নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি মনে হয় আর বেশি দিন বাঁচবো না

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪২



স্বপ্নে দেখি- আমি একটা অলৌকিক ক্ষমতা পেয়েছি। শূণ্যে ভেসে থাকতে পারি। এক স্থান থেকে আরেক স্থানে মুহূর্তে চলে যেতে পারি। সারা ঢাকা শহরের মানুষ আমার দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে। স্বপ্নের মধ্যেই আমি ব্যাপারটা খুব উপভোগ করি। আমার আকাশে উড়া সুপার ম্যানের চেয়ে আধুনিক। সুপারম্যান তো এক মুষ্ঠিবন্ধ করে সামনের দিকে বাড়িয়ে রাখে। আর আমি মেঘের মতো ভেসে-ভেসে, ঘুড়ির মতো উড়ি। ইচ্ছা হলে স্প্রীড বাড়াই, ইচ্ছা হলে স্প্রীড কমাই।

ইদানিং খুব বেশি- ঘুমের সমস্যা হচ্ছে। সারা দিন খুব পরিশ্রম করি- তবুও ঘুম আসে না। সুরভি শোয়া মাত্র ঘুমিয়ে পড়ে। ল্যাপটপ বা বই পড়তে পারি না। লাইট অন করলে সুরভি'র ঘুমের সমস্যা হবে। একবার এপাশ- একবার ওপাশ। এইভাবে ভোর হয়ে যায়। ঠিক তখন রাজ্যের ঘুম আসে। কিন্তু তখন ঘুমাতে পারি না। অফিসের জন্য রেডি হতে হয়। অফিস শুরু হওয়ার দুই ঘন্টা আগে বের হতে হয়- রাস্তায় থাকে জ্যাম। বেশির ভাগ সময় বাসও পাওয়া যায় না। হেঁটে যাই। সময় মতো অফিস পৌছাতে না পারলে সমস্যা। বেতন থেকে টাকা কেটে নেয়।

অফিসের কাজে নানান কাজে বাইরে যেতে হয়- বিকেল থেকে শুরু হয় প্রচন্ড মাথা ব্যাথা। এত ব্যাথা মনে হয় অন্ধ হয়ে যাব। অজ্ঞান হয়ে যাব। বাসায় ফেরার পর সুরভি যথাসাধ্য চেষ্টা করে ব্যাথা কমাতে। কখনও কখনও এই ব্যাথা ৫ ঘন্টা থাকে। ইদানিং দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছি। গায়ের রং হয়ে গেছে কালো। প্রতিটা জামা কাপড় ঢোলা হয়ে গেছে। চোখ জ্বলে। কোনো খাবার খেয়েই স্বাদ পাই না। রাতের বেলা ভয় পাই। দিনের পর দিন একই ভাবে কাটছে।

হুট করে যদি মরে যাই- তাহলে সুরভি'র কি হবে? সে আর বিয়ে করবে না, সেটা আমি জানি। হয়তো একটা চাকরি করবে। দুঃখে কষ্টে বাকি জীবনটা পার করে দিবে। সে যাইই হোক, অফিসের কাজে ফরিদপুর গিয়ে কালো হয়ে গেছি। অবশ্য ফরিদপুর যাওয়ার আগে গিয়েছিলাম কক্সবাজার। ছোটবেলা আমি ধবশবে ফর্সা ছিলাম। স্কুলের শিককরা আমাকে সাদা বিড়াল বলে ডাকতেন। ভাবছি ডাক্তার দেখাবো। যাই যাই করেও যাওয়া হচ্ছে না।

আমাদের বংশে সবাই লম্বা সময় বেঁচেছে। আমার দাদা প্রায় ১০০ বছর বেঁচে ছিলেন। তিনি সারা জীবন জমিদারগিরি করেছেন। আমাদের গ্রামে একমাত্র তিনিই কককাতা থেকে কাপড় আয়রন করে আনতেন, এমন কি পানের জর্দা পর্যন্ত কলকাতা থেকে নিয়ে আসতেন। গ্রামের মানুষ তার বিলাসিতা দেখে তাকে বলতেন নওসা মিয়া। যদিও তিনি হঠাত করে অন্ধ হয়ে যান, তখন তার বয়স ৪০ বছর। যাই হোক, আমি আমার মুল আলোচনায় আসি। এবার ফরিদপুর গিয়ে তিন-তিনবার হোন্ডা এক্সিডেন্ট করি। কিন্তু আমার কিছুই হয়নি। যে হোন্ডা চালাচ্ছিল তাকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে।

মৃত্যু এবং মৃত্যু যন্ত্রণা প্রত্যেক মানুষের জন্য অনিবার্য। মহান আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় রাসূল সা: কে মৃত্যুর স্বাদ নিতে হয়েছিলো। আর যখন তিনি মৃত্যুর কিনারায় পৌছেছিলেন, যখন তিনি মৃত্যু যন্ত্রণায় আক্রান্ত হলেন। তখন নিজের সাথে এক জগ পানি রেখেছিলেন, আর সেখান থেকে নিজের হাত ডুবিয়ে নিয়ে মুখ মুছতেন এবং বলতেন, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ইন্না লিল মাওতি লা সাকারাত, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।” -অর্থাৎ নিশ্চয়ই মৃত্যু যন্ত্রণা বড়ই তীব্র এবং বড়ই কঠিন! যদি খোদ রাসূল সা: মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর হন, তাহলে আমাদের কেমন হবে? অবশ্যই কঠিন।

অতএব বন্ধুরা, মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিন। ক্ষণস্থায়ী জীবনের স্বাদ নিতে গিয়ে অনন্ত জীবনকে ভুলে যাবেন না। রবীন্দ্রনাথই তো বলেছেনই—‘আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে/তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে।’ যাবতীয় দুঃখ, কষ্ট, বেদনা থেকে মুক্তি, আবার কখনো মনে হয় মৃত্যু মানেই নরক নামক সীমাহীন যন্ত্রনার হাতছানি। জগতের সবচেয়ে রহস্যময় জিনিস আমার মনে হয় মৃত্যু।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০০

জাহিদ অনিক বলেছেন: ছবিতে আপনাকে বেশ ফর্সা দেখাচ্ছে রাজীব ভাই । আর যদি ফরিদপুর গিয়ে কালো হয়েও যান কিছুদিনের মধ্যেই দেখবেন আবার আগের মত সাদা ধবধবে হয়ে যাবেন ।

আপনার স্কুল শিক্ষকেরা আবার আপানকে দেখলে সাদা বিড়াল ডাকতে পারবে ।


আর মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা তো আছেই। আপনি এত তাড়াতাড়ি মারা যাচ্ছেন না । নিশ্চিন্তে থাকুন ।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রথমত:, চৌকির যে পাশ দেয়ালের সাথে লাগানো সেই পাশে ঘুমাবেন; না হয়, ঢাকার আকাশ উড়ার পর, ফ্লোরে ল্যান্ডিং করতে পারেন।

অসুস্হ হয়েছেন মনে হলেই ডাক্তার দেখাবেন।

কোন মানুষই কোনকালে মরতে চাহেনি; একটু বেশীদিন বাঁচার কথা ভেবেছেন প্রতিটি মানুষ; এই ইচ্ছার মাঝে অনেক কিছুর উত্তর লুকানো আছে।

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২০

শায়মা বলেছেন: হুট করে যদি মরে যাই- তাহলে সুরভি'র কি হবে? সে আর বিয়ে করবে না, সেটা আমি জানি। হয়তো একটা চাকরি করবে। দুঃখে কষ্টে বাকি জীবনটা পার করে দিবে। সে যাইই হোক, অফিসের কাজে ফরিদপুর গিয়ে কালো হয়ে গেছি। অবশ্য ফরিদপুর যাওয়ার আগে গিয়েছিলাম কক্সবাজার। ছোটবেলা আমি ধবশবে ফর্সা ছিলাম। স্কুলের শিককরা আমাকে সাদা বিড়াল বলে ডাকতেন। ভাবছি ডাক্তার দেখাবো। যাই যাই করেও যাওয়া হচ্ছে না।


ভাইয়া ডক্টরের কাছে এই সামান্য সমস্যায় যাবার কি দরকার!!!!!!!!


ফেয়ার এ্যান্ড হ্যান্ডসাম ইউজ করলেই তো হয়ে যায়!!!!!!!!

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৫

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: ঘুমের মাঝে মাথা ঘুরালে মানুষ এ জাতীয় স্বপ্ন দেখতে পারে। মনেহয় ডাঃ এর পরামর্শ নেওয়া উচিত।

৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সাদা হবার জন্য শুনেছি স্ক্র্যাবিং করলে লাভ হয় বেশি! আর লেবু, শশা, তরমুজ এগুলো ন্যাচারালি কাজ করে ভাই।

৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:২২

ওমেরা বলেছেন: ছেলেদের গায়ের একটু শ্যামলা হলেই আমার ভাল লাগে । অবশ্য আমার ভাললাগা না লাগায় আপনার কিছু আসে যায় না সুরভি ভাবীর যদি ফর্সা ভাল লাগে আপনাকে অবশ্যই গায়ের ফিরিয়ে আনতে হবে যে ভাবেঁই হোক ।

জী ভাইয়া অবশ্যই প্রতিটা প্রানীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে এবং যে কোন সময় আসতে পারে কাজেই আমাদের প্রস্তুত থাকা উচিত । ধন্যবাদ ভাইয়া ।

৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৫৩

জুন বলেছেন: আপনি লিখেছেন কিছুদিন আগেই কক্সবাজার ঘুরে এসেছেন । সমুদ্রের নোনা জল হাওয়া মানুষকে কালো করে । আর ঘুম না হওয়া যে কত কষ্টের সে অভিজ্ঞতা আমার আছে । যাইহোক দৌড়ের উপর আছেন বলেই শুকিয়ে গেছেন । ডাক্তার দেখালে মনে একটা শান্তি পাবেন যখন শুনবেন আপনার গুরুতর কিছুই হয়নি । ভালো থাকুন , আনন্দে থাকুন আমাদের সুরভী ভাবীকে নিয়ে অনেক অনেক বছর :)

৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



''ইদানিং দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছি। গায়ের রং হয়ে গেছে কালো। প্রতিটা জামা কাপড় ঢোলা হয়ে গেছে। চোখ জ্বলে। কোনো খাবার খেয়েই স্বাদ পাই না। রাতের বেলা ভয় পাই। দিনের পর দিন একই ভাবে কাটছে।''

-রাজিব ভা্ই, ভাল আছেন তো?

আপনার লেখা পড়ে একটা কথা মনে পড়ল।

'ওরে ভোলা মন পাপে নিমগন মরনে স্বরন কর,
পলে পলে তোর ফুরায়েছে আয়ু, এখনো হল ডর?'

ভাই, ভাল থাকবেন।

৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: মরণ হল সবচেয়ে চির সত্য যাকে কখনো লোকানো যায়না। সময় হলে বলার সুযোগ থাকবেনা জনাব। মরণের প্রতি ভয় থাকা চাই তাহলে মানুষ অপকর্ম থেকে বিরত থাকে। মানুষের স্বাদ ধমানোর টেবলেটটি হল মরণ। তবে অতি চিন্তা একটি অসুখ ও বটে। আপনি যানেন আপনার শরীর না মন ব্যথিত হিসাব করে ডা: দিখেয়ে ফেলেন।

১০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: দ্রুত ডাক্তার দেখান ভাই। খুব করে ঘুমান, ঘুমটা জরুরী। পারলে একজন সাইক্রিয়াট্রিস্টের স্মরনাপন্ন হতে পারেন।

১১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১৬

মানবী বলেছেন: ‌এটা গল্প না ব্যক্তিগত বাস্তব ঘটনা বুঝতে পারছিনা!!!

বাস্তবতা হলে নিঃসন্দেহে ঘুমের সমস্যা দুর করা জরুরী।
প্রথমে লাইফস্টাইলের প্রতি নজর দিতে হবে। সন্ধ্যার পর বা আগে চা কফি পানের অভ্যাস থাকলে তা বন্ধ করা জরুরী। অতি মাত্রায় কম্পিউটার বা ফোনের স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে থাকা অনেকের ক্ষেত্রে ইনসমনিয়ার কারন হতে পারে।

আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কায়িক পরিশ্রম। সারাদিনে যদি গাড়ি, রিক্সা বা চেয়ার বিছানার বসে সময় কেটে যাব সেক্ষেত্রে ঘুমের সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক। বাইরে হাঁটতে যার সুযোগ না থাকলে নিজের ঘরেই অণ্তঃত ৩০-৪৫ মিনিট হাঁটা জরুরী। সেই সাথে শারিরিক পরিশ্রম হয় এমন কাজ করা, ঘর ঝাড়ু দেয়া বা মোছা ভালো তবে আমাদের দেশের খুব বেশী পুরুষ মনে হয় এতে আগ্রহী ননল এক্ষেত্রে অফিস বা বাসার সিড়ি দিয়ে প্রয়োজন ছাড়া অনেকবার ওঠানামা করে শারিরিক পরিশ্রম করা যায়।

তারপরও ঘুমের সমস্যা, বিশেষ করে ওজন কমা আর অরুচীর সমস্যা দূর না হলে কোন এন্ডোক্রাইনোলজিস্টকে দেখান।

ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.