নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবা মা এবং সন্তান

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬




আপনার ছেলে-মেয়ে কোথায় যায়? কি করে? কার সাথে মিশে? ক্লাসের কথা বলে কি ক্লাসে যায় নাকি বন্ধুদের সাথে আড্ডায়? যখনই কোনো ছেলেমেয়ে খারাপ কিছু করে,তখন বাবা মা বলেন আমার ছেলে মেয়ে এমন করতেই পারে না। তাহলে খারাপ কাজ গুলো কাদের ছেলে মেয়ে করে? স্কুলের বাচ্চা বাচ্চা ছেলেদের যখন দেখি সিগারেট টানছে তখন আমার ইচ্ছা করে কষিয়ে এক থাপ্পড় দেই। স্কুল কলেজের ইউনিফর্ম পরা মেয়ে গুলোকে যখন দেখি ফাস্ট ফুডের দোকানে বখাটেদের সাথে আডডা দিচ্ছে তখন ইচ্ছা করে তাদের বাপ মা কে এনে দেখাই দেখেন কি করছে আপনার ছেলে মেয়ে গুলো।

ছেলে-মেয়ের এমন খবর অনেক মা-বাবাই রাখেন না, ভাবেন 'আমার ছেলে-মেয়ে কখনও খারাপ কিছু করবে না। নো নেভার। ছেলে বা মেয়েটা বড় হয়েছে, সে তার মত চলুক। ভালো মন্দ তো সে বুঝে। কিন্তু সে তার মত চলতে গিয়ে কখনো কখনো খারাপ মানুষের সাথে চলা শুরু করে, একসময় তাদের দলেই যোগ দেয়। ছেলে মেয়ে গুলো আসলে বাবা মার জন্যই খারাপ হয়। তারা যদি ছেলে মেয়েদের উপর কঠিন নজরদারি রাখে তাহলে তারা বিপথে যেতে পারবে না। বাবা মার উচিত প্রতিটা সময়ের খোজ খবর রাখা। যদি খোজ খবর না-ই রাখতে পারেন তাহলে কেন জন্ম দিলেন?

স্কুল-কলেজের সময় গুলোতে পার্কে, লেকে এবং বড় বড় শপিং মলের ফাস্টফুডের দোকান গুলোতে গেলেই দেখতে পাবেন- ছেলে-মেয়েরা কিভাবে বসে আছে। প্রশ্ন হচ্ছে এই ছেলে-মেয়ে গুলো কাদের? তাদের বাবা-মা কারা? সারারাত জেগে তারা ফোনে কথা বলে, ভিডিও চ্যাট করে। আর তাদের শেষ পরিণতি হলো- বন্ধুর ফ্ল্যাট বা কোনো হোটেলে। তারপর সম্পর্কের ছেদ। কারো কারো সাহস এত বেশি তারা তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি গুলো ভিডিও করে রাখে। শেষে এই ভিডিও তার জীবনের কালহয়ে দাঁড়ায়।

রাস্তার মোড়ে কিংবা চায়ের দোকানে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে একসময় কোনো কিছুকেই পরোয়া করে না তারা। রাস্তায় কোনো মেয়ে দেখলেই তাদের পথ আগলে বা পিছু নিয়ে বাজে মন্তব্য করে। মেয়েদের স্কুল বা কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। কোনো মেলা বা শপিং মলে গিয়ে সুযোগ পেলেই মেয়েদের গায়ে হাত দিচ্ছে। প্রেম ভালোবাসা নাম দিয়ে- বন্ধুর ফ্লাট অথবা কোনো নির্জন স্থানে গিয়ে... । দিনদিন এই নোংরা মানসিকতা বেড়ে আজ ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। সহজ সরল পবিত্র সম্পর্ক আজকাল আর দেখা যায় না।

ছেলে-মেয়ের এমন দৃশ্য অনেক মা বাবার চোখেই পড়ে না। তারা ভাবেন ছেলে/মেয়ে তো মন দিয়ে লেখা করছে , নিয়মিত ক্লাসে যায়, প্রাইভেট পড়তে যায়। সহজ সরল সত্য কথা হলো- বেশির ভাগ বাবা-মা'ই নিজের ছেলে-মেয়ের ভুল গুলো চোখে দেখেন না। কাজেই ছেলে মেয়ের দিকে খুব বেশি নজর দেন। পরে হায় হায় করে কোনো লাভ হবে না। আমাদের পাশের বাসায় এক মেয়েকে দেখলাম এক ছেলের সাথে রিকশায় করে যাচ্ছে। তাদের বসার ভঙ্গির মধ্যে কোনো শালীনতা পেলাম না। ছেলেটার আচরন অশালীন লাগলো। একদিন এই ছেলে মেয়েটাকে দেখি ছাদে ওই ছেলেটার কোলে বসে আছে। ঘটনাটা মেয়ের বাবা মাকে জানালাম। তারা আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করলো।

যেসকল মা বাবারা বলে থাকেন যে, আমার ছেলে এমন না, সে কেন মেয়েদের সাথে খারাপ ব্যবহার করবে? সেই সব বাবা-মাদের বলতে চাই, সে যদি আপনার ছেলে না হয় তাহলে কার ছেলে? আপনাদের মতই অন্য কোনো বাবা মায়ের সন্তান, কোনো বোনের আদরের ভাই। আমার এক বন্ধু প্রায়ই আক্ষেপ করে বলেন, এযুগে কোনো ভার্জিন ছেলে মেয়ে নাই। যারা নিজেকে ভার্জিন বলে দাবী করবে আগে তাদের ঠাটিয়ে দুই চড় মারবেন।

সব বাবা-মার একটাই চাওয়া তার ছেলে-মেয়ে যেন মানুষ হয়। প্রতিটা বাবা-মাকে বলতে চাই- যদি সত্যিই চান, আপনার ছেলে-মেয়ে মানুষ হোক- তাহলে তাদের প্রতিটা মুহূর্তের খবর রাখুন। বাবা-মার একটু সজাগ দৃষ্টি সমাজের অনেক অপরাধ কমিয়ে দিতে পারে। শুধু মানুষের চেহারা নিয়ে জন্ম নিলেই মানুষ হ‌ওয়া যায় না, মনে রাখবেন, অমানুষরাও দেখতে ঠিক মানুষের মতোই। পরিবার থেকে যদি সন্তানদের খবর রাখা না হয় তাহলে সন্তান তো খারাপ পথেই যাবে। মনে রাখবেন, আপনার ছেলে বা মেয়েও হতে পারে ভয়ংকর অপরাধীদের একজন।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন- প্রতিটি বাবা-মা যদি তাদের সন্তাদের খোঁজ খবর ঠিক মত রাখতেন তাহলে ইভটিজিং, প্রেমের নামে নোংরামী পরে গিয়ে ধর্ষন মামলা এগুলো অনেক অনেক কমে যেত।

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সত্য কথা হলো< এগুলো কোনো দিনই বন্ধ হবে না। বরং দিন দিন আরও বাড়বে।
এরকম এক যুগ আগে বা তারও আগে ছিল আজও থাকবে এবং আগামীতেও থাকবে।

২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫০

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: জনস্বার্থমূলক পোষ্ট।
আমার প্রীতি রইল।

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: তরুন বয়সে আপনি খুব সুন্দর ছিলেন। মাথার চুল গুলো ছিল ইলিশায় কাঞ্চনের মতো।

৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮

নাঈম মুছা বলেছেন: ধর্মীয় আলোচনাকে পাশ কাটিয়ে লিখেছেন। তবুও ভালো হয়েছে। বাবা ও মায়ের সচেতনতা অনেক জরুরি।

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মুছা ভাই।

৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

শামচুল হক বলেছেন: আমার এক বন্ধু প্রায়ই আক্ষেপ করে বলেন, এযুগে কোনো ভার্জিন ছেলে মেয়ে নাই। যারা নিজেকে ভার্জিন বলে দাবী করবে আগে তাদের ঠাটিয়ে দুই চড় মারবেন।

আপনার এই কথাটায় আপত্তি আছে, সংখ্যায় কম হলেও এখনও বাংলাদেশে অনেক ছেলেমেয়ে ভার্জিন আছে।

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সাথে আমি সহমত। আর এই কথাটা আমার না। আমার বন্ধুর।

৫| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৬

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সত্যি কথাই লিখেছেন ভাই।
ভাই ২টা ভালো ইংরেজি বইয়ের নাম বলেন (আমার বয়স ও কম দাম অনুযায়ী)

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: ১। 'আখেনাতেন' লেখক- নাগিব মাহ্‌ফুজ।
২। 'দ্য শাইনিং' লেখক- স্টিফেন কিং।

৬| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ২৫ বছর আগে আমিও রাস্তায় দাঁড়িয়ে একটা মেয়ের স্কুল যাওয়া দেখতাম। সেই মেয়েটি আমাকে ভাল বাসতো। কিন্তু পথচারিরা মনে করতো আমি মেয়েদের রাস্তায় ডিস্ট্রাব করি।

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক ২৫ বছর আগে আমিও একটি মেয়ের জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতাম। কিন্তু গোপনে। মেয়েটি জানতো না। আমি দূর থেকে তাকে দেখতাম।

৭| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হরমোনের প্রভাব!

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা---
না বাবা মার উদাসীনতা।

৮| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৩:২৭

কলাবাগান১ বলেছেন: যখন মেয়ে আপনাকে মুখে লিপস্টিক লাগিয়ে সাজিয়ে দেয় ইউ 'লুকস' বিউটিফুল

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.