নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অফিসের গল্প

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৬



শুধু মাত্র ঢাকা শহরে কমপক্ষে ৩০ লাখ বেকার আছে।
এই ত্রিশ লাখের মধ্যে আমি একজন। আমাদের দেশে ১১ কোটির বেশি লোক কর্মক্ষম আছে। দুঃখের বিষয় দেশে কমপক্ষে চার কোটির বেশি বেকার আছে। এদিকে সমস্ত দেশে সরকারী চাকরীজীবির সংখ্যা ১৫ লাখ হবে। এই সরকারী চাকরিজীবিরাই সম্ভবত বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছে। দেশে বেসরকারী চাকরিজীবির সংখ্যা কত(?) আমি জানি না। যাই হোক, আমার আজকের লেখার বিষয় গল্প। অফিসের গল্প। প্রতিটা অফিসে প্রতিদিন অসংখ্য মজার মজার ঘটনা ঘটে। ঢাকা শহরে অসংখ্য অফিস আছে। এই অসংখ্য অফিসে অসংখ্য লোক চাকরী করে। অফিসের মজার মজার ঘটনা গুলোই আমি বলব আজ। ঘটনা চক্রে আমি ঢাকা শহরের অর্ধেকের বেশি অফিস মনে হয় ভিজিট করে ফেলেছি। নানান ধরনের অফিসে নিজের চোখে যা-যা দেখেছি তাই আজ বলল। কথায় বলে, অফিস হলো সেকেন্ড হোম। সরকারী অফিস গুলো নোংরা হয়। লোক গুলোর ব্যবহারও ভালো হয় না। আমার ধারনা শিক্ষা, ভূমি, সিটি করপোরেশ আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সবচেয়ে বেশি দূর্নীতি হয়।

এক হিসেবে অফিস হলো মাছের বাজারের মতো।
একটা অফিসে অনেক রকম লোক কাজ করে। অনেক রকম তাদের মন মানসিকতা। প্রতিটা অফিসে বারো রকমের মানুষ, বারো রকমের জায়গা থেকে আসে। একদল লোক আছে, অফিসে এসেই সবার আগে চা বা কফি চায়। চা খেতে খেতে খবরের কাগজ পড়ে অথবা কম্পিউটার অন করে ফেসবুক চালায়, কেউ কেউ অনলাইন নিউজ পোর্টাল গুলো দেখে নেয়। কেউ কেউ সহকর্মীর সাথে চলমান কোনো ইস্যু নিয়ে বক বক শুরু করে দেয়, প্রায় অফিস ছুটির আগ পর্যন্তই এই বক বক চলতে থাকে কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে। একটা অফিসে সবচেয়ে বেশি ছোটাছুটি করে অফিসের পিয়ন গুলো। এই চা দে, ফটোকপি করে নিয়ে, বড় স্যার বের হবে- ড্রাইভারকে গাড়ি বের করতে বলো, ফাইল টা দাও, অমুককে ফোন দাও, আমার ডেস্ক পরিস্কার করা হয়নি কেন? কাজ না করে মোবাইল টিপাটিপি কেন? তোমাকে পানি দিতে বললাম না! চিঠিটা কুরিয়ার করে আসো, কুইক। একটা পরামর্শ দেই- দুষ্ট সহকর্মীদের সব সময় এড়িয়ে চলাই ভালো। প্রতিটা অফিসে কিছু অলিখিত নিয়ম থাকে- সেগুলো সঠিকভাবে মেনে চললে অনেক সমস্যা তৈরি হওয়া থেকে বেঁচে যাওয়া যায়।

মেয়েরা অফিসে কি করে?
অফিসে অবিবাহিত মেয়েরা পাশের সহকর্মীর কাছ থেকে মুখটা একটু আড়াল করে ঠোঁটে লিপস্টিক দেয়, সারাদিনে অন্তত চার পাঁচ বার।। একটু পর-পর আয়নায় মুখ দেখে। ওড়না ঠিক করে। কাজ বাদ দিয়ে মোবাইলে কার সাথে যেন ফিসফিস করে কথা বলে। কখনও কখনও ব্যলকনি বা ওয়াশরুমে গিয়ে মোবাইলে কথা বলে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে চ্যাট করতে মেয়েরা ভীষন ওস্তাদ। মেয়েরা অফিসের চা খেতে পছন্দ করে না। তাই পছন্দের সহকর্মীকে নিয়ে রাস্তার পাশে চা খেতে যায়। অফিসে এক মেয়ে আরেক মেয়ে সহকর্মীর সাথে শাড়ি, গহনা, মেকাপ আর নিজেদের প্রেমিক নিয়ে গল্প করতে খুব পছন্দ করে। মেয়েরা অল্পতেই বড় স্যারদের পটিয়ে ফেলতে পারে। তারা কারনে অকারনে ছুটি নেয়। ছুটি পেয়েও যায়। অফিসে দেরী করে আসলেও তাদের কোনো সমস্যা হয় না। সেলফি তুলে ফেসবুকে দেয়। আর এমন ভাব দেখায় সারাদিনে অফিসে এরা প্রচন্ড কাজ করে। অনেক অফিসে মামা চাচার জোরে অতি নির্বোধ সব লোকজন বড় বড় পদে বসে থাকে।

অফিসে এক শ্রেনীর তেজবাজ আছে।
তারা কোনো কাম কাজ না করেও বেতনের টাকা বাড়িয়ে নেয়। অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও ভোগ করে। অফিসে প্রচন্ড ফাঁকি দেয় অথচ বড় স্যারদের কাছে ভালো থাকে। কোনো কাম কাজ না করেও এমন ভাব দেখায় কাজ করে সব উলটে ফেলেছে। এই শ্রেনী আবার খুব দ্রুত প্রমেশনও পেয়ে যায়। এরা দারুন চাটুকার হয়। আরেক শ্রেনী আছে সারাদিন শুধু খেটে মরে, আবার স্যারদের চোখে ভালো হতে পারে না। এদের প্রমেশন হয় না, বেতনও বাড়ে না। প্রতিটা অফিসে দুই চারজন দুষ্টলোক থাকবেই। এই দুষ্টলোক শুধু পুরুষ নয় নারীও আছে। প্রতিটা অফিসে দুই চারজন বিষাক্ত নারী-পুরুষ আছে। এরা বড় ভয়াবহ। অফিসের সবচেয়ে খারাপ শ্রেনী হলো- এই বিষাক্ত নারী-পুরুষের দল। এরা একজনের কথা আরেকজনকে সত্য মিথ্যা বলে পুরা ব্যাড়াছ্যাড়া লাগিয়ে দেয়। প্রতিটা মুহুর্ত এরা সুযোগ খুঁজে কিভাবে আপনাকে স্যারদের চোখে খারাপ বানাবে। কিভাবে আপনার চাকরি খাবে। বড়ই কুটিল শ্রেনী এরা। এরা নিশ্চয় ছোটবেলা থেকে আদর ভালোবাসা পায়নি।

অফিসে দুই একজন ভালো লোকও থাকে।
এরা কারো ক্ষতির চিন্তা করে না। বরং পারলে উপকার করে। অথযা বক-বক করে না। অফিসের ফোনে ফোন করে না। মিথ্যা বিল করে একাউন্স থেকে টাকা নেয় না। অফিসের কম্পিউটারে গেমস খেলে না, ব্লগ চালায় না, ফেসবুকিং করে নাক। মুভি ডাউন লোড দিয়ে বাসায় নিয়ে যায় না। অযথা সময় অপচয় করে না, নিয়মিত নামাজ পড়ে, পিয়নদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে না। সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলে।
যারা চাকরি করছেন তাদের আমি অনুরোধ করবো- অফিসে আপনি আপনার দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করবেন। কে কাজ করলো আর কে কাজ করলো না সেদিকে নজর দেবার আপনার দরকার নেই। আপনি আপনার কাজ নিষ্ঠার সাথে করে যান। সাফল্য আসবেই। সবার কথা হাসি মুখে শুনবেন। একজনের কথা আরেকজনকে বলবেন না। কাজ ফেলে অযথা বক বক করবেন না। প্রতিটা সহকর্মীর সাথে, এমনকি একজন পিয়নের সাথেও সুন্দর করে কথা বলবেন। অফিসে কারো কাছ থেকে টাকা ধার নিবেন না। পন্ডিত সাজবেন না, পন্ডিত হবেন।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৭

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: বহুজাতিক কোম্পানির চিত্র মনে হয় ভিন্ন

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক ধরেছেন।

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৩

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ভালো মানুষগুলো সব থেকে বেশি সাফার করে। তাদের ভালো মানুষি অন্যান্যদের কাছে বোকামি, বেকুবি.... তাদের কষ্টের সীমা নেই।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: একটু বসো কাছে আমার- অনেক কথা আছে
তোমার সময় থেকে কিছু- সময় আমায় দিয়ো ঋণ!

৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৩

সাইন বোর্ড বলেছেন: মেয়েরা বাইরে থেকে চা আনিয়ে খাই, এটা বাদে বাকীগুলো মোটামুটি ঠিক আছে । আর আপনার বেকারত্বটাও অনেকটা ছবি এবং মন্তব্যের সাথে লেখার কোন মিল না থাকার মত । যেটা আপনার ক্ষেত্রে পায়ই দেখা যায় ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: হুম, তা ঠিক।

৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৯

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




ব্লগ চাইলাই । তবে সেটার কাজের জন্য এবং ফেসবুক ও । কারন আমাদের সাইটাই একটা ব্লগ হাহাহা ।

আর ফেসবুকে আমাদের প্রোমশন করতে হয় কোম্পানির হয়ে । হেহেহেহেহে ।

তবে নামায পড়ি, পারলে হেল্প ও করি, অন্যের কাজও করি ।

তবে কেন জানি মনে হয় বেশি করি । অযথা ছুটি নিতেও বাধে । আসলে ছুটি চাইতেই লজ্জা লাগে ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: খুব প্রয়োজন না হলে ছুটি নেওয়ার দরকার কি?

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: খুব প্রয়োজন না হলে ছুটি নেওয়ার দরকার কি?

৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৪

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: পড়ে ব্যাপক আরাম পেলাম...................

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।

৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৩

ইয়াসিনুর রহমান ফাহিম বলেছেন: আপনি খুব সংক্ষিপ্ত লেখায় অফিস-জীবনের পুরো সঠিক চিত্রটা তুলে ধরেছেন।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমি একজন অভিজ্ঞ মানুষ ভাই।

৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আমার তো মনে হয় তেলাবাজি করাটা তাঁদের জন্মগত স্বভাব।আর লেখাটা গল্প হলেও বেশ শিক্ষনীয়।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি যে আমার সমস্ত পোষ্ট খুঁজে খুঁজে পড়েন-
এটা আমার অনেক ভালো লাগে।


ভালো থাকুন।

৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৪

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আপনি যে আমার সমস্ত পোষ্ট খুঁজে খুঁজে পড়েন-
এটা আমার অনেক ভালো লাগে।


কারন আপনি অনেক বিদ্যাবুদ্ধি সম্পন্ন একজন মানুষ।আর এজন্যই আমি পড়ি।আপনার পোষ্ট পড়তে আমার খুবই ভালো লাগে ভালোবাসার রাজীব ভাই। আপনিও ভালো থাকবেন।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: ভাই আমার কোনো জ্ঞান বুদ্ধি নাই।
জ্ঞান এবং প্রতিভা শূন্য মানুষ এখন আমি।

আপনি ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.