নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেষ মুহূর্ত

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২২



এখন বাজছে রাত বারোটা।
একটা ঘরে সাত জনকে বন্ধী করে রাখা হয়েছে। তারা সবাই দেশের বিশিষ্ট নাগরিক। তাদের হাত বাঁধা, চোখ কালো কাপড় দিয়ে ঢাকা। তাদের প্রত্যেককে কিছুক্ষনের মধ্যে হত্যা করা হবে। যে তাদের হত্যা করবে তার নাম ফরহাদ। ফরহাদের হাতে ওয়ালথার কোম্পানীর পিস্তল- PP K। পিস্তলে সাতটা বুলেট আছে। দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের গলা শুকিয়ে কাঠ। কিন্তু পিস্তল হাতে লোকটি হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে। তার মধ্যে কোনো অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে না। বরং একটা প্রশান্তির ভাব আছে।

ঘরে টিভি চলছে। সাউন্ড অফ করে রাখা হয়েছে। টিভিতে স্ক্রল দেখাচ্ছে- দেশের সাতজন বিশিষ্ট নাগরিককে গুম করা হয়েছে। তারা হলেন অমুক, অমুক আর অমুক। স্বরাষ্টমন্ত্রী বলছে, ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাদের উদ্দার করা হবে। ফরহাদ আজ খুব খুশি। তার দীর্ঘ দিনের পরিকল্পনা আজ বাস্তবে রুপ নিয়েছে। সে ঠিক করে রেখেছে- রাত এক টা থেকে হত্যা কান্ড শুরু করা হবে। সকাল সাতটার মধ্যে সব হত্যা কান্ড শেষ হবে। একজনকে হত্যা করার ঠিক এক ঘন্টা পর মানে রাত দুইটায় আরেকজনকে। তারপরের জনকে রাত তিনটায়। এভাবে সবার শেষ জনকে হিসেব অনুযায়ী সকাল সাতটায় হত্যা করা হবে। ছোটবেলা থেকেই অগোছালো কাজ ফরহাদের একেবারেই অপছন্দ। কাজ শেষ করে সে শহর থেকে অনেক দূরে চলে যাবে। দেশের পুলিশ র‍্যাব তার কিছুই করতে পারবে না। তারা শুধু পারে ঘুষ খেতে।

ফরহাদ প্রথম জনকে (সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী) মুখের বাঁধন খুলে দিয়ে জিজ্ঞেস করলো- খুব ভয় লাগছে শালা? তোর তো পিয়ন হওয়ার যোগ্যতা নেই, তুই মন্ত্রী হলি কিভাবে? অযোগ্য লোক বড় বড় পদে থাকার কারনে দেশের কোনো উন্নতি হয় না। তুই শুধু আমাকে একটা প্রশ্নের জবাব দে- গত সাত বছরে দেশের জন্য তুই কি কি কাজ করেছিস?
মন্ত্রীর গলা শুকিয়ে গেছে। সে কিছুতেই মনে করতে পারছে না, দেশের জন্য কি কি করেছে? শুধু তার মনে পড়ছে, নিজের জন্য সে অনেক কিছু করেছে। তার নিজের একটা টিভি চ্যানেল আছে, একটা দৈনিক পত্রিকা আছে। তিনটা গার্মেন্টস আছে। মালোশিয়া আর দুবাইতে ফ্ল্যাট আছে। ঢাকায় চারটা ছয় তলা বাড়ি আছে। কয়েক শ' বিঘা জমি আছে। আরও কি কি যেন আছে, সে কিছুতেই মনে করতে পারছে না।
ফরহাদ রেগে গিয়ে বলল, কিরে শালা চুপ করে আছিস কেন? বল? তুই সাত বছর ক্ষমতায় থেকে দেশের কি লাভ হলো? সামান্য হাসপাতাল থেকে দালাল দূর করতে পারলি না। এখনও দূরদূরান্ত থেকে রোগীরা এসে ফ্লোরে থাকে। সেদিন তুই বললি, দেশে কেউ না খেয়ে থাকে না। আরে শালা এখনও লক্ষ লক্ষ লোক না খেয়ে থাকে। তাদের ঘর বাড়ি নেই। তারা রাস্তায় ঘুমায়। সামান্য বুড়িগঙ্গার পানি সাত বছরে পরিস্কার করতে পারলি না। রাস্তায় মানুষ লম্বা জ্যামে ঘন্টার পর ঘন্টা বাসে ঝুলে থাকে আর তুমি সাইরেন বাজিয়ে রংসাইড দিয়ে পতাকাওয়ালা গাড়িতে যাস। ঠিক এই সময় ঘড়িতে ঢং করে ঘন্টা বাজলো। এক টা বেজে গেছে। মন্ত্রী বিড়বিড় করে বলল- বাবা আপনাকে এক শ' কোটি টাকা দিব আমাকে ছেড়ে দ্যান। ফরহার তার পিস্তল দিয়ে মন্ত্রীর মাথায় গুলি করলো।

ফরহাদ দ্বিতীয় জনের চোখ আর মুখের বাঁধন খুলে দিয়ে বলল- তুই নাকি মিডিয়া জগতের মস্ত বড় সেলিব্রেটি? সত্যি করে বলতো নাটক সিনেমায় সুযোগ করে দিবি বলে কত মেয়ের সর্বনাশ করেছিস? আবার সেই সব নোংরা ব্যাপার গুলো ভিডিও করে, ব্লাকমেইল করিস। টাকা দাবি করিস। সেলিব্রেটি কাঁদতে কাঁদতে বলল- আমারে মাফ কইরা দেন ভাইজান। মাফ কইরা দেন। বাকি জীবনে আর এইসব কাজ করুম না। শুধু নামাজ আর রোযা নিয়ে থাকুম। ঠিক এই সময় ঘড়িতে দুইটা বাজলো। ফরহাদ তার PP K পিস্তল থেকে দ্বিতীয় বুলেট টি ব্যবহার করলো।

ফরহাদ ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানির বোতল বের করে ডক ডক করে বোতলের সবটুকু পানি খেয়ে তৃতীয় জনের চোখের বাঁধন খুলে দিল। তার পরিচয় হলো, তিনি একজন রাজনীতিবিদের ছত্রছায়ায় থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। আগে তিনি তিনবেলা ভাত ঠিক মতো খেতে পারতেন না। এখন সে সকালে নাস্তা করে মালোশিয়া আর রাতে ডিনার করে মরিসাস। অসংখ্য সহজ সরল মানুষের জমি দখল করেছে। গ্রামের সহজ সরল মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে পাঠিয়েছে কারাগারে। তার ব্যাক্তিগত গাড়ির সংখ্যা সাত। এর মধ্যে সবচেয়ে কম দামী গাড়ির দাম এক কোটি টাকা। বিদেশে দুইটা ব্যাংকে তার প্রচুর টাকা আছে। দেশে একটা ব্যাংকে তার শেয়ার আছে। দেশের সব বড় বড় ব্যবসায়ীদের সাথে তার খুব সখ্যতা। বিশেষ করে মরিসন গ্রুপ, স্বপ্নধারা গ্রুপ, কাটিট গ্রুপ, অনা গ্রুপ ইত্যাদি।
ফরহাদ লোকটিকে কোনো কথার সুযোগ না দিয়ে গুলি করে মেরে ফেলল। ঘড়িতে সময় তখন তিনটা।



(লেখাটা বড় হয়ে যাচ্ছে। ব্লগে বড় লেখা কেউ পড়তে চায় না। তাই আজ এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল বাকি অংশ টুকু পোস্ট করা হবে।)

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৩১

ওমেরা বলেছেন: আলহামদুল্লিলাহ ! আপনাকে তবু ছেড়েছে ! ভাইয়া এবার সাবধানে থাকবেন ।

২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
লেখাটা বড় হয়ে যাচ্ছে। ব্লগে বড় লেখা কেউ পড়তে চায় না। তাই আজ এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল বাকি অংশ টুকু পোস্ট করা হবে।)

হা, হা, হা..... ভাই, যে পড়ার সে পড়বে আর যে পড়বে না সে মন্তব্যও করবেনা ।। আচ্ছা আগামীকাল বাকি অংশ প্রকাশ করনে ।

৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার আগের স্বকীয়তাটাও বেশ পপুলার

৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১৩

আমি চির-দুরন্ত বলেছেন: এরকম ফরহাদের দরকার খুব । মাঝে মাঝে ফরহাদ হতে ইচ্ছা হয় । তবে সেই পুরনো ব্যামো; পরিবার আর দুনিয়ার মায়া আটকে রাখে।

৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৪৪

তার ছিড়া আমি বলেছেন: সুবহানাল্লাহ।
"এমন ফরহাদ কবে হবে এই দেশে"

৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:২৪

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ধুর মিয়া, পড়তে তো ভাল ই লাগছিল শেষ আইসা বড় পোস্ট এর দোহায় দিয়ে শেষ করে দিলেন। আবার সেই অসমাপ্ত লেখা।

যাইহোক চিন্তা ভাবনা গুলো জটিল, দেশে এমন কিছু হওয়া দরকার।

আর সাতজন এর মধ্য নামধারী বুদ্ধিজীবী আর হুজুর কি আছে? এরা দেশ ও জাতির দুসমন।

৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫

বাকোশপোলের কালাম বলেছেন: আরো বড় হলে, আরো ভালো লাগতো। আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.