নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
গতকাল রাতে মনে হয় বাসায় অনুষ্ঠান হয়েছিল।
অনুষ্ঠান বলতে সম্ভবত পিহু'র জন্মদিন পার্টি। পুরো ঘর-দুয়ার এলোমেলো। রান্না ঘরে সমস্ত থালা বাটি এলোমেলো হয়ে আছে। সম্ভবত সকালে বুয়া এসে ঠিকঠাক করবে। পার্টি শেষ হতে অনেক রাত হয়ে গেছে। তাই হয়তো সবাই ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। সবাই বলতে বাবা মা আর তাদের একমাত্র সন্তান পিহু। পিহু'র বছর আড়াই বছর। সে হাঁটতে পারে, বেশ কথাও বলতে পারে। পিহু জানে না তার জন্য কি বিশাল বিপদ মপেক্ষা করছে।
খুব ভোরে পিহু'র ঘুম ভেঙ্গে যায়।
সে ঘুম থেকে উঠে তার মাকে ডাকে। কিন্তু মা ঘুম থেকে উঠেন না। পিহু বিছানা থেকে নেমে একা একাই অনেকক্ষন আপন মনে খেলা করে। একসময় তার পটি পায়। সে একা পটি করতে পারে না। দৌড়ে তার মার কাছে যায়। মাকে খুব ডাকে, মা উঠেন না। পিহু কান্না করে। কাঁদতে কাঁদতে সে নিজের ওয়াশ রুমে যায়। বাচ্চা মানুষ কমোডে বসতে তার বেশ বেগ পেতে হয়। এই তো শুরু। আরও বহু কষ্ট তার জন্য অপেক্ষা করে আছে।
পিহু'র প্রচন্ড ক্ষুধা পায়।
সে তার মাকে ব্যাকুল হয়ে ডাকতে থাকে। কান্না করে। মা'র হাত ধরে টান দেয়, পা ধরে টানে। কিন্তু তার মা'র ঘুম কিছুতেই ভাঙ্গে না। পিহু'র মার ঘুম কোনো দিনও ভাঙবে না। সে গতকাল রাতে তার স্বামীর সাথে রাগ করে অনেক গুলো ঘুমের ওষুধ খেয়ে মরে গেছে। সম্ভবত জন্মদিনের পার্টি শেষে পিহু'র বাবা-মা খুব ঝগড়া করে। খুব ভোরে পিহু'র বাবা বাসা থেকে বের হয়ে শহরের বাইরে চলে যায়। খুব জরুরী মিটিং আছে তার। কিন্তু যাওয়ার আগে দু'টা ভুল করে যায়। কাপড় ইস্ত্রি করার পর সুইচ অফ করেত ভুলে যায় এবং রান্না ঘরে বেসিনের কল বন্ধ করতে ভুলে যায়। সে বাইরে গিয়ে বাসায় ফোন দেয়। কিন্তু ফোন করে ধরবে?
্একের পর এক বিপদ পিহু'র।
সে খাবারের সন্ধানে ফ্রিজের দরজা খুলতে খুব চেষ্টা করে। অনেকক্ষন ঝাকাঝাকি করে পিহু ফ্রিজের দরজা খুলতে সক্ষম হয়। ফ্রিজ থেকে রুটি আর জেলি বের করে। ইচ্ছে মতো মাখিয়ে খায়। এর আগে ওভেনে রুটি গরম করতে গিয়ে বিরাট বিপদের হাত থেকে বেঁচে যায় পিহু। জেলি দিয়ে রুটি মাখিয়ে খেয়ে- সে ফ্রিজ থেকে সব কিছু বের করে নিজে ফ্রিজের মধ্যে ঢুকে যায়। ফ্রিজের দরজা সে লাগিয়ে দেয়। এরপর সে কিছুতেই আর ফ্রিজের দরজা খুলতে পারে না। অবশ্য এক সময় সে নিজেই ধাক্কা দিয়ে ফ্রিজের দরজা খুলতে সক্ষম হয়। নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যায় পিহু।
সে তার মাকে ডাকে। কান্না করে।
মাকে মেকাপ করে দেয়, রুটি খাইয়ে দেয়। এদিকে বেসিনে পানি পড়তে পড়তে ঘরে ভেসে যাচ্ছে। সেই পানি গড়িয়ে সব ঘর ছড়িয়ে যায়। পিহু যায় ব্যলকনিতে। সেখানে খেলা করতে করতে গিয়ে তার প্রিয় পুতুলটি নিচে পড়ে যায়। পিহুরা থাকে ২২ তলায়। সে গ্রিল বেয়ে উপরে উঠে নিচের দিকে তাকাতে যায়- পুতুলের সন্ধানে। একটু উনিশ বিশ হলে পিহু নিচে পরে যাবে। যদিও নিচে পড়ে যাবার ব্যাপারে তার কোনো হুশ নেই। দূরের এক বিল্ডিং থেকে এক মহিলা দেখে পিহু পড়ে যাচ্ছে। সেই মহিলা খুব চিৎকার দিতে থাকে। পিহু তার দিকে ফিরেও তাকায় না।
এইভাবে 'পিহু' মুভির কাহিনি এগিয়ে যেতে থাকে।
তামিল মুভি। মাত্র নব্বই মিনিটের মুভি। পুরো ছবিতে পিহু একাই অভিনয় করেছে। তার মা মৃত। বাবা বেশ কয়েকবার ফোন দেয় পিহুর মাকে। বাচ্চা মেয়েটি চমৎকার অভিনয় করেছে। আসলে মেয়েটি অভিনয় করেনি। সে তার মতো হাটা চলা করেছে। পরিচালক ভিডিও করে নিয়েছে। সব মিলিয়ে মুভিটা আপনাকে বিরক্ত করবে না। তবে কিছুটা টেনশন দিবে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: দোয়া করবেন। দোয়ায় কাজ হয়।
২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩০
ইমু সাহেব বলেছেন: ব্যতিক্রমধর্মী একটি মুভি, বেশ ভালো ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১২
বাকপ্রবাস বলেছেন: আপনার লেখা ভেবে এগুচ্ছিলাম, মায়ের পর্ব দেখে মনটাও খারাপ হচ্ছিল, মুভির খবর পেয়ে আগের সব ধারণ নতুন করে ভাবতে হল, গল্প থেকে মুভিতে জাম্প দিতে হল।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: জাম্প কেমন দিলেন?
৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি এত সিনেমা দেখেন কেন?
কোন কাজেই টেনশন নেওয়া ভালো না।
ফ্রেস থাকুন।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: কাজ নাই তাই সিনেমা দেখি। গড়ে মাসে ৯০ টা সিনেমা দেখি।
৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
এ রকম গল্ল থকে মুভি করা ঠিক হয়নি
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০
রাজীব নুর বলেছেন: কেন ঠিক হয়নি?
৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৮
তাজেরুল ইসলাম স্বাধীন বলেছেন: সচেতন মা-বাবা মুভিটি দেখে আরো সচেতন হবেন।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০
রাজীব নুর বলেছেন: তা ঠিক।
৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: খারাপ স্বামী বা খারাপ স্ত্রী মেনে নেয়া যায়। কিন্ত খারাপ মা বা খারাপ বাবা কোন অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না। কোনভাবেই না।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২১
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৪
নজসু বলেছেন:
রিভিউ পেলেই আমার মুভিটা দেখতে ইচ্ছে করে।
দেখার ইচ্ছে রইলো প্রিয় রাজীব ভাই।
আপনার চয়েস, আমাদের সবার চয়েস হবে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: আর যাই হোক মুভিটা দেখে বিরক্ত লাগবে না। এটা আমি সিউর দিলাম।
৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কু সন্তান যদিও হয়
কু মাতা কভুই নয়।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: বাপ মা যতই খারাপ হোক। কিন্তু সন্তানের জন্য বাপ মা ভালো।
১০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৪
সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: দেখবো মুভিটা
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০১
রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই দেখবেন।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০১
রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই দেখবেন।
১১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৩
জাহিদ অনিক বলেছেন:
দেখেছি সিনেমাটা -- খারাপ লাগে নাই
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: গুড।
১২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২২
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
মুভিটি দেখতে হবে ।
ধন্যবাদ ।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই।
১৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: পিহু'র জন্য খুব ভয় হচ্ছিল। মুভি কাহিনী, এটা জেনে তাও যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম!
চাঁদগাজী এর মন্তব্যটার মত আমারও সেরকমই মনে হয়েছে।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২২
মাইনুল ইসলাম আলিফ বলেছেন: ভালই তো লাগছিল।আমি সিনেমা কম দেখি।হিন্দি তামিল তো নয়ই।
ভাবছিলাম আপনার নিজের লেখা গল্প।
ভাল থাকবেন রাজীব ভাই।