নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

জ্ঞান সঞ্চয় করে, নিজেকে সমৃদ্ধ করুন (পর্ব- ১)

২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০১



কোথা থেকে এলো এই পৃথিবী? কি করে হলো প্রাণের উৎপত্তি? সৌরজগৎ সৃষ্টির মোটামুটি ১০০ মিলিয়ন বছর পর একগুচ্ছ সংঘর্ষের ফল হলো পৃথিবী। পাঁচটি বড় বরফ যুগ দেখা যায় পৃথিবীর ইতিহাসে। আমরা যারা এ যুগে জন্মেছি তারা খুবই ভাগ্যবান। ভাগ্যবান নানা কারনে। তার মধ্যে একটা বড় কারণ হলো এই যে, মানুষ এত হাজার হাজার বছর ধরে সভ্য হয়ে উঠেছে, এত কথা জেনেছ, এত রকম কলকব্জা আবিষ্কার করেছে তার সব আজ আমাদের হাতের কাছে এসে দাঁড়িয়েছে। আমাদের পূর্ব পুরুষরাতো এত সব কিছুর কথা মোটেই জানতো না। তাদের জীবন ছিল আমাদের তুলনায় একেবারে সাদামাটা।

বিশ্বের ইতিহাস বলতে আসলে মানুষের ইতিহাস বোঝানো হয়। ইসলাম ধর্মে স্পষ্ট করে বর্ননা করা আছে কিভাবে মানুষ সৃষ্টি হয়েছে এবং কিভাবে পৃথিবিতে এসে বসবাস করা শুরু করেছে। মানুষ আদিম কাল থেকে নানাবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হতো। আজ থেকে ৪০০০ মিলিয়ান বছর আগে পৃথিবীর জন্ম হয়।আর পৃথীবির দেহ গড়ে তুলতে সময় লাগে ২০০০ মিলিয়ান বছর। জন্মের বহু বছর পরে পৃথিবীতে বায়ুমন্ডল ও জলবায়ু সৃষ্টি হয়। সৃষ্টির পর থেকে পৃথিবীর জলবায়ু সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়েই চলেছে। কখোনো তীব্র শীত, কখনো তীব্র গরম, আবার কখনো দীর্ঘস্থায়ী তুষার যুগ; সাথে সাথে ভাঙ্গা – গড়ার পালা। প্রচুর পরিমানে অগ্নুৎপাত হওয়ার ফলে সৃষ্টি হয় পর্বতমালা। প্রথম যেদিন আকাশ থেকে প্রচন্ড বৃষ্টি ঝরে পড়লো সেদিন জন্ম হল সাগরের। সাগরে উদ্ভব হয় প্রাণের (সামুদ্রিক এককোষী অমেরুদন্ডী প্রাণী)। স্থলে কোনো প্রকার প্রাণী ছিল না; জলে জেলীমাছ, তারামাছ, স্পঞ্জ ও পোকা বাস করত। কালক্রমে সমুদ্রে মেরুদন্ডী প্রণীর (মাছের পূর্বপুরুষ) আবির্ভাব হয় এবং উদ্ভিদ – ভোজী অমেরুদন্ডী প্রাণী (মাইট, মাকড়সা, কেন্নো, কীটপতঙ্গ) সমুদ্র ত্যাগ করে স্থলে অভ্যস্ত হয়। স্থলভাগে জন্তু ও উদ্ভিদের সংখ্যা বাড়ে, সামুদ্রিক প্রাণীর আধিপত্য শেষ হয়। কীটপতঙ্গ সরীসৃপেরা উৎকর্ষতা লাভ করে। সরীসৃপদের মধ্যে থেকে উষ্ণ রক্ত বিশিষ্ট স্তন্যপায়ী প্রাণী প্রথম আবির্ভূত হয়। স্তন্যপায়ী প্রাণীরা বনে বাস করত। কালক্রমে আদিম বানর ও গিবনদের আবির্ভাব হয়। এই বানরগুলির মধ্যে কিছু কিছু বড় বানরের লেজ ছিল না।

কীট পতঙ্গ প্রকৃতির এক বড় সম্পদ। মানুষের জীবন ও সভ্যতা কীট পতঙ্গের অবদানের উপর বেশ নির্ভরশীল। পৃথিবীর প্রায় চার ভাগের তিন ভাগ জুরেই পানি। পানিতেই জীবনের প্রথম আবির্ভাব ঘটে। সূর্য সৃষ্টির সময়েই পৃথিবীর সৃষ্টি বলে ধারনা করা হয়। আজ থেকে প্রায় পাচঁশত কোটি বছর আগে পৃথিবীর জন্ম। চাঁদের মতো একটি বায়ুমন্ডল পৃথিবীকে আবৃত্ত করে রেখেছে। বায়ু মন্ডলে আছে প্রধানত নাইট্রেজেন ও অক্সিজেন। এছাড়া সামান্য কার্বন-ডাই-অক্সাইড, নিষ্ক্রিয় গ্যাস, জলীয় বাষ্প রয়েছে।

পৃথিবীর পরিবর্তন ঘটছে এবং ঘটবে। কোনো কোনো পরিবর্তন ধীরে ধীরে এসেছে, আবার কোনটি এসেছে অনেক দ্রুত। যতদিন পৃথিবী থাকবে, ততদিন এই পরিবর্তন চলতেই থাকবে। এ পৃথিবীতে আমরা যত মানুষ বসবাস করছি আমরা কেউই আমাদের নিজেদের স্রষ্টা নই। পৃথিবী, চন্দ্র, গ্রহ, উপগ্রহ এবং সূর্য সহ সমগ্র সৌরজগত, অন্যান্য তারকা, নক্ষত্রপুঞ্জ, রাশি চক্র এবং এই সমস্ত তারকারাজি মিলে যেসব কোটি কোটি গ্যালাক্সি (Galaxy) আছে, সেসব কিছু নিয়েই এই মহাবিশ্ব।

মহান সৃষ্টিকর্তা মানুষকে যা কিছু নিয়ামত হিসাবে দান করেছেন ওগুলোর মধ্যে জ্ঞানই প্রধানতম। মানুষ বিশ্ব বিধানের অন্তগত এক মহা জীবনের অংশ, মনুষ্যত্ব ও ভালবাসার তাই কোনো ক্ষয় নেই, মনুষ্যধর্ম ঠিক মতো বিকশিত হলে ধূলিময় পৃথিবীতেই স্বর্গরাজ্য আনা সম্ভব। সময়ের কখন শুরু আর কখন শেষ তা নিয়ে মানুষ ভাবছে বহুকাল থেকে। মহা বিশ্বের যখন শুরু তখন থেকেই সময়ের শুরু। কোন ঘটনা কত আগে, আর কোন ঘটনা কত পরে ঘটেছে তা নির্ধারন করার জণ্য আমরা সময়ে মোটামোটি ভাগ কের নিই- যার নাম হচ্ছে বছর, মাস, দিন, ঘন্টা, মিনিট ইত্যাদি। খ্রিষ্টের জন্মগ্রহণের বছর থেকে এই অব্দের গণনা শুরু হয়েছে।

এই ধারাবাহিক গুলোতে সুপ্রচীন কাল থেকে বতর্মান সময় পযর্ন্ত পৃথিবীর মানুষের অভিজ্ঞতা ও অর্জন সমুহের অনুসন্ধান করা হয়েছে। যেমন- বিজ্ঞান, রাজনৈতিক, ভুগোল, ধর্ম, সাহিত্য, শিক্ষা, জন্ম-মৃত্যু, স্থাপত্য, দর্শন, লোকর্চ্চা ও লোক প্রতিষ্ঠান, সংস্কারম দেশীয় ও ঔপনিবেশক প্রশাসন, সমাজ, দেশ, অর্থনীতি, আবিষ্কার ও আবিষ্কারক, ইতিহাস ও প্রযুক্তি বিষয়ক নানা বিষয় অর্ন্তভূক্ত করা হবে। এসব কিছু নিয়ে অসংখ্যক তথ্য আর তত্ত্ব এখানে থাকবে।

আশা করি এই ধারাবাহিকটি আপনাদের কাজে লাগবে। অনেক আনন্দ পাবেন। আর আপনাদের ভালো লাগলে আমার কষ্ট সার্থক হবে।

(লেখায় কোনো ভুল থাকলে অপমান অপদস্ত না করে সুন্দর করে বুঝিয়ে দিন। ভুল সংশোধন করে দেন।)

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:১৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অপদস্তের কি আছে! লিখে যান !!

২| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২২

বিষাদ সময় বলেছেন: ভাল লাগলো পোষ্টটি পড়ে। একটি বিষদ বিষয় নিয়ে সংক্ষিপ্ত পরিসরে সুন্দর আলোচনা। আশা করি প্রতিটি বিষয় নিয়ে আরো বেশি বিশ্লেষণ করবেন। তবে একটি বিষয় অনুরোধ করবো, সৃষ্টি রহস্য নিয়ে আলোচনা করতে হলে হয় বিজ্ঞান ভিত্তিক আলোচনা করবেন অথবা করবেন ধর্ম ভিত্তিক আলোচনা। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই এসব বিষয়ে বিজ্ঞান এবং ধর্মীয় অবস্থান দ্বান্দ্বিক। ধন্যবাদ।

২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

৩| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৭

বরিষ ধারা বলেছেন: স্টকে অনেক জ্ঞান জমে গেল। এগুলা কি কাজে লাগবে কে জানে?

২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: লাগবে---লাগবে।

৪| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৩৩

অতৃপ্তনয়ন বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। গল্পে ভালো লাগা রইল

৫| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অভিনন্দন রইল প্রথম পর্বে। অপেক্ষায় রইলাম দ্বিতীয় পালার

২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


"আজ থেকে ৪০০০ মিলিয়ান বছর আগে পৃথিবীর জন্ম হয়।আর পৃথীবির দেহ গড়ে তুলতে সময় লাগে ২০০০ মিলিয়ান বছর। "

"আজ থেকে প্রায় পাচঁশত কোটি বছর আগে পৃথিবীর জন্ম। "

- ২ বাক্যে পৃথিবীর জন্মে দুই রকম হয়ে গেছে: উপারে ৪ বিলিয়ন বছর, নীচে ৫ বিলিয়ন বছর।

২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: এই জন্যই আপনাকে ওস্তাদ ডাকি।

৭| ২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: পৃথিবীনামা তুলে ধরতে চেয়েছেন। এই পরিশ্রম কে সাধুবাদ জানাই। লাইক আপনার পাওনা।

৮| ২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: বিজ্ঞান সম্পর্কিত যে কোন কিছুই ভালো লাগে।

পরের পর্বগুলোর অপেক্ষায় রইলাম।

৯| ২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪০

বাংলার পাসওয়ার্ড বলেছেন: Nice post.....

১০| ২০ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭

নতুন বলেছেন: আমরা যারা এ যুগে জন্মেছি তারা খুবই ভাগ্যবান। ভাগ্যবান নানা কারনে। তার মধ্যে একটা বড় কারণ হলো এই যে, মানুষ এত হাজার হাজার বছর ধরে সভ্য হয়ে উঠেছে, এত কথা জেনেছ, এত রকম কলকব্জা আবিষ্কার করেছে তার সব আজ আমাদের হাতের কাছে এসে দাঁড়িয়েছে। আমাদের পূর্ব পুরুষরাতো এত সব কিছুর কথা মোটেই জানতো না। তাদের জীবন ছিল আমাদের তুলনায় একেবারে সাদামাটা।

যারা হাজার বছর আগে জন্মেছিলো তারাও কিন্তু একই ভাবনা ভাবতো... কারন তারাই তাদের সময়ে প্রযুক্তিতে সেরা ছিলো...তাদের পূবের মানুষেরা আরো পিছিয়ে ছিলো।

সামনে আরো নতুন পযুক্তি আসবে তখন আজ থেকে হাজার বছর পরের মানুষও আপনার মতন নিজেদের ভাগ্যবান মনে করবে।

২০ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর লজিক দিয়েছেন। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.