নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেলানী

১২ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪



০৭ জানুয়ারি ২০১১ সালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর সদস্যরা ফেলানী খাতুন নামের এক কিশোরীকে গুলি করে হত্যা করে। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ায় ফেলানীর লাশ পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল। বাবার সঙ্গে ফেলানী নয়াদিল্লিতে গৃহকর্মীর কাজ করত। দেশে বিয়ে ঠিক হওয়ায় বাবার সঙ্গে ফেরার পথে সীমান্ত পার হওয়ার সময় কাঁটাতারের বেড়ায় কাপড় আটকে যায় ফেলানীর। এতে ভয়ে সে চিৎকার দিলে বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে হত্যা করে এবং পরে লাশ নিয়ে যায়।

ভারতের কোচবিহারে বিএসএফের বিশেষ আদালতে পরপর দুবার ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম সাক্ষী দেন। ফেলানী হত্যার আড়াই বছর পর ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারে বিশেষ আদালতে বিচারকাজ শুরু করে বিএসএফ। শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেন বিএসএফের আদালত। ফেলানী খাতুনের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ক্ষতিপূরণ দিতে ছয় সপ্তাহ সময় বেধে দেয়া হয়েছিল। তবে এখনো কোন ক্ষতিপূরণ পায়নি পরিবার।

২০১৫ সালে বিএসএফের গুলিতে ৪৫জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। ২০১৩ সালে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহতের সংখ্যা ছিল ২৯জন। ২০১২ সালে ৩৮জন আর ২০১১ সালে ৩১জন। ফেলানী হত্যাকাণ্ডের পর বিএসএফর ডিজি বাংলাদেশে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কোনো বাংলাদেশী নাগরিকের ওপর তারা কোনো মরণাস্ত্র ব্যবহার করবেন না। কিন্তু সে প্রতিশ্রুতি তারা রাখেনি।

ফেলানী হত্যা মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন বলছেন- অমিয় ঘোষ ফেলানীকে হত্যা করেছেন। অথচ বিচারে বলা হচ্ছে, ঘোষ আত্মরক্ষার জন্য গুলি করেছেন, তাই তিনি নির্দোষ। আব্রাহাম আরও বলেন, সীমান্তে সত্যিই যদি হত্যা বন্ধ করতে চাইতো বিএসএফ, তাহলে ফেলানী হত্যা মামলার রায় নিয়ে এত নাটক করত না।

নির্মম এ হত্যাকান্ডের বিচার কাজ দীর্ঘ ৬ বছর ধরে চললেও এখনও ন্যায়বিচার পায়নি ফেলানীর বাবা। মামলাটি ভিন্ন রাষ্ট্রের হওয়ায় এ মামলার আপিলের সুযোগ আমাদের নেই। আপিল করতে হলে বিএসএফকেই করতে হবে। তারা মামলাটির ন্যায়বিচারের স্বার্থে উচ্চ আদালতের দারস্থ না হওয়ায় ফেলানীর বাবা ও ভারতের একটি মানবাধিকার সংগঠন যৌথভাবে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেন। আমরা আশা করি ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ভারত তোষননীতির কারনেই সীমান্তহত্যা ও নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনত করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই ভারত সীমান্তহত্যা ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।

এ মামলায় ভারতের উচ্চ আদালতে ইতিবাচক রায় হলে সীমান্তে আইনবহির্ভূত হত্যাকা- বন্ধ হবে এমনটাই আশা বাংলাদেশের মানুষের।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২

শূন্যনীড় বলেছেন: ফেলানী হত্যাকাণ্ড এখন মর্মাহত করে আমাদের

পোষ্ট ভালো লিখেছেন।

২| ১২ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৩

নাগরিক কবি বলেছেন: সীমান্তের দিকে আমাদের সরকারের আরো বেশি নজরদারী করা উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.