নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আমাদের দেশে একটা কথা আছে-- ''ছোটলোকের পোলা যদি জমিদারি পায়, কানের আগায় কলম গুঁজে বায়জি নাচায়।'' কথাটা সত্য। আশে পাশে তাকালেই এর সত্যতা পাওয়া যায়। তোমার মন ভরা কলুষতা থাকলে জীবনে তুমি কিছুই হতে পারবে না- এই সহজ সত্যটা অনেকেই বুঝতে চায় না। বিশেষ করে কবি সাহিত্যিক হওয়া তো একেবারে অসম্ভব। বাংলা সাহিত্য, বিশ্ব সাহিত্য সব গুলে খেয়ে ফেললেও তুমি সাহিত্যিক হতে পারবে না। আগে তোমাকে ভালো মানুষ হতে হবে। মন থেকে হিংসা বিদ্বেষ, কলুষতা এবং দালালি এবং চামচাগিরির মানষিকতা সব একেবারে মুছে ফেলতে হবে। মূখোশ পড়ে আর কতদিন!
আরেকজনের ভালো দেখলে তোমার কেন কলিজা জ্বলে? কেন তুমি শুধু তোমার নিজের উন্নতি চাও? কেন তোমার শুধু নিজেকে যোগ্য মনে হয়? নিজে তো চামচামি আর দালালি করে ব্যাংকে লক্ষ লক্ষ টাকা জমাচ্ছো। যে তুমি আলু ভর্তা আর ডিম বাজি দিয়ে ভাত খেয়ে বড় হলে- আর এখন তোমার ভালো ভালো খাবার ছাড়া চলেই না। ঠিক আছে তুমি ভালো ভালো খাবার খাও, ভালো ভালো জামা পড়ো কিন্তু আরেকজন ভালো খাবার খেলে বা ভালো জামা পড়লে তোমার কেন কলিজা জ্বলে? তোমাকে যে কেউ পছন্দ করে না, বরং সবাই ঘৃণা করে তা কি বুঝ না? নাকি বুঝেও না বোঝার ভান করো। একজন এইডস রোগীকে আমি ঘৃণা করি না। তোমাকে ঘৃণা করি।
আমি কাউকে কোনোদিন লাথথি দেইনি তার মানে এই না যে আমি লাথথি দিতে জানি না। তুমি কেন তোমার অতীত ভুলে যাও? তোমার মা মানুষের বাসায় কাজ করে তোমাকে বড় করেছে সে কথা কেন তুমি ভুলে যাও। নিজের জন্মদাতা বাপকেও তুমি এত ভালোবাসো না- কিন্তু অন্য এক ব্যাটাকে বাপের চেয়ে বেশি ভালোবাসো। আসলেও তাকেও ভালোবাসো না, কিন্তু দেখাতে চাও তাকে অনেক ভালোবাসো। তোমার লজ্জা করে না। তোমার বাপ তো নারীঘেষা নয়, তুমি কেন নারী ঘেষা? কত নারীকে তুমি ভালোবাসো বলে সর্বনাশ করেছো। সত্য কথা হলো কোনো নারীকেই তুমি ভালোবাসো না। তোমার ভালো লাগে তাদের বুক। সিনেমা হলে সিনেমা দেখার নাম করে- তুমি কত মেয়ের বুক পিষে দিয়েছো। সন্ধ্যার পর কত মেয়েকে তুমি রিকশা করে অন্ধকার গলিতে নিয়ে গিয়ে হাতের ব্যয়াম করেছো। একবার তো এক মেয়ের ঠোট কেটে রক্ত বের হয়ে গেল। এত যৌন ক্ষুধা কেন তোমার? তাহলে বিয়ে করছো না কেন? প্রকৃ্তি কাউকে ক্ষমা করে না। এই জন্য তোমার বোনকে অন্যলোক.....
অজ পাড়া গা আর দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসে- আজ তুমি লেখা পড়া শিখেছো। এটা খুব বড় ব্যাপার। অনেকেই পারে না। তুমি পেরেছো। আজ তুমি দামি ফ্লাটে থাকো। ভেরি গুড। কিন্তু তোমার মন মানসিকতা যে আজও নর্দমার কীটের মতো। এখানেই সমস্যা। চেষ্টা করে দেখো না মানসিকতা বদলাতে পারো কিনা। তাহলে তুমি একজন ভালো মানুষ হতে পারবে। প্রথমে আমি তোমাকে ভালো মানুষ ভেবেছিলাম। কিন্তু যেদিন তোমার মূখোশ দেখে ফেললাম। আমি তো অবাক! বিশ্বাস করো তোমার মনের কলুষতা গুলো তোমার মুখে ভেসে উঠে। মানুষ যেমন হাজার চেষ্টা করলেও তার ভালো দিক গুলো লুকিয়ে রাখতে পারে না তেমনি হাজার চেষ্টা করলেও তার খারাপ দিক গুলো লুকিয়ে রাখতে পারে না। সব প্রকাশ হয়ে যায় তার চোখ, মুখ আর চালচলনে।
বুক ভরা হিংসা দাদালি আর কলুষতা নিয়ে তুমি সাহিত্যের দিকে হাত বাড়িয়েও না। দশ হাজার টাকা দিয়ে রবীন্দ্র রচনাবলী কিনলেও লাভ নেই। ভালো মানুষ না হলে- তুমি ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার অথবা সাহিত্যিক হলেও লাভ নেই। তুমি কি জানো- মনে মনে তোমাকে আমি অকথ্য ভাষায় গালাগালি করি। ১০০ বার অদৃশ্য ভাবে তোমার মুখে থু থু দেই। তোমাকে আমি ঘৃণা করতে চাই না। তোমাকে আমি এক আকাশ ভালোবাসা নিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরতে চাই। একদিন দেখি একলোক তোমাকে মা-মাসি তুলে অকথ্য ভাষায় বকা দিচ্ছে। কি যে শান্তি পেলাম আমি !
তোমার বোনকে তো শ্বশুর বাড়ি থেকে কান ধরে বের করে দিয়েছে- হয়তো তোমার পাপের কারণে। এখন হাজার চেষ্টা করেও বিয়ে দিতে পারছো না। তোমার বাপ তার নিজের সম্মান বাঁচাতে গিয়ে দেশ ছেড়েই চলে গেলেন মালোশিয়া। টাকার লোভে প্রতিদিন তুমি কত খারাপ কাজ করছো। কত মানুষকে পথে বসিয়েছো। তাদের মানসম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছো। হাজার মানুষের অভিশাপ তোমার উপর আছে। সেই সব সাঁজা তুমি পাবে। নানান ব্যাংকের ডেবিট আর ক্রেডিট থাকলেও তোমার লাভ নেই। সাঁজা তোমাকে ভোগ করতেই হবে। সেই সময় খুব দূরে নয়। তুমি অপেক্ষা করো।
এই তুমি আমার উপকারের ভাব দেখিয়ে অনেক ক্ষতি করেছো। ভালোবাসার ভাব দেখিয়ে অনেক অপমান করেছো। কুকুরের মতো আমাকে পরিশ্রম করিয়েছো। কিন্তু দেখো সব কিছু মিলিয়ে আমি কিন্তু ভালোই আছি। তুমি ভালো নেই। কোনোদিন থাকবেও না।
©somewhere in net ltd.