পারি না।

ইদানিং অনেকে রথি-মহারথি'রা আমাকে খুশি করার জন্য- সুন্দর সুন্দর মেয়ে পাঠায়। আমিও তাদের এক আকাশ আনন্দ নিয়ে ভোগ করি। এইসব মেয়েদের অনেককেই আমার চেনা লাগে। মনে হয় টিভিতে তাদের দেখেছি। একবার এক এয়ারহোস্টেস আমাকে দেখে ভ্রু কুচকে ছিলো। আমার খুব রাগ লাগল। তাকে আমি শিক্ষা দিয়ে দিয়েছি। এক ব্রীফকেস টাকা দিয়ে বলেছি- আমার সারা শরীর চেটে দাও। টাকার কাছে সব কিছুই পরাজিত হয়। এই দেশের বেশির ভাগ মানূষ'ই দরিদ্র- তাদের কাপড় নেই, খাবার নেই, কাজ নেই তাতে আমার কিছু যায় আসে না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত উচ্চবিত্ত কুকুর! ভাল লিখেছেন। প্রথম প্লাস।

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৮

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: কিছু মনে করবেন না, ভালো লাগেনি।

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:৫২

রিফাত_হাসান বলেছেন: আপনার লিখাগুলো পড়তে ভাল লাগে। কিন্তু এই লিখাটি ফালতু, খুবই নিম্নমানের। কোন কিছু লিখার না থাকলে সেদিনের মত না লিখাই ভাল।

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৮

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: লেখাটা তেমন ভাল লাগলো না। কোন কাহিনীই খুঁজে পেলাম না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.