নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আমাদের খাদ্য মন্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭০ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং ১৯৮২ সালে আইন শাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ভারত, নেপাল, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপান, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, সুইডেন, ডেনমার্ক, চীন, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ অনেক দেশ সফর করেছেন। ঢাকা শহরে পাকিস্তানি দখলদার সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে অদম্য সাহসের সাথে যুদ্ধ করে তিনি দেশমাতৃকার প্রতি তাঁর ভালবাসা প্রদর্শন করেন। ১২ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন।
কোনো এক অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, ''বাংলাদেশে মানুষের সাংবিধানিক অধিকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে।'' এই কথাটার মানে আমি একেবারেই বুঝি নাই। যাই হোক তিনি তিনি আরো বলেন, দেশে পর্যাপ্ত চালের মজুদ রয়েছে। খুব ভালো কথা। তাহলে দেশে চালের কেজি ৫৮ টাকা কেন? বাংলাদেশে এমন কোনো খাবার আছে যে ভেজাল নেই? গত কয়েক বছর ধরে আমি নিয়মিত বাজার করছি। তরি-তরকারী, ফলমুল,মাছ-মাংস কোন খাবার টায় ভেজাল নেই? চাল, ডাল, আটা, মাছ, মাংস, তেল, ঘি, দুধ, দই, চিনি, মিষ্টি, চকোলেট, আইসক্রিম, কেক, গুঁড়া দুধ, ফলমূল, সবজি, মসলা—সবকিছু ভেজালে সয়লাব। অথচ দেশে খাদ্য নিরাপত্তা আইন থাকলেও এর সঠিক বাস্তবায়ন নেই। যে ফলমূলগুলো আমর খাই বা ছেলেমেয়েদেরকে খেতে দেই যেমন কলা, আংগুর, আপেল, আম, আনারস প্রায় সবগুলোই কেমিক্যাল বা বিষ মিশানো। পণ্যের মান ঠিক আছে কি না তা দেখার দায়িত্ব বিএসটিআই’র। শহরাঞ্চলে তাদের কার্যক্রম সীমিত। গ্রামাঞ্চলে তা-ও নেই। আর একটা কথা- বাজারের মিনারেল ওয়াটারের নামে যা পাওয়া যায়, তার ৯৬ ভাগই পানের অযোগ্য।
নীরাদ সি চৌধুরীর ‘আত্মঘাতী বাঙালি’ কথাটি এক্ষেত্রে এসে সার্থকতা লাভ করেছে। আমি জানি না, খাদ্যে ভেজাল এটা দেখার দায়িত্ব খাদ্যমন্ত্রীর কিনা। যদি তার হয়ে থাকে, তাহলে বলল- আপনি সারাদিন কি কাজ করেন জানি না। শুধু খাদ্যে ভেজাল রোধ করুন। তাহলে দেশের মানুষ আপনাকে সারা জীবন মনে রাখবেন। আপনি কি জানেন না- শিশুদের খ্যাদ্যেও ভেজাল। মাননীয় মন্ত্রী আপনি'ই তো কিছু দিন পর-পর মিডিয়াতে বলেন, ''খাদ্যে ভেজাল ধরা পড়লে কঠোর ব্যবস্থা''। সেই ব্যবস্থাটা বাস্তবে পরিনত করে দেখান। সেদিন খবরের কাগজে পড়লাম- কৃষক এর সারেও ভেজাল। আপনারা প্রায়'ই বলেন- ''দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে।'' এই কথাটাই আমি সাধারণ জনগনের মুখে শুনতে চাই।
যারা খাদ্যে ভেজাল মেশানোর মতো কাজ করেন, তাদের বিরুদ্ধে তেমন একটা ব্যবস্থা নেয়া হয় না। আবার যাদের আটক করা হয়, তাদের তেমন একটা শাস্তি হয়না। বিচারেও অনেক বেশি সময় লাগে। ভেজাল খাবারের সাথে যারা জড়িত, তারাই আবার কোন না কোনভাবে সরকারের সাথে জড়িত রয়েছে। তাই সরকারও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী হয় না। ভেজাল বন্ধে সরকারের একধরণের সদিচ্ছার ঘাটতি বা অনীহা রয়েছে বলে মনে হয়। একটা জাতীয় সমস্যা হিসাবে এটাকে যতটুকু প্রাধান্য দেয়া দরকার, তা কখনোই সরকার দেয়নি। আমাদের খাদ্যমন্ত্রী টিভি চ্যানেলের সামনে প্রায়ই বলেন, ''ভেজাল খাদ্য উৎপাদনকারীদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।'' তার হুশিয়ারিতে কোনো কাজ হয় না। খাদ্যে ভেজাল চলতেই থাকে। তিনি আরও বলেছেন- '' ‘বর্তমান সরকার জনগণকে খাদ্য নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।’'' কথাটা কি খাদ্যমন্ত্রী সত্য বলেছেন?
খাদ্যমন্ত্রী'র কথার সাথে বাস্তবের কোনো মিল আমি খুঁজে পাই না। নকল সেমাই, নুডুলস, তরল পানীয় এমন কিছু কি আছে যে নকল হচ্ছে না? চারপাশে এমন কিছু নেই- যেটাতে ভেজাল নেই। সরকারের এমন কোনো প্রতিষ্ঠান কি আছে যেখানে ঘুষ লেনদেন হয় না? যেইসব নেতারা বড়-বড় কথা বলেন, তাদের উচিত বুঝে কথা বলা। তারা দেশের মানূষকে কি নির্বোধ মনে করেন? মিথ্যা দিয়ে আর বড় গলায় কথা বললেই- সেটা সত্য হয়ে যায় না। দেশেকে ভালোবাসুন, দেশের জন্য কাজ করুন।
২| ০৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১৩
নুপুর মৃদুলা বলেছেন: ভাইয়ুউউউউউউ!!!!!!!!!!
তোমার মাতা এত গলম কেন? বেশি কলে বরফ খাও।!!!!!!!!!!!!
৩| ০৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২
বিজন রয় বলেছেন: এই পোস্টে আপনার ছবি নাই!!!!
৪| ০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০২
আশরাফুল করিম খান বলেছেন: বাজারের মিনারেল ওয়াটারের নামে যা পাওয়া যায়, তার ৯৬ ভাগই পানের অযোগ্য। " ভাই এই উক্তির source টা জানাবেন?
৫| ০৮ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভেজাল খেয়ে মন্ত্রীর চুল পড়ে গেছে, ভাবনাশক্তি হিলুবিলু হয়ে গেছে
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০৪
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: উনারা ক্ষমতা নিয়েই আছেন। উনাদের কথায় কাজ হল কি না হল তা দেখার সময় উনাদের নেই।