নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই বই গুলো পড়ে দেখতে পারেন

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭



আমার কাছে একটি ভালো বই একটি ভালো সফটওয়ার। সফটওয়ার যেমন কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা স্মার্ট ফোনের কাজের প্রকৃতি পাল্টে দেয় তেমনি একটা ভালো বইও মানুষের দেখার দৃষ্টি, ভাবনার পদ্ধতি পাল্টে দেয়। তাই আমার মতে বই মানুষের জন্য সেরা সফটওয়ার। আর একেকটা সেরা বই পড়া হচ্ছে একেকটা সফটওয়ার ইন্সটল করা; তার মানে জগতকে একেকবার একেকটি দৃষ্টিতে দেখার সক্ষমতা অর্জন করা।

১। লিটল বিটস। বইটি লিখেছেন পিটার সিমস।
ঝুঁকি নেয়া ছাড়া জীবনে সফলতা আনা একেবারেই অসম্ভব। কিন্তু সেই ঝুঁকিটাও কতটুকু হবে তারও তো একটা মাপকাঠি থাকতে হবে। কখনো জীবনে বড় কোনো আইডিয়া কাগজে কলমেই থেকে যায় শুধু ঝুঁকি নেয়ার অভাবে। আর সে বিষয় নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।

২।
"আমার বোকা শৈশব"। লেখক- আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। বইটি পড়ে দেখুন খুব ভালো লাগবে। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের মত মানুষ বিরল। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা নাকি মাত্র ২১! আজিব!!!!

বইটির এক জায়গায় লেখা- "মা ভেবেছিলেন মিটসেফের নিচে পড়ে আমি হয়ত থেঁতলে গেছি। কিন্তু মিটসেফ সরিয়ে যখন দেখলেন যে আমি পুরোপুরি সুস্থ এবং হৃষ্টপুষ্ট তখন দুর্ঘটনায় আমার যতটুকু আহত হবার কথা ছিল তা তিনি নিজের হাতে সম্পুর্ণ করে দিলেন "।

স্যারের আরেকটি চমৎকার বই 'নিস্ফলা মাঠের কৃষক' পড়ুন।
অবশ্যই পড়ুন।

৩। জীবনের প্রতি, পৃথিবীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হতে পারে তার পরামর্শ নিতে হলে ভবঘুরে শাস্ত্র একটি সহজ চয়েস হতে পারে। কিভাবে ভবঘুরেরাই পৃথিবীর মানচিত্র পাল্টে দিয়েছেন, ওলট-পালট করে দিয়েছেন তার উদাহরণ অহরহ মিলবে বইটিতে। একটি কর্মময় মহাজীবনের পথিক হতে হলে রাহুল সাংকৃত্যায়নের এই বইটি অবশ্যপাঠ্য হওয়া উচিত।

৪।
কিছু কিছু বই আছে যেগুলো শুধু একবার পড়ে নিস্তার নেই। বারবার পড়া উচিত। কিছু বই আছে একবার পড়লেই বুঝা হয়ে যায়। আবার কিছু বই আছে প্রত্যেক পাঠেই নতুন অর্থ নিয়ে হাজির হয়। প্রথম পাঠে অর্থ স্পষ্ট হয় না, বা যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয় তা অসম্পূর্ণ। এজন্য রিপিট করা আবশ্যক।

বাংলাদেশের তরুনদের মধ্যে এখন সবচেয়ে প্রভাবশালী লেখকদের একজন হচ্ছেন আহমদ ছফা। আমি নিজেও তার লেখা দ্বারা বেশ প্রভাবিত।‘বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস’, ‘বাঙালি মুসলমানের মন’, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক জটিলতা’ সহ অন্যান্য প্রবন্ধগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ বই হলেও ‘যদ্যপি আমার গুরু’ অত্যন্ত জনপ্রিয়। আহমদ ছফার লেখায় তার গুরু জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের চিত্রায়ন, সমকালীন বিভিন্ন প্রসঙ্গের উল্লেখ বইটিকে একটি অসাধারণ স্মৃতিচারণায় পরিণত করেছে। আবদুর রাজ্জাকের প্রজ্ঞার সাথে পরিচিত করিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই বইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং রাজ্জাক স্যার মিথ সৃষ্টিতে বেশ ভূমিকা রেখেছে। নবীন পাঠকদের জন্য একটি সহজ টার্গেট হতে পারে এই বইটি।

৫। জন স্টুয়ার্ট মিলের ইউটিলিটারিয়ানিজম বা উপযোগবাদ বইটি সবচেয়ে বিখ্যাত হলেও ‘অন লিবার্টি’ আমার প্রিয় বইয়ের একটি।
প্রথমবারের মতো দর্শনের যে বইটি পড়ে শেষ করেছিলাম এবং কয়েকমাস সাথে সাথে রাখতাম সেটি ছিল ‘অন লিবার্টি’। অনেকগুলো লাইন মুখস্ত হয়ে গিয়েছিল এবং দর্শনের জগতে একেবারে টেনে হিচড়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে এ বইটির ভূমিকা অস্বীকার করার উপায় নেই।

৬।
'কাবিলের বোন' ও 'উপমহাদেশ' লেখক- আল মাহমুদ।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বর্তমানে ভূরি ভূরি বই প্রকাশিত হতে দেখছি আমরা । বাজার থেকে এরকম দশটি বই তুলে নিয়ে পাঠ করলে দেখা যাবে, ইতিহাস ও বাস্তবতাকে পাশ কাটিয়ে একরৈখিকভাবে আরোপ করা হচ্ছে

লেখকের অন্তরে প্রতিষ্ঠিত কোনো ধারণা । প্রত্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা কবি ও কথাশিল্পী আল মাহমুদ তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় জারিত হয়ে লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস—‘কাবিলের বোন’ ও ‘উপমহাদেশ’।

মুক্তিযুদ্ধের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে উত্সারিত আল মাহমুদের এ দু’টি উপন্যাস বহুল আলোচিত, পঠিত ও নন্দিত হওয়ার পরও এগুলোর মর্যাদা এখনও চিহ্নিত হয়নি । ১৯৯৪ সালে আল মাহমুদের ‘কাবিলের বোন’ উপন্যাস প্রকাশ করার কারণে বাংলা একাডেমীর একুশে বইমেলায় বাংলা সাহিত্য পরিষদের স্টলে ভাংচুর করা হয় এবং বইতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
আপনার বুকলিষ্ট আপনার মতই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.