নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবীন্দ্রনাথ এবং আমি

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৪২


এক যুগ আগের ছবি।

১। ‘INCENDIES’ শব্দটি একটি ‘ফ্রেন্স’ শব্দ। যার অর্থ আগুন। মুভিটির শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আপনি একটি দো-টানা এর মধ্যে থাকবেন যে কি হচ্ছে ? আর শেষ হলে ত আপনি নির্বাক।
কানাডিয়ান মুভি। মুভিটি মূলত ফ্রেন্স ভাষার, আরবি ও ব্যবহার হয়েছে এতে। মুভিতে আপনি দেখতে পাবেন যে দুই ভাই-বোন কিভাবে তাদের মৃত মা এর জীবনের অজানা ভয়াল কাহিনী খুজে বের করে।
মধ্যপ্রাচ্যের বেনামী কোন দেশের গৃহযুদ্ধের উপর নির্মিত কাহিনী। তবে এখানে যুদ্ধের কিছুই ফোকাস করা হয়নি। ফোকাস করা হয়েছে এক মায়ের জীবনের চরম,নির্মম কিংবা অবিশ্বাস্য জীবন কাহিনী।
একটা জিনিস মাথায় রাখবেন আইএমডিবি রেটিং সব নয়।

২। আজ দুপুরবেলা ভাত খেয়ে হঠাৎ টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। গভীর ঘুম। ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে দেখলাম রবীন্দ্রনাথকে। স্বপ্নে রবীন্দ্রনাথ কবি নয়, তিনি একজন দাঁতের ডাক্তার। আমি তার চেম্বারে বসে আছি। তিনি আমার দাঁত ফেলবেন। রবীন্দ্রনাথ বললেন- ভয়ের কিছু নেই। তুমি বুঝতেও পারবে না দাঁতটি আমি কখন তুলে ফেলেছি। আমি বললাম, তবু আমার ভয় লাগছে ডাক্তার রবি। দাঁতের গোড়ায় ইনজেকশন - ওরে বাপরে! আমি মরে যাবো। রবীন্দ্রনাথ বললেন- এতই যখন ভয় পাচ্ছো, এক কাজ করো, খানিকটা ব্র্যান্ডি খেয়ে নাও। ব্র্যান্ডি খেলে দেখবে সাহসটা বেড়ে গেছে। আমি ডাক্তার রবীন্দ্রনাথের দেওয়া ব্র্যান্ডি খেলাম। রবীন্দ্রনাথ বললেন- এবার সাহসটা বেড়েছে তো? আমি বললাম, বেড়েছে মানে? দাঁতের গোড়ায় একবার হাত লাগিয়ে দেখুন না, এক ঘুষিতে আপনার সব ক'টি দাঁত আমি গুঁড়ো করে দিব।

৩। আমার এক সময় ধারনা ছিল রবীন্দ্রনাথ চা খেতেন না। বিশেষ করে রাস্তার পাশের কোনো দোকান থেকে। কখনও খেলে- শখ করে খেতেন। চার পাশের মানুষদের খেতে দেখে হয়তো একটু শখ করে খেলেন, জিনিসটা কেমন! ঢাকা শহরের সব রাস্তায় রাস্তায় অসংখ্য চায়ের দোকান আছে। একদিন দুপুরবেলা হঠাত আকাশ কালো করে ঝুম বৃষ্টি নামল। আমি ভিজতে ভিজতে রাস্তার পাশের এক দোকান থেকে এক কাপ চা খেলাম। খুব মুগ্ধ হলাম। আশ্চর্য ব্যাপার সাথে সাথে আমার রবীন্দ্রনাথের কথা মনে পড়ল। রবীন্দ্রনাথ কি কখনও বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে রাস্তার পাশের দোকান থেকে চা খেয়েছেন? খেলেও আমার মতো মুগ্ধ কী কখনও হয়েছেন !

আমাদের দেশে রবীন্দ্রনাথ সড়ক আছে, যশোর জেলায়। যশোরের মনিহার সিনেমা হল থেকে চৌরাস্তার মোড় পর্যন্ত রাস্তাটির নামকরণ করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ সড়ক। রবীন্দ্রনাথের নামে নামাঙ্কিত আরেকটা জায়গার নাম- ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরেবার। সেখানে একটা মুক্তমঞ্চও আছে, যেখানে প্রায়ই নানা অনুষ্ঠান হয়।রবীন্দ্র সরোবর ভারতেও একটা আছে। কলকাতার সবচেয়ে বড়ো হ্রদটারই নামকরণ করা হয়েছে কবিগুরুর নামে।কলকাতায় রবীন্দ্রনাথের নামে নামকরণ করা হয়েছে আরো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানের; হাওড়া- কলকাতা শহর দু’টির সংযোগ সেতুর নাম রবীন্দ্র সেতু। ওখানকার একটা বিখ্যাত সিনেমা হলের ভবনের নাম দেয়া হয়েছে রবীন্দ্রসদন, ওটা এখন ওখানকার তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের অফিস। পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কারেরও নামকরণ করা হয়েছে কবিগুরুর নামে- রবীন্দ্র পুরস্কার।

৪। শান্তিনিকেতনে কবি গুরু উঁচু পাতাটনে বসা। নিচে পায়ের কাছে বসা নজরুল। হঠাৎ নজরুলের কি খেয়াল হলো, সে রবীন্দ্রনাথের পা ধরে টেপা শুরু করলেন! এমন জোড়ে টিপলেন যে রবীন্দ্রনাথ ব্যথায়, "বাবাগো" বলে উঠলেন! নজরুল তো লজ্জ্বায় শেষ। প্রিয় কবির লজ্জ্বা কাটানোর জন্য নিজের পায়ে হাত বুলাতে বুলাতে, কবি গুরু মাথা ঝুকিয়ে নজরুলকে বললেন, - কটা গান লিখলে আজ? নাকি খালি চেঁচালে! নজরুল তখন তার দিকে তাকিয়ে বললেন, - মাঝে মাঝে মনে হয়, মোটা একটা লাঠি নিয়ে আপনার মাথায় বাড়ি দেই। বিশ্মিত রবীন্দ্রনাথ বললেন, - কেন, কেন!? - যাতে লোকে, আপনার নামের পাশে আমার নামটি নেয়। আপনার ছবির পাশে আমার ছবি ছাঁপা হয়। রবীন্দ্রনাথ নজরুলের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে "হো হো হো" করে হেসে উঠে বললেন, - ওরে কে আছিস, দেখে যা, এই পাগল তো সত্যি সত্যি আমার মাথায় বাড়ি দিয়ে বসবে!

৫। ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রচন্ড শীতে এক বালক রাস্তা দিয়ে একা একা হাঁটছে। সে জানে না তার বাবা কে, মা কে? ক্ষুধা পেলে একটা খাবার দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালে কেউ কেউ তাকে- ফেলে দেওয়া খাবার খেতে দেয়। বালকটি মানুষের নষ্ট করা খাবার এক আকাশ আনন্দ নিয়ে রাস্তার পাশে বসে খায়। খাওয়ার সময় বালকটিকে অনেক আনন্দিত দেখা যায়।
বালকটির কোনো নাম নেই। যে বালকের বাপ মায়ের ঠিক নাই- ঘটা করে কে আবার সেই বালকের নাম রাখে। তাই আমি লেখার খাতিরে বালকটিকে একটি নাম দিলাম, টারজান। টারজান নাম দেওয়ার পেছনে কারন হলো- সে খুব সহজেই যে কোনো গাছে লাফ দিয়ে উঠতে পারে। এক গাছ থেকে আরেক গাছে যেতে পারে। এই কাজটি করতে তার কোনো ভয় হয়না।
দেশ ভাগ হয়ে গেল, ইংরেজরা বিদায় নিলো- টারজান তার কিছুই জানল না, বুঝল না। টারজান এর সব চিন্তা- শুধু তিনবেলা খাবার সংগ্রহে। ইদানিং টারজানের সাথে একটা কালো রঙের কুকুর যুক্ত হয়েছে। ছোট বাচ্চা একটা কুকুর। টারজান বাচ্চা কুকুরটার নাম রেখেছে কাল্লু। কুকুরটা দেখতে কুচকুচে কালো রঙের, তাই নাম রাখা হয়েছে কাল্লু। কাল্লু সারাদিন টারজানের পায়ের কাছে ঘুর ঘুর করে। কাল্লুর উপর মায়া পড়ে গেছে টারজানের। টারজান সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে- কাল্লুকে সে পালবে। অনেক বড় করবে।

৬। অনেক দিন আগে বিটিভিতে একটি হাসির নাটক প্রচারিত হয়। নাটকের এক জায়গায় স্কুলটিচার ছাত্রদের জিজ্ঞেস করলেন, রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর তারিখ কে জানে?
এক ছাত্র বলল, স্যার, ২২শে শ্রাবণ।
শিক্ষক বললেন, গাধা, কানে ধরে দাঁড়া। রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু নেই


মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


তা'হলে ব্রান্ডিটুকু ফ্রি?

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:১৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: এই সব কি লেখেন ভাই ? সেবন করে লেখেন না তো ?

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

নিয়াজ সুমন বলেছেন: পড়তে পড়তে জানা গেল অজানা কিছু::::::

৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭

ফেল কড়ি মাখ তেল বলেছেন: ব্লগে আপনি দেখি ইদানিং তেলবাজি ও শুরু করেছেন। লেখায় মন দেন তেলবাজি নাহ করে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: তেলবাজি করছি??!!!
জানতাম না!!!
যাই হোক এখন থেকে সাবধান থাকব।

৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৩১

কূকরা বলেছেন:
চাঁদগাজী বলেছেন: তা'হলে ব্রান্ডিটুকু ফ্রি?
শ্রাবণধারা বলেছেন: এই সব কি লেখেন ভাই ? সেবন করে লেখেন না তো ?


হুম, পাঁদগাজী হালায় মনেলয় মাল খাইয়া যেখানে সেখানে পাঁদ মারে। এইলাইগ্যা হালার অধিকাংশ কমেন্ট (পড়েন অধিকাংশ পাঁদ) অপ্রাসংগিক, বিরক্তিকর এবং খাপছাড়া টাইপের হয়। :-&

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.