নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
সত্যিকার অর্থে আমি কোনো মেয়েকেই ভালোবাসি না। কিন্তু অনেক মেয়ের সাথেই আমার সম্পর্ক আছে। তারা মনে করে, আমি তাদের ভালোবাসি। অবশ্য তাদের কোনো দোষ নেই। আমি তাদের সাথে এমন আচরন করি- তারা মনে করে তাদের আমি অনেক ভালোবাসি। আমি মনে করি, একজন মানুষ অভিনয়ে যত দক্ষ সে তত সাফল্য পায়। প্রেম ভালোবাসার ক্ষেত্রে তাই আমার সাফল্য বেশি। কখনও বিফল হইনি। একই সাথে চারটা পাঁচটা মেয়ের সাথে প্রেম ভালোবাসা'র খেলা খেলি। তারা কেউই বুঝতে পারে না। পর্যায়ক্রমে প্রতিরাতে সবার সাথেই ফোনে কথা বলি। প্রতি সপ্তাহে সবাইকেই সময় দেই। কেউ কারো কথা জানে না, বুঝে না। ওই যে বললাম, আমার অভিনয় এতই নিখুঁত। মাঝে মাঝে আমার অভিনয়ে আমি নিজেই মুগ্ধ হই। যার দিকে আমার নজর পড়ে তাকে হাসিল করেই ছাড়ি।
প্রতিটা মেয়ের সাথেই আমি প্রেম ভালোবাসার অভিনয় করি। তারপর মেয়েটা যখন আমার উপর খুব দুর্বল হয়ে পড়ে- তখন তাকে বিছানায় নিই। এভাবে দুই তিন মাস চলে। তারপর মেয়েটিকে আমার আর ভালো লাগে না। তখন একটা ক্যাচাল তৈরি করে মেয়েটার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করি। এভাবে যে কত মেয়েকে বিছানায় নিয়েছি এবং সম্পর্ক শেষ করেছি তার ইয়ত্তা নেই। এটা আমার এক ধরনের খেলা। এই খেলা খেলে আমি বিপুল আনন্দ পাই। হয়তো আপনারা আমাকে খারাপ ভাবছেন। লুচ্চা ভাবছেন। কিন্তু প্রতিটা মেয়েকে আমার বাগে আনতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। অনেক টাকা খরচ করতে হয়। অদৃশ্য মুখোশ পরে দক্ষ অভিনয় করতে হয়। খুব পরিশ্রম হয় আমার। পরিশ্রম করি বলেই তো সাফল্য পাই। আমি ভালো একটা অফিসে চাকরি করি। প্রচুর টাকা বেতন পাই। কৃপণতা বলতে এক জিনিশ যাআমার মধ্যে নেই।
এতক্ষন ফালতু কথা বললাম, এখন মুল গল্পে আসি। একদিন এক বিশেষ কাজে একটা বেসরকারি টিভি চ্যানেলে গিয়েছি। সেখানে একটা মেয়েকে দেখে আমার মাথা নষ্ট। এত সুন্দর---এত্ত সুন্দর! ইচ্ছা করলো কিছুক্ষন বুকে জড়িয়ে ধরে রাখি। মুহূর্তের মধ্যে চোখ বন্ধ করে তাকে বিছানায় নিয়ে গেলাম। আহ কি আনন্দ! পরপর শুধু মাত্র মেয়েটিকে দেখার জন্য আমি সেই অফিসে যাই। যত দেখি তৃষ্ণা মেটে না। মেয়েটির মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করলাম পাঁচ শ' টাকার বিনিময়ে। পঞ্চাশ টাকা দিয়েও সংগ্রহ করতে পারতাম। কিন্তু আমি কৃপণ নই। প্রচুর টাকা ইনকাম করি। দুই হাতে টাকা খরচ করি। যাই হোক, বাসায় ফিরে রাতে মেয়েটিকে ফোন দিলাম। ধরে নিলাম মেয়েটির নাম রুপা। কোন মেয়েকে কিভাবে মুগ্ধ করতে হয় তা আমার ভালোই জানা আছে। কম করে হলেও প্রায় ত্রিশ টা বাংলা এবং ইংরেজি কবিতা আমি মুখস্ত করে রেখেছি। যথা সময়ে যথা পরিবেশ আমি ডেলিভারি দেই।
রুপা'র সাথে সাত দিন কথা বলার পর সে আমার সাথে দেখা করার জন্য অস্থির হয়ে পড়ে। কিন্তু আমি তার সাথে দেখা করি এক মাস পর। এটা আমার একটা টেকনিক। দেখা করি, কথা বলি। ঢাকা শহরের নামকরা সব রেস্টুরেন্টে বসে খাই। বিশেষ দিন গুলোতে দামি উপহার দিতে ভুলি না। একসাথে ঘুরে বেড়াই। কিন্তু ভুলেও হাত ধরি না। এমন পরিস্থিতি তৈরি করি মেয়ে গুলো নিজেই বলে- আমার হাত ধরছো না কেন? আমার কি এইডস হয়েছে? আর যদি নিজ থেকে হাত ধরতাম তাহলে রুপা'র আমার প্রতি নেগেটিব ধারনা হতো।
একদিন রুপা দুপুরবেলা ফোন দিল। আমি গেলাম তার কাছে। সে বলল, আজ সারা শহর রিকশায় করে ঘুরে বেড়াবো। তাকে নিয়ে গেলাম মিরপুর বেড়িবাঁধ। সুন্দরভাবে রিকশায় ঘুরার জন্য এই রাস্তাটা বেশ ভালো। চারপাশে কাঁচের মতো স্বচ্ছ রোদ কিন্তু গরম লাগছে না। প্রচুর বাতাস। আমি জানি একটু পর রুপা বলবে- এই তুমি চাও আমি রিকশা থেকে পড়ে যাই? আমি বলব না। তারপর রুপা বলবে তাহলে আমাকে ধরছো না কেন? তখন আমি শক্ত করে এক হাত দিয়ে রুপা'র নরম কোমড় জড়িয়ে ধরবো। সেই হাত অবশ্যই এক জায়গায় স্থির থাকবে না। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ লোক আমি।
সময় দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আমি আমার প্লান মতো এগিয়ে যাচ্ছি। তাড়াহুড়ার কিছু নেই। সামনের দিন গুলোতে কি কি ঘটবে সব চিন্তা পরিকল্পনা আমার মাথার মধ্যে আছে। আমার খুব শখ রুপা'কে নিয়ে ঢাকার বাইরে কোথাও যাই। আমি দেখেছি খুব তীব্রভাবে কিছু চাইলে সেটা পাওয়া যায়। সত্যি সত্যি আমরা একদিন রাতের বাসে কক্সবাজার চলে গেলাম। এক রুম নিলাম। রুপা বিছানায় ঘুমালো আমি সোফায় ঘুমালাম। কিন্তু আমি জানি রুপা নিজেই আমার কাছে আসবে। নিজেকে উজার করে দিবে। আর আমি যদি জোড়জবস্তি করি তাহলে রুপা আমার কাছ থেকে দূরে থাকবে। আমি খুব সুক্ষ্ম বুদ্ধিমান মানুষ। অবশ্য কক্সবাজার আসার আগে রুপা'কে বলেছি দুই বছর পর তাকে বিয়ে করবো। সহজ সরল সত্য হলো- দুই বছর না পাঁচ বছর পরও তাকে বিয়ে করবো না। বিয়ের কথা না বললে তো সে আমার সাথে কক্সবাজার যেতে রাজী হতো না। প্রেম ভালোবাসার ক্ষেত্রে মিথ্যা বলাটা ফরয। কিন্তু নিখুঁত ভাবে মিথ্যা বলতে হয়। এ ব্যাপারে আমি অভিজ্ঞ।
দুইদিন কক্সবাজারে পার করে দিলাম। আমি কিচ্ছু করিনি রুপা'কে। হাতও ধরিনি। আমার উপর রুপা'র বিশ্বাস বিশাল সমুদ্রের মতো- তা আরও বাড়ল। তার চোখে আমি হয়ে গেলাম ফেরেশতা। আসলে আমি যে কত বড় শয়তান। যাই হোক, সেদিন আমরা দু'জন অনেকক্ষন লাফালাফি করে সমুদ্রে গোছল করলাম। তারপর রুমে ফিরে দুইজন একসাথে গোছল করলাম। আমাকে খালি গায় দেখে রুপা আমার উপর ঝাপিয়ে পড়লো। আমি বললাম, ছাড়ো আমাকে। আমাদের বিয়ে হয়নি। আরও কিছু দিন অপেক্ষা করো। আমি যতই বলি আমাকে ছাড়ো, রুপা তত'ই আমাকে শক্র করে জড়িয়ে ধরে। তারপর আমরা সারা বিকালটা আদর ভালোবাসায় পাড় করলাম। রুপা'র পারফরমেন্সে এ আমি মুগ্ধ। অসাধারন। পর পর তিনবার। তবু যেন স্বাদ মিটে না। উফ ! আমার টার্গেট আজ পূরণ হলো। যেভাবে চেয়েছিলাম ঠিক সেভাবেই। মেয়ে গুলো এত বোকা কেন? এমন না যে অশিক্ষির মেয়ে। অনার্স মাস্টার্স পাশ।
সারা শরীরে আদর মেখে আমরা সন্ধ্যায় বের হলাম। বার্মিজ মার্কেট থেকে রুপাকে অনেক কিছু কিনে দিলাম। দুই হাত ভরতি নানান জিনিস পত্র। দুই হাত ভরতি ব্যাগ নিয়েই সমুদ্রের পাড় দিয়ে অনেকক্ষন হাটলাম। রুপা অনেকক্ষন আমার বুকে মাথা রাখল। মিথ্যা বলব না, তখন রুপা'র চোখ থেকে দু'ফটা জল গড়িয়ে পড়তে দেখেছি। রাতে পউষী নামের রেস্টুরেন্ট থেকে নানান পদের খাবার দিয়ে ডিনার শেষ করলাম। হাঁটতে হাঁটতে আমাদের রুমে ফিরলাম। কিন্তু রুমে এসে যা দেখব তার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না।
চাবি দিয়ে দরজা খুলে আমরা দুইজন রুমে ঢুকলাম। বাতি জ্বালালাম। ঘর আলোকিত হতেই দেখি- রুপা বিছানায় শুয়ে আছে। কিন্তু রুপা তো আমার পাশে দাড়িয়ে আছে। আমি দুইজন রুপাকে দেখছি। একজন বিছানায় শোয়া আর একজন আমার পাশে দাঁড়িয়ে। আমার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রুপা কি বিছানায় শোয়া রুপাকে দেখতে পারছে না?
(২য় পর্ব আগামীকাল)।
[ছবি'র সাথে লেখার কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই। অপশন আছে তাই দিলাম। সবাই ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।]
২৬ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটা আমি লিখেছি। কিন্তু আমি তো আমার কথা লিখি নাই। সমাজে এমন ঘটনা ঘটে। আমি মেয়েদের সাবধান করার জন্য এই লেখাটা লিখেছি।
২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৪
অণু অণুভা বলেছেন: বাহ !!! খুব ভাল লিখেছেন !
১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।
৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
"একই সাথে চারটা পাঁচটা মেয়ের সাথে প্রেম ভালোবাসা'র খেলা খেলি। তারা কেউই বুঝতে পারে না। "
-সবকিছু ভালো হলে, ভালো।
তবে, আপনি যেভাবে ভাবছেন, "তারা কেউই বুঝতে পারে না", আপনার ভালোবাসার মেয়েরাও আপনার ব্যাপারে সেটাই ভাবছে, হয়তো!
আরেকটা ব্যাপার, অনেক সময় ভালোনাসা থাকে না, শুধু সম্পর্ক থাকে
১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭
কানিজ রিনা বলেছেন: আফনে জব্বর প্রেমিক,বুজ্জালাইচি আফনে
আফনে রাস্তাঘাটে পড়ে থাকা শিশুর পিতা।
আফনারা জব্বর উন্নত প্রেমিক। দ্যাশটা
স্বাধীন তাই আফনারাও স্বাধীন।
সত্যি আপনি বড় বুদ্ধিমান এমন মানুষ
সেজে নিজেই নষ্ঠ মানুষের চিত্র তুলে
ধরেছেন। তাই ধন্যবাদ