নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে এক শ্রেণীর মানুষের হাতে অনেক টাকা এসেছে। তারা এত টাকা পেয়ে পাগল হয়ে গেছে। সেই টাকা দিয়ে ছাগলের মতো কাজ কারবার শুরু করেছে। গাড়ি কিনছে, ফ্ল্যাট কিনছে, বাইক কিনছে, সাত তালা বাড়ি করছে, ইউরোপ ভ্রমনে যাচ্ছে, নামে বেনামে জমি কিনছে। তাদের স্ত্রীরা পাগলের মতো বড় বড় শপিংমল থেকে কেনাকাটা করছে। গত দশ বছরে যত বাড়ি হয়েছে, গাড়ি কেনা হয়েছে, বাইক কেনা হয়েছে, এবং ব্যাংকে যে পরিমান টাকা নামে বেনামে জমা করা হয়েছে এবং যতলোক চিকিৎসার নাম দিয়ে বিনা কারনে বিদেশ ভ্রমন করেছে- এর আগের কোনো সরকারের আমলে এমনটা হয়নি। গত দশ বছরে ধনীলোকের স্ত্রীরা যে পরিমান টাকা পার্লারের পেছনে খরচ করেছে সেই টাকা দিয়ে তিন লক্ষ পরিবার সুন্দরভাবে তিনবেলা খেতে পারতো অন্তত পাঁচ সাত বছর।
গত দশ বছরে দেশে অসংখ্য বড় বড় শপিং মল হয়েছে, অসংখ্য নামী দামী রেস্টুরেন্ট হয়েছে। এসব রেস্টুরেন্টে গেলে মানুষের ভিড়ে পা দেওয়া যায় না। তিনজন মানুষ একবেলা খেয়ে যে পরিমান বিল দেয়, সেই টাকা দিয়ে আমার সংসার একমাস চলে যাবে হেসে খেলে। ইদানিং খুব লক্ষ্য করা যাইতেছে যে, এক শ্রেণির মানুষের হাতে এত টাকা হয়েছে, তারা উন্মাদের মতো টাকা খরচ করছে- দুই হাতে না পঞ্চাশ হাতে খরচ করছে। অফুরান টাকা। বেসুমার টাকা। দশ বছর আগে যে লোক বাজার থেকে ছোট মাছ কিনতো, এখন সেই ব্যাক্তি বাজার থেকে সবচেয়ে বড় মাছ কিনে। যে লোক চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে ছুটতো- এখন সে যায় বিদেশ। দশ বছর আগে যে পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া বাসায় থাকতো, এখন সে পয়ত্রিশ হাজার টাকা ভাড়া বাসায় থাকে। যে লোকের গ্রামে টিনের ঘর ছিল, এখন সে সেখানে তিনতালা ডুপ্লেক্স বাড়ি করেছে। দেশ আসলেই উন্নয়নের মহাসড়কে। ভালো ফুটপাত ভেঙ্গে আবার নতুন করে করা হচ্ছে। কাজেই দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।
আবার গত দশ বছরে এক শ্রেণীর মানুষের কোনো উন্নতি'ই হয়নি। যে রাস্তায় ঘুমাতো- আজও সে রাস্তায় ঘুমায়। যে রিকশা চালাতো আজও সে রিকশা চালায়। দশ বছর আগেও কিছু মানুষ চিকিৎসার অভাবে মারা যেত, আজও যায়। দশ বছর আগেও অসংখ্য গ্রামের রাস্তা কাচা ছিল, আজ কাচা। বাশের সাঁকো ছিল, আজও তাই। দশ বছর আগে অসংখ্য প্রাইমারী স্কুল ঘরের অবস্থা খারাপ ছিল, আজও তাই। দশ বছর আগেও গ্রামে গ্রামে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকতো না, আজও তাই। দশ বছর আগে চালের কেজি ছিল পঁচিশ টাকা, আজ ৬৫ টাকা। দশ বছর আগে পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য টাকা দিতে হতো দুই শ', আর এখন দিতে হয় এক হাজার টাকা। সরকারী এমন কোনো প্রতিষ্ঠান কি আছে যেখানে ঘুষ দিতে হয় না? আগে লেখা পড়ার মান ভালো ছিল। এখন লেখা পড়ার মান প্রচন্ড খারাপ। আমার নিজের চোখে দেখা- গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করা একটি ছেলে সঠিকভাবে তিন লাইন ইংরেজি লিখতে পারে না, বলতেও পারে না।
টিভি চ্যানেল এবং পত্রপত্রিকা দিয়ে ভরে গেছে দেশ। এক শ্রেণীর মানুষের কাছে এত টাকা হয়েছে, তারা কি করবে ভেবে পায় না। তখন তারা টিভি চ্যানেল দেয়, পত্রিকা বের করে। এবং নিজেদের পত্রিকায় নিজেদের গুনগান করে। বাংলাদেশে যত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলো কাদের? খোজ নিলে জানা যাবে বাংলাদেশের সমস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কোনো না কোনো মন্ত্রী, এমপি অথবা তাদের আত্মীয় স্বজনদের। আর কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পাওয়া যাবে, এগুলোর মালিক রাজনীতিবিদদের ছত্রছায়ায় থাকা মানুষজনের। বেশ কিছু ছাত্রলীগের পোলাপান আছে তারা এই বয়সেই লক্ষ কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। তাদের গাড়ি, বাড়ি, ফ্ল্যাট, জমি- কি নেই? তারা স্বপরিবারে বেড়াতে যায় থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর আর ইন্দোনেশিয়া। আর বিয়ে জন্মদিন বা ঈদের শপিং করতে যায় কোলকাতা। দশ বছর আগে আমার দেখা একলোক তার পরিবার নিয়ে সাত হাজার টাকা ভাড়া বাসায় থাকতো। এখন শুনছি সে গাজীপুর থেকে এমপি ইলেকশন করবে। সে দু কোটি টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছে। তার বউ বলে বেড়াচ্ছে, আর কিছুদিন পর আমি হবো এমপি'র বউ।
আমি সারাটি জীবন ঢাকা পার করে দিলাম- আমার তো কোনো পরিবর্তন হলো না। গাড়ি হলো না, বাড়ি হলো না, আধা কাঠা জমিও হলো না। বাজারে গেলে টাকার অভাবে মনের মতো বাজারও করতে পারি না। বিদেশ তো দূরের কথা, সিলেট বা বান্দারবানও যেতে পারি না। পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে সস্তার হাসপাতাল খুঁজি। কিছু কেনাকাটা করতে হলে, সস্তার মার্কেট খুঁজি। বাজারে গেলে বড় বড় মাছের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘনিশ্বাস চেপে ছোট মাছ, তেলাপিয়া অথবা পাংগাস মাছ নিয়ে বাসায় ফিরি। মূরগী খাই ফার্মের। গত দশ বছরে একটা দেশী মূরগী কিনতে পারি নাই। জামা কাপড় জুতো সব'ই কমদামী কিনি। জুতো নিয়ে কিছুদিন পরপর ছুটতে হয় মুচির কাছে। কেউ কোনো অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিলেই ভয় পাই। পঞ্চাশ টাকা বাচানোর জন্য এক ঘন্টা হাটি তবু রিকশায় উঠি না। অভাব অনটন আর এক আকাশ দ্রারিদ্রতা নিয়ে জীবন পার করে দিচ্ছি। আর অমানুষের বাচ্চারা চোখের সামনে বিলাসবহুল জীবন যাপন করছে।
গতকালের কথা। শুক্রবার ছিল। বিকেল থেকেই বৃষ্টি পড়ছিল। আমার অফিস ছুটি। সুরভি বলল, চলো আজ বাইরে ইফতারি করি। মাসের শেষ হাত খালি। তবু সুরভি'র মুখের দিকে তাকিয়ে রাজি হলাম। পকেটে এক হাজার টাকা নিয়ে বের হলাম। বেইলী রোডের ফখরুদ্দিনে গেলাম। তারা ইফতার মেন্যু দেখালো একজনের, দাম ৪৯৯ টাকা। আমি বললাম একটা দিন। একটাই আমরা দু'জন মিলে খাবো। তারা বললেন, আপনার দু'টা নিতে হবে। দাম পড়বে ৯৯৮ টাকা। ভ্যাট আলাদা। আমি বললাম, একটা দেন। একটাই আমরা দু'জন মিলে খাবো। তারা বললেন, না আমাদের নিয়ম হলো দু'জন দু'টা নিতে হবে। তাদের বুঝিয়ে বললাম, বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে, আর ইফতারীর সময়ও ঘনিয়ে এসেছে। তারা আমার কোনো কথাই শুনলো না। মাথাটা নিচু করে ফখরুদ্দিন থেকে বের হলাম। তখনও বৃষ্টি সমানতালে পড়েই যাচ্ছে। ওদের ইফতার মেন্যুতে আহামরি কিছু ছিল না। ১টা করে জিলাপী, খেজুর, পিয়াজু, আলুর চপ, বেগুনী, একটা রোস্ট আর হাফ প্লেট কাচ্চি।
শেষে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে গেলাম বুমারসে। সেখানে গিয়ে দেখি, ভয়াবহ ভিড়। মানুষজন ছাগলের মতো ইফতার কিনছে। যে খাবার বাইরে থেকে কিনলে আড়াই শ' টাকা লাগতো, সেই খাবার কিনছে সাতশ'/আটশ' টাকা দিয়ে। সাথে ভ্যাট তো আছেই। আচ্ছা, এই ভ্যাটের টাকা কি সরকার পায়? আমি সুরভিকে এক কোনায় কোনো রকমে বসিয়ে, খাবার সংগ্রহ করতে গেলাম। ওদের সেলফ সার্ভিস। আমি অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে আছি। মানুষজন পাগলের মতো কিনছে। কিনেই যাচ্ছে। তাদের কত টাকা! আমার মাথাই কাজ করছে না। পকেটে এক হাজার টাকা থেকে আছে নয় শ' পঞ্চাশ টাকা। পঞ্চাশ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়েছি। দেখতে দেখতে আযান শুরুর বিশ মিনিট আগেই সব ইফতার শেষ। একজন আমাকে বলল, আপনাকে মিলিয়ে টিলিয়ে কিছু দেই। আমি বললাম, দেন। লোকটা দুই প্লেটে দু'টা চিকেন ফ্রাই, দু'টা জিলাপী, দু'টুকরো নান রুটি, দুই টুকরো শশা দিল। আর দুই বোতল পানি। টাকা দিতে হলো সাত শ' নব্বই (ভ্যাট সহ)। এক গ্লাস জুস নিলাম এক শ' আশি টাকা দিয়ে। খাবারের মান খুব বাজে। আমাদের সাত শ' টাকার খাবার বেশির ভাগ'ই প্লেটেই পড়ে থাকলো। জুসটা আরও বেশি বাজে। নাম দিয়েছে ম্যাংগো। কিন্তু আমের বংশও নেই।
ইফতারী শেষে ভালো করে চারিদিকে তাকিয়ে দেখলাম, যে পরিমান খাবার নষ্ট হয়েছে- সেই খাবার দিয়ে অন্তত তিন শ' ক্ষুধার্ত মানূষ খেতে পারবে।
২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: না, মিথ্যা না।
২| ২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার কাচ্চি, খাচ্চি হয়ে গিয়েছে। কেউ যদি দশহাতে টাকা কামাতে চায় তাহলে বাংলাদেশে এখন রাজনীতির চেয়ে ভালো কোন ব্যবসা নাই। আপনি তো অনেকদিন থেকেই ভাবছেন ব্যবসা করবেন, নেমে পড়ুন। টাকা মনে হবে তেজপাতা।
২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯
নিশাচড় বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই। দুঃখ রাখার জায়গা নাই। কিছু করারও নাই।
২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:০০
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
৪| ২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:০২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এতো ভালো একটা বুদ্ধি দিলাম, আর এরকম শুকনা একটা ধন্যবাদ দিলেন? আপনি তো মানুষ বেশী সুবিধার না দেখছি!!
২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধনবাদ।
সেইরকম বুদ্ধি দিয়েছেন। আহা আপনার তুলনা হয় না। অসাধারন।
৫| ২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:০৪
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: তাহলে ভাই ছাদে মুরগী পুষেন!!
আমর কবুতর ছিল! আপনিও ট্রাই করতে পারেন!!
৪৯৯টাকা দিয়ে একজন ইফতারি না করে! ৫০০ টাকায় বাসার সবাই ইফতার করতে পারবে! বাসাতেই সব তৈরী করেন! আমাদেরকেও দাওয়াত দিয়েন!!
২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: হুম, আর বাইরে ইফতারী করবো না।
বাসায় সবাই মিলে ইফতার করবো।
৬| ২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:০৫
একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: ঠিক জানিনা তবে শুনেছি জার্মানি নাকি অন্য কোন দেশে একটি রেস্তোরাঁতে নিয়ম আছে যে অর্ডারকৃত খাবার নষ্ট করা যাবে না। হয় পুরো খেতে হবে নাহলে জরিমানা দিতে হয় বাসন মেজে নাহলে অর্থদণ্ড দিয়ে। এরকম একটা নিয়ম এখানেও চালু করা উচিৎ।
একজন ডাক্তারের মৃত্যু
সত্যিকারের প্রেমের না বলা গল্প ( true love )
একজন নারী যিনি সবজি বিক্রি করে একটি হাসপাতাল নির্মাণ করেছেন।
২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। এবং সুন্দর লেখার লিঙ্ক দেওয়ার জন্য।
৭| ২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:০৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ফকরুদ্দিন কি তা হলে সিঙ্গেল কাউকে ইফতারী করতে দেয় না।
যদি আমি একা যাই তা হলে তারা কি করবে?
বাটপারী আর কাকে বলে!
আপনি এক বছরে একটা দেশী মুরগী কিনতে পারেন নাই !! কথাট কি ঠিক হলো?
ব্রয়লারগুলোতে আমাদের দেশী !! আমাদের দেশেই জন্মে, আমাদের খাবার খেয়েই বড় হয়!
নাকি ব্রয়লার ও কিনতে পারেন নাই?
দেশী জাতের যেটা আপনি কিনতে পারেন নাই, এক বছরে তা আমিতো বিগত ৫ বছরেও কিনতে পারিনাই।
ব্রয়লার আর পাঙ্গাস আছে বলেই আমরা এখনো প্রোটিন পাই, এরা না থাকলে মাছ মুরগীর স্বাদ ভুলেই যেতাম!!
২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: একজন খেতে পারবে। দাম নিবে ৪৯৯ টাকা ভ্যাট ছাড়া।
কিন্তু ওই একজনের খাবার দুইজন খেতে পারবে না।
২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০০
রাজীব নুর বলেছেন: ব্রয়লার মূরগী বা ফার্ম আমি সব সময়'ই কিনি।
কিন্তু দেশী মূরগী কেনা ছেড়েই দিয়েছি।
৮| ২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:১৯
কাইকর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।মনের কথা
২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০১
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।
৯| ২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩০
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: উন্নয়নের মহাসড়কে, নৌকা চলে ঢাকার রাজপথে।
২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০২
রাজীব নুর বলেছেন: স্লোগান টা ভালো হয়েছে।
১০| ২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩২
মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: মনের কথা গুলোই লিখলেন। খুবই ভাল লাগল।
২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।
১১| ২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬
সনেট কবি বলেছেন: ভাল লাগল।
২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ চাচাজকী।
১২| ২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭
অচেনা হৃদি বলেছেন: ভাইয়া, ব্লগে আমি নতুন । এখনো ভালো মানের লেখা পোস্ট করতে পারিনি, আমার ব্লগে নিমন্ত্রণ রইল । আপনার কাছে পরামর্শ এবং গঠনমূলক সমালোচনা আশা করছি ।
২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই অবশ্যই।
এটা আমার দায়িত্ব।
১৩| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০১
মাকার মাহিতা বলেছেন: "আগে লেখা পড়ার মান ভালো ছিল। এখন লেখা পড়ার মান প্রচন্ড খারাপ। আমার নিজের চোখে দেখা- গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করা একটি ছেলে সঠিকভাবে তিন লাইন ইংরেজি লিখতে পারে না, বলতেও পারে না"
আপনার এ কথার সাথে আমি একমত! এখনকার গোল্ডেন জিপিএ কিচ্ছু জানে না, কিচ্ছু না। কি হবে এই জাতির ভবিষ্যৎ। আল্লা মালুম।
লেখাটা অনেক ভাল লাগল। শুভকামনা রইল...!
২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
১৪| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০১
গরল বলেছেন: একসময় আমার অবস্থাও আপনার মত ছিল, আমরা রিকশায় ঘুরতাম আর ১০০ টাকার ছোলা, মুড়ি, পিয়াজু, বেগুনী এসব কিনে ধানমন্ডি লেকের পাড়ে বসে খেয়ে নিতাম। তবে খুব আনন্দ নিয়েই খেতাম আর গল্প করতাম, যথেষ্ঠ উপভোগ করতাম সময়গুলো। এখন ফোর পয়েন্টস, ওয়েস্টিন বা আমারিতে যেয়েও অতটা আনন্দ পাই না কারণ মনের মধ্যে টাকার খচখচানিটা থেকেই যায় এবং সবচেয়ে বিরক্তিকর হল সেখানের মানুষগুলোর আচরণ দেখে। এখন মানুষ বোধ হয় নিজের আনন্দের জন্য খেতে যায় না, শো অফ বা ফেসবুকে সেলফি দেওয়ার জন্য এসব যায়গায় যায়। তাই রেষ্টুরেন্টগুলোও বুঝে গেছে যে বেশী দাম না রাখলে, কোয়ালিটি যাতা হোক না কেন মানুষ আসবে না। জাপানে বাংলাদেশী টাকার ১০০ টাকায় ম্যাকডোনাল্ডস এর বার্গার পাওয়া যায়, আর এখানে লোকাল বার্গারের দামও ২৫০ টাকা। জাপানের কেএফসি, ম্যাকডোনাল্ডস বা যে কোন রেটুরেন্টে পানি ফ্রী আইস সহ, আর এখানে বোতল কিনতে হয়। হকার্স মার্কেট থেকে যে প্যান্ট আমি ৫০০ টাকায় পাই তার চেয়েও অনেক নিম্ন মাণের টুইল ও ডেনিম প্যান্ট ব্রান্ডের দোকানগুলোতে ২০০০-৩০০০ টাকায় বিক্রি হয়।
আমি প্রায় প্রত্যেকদিন পালং শাক খাই এবং দাম মোটামুটি ১০-১৫ টাকা আঁটি হয় তারপরও বাজারে প্রচুর পাওয়া যায়, কখনও শেষ হয় না, বড়ংচ নষ্ট হয়। আর এখন ৩০ টাকা আঁটি তার পরও আমি বেশ কয়েকদিন কিনতে পারিনি শেষ হয়ে যাওয়ায়। যে দোকানদার প্রত্যেকদিন আমাকে পালং দেয় সে বলল, কি বলব ভাই দাম বাড়লে মানুষের চাহিদা বাড়ে। অর্থনীতির থিওরি কি উল্টে গেল না? এখন ২৫০ টাকার লিচু কেউ নেয় না, ৫০০ টাকার লিচু নিয়ে কাড়াকাড়ি, অথচ আমি খুব বেশি পার্থক্য পাই নি।
এত কিছু বললাম এটা বুঝাতে যে আপনি ভাববেন না যে এটা আপনার ব্যার্থতা বা অক্ষমতা বড়ংচ আপনি সঠিক পথে আছেন এবং দেশের মানুষ সবাই যদি সঠিক পথে চলত তাহলে আপনি এই আয়েই অনেক ভালভাবে জীবন চালাতে পারতেন। দেশের মানুষ কেন যেন একটা অসুস্থ প্রকৃতির হয়ে যাচ্ছে।
২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে মনটা ভরে গেল।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
১৫| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০২
শাহাদাত নিরব বলেছেন: আমি একজন প্রবাসী
মনের কথা টা আপনার কমেন্টে খুলে বলতে চাই।
মধ্যপ্রাচ্যের ছোট একটি দেশে কর্মরত
কর্মস্থলে তত ভালো পজিশন না তবে আলহামদুলিল্লাহ।
আজ থেকে ৯/১০ বছর আগে পরিবারের সদস্য এখনের চেয়ে বেশি আমার রোজগারও ছিলো কম কিন্তু কেমন যেনো মাসের শেষ বেতন পেলে দেশে পাঠিয়ে নিজের কাছে কিছু থাকতো একটা সস্তির জীবন যাপন করেছি কিন্তু আজ তার দ্বিগুণ বেতন পেয়েও ফ্যামিলিতে দেওয়ার পর সামান্য কিছু থাকে আগের মত সেই সস্তি টা খুঁজে পাই না।
বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মুল্যের দান সব চেয়ে যেটা লক্ষণীয় সেটা হলো ডাক্তার এবং ঔষুধ বাবত খরচ হচ্ছে ।
আমরা মধ্যভিত্তের লোক কারো কাছে হাত বাড়াতে পারি না আবার কাউকে তেমন ভাবে সাহায্যও করতে পারি না (যদিও সাহায্য করার জন্য মন টা ব্যাকুল হয়ে আছে) বছরের পর বছর প্রবাসে পরিবার পরিজন থেকে দূরে থেকে দুই বেলা খাওয়া তাদের ভরণ পোষণ এবং পড়ালেখা করাতে অনেক কষ্ট হয়ে যায়। আমার মনেহয় আগামী ৫ বছর পর তাও করতে পারবো না। তেলাপিয়া আর পাঙ্গাস মাছ দিয়ে আমিষের ঘাটতি মিটাই।কোরবানের ঈদ ছাড়া গরুর গোস্ত ভাগ্যে যোটে না। অবশ্য মাঝে মধ্যে ২/১ টা দেশি মুরগি খাওয়ার ভাগ্য ঝোটে কেননা নিজেরাই ঘরে তত্ত্বাবধান করি এই সুবাদে পাই কিনে খাওয়ার স্বপ্নও দেখি না।
এভাবেই চলে আমাদের বাস্তব জীবন।
২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১০
রাজীব নুর বলেছেন: সময় খারাপ গেলে,
ঈশ্বরও অন্যদিকে ফিরে থাকে!
১৬| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২১
মিজান.ঢাকা বলেছেন: পড়ে খুব ভালো লাগলো।
@ [মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল @"গত দশ বছরে একটা দেশী মূরগী কিনতে পারি নাই।" --- এটা কি ডাহা মিথ্যা বললেন???"]
মণ্ডল সাহেবের বোধ হয় দেশী মুরগী, ব্রয়লার ও কক্ মুরগীর ডিফারেন্স জানা নাই। শুধু আপনি একা নন্; বর্তমানে ঢাকা শহরে এমন মানুষের সংখ্যা অনেক বেশীই হবে যারা গত দশ বছরে একটাও দেশী মুরগী কিনে নাই, ব্রয়লার আর কক্ কিনেই সাধ মিটিয়েছে।
২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১২
রাজীব নুর বলেছেন: মন্ডল ভাই ব্যাপারটা বুঝেন নি। আসলে আমিই বুঝাতে পারিনি।
১৭| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: রাজীব ভাই, চমৎকার একটি পোস্ট।
গত কাল ও আজ অনেক দিন পর বিটিভি দেখলাম। কলকাতায় বাংলাদেশ ভবন উদ্ভোধনে প্রধামন্ত্রীর সফর এবং আজকের নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে উনার ডিগ্রী নেওয়ার বিটিভির লইভ কভারেজ দেখলাম। একটি বিষয় লক্ষ করলাম দেশের বেশ কিছু চিহ্নিত দালাল, মিডিয়া মোড়ল, চাটুকার ও দুর্নীতিবাজ সুশিল' ক্যাটাগরিতে উনার সফরসঙ্গী হয়েছেন। অনেক চেষ্টায়ও সত্যিকারের কোন সুশীলকে চোখে পড়লো না।
এরাই এখন, টিনের ঘরকে ডুপ্লেক্স বানিয়েছে। পাঁচ হাজার টাকার বাসা ভাড়ার বদলে পাঁচটি ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছে। সবই তৈলের জাদুকরি ছোয়ায়।
২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমি বা আমরা তো কোনো রকমে দু টো ডাল ভাত খেয়ে পড়ে কাটিয়ে দিলাম। কিন্তু ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কি হবে?
১৮| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার শেষের কথাগুলি অন্তত ১৫ কোটি লোকের মনের কথা।
২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিটা কথাই বুকের ভেতর থেকে উঠে এসেছে।
১৯| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
শুনেছি, ঢাকায় নাকি KFC আর MacDonalds এর বেশ কটি দোকান হয়েছে। আমাকে এক জন বললো, সেখানে খাবারের দাম মালয়েশিয়ার দ্বিগুণ। তারপরও জায়গা পাওয়া যায় না। মানুষের পকেটে টাকা যেন উপচে পড়ছে। টাকার গরমে কেউ কেউ অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে।
২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: এত টাকা এরা কোথা থেকে পেলো??
২০| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি যেই টাকা দিয়ে বাজে খাবার কিনলেন সেই টাকা দিয়ে মালয়েশিয়ার যে কোন শহরে দুজনে পেটভরে যে কোন খাবার KFC/MCdonald খেতে পারবেন।
২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশটা কবে মালোশিয়ার মতো হবে??
২১| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: মানুষ এখন বাসায় খায় কম, রেস্তোরায় খায় বেশী। ফেসবুক এর যুগ বলে কথা, বাইরে খেয়ে ফেসবুক এ পোস্ট দিতে হবে যে
২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২২
রাজীব নুর বলেছেন: ফেসবুকে পোষ্ট দিলে কি হবে?
লাভটা কি??
২২| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩
সাইন বোর্ড বলেছেন: এবার বুঝুন দেশ কতদূর এগিয়ে গেছে ।
২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: খুব বুঝতে পারছি ভাই। খুব।
২৩| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @লেখক বলেছেন "ফেসবুকে পোষ্ট দিলে কি হবে?
লাভটা কি??" সত্যিকার অর্থে কোনই লাভ নেই ভাইয়া। শুধু লোক দেখানো।
২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: লোক দেখানো ব্যাপারটা আমি চরম অপছন্দ করি।
২৪| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯
অদৃশ্য বালক বলেছেন: রাজিব ভাই মনের দুঃখ কষ্টগুলো উগরে দিয়ে বস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। টাকা আসলেই মানুষকে পাগল করে দিয়েছে, কেউ পাগল পেয়ে, কেউ বা না পেয়ে।
২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
২৫| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেখ হাসিনা কানে কম শোনে, চোখেও কম দেখে
২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: না সবই ঠিক আছে।
মনে হয় ইচ্ছা করেই চোখে কম দেখে, কানে কম শুনে।
২৬| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১১
আখেনাটেন বলেছেন: নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষদের জীবনে শনির দশা।
২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: কিন্তু এমন হওয়ার কথা ছিল না।
২৭| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: এ দু'পরিবার তাদের চামচাদের নিয়েই দেশের সকল সম্পদ লুঠ করে আসছে। যে পথ দেখিয়েছিলেন আমাদের বঙ্গবন্ধু।
২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: আহ এখানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আসার কোনো দরকার নাই।
২৮| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
সাধারণ মানুষের সব সুযোগগুলো দলের লোকেরা দখল করে ফেলেছে, মানুষ এখন শ্রমিক মৌমাছি
২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: এর থেকে বের হয়ে আসতে হবে। পথ তো আছে।
আপনি কি সমরেশ মজুমদারের 'গর্ভধারিনি' বইটি পড়েছেন?
২৯| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: ৫০০ টাকার ইফতারির প্যকেটের আইটেমগুলোর নাম দেখে টাসকি খাইলাম!!!তারপরেও মানুষ কিনছে। এক কাজ করেন একটা রেস্টুরেন্ট খুলেন।
২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমি ভাই মানূষ ঠকাতে পারবো না।
৩০| ২৬ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: @ মিজান.ঢাকা বলেছেন: পড়ে খুব ভালো লাগলো।
@ [মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল @"গত দশ বছরে একটা দেশী মূরগী কিনতে পারি নাই।" --- এটা কি ডাহা মিথ্যা বললেন???"]
মণ্ডল সাহেবের বোধ হয় দেশী মুরগী, ব্রয়লার ও কক্ মুরগীর ডিফারেন্স জানা নাই।
ভাই আপনারও দেশী ও বিদেশের ফারাক বুঝতে সমস্যা হচেছ!!
মন্ডল ভাই যথার্থ প্রশ্ন করেছেন এবং সহি প্রশ্ন!
আমার প্রশ্ন ব্রয়লার কি বিদেশী মুরগী?
কক ও কি বিদেশী?
উভয়ই দেশী তবে জাত ভিন্ন!
মন্ডল সাহেব বুঝেই প্রশ্নটা করেছেন রাজীব ভাইকে,
এখন ঢেড়শ, শশা ইত্যাদি ইত্যাদি যেমন বিদেশী জাতের
দেশী জাত নয়, তেমনি দেশী জাতের মুরগী হয়তো রাজীব ভাই কেনেন নাই এক বছরে তাই বুঝাতে চেয়েছেন।
২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ নূর সাহেব।
সবই বুঝি কিন্তু একটু দেরীতে।
৩১| ২৬ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২
সাাজ্জাাদ বলেছেন: আমি প্রবাসে থাকি। যখন দেশে যায় কোনোভাবেই টাকা-পয়সার তাল মিলাতে পারিনা। চিন্তা ভাবনায় সব কিছুই আমার সেই ফেলে আসা বাংলাদেশ মনে হয়। কিন্তু দ্রব্য মূল্যের দাম শুনলে আকাশ থেকে পড়তে হয়। আমরা এখানে থেকে চিন্তা করি কিভাবে মানুষ নিয়মিত রেস্টুরেন্টে খেতে যাচ্ছে, ঘুরতে যাচ্ছে কিছু বুজে উঠতে পারি না।
২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:২১
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশ ধনী রাষ্ট্র। সবার হাতে প্রচুর টাকা।
৩২| ২৬ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: শেষের প্যারাগুলো যেন আমার নিজেরই কথা। এক শ্রেণীর মানুষের কাছে টাকা যেন কাগজ মাত্র। নতুন কালচার শুরু হয়েছে সেহেরীও হোটেলে করা! ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে বাস যখন চৌদ্দগ্রামে থামে রেস্টুরেন্টে বসার জায়গা পাওয়া যায়না। অতিরিক্ত উচ্চমূল্য তারপরও সবাই খেয়েই চলেছে। মনে হয় জীবনে এরকম খাওয়া খায়নি বা ঘর থেকে কিছু খেয়ে বের হয়নি। আড়ং, ইয়েলো-তে হাঁটা যায় না মানুষের ভীড়ে...
২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:২২
রাজীব নুর বলেছেন: মানে এক শ্রেণির মানুষের কাছে টাকা আর টাকা। আরেক শ্রেনীর কাছে টাকা নেই।
৩৩| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৫৭
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ভাই খিলগাতে এই সব রেস্টুরেন্ট ওয়ালারা সব ডাকাত। আমার লেখা বেশ ভালো লাগলো।
ভাই, চলেন "নিখিল সামু আর্জেন্টিনা সমিতি " বানাই
২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: তাতে লাভ কি?
৩৪| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:২৫
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সব আর্জেন্টাইন ব্লগাররা এক ছায়াতলে আসবে
২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: গুড।
তবে তাই হোক।
৩৫| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:২৮
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: Beasts of no nation দেখেছেন?
অফটপিক: আচ্ছা ভাই, কাইকর যে চাঁদগাজী, নিজাম ভাইকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বানিয়েছেন আপনি কি সেটা দেখে মন্তব্য করেছিলেন?
২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: না দেখিনি। আর দেখলেও মনে নেই। ছবির নাম মনে থাকে না।
কাইকর পুলাপান। চাঁদগাজীর অবস্থানে সে ইহজীবনে আসতে পারবে না।
৩৬| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৬
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: চমৎকার লেখা। ধন্যবাদ।
রোজার দিনে বাইরে দোকানে গিয়ে যারা ইফতার করে তারা নিতান্তই হতভাগা। আমরাও বাইরে ইফতার করি তবে সেটা মসজিদে। আশা করি একসময় বাংলাদেশেও এই মসজিদ ভিত্তিক ইফতার কালচার শুরু হবে।
২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে মসজিদে ইফতারী করে ভিক্ষুকেরা।
৩৭| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৪
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: উদ্দ্যোগটা আপনি নেন, আপনি সিনিয়ার। লোকে আপনাকে পছন্দ করে। ব্লগে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল শিবির আলাদা করা দরকার।
একটা ছবি দেই।
হয়তো দেখেছেন। বাসায় সবাই ভালো আছে আশা করি।
২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: আহা---
ছবিটা দেখে মনটা ভরে গেল।
বাসার সবাই ভালো আছে।
৩৮| ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৩৭
পিকো মাইন্ড বলেছেন: এই সমস্যার সমাধান বলবেন না?
২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: সমাধান নাই।
কারন আমাদের একজন মাহাথির নাই।
৩৯| ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৪২
রসায়ন বলেছেন: আমারও কোন উন্নতি হলো না
২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর।
৪০| ২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:০১
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: দেশে এখন বড় ব্যবসা একটাই সেটা রাজনীতি এবং রাতারাতি পুঁজিপতি বনে যাবার ব্যবসা একটাই সেটা রাজনীতি। যাহা বর্তমানে রমরমা!!
২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: রাজনীতি বুঝি না।
৪১| ২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪
বিষাদ সময় বলেছেন: আপনি একজন সচেতন মানুষ, তারপরও আপনার আক্ষেপ দেখে খারাপ লাগে। ফখরুদ্দিনের ইফতার কিনতে না পেরে আপনি আফসোস করছেন, যারা ফখরুদ্দিনে ইফতার কিনছে তারা আফসোস করছে Radisson এর ইফতার না কিনতে পেরে। আপনি ৭৯০ টাকার ইফতারি কিনে আক্ষেপ করছেন অথচ এদেশের মনে হয় বেশিরভাগ মানুষ সারা মাসে ৭৯০ টাকা ইফতারির পিছনে ব্যায় করতে পারেনা। আপনার লেখা পড়ে জেনেছি আপনার ঢাকা শহরে একটি মাথা গোঁজার জায়গা আছে, পরিবারিক এবং অফিসের গাড়ি আছে, যাকে ভালবেসেছেন তাকে বিয়ে করেছেন, মাস গেলে প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকা বেতন পান। বাংলাদেশের শতকরা ৮০ জন ব্যাক্তির অবস্থা আপনার চেয়ে অনেক অনেক খারাপ।
আপনি মন্ত্রী, এমপি বা সরকারি দলের লোকেদের দুর্নীতির কথা বলছেন, কথা সত্যি। শুধু সরকারী দল আর দুর্নীতি না বেশির ভাগ সাধারণ মানুষেরও ক্রয় ক্ষমতা অনেক বেড়েেছে। আগে রিকসা ওয়ালাদেরকে দেখতাম জরাজীর্ণ কাপড় পরতে এখন আর দেখিনা। আমি সাহস করে পহেলা বৈশাখে ইলিশ কিনি না, কিন্তু অনেক গার্মেন্টস কর্মিকে দেখি ইলিশ মাছ কিনতে।
আমার পরিচিত এক ব্যাক্তি ছিলেন নাবিস্কোর শ্রমিক। তিনি অনেক কষ্ট করে নাখালপাড়ায় বেশ কিছু জমি কিনেছিলেন। দুই বউ নিয়ে বস্তির মত ঘর করে থাকতেন। এখন তার ছেলেরা সেই জমি ডেভেলেপার কে দিয়ে গাড়ি, টিভি ফ্রিজ কিনে বিলাস বহল জীবন যাপন করছে।
আপনি বলছেন ফুটপাতে মানুষ ঘুমাানোর কথা। আমাদের চেয়ে অনেক ধনি রাষ্ট্রের নাগরিকও ফুটপাতে ঘুমায়। তথাকথিত সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোতেও ধন বৈষম্য বাপক। আর আমাদের মতো একটি জনবহুল দেশেতো সম্পদের সুষম বন্টন হওয়াটা প্রায় অসম্ভব। তারপরও হলে ভালো হতো সে কথা সত্যি।
অনেক কথা বলে ফেললাম আশা করি কিছু মনে করবেন না। ভাল থাকুন শরির ও মনে সেই কামনা।
২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:২১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি বিশাল মন্তব্য করেছেন।
আমি আগে আমার দেশের কথা ভাববো। তারপর অন্য দেশের কথা ভাববো। আমার দেশের সব সমস্যা মিটে গেলে তারপর আমি অন্য দেশের দিকে তাকাবো।
বাড়ি তো আমার না। বাপ মার বাড়ি। আমাকে একটা ফ্ল্যাটে থাকতে দিয়েছে। ৭৯০ টাকার ইফতার তো আমি রোজ রোজ খাই না। শখ করে একদিন খেতে গিয়েছি।
গাড়ি কোনো সমস্যা না। আমার বাপ করে গাড়ির ব্যবসা। গত বছর বড় একটা গাড়ি কিনেছে।
আপনি ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
৪২| ২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৮
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: ভাই, ঢাকা শহরের রেস্টুরেন্ট গুলোতে কিছু খাবেন না প্লিজ। খুবি ভয়াবহ অবস্হা। সব বিষাক্ত।
২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:২২
রাজীব নুর বলেছেন: আমি খেতে চাইও না। বউ এর জন্য মাঝে মাঝে যেতে হয়।
৪৩| ২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অর্থই অনর্থের মূল সেই ভাবসম্প্রসারণ মনে পড়ে গেল।
২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: অর্থ অনেক বড় ব্যাপার ভাই।
৪৪| ২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫
বিজন রয় বলেছেন: টাকায় টাকা আনে।
২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: টাকা নাই। টাকা আসবে কি করে?
৪৫| ২৭ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪
মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: আপনার লেখা আমি প্রায়ই পড়ি কিন্তু মন্তব্য করতে কেন যেন ভয় পাই। তবে কথা গুলো আমার হৃদয়কে নাড়া দিয়ে কাপন লাগিয়ে দিয়েছেন। যা সত্য তাই লিখেছেন। বর্তমানে বাজারে গেলে ভয় লাগে, কোন জিনিসের দাম জানতে ভয় পাই। আর কত দিন বাজবো ভাবছি।
২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আসবেন। মন্তব্য করবেন। আমার ভুল গুলো ধরিয়ে দিবেন। নিজেকে শুধরে নিবো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: নুর ভাই?? আজকের লেখাটা খুব পছন্দ হয়েছে!!
এটা আমাদের মনের কথা!!!
দেশে ধনীরা কোটিপতি হচ্ছে! গরীবরা ফকির হচ্ছে, এই হল অবস্থা।।
@"গত দশ বছরে একটা দেশী মূরগী কিনতে পারি নাই।"
--- এটা কি ডাহা মিথ্যা বললেন???