নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
প্রতি বছরের মতো এবারও নৌ মন্ত্রী বলেছেন- ঈদের সময় লঞ্চ, জাহাজ, স্টিমারে ঝুঁকিপূর্ণভাবে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করবেন না। এবং যারা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করবে, তাদের বিরুদ্ধে ''কঠোর ব্যবস্থা'' গ্রহণ করা হবে। যদিও তার কথা কেউ শুনবে না, মানবে না। প্রতি বছরের মতো এবারও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলবে এবং অতিরিক্ত ভাড়াও নেওয়া হবে। এখন, কথা হচ্ছে- তাহলে মন্ত্রী এসব লোক দেখানো কথা বলেন কেন?
জনাব শাজাহান খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ভারতের দেরাদুনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে খুব বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ভারত, নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নিউজিল্যান্ড, মালয়শিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপান, কেনিয়া, থাইল্যান্ড, ইতালি, কোরিয়া, চীন, হংকং, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মান, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড এবং সৌদি আরব ভ্রমণ করেছেন। জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নির্বাহী সভাপতি, গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের আহবায়ক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চের সভাপতি। অবশ্য মন্ত্রী সাহেব, উভয় পক্ষের প্রতিনিধি হয়ে তিনি কখনই জনগণের পক্ষে দাঁড়ান না, এটা দুঃখজনক।
সড়ক পরিবহন ও নৌপরিবহন খাতের শ্রমিক সংগঠনগুলো বাস ও লঞ্চ থেকে প্রতিদিন চাঁদা তোলে। শ্রমিকনেতা হিসেবে এই দায় শাজাহান খানের। আবার মন্ত্রী হিসেবে এই চাঁদাবাজি বন্ধ করার অন্যতম দায়িত্বও তাঁর। নিজেকে শতকরা ৭০ ভাগ সফল দাবি করে শাজাহান খান বলেন, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বছরে সর্বোচ্চ ৩১টি থেকে সর্বনিম্ন ২০টি পর্যন্ত দুর্ঘটনা ঘটেছিল। প্রতিটা ফেরী ঘাট ভাঙ্গা। গাড়ি বাস চললাচলে খুব সমস্যা হয়। ফেরীর যানজটে একবার পড়লে জীবন শেষ। অবশ্য ভিআইপিদের কোনো সমস্যা হয় না। তারা দেরীতে এলেও তাদের গাড়ি সবার আগে ফেরীতে উঠে। এবং তাদের জন্য আছে ফেরীতে ভিআইপি কেবিন।
কাওড়াকান্দি ঘাটে প্রতিটি পরিবহনের প্রতি যাত্রায় ৫০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। ঈদের সময় চাঁদার হার বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়। শাজাহান খান বলেন, ‘চাঁদাবাজি হয় জানি। তবে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই। যতটুকু পারি, নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি। বাংলাদেশে চাঁদাবাজি কখনও বন্ধ হবে না। কারণ এই চাঁদাবাজির ভাগ তারাও পান। আজ থেকে দুই বছর আগে, মন্ত্রী বলেছিলেন, তিন মাসের মধ্যে বুড়িগঙ্গা দখলমুক্ত হবে। কিন্তু আজও হয়নি। তিনি আর বলেন, নদী রক্ষায় আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়-ই আন্তরিক। মাননীয় মন্ত্রী আপনি শুধু বুড়িগঙ্গাটা পরিস্কার আর দখল মুক্ত করে দেখান আর কিছু লাগবে না। যে কোনো বিষয়েই আপনি কথা বলেন। আপনার কথা দিয়ে পত্রিকার শিরোনাম হয়। আসুন আমরা কথায় বড় না হয়ে কাজে বড় হই। সদিচ্ছা থাকলে বুড়িগঙ্গা পরিস্কার এবং দখলমুক্ত করা কোনো ব্যাপার না।
সাধারণ মানুষ নদী দখল করে না। সমাজের ক্ষমতাধর, প্রভাবশালী, বিত্তবান ও জনপ্রতিনিধিরাই নদী দখল ও দূষণের সঙ্গে জড়িত। নদী-নালা হচ্ছে দেশের প্রাণ। নদী না বাঁচলে দেশ বাঁচবে না। দেশের জনগণ বাঁচবে না। যারা নদী দখল করছে এবং নানান বর্জ্য ফেলে পানি দুষিত করছে- তারা বেশি ক্ষমতাবান না নৌ মন্ত্রী ক্ষমতাবান? সহজ সরল কথা হলো- যোগ্য লোকের আমাদের খুব অভাব। যারা শুধু বড় বড় কথা বলবে না, সত্যিকারভাবে দেশকে ভালোবেসে দেশের জন্য কাজ করবে।
১০ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: এক ভুল বারবার কথা ঠিক না।
২| ১০ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মন্ত্রীদের নিয়ে কথা না বলাই ভাল। দিন শেষে উনাদের কথায় রাইট হয়।
১০ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্ত্রী হতে ইচ্ছা করে।
৩| ১০ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২১
বিজন রয় বলেছেন: ওটা তাহলে আপনার ভুল ছিল!!!
যাক, তাহলে আমিও আর বলবো না।
১০ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ১০ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংগালী জাতির ইতিহাসে শাহজাহান খান সবচয়ে বড় চাঁদাবাজ, সবচেয়ে বড় মাফিয়া।
১০ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: এই ব্যাপারে আওয়ামীলীগ কি কিছু জানে না?
এমন লোক সরকারে রাখছে কেন?
৫| ১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:০১
করুণাধারা বলেছেন: এখন যে ছবিগুলো দিচ্ছেন সেগুলো আপনার তোলা? ভাল হয়েছে ছবি।
৬| ১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:০৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: একটা পেশাদার চাঁদাবাজ মাফিয়া
৭| ১২ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১৭
ভাললাগে না বলেছেন: সারা দেশে পরিবহন খাতে যত চাঁদাবাজি হয় সব গুলো থেকে এই লোক কমিশন খায়
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১২
বিজন রয় বলেছেন: পোস্টে আপনার ছবি কই?