নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
পিচ্চিটার নাম মানিক।
বয়স ৫/৬ মাস হবে। মানিকের মা মানিককে কোলে নিয়ে সারাদিন রাজারবাগ মোড়ে ভিক্ষা করে। মানিকের বাবা মানিক পৃথিবীতে আসার কয়েকদিন আগে পেটের পীড়ায় মারা যায়। থাকার জায়গা নেই। খাওয়ার ব্যবস্থা নেই। এমনকি দুনিয়াতে তাদের কোনো আত্মীয় স্বজনও নেই। মানিকের মা নিজেও অসুস্থ। এই অসুস্থ শরীর নিয়েই সে মানিককে কোলে নিয়ে ভিক্ষা করে বেড়ায়। সীমাহীন কষ্ট তাদের। যে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে সেই দেশের একজন শিশু এবং তার মায়ের এই অবস্থা হবে কেন? আমি বাসা থেকে বের হয়ে বড় রাস্তার মোড়ে এসে রোজ সকালে মানিক আর তাকে মাকে দেখি। খুব কষ্ট হয় আমার।
মানিক তো ফেরেশতা বাচ্চা, দুধের শিশু।
সারাদিন রাস্তার ধুলো বালি তার গায়ে লাগে, নাক মুখ দিয়ে ধুলো যায়। গাড়ির বিকট হর্নে নিশ্চয়ই মানিকের অনেক কষ্ট হয়। অথবা দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকলে মানিকের অবস্থা কি হবে? সিগনালে গাড়ি বাস, সিএনজি বা রিকশা থামলেই মানিকের মা মানিককে কোলে করে দৌড়ে যায়। আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখি প্রতিদিন। ৫০ জনের কাছে ভিক্ষা চাইলে দুইজন দেয়। এই শহরের মানুষ গুলো খুব বেশি মায়া দয়াহীন। প্রতিদিনের মতো আজও মানিকের সাথে দেখা রাজারবাগ মোড়ে। আমি মানিককে এক আকাশ ভালোবাসা নিয়ে কোলে নিই। মানিক খুশিতে খিলখিল করে হাসে। বাহ কি সুন্দর হাসি! হাসিটা বুকে এসে লাগে। রাতে হয়তো মানিক আর মানিকের মা রেলওয়ে কলোনীর সরকারি কোয়াটারের সিড়ির নিচে রাত্রীযাপন করে।
মানিকের মাকে বললাম, আমি দুষ্টলোক নই।
তোমার বাচ্চার সারাদিন অনেক কষ্ট হয়- এই ধুলোবালি, রোদ আর গাড়ির হর্নের বিকট শব্দে। আমার বাসা সামনেই তুমি মানিককে আমার বাসায় রেখে ভিক্ষা করতে পারো। ভিক্ষা শেষে আবার আমার বাসা থেকে নিয়ে নিবে। মানিক সারাদিন সুরভির সাথে থাকবে। তাহলে মানিক রাস্তায় থেকে-থেকে অসুস্থ হয়ে পড়বে না। মানিকের মা বলল- মানিক বুকের দুধ ছাড়া কিচ্ছু খেতে পারে না। আমার বাসায় থাকলে সে দুধ খাবে কি করে? মানিকের জন্য আমার খুব কষ্ট হয়। আমি তাকে কোলে নেওয়ার পর তার কি হাসি! সারাদিনে অনেকবার সেই হাসি চোখের সামনে ভেসে উঠে।
সমস্ত দেশে এরকম মানিক আর মানিকের মায়ের অভাব নেই।
একদিকে কিছু মানুষের সীমাহীন বিলাসিতা। আরেকদিকে কিছু মানুষের সীমাহীণ কষ্ট। আমাদের এই দেশে ধনীদের ফাউন্ডেশনের অভাব নেই। ফাউন্ডেশন থেকে তারা মহৎ মহৎ কাজ করে বেড়া- প্রায়ই পত্রিকায় দেখি। ওহে ধনী ভাইয়েরা মানিকদের জন্য কোনো ফাউন্ডেশন নেই? আমার কোনো ফাউন্ডেশন নেই। আমি নিজেই দরিদ্র মানুষ। তবু আমার পকেটে যেক'টা টাকা ছিল আমি মানিকের মায়ের হাতে দিয়েছি। সেদিন বেলী রোড দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি মানিকের বয়সী এক পিচ্চি ফুটপাতে গভীর ঘুমে। পিচ্চির মা হয়তো তাকে শুইয়ে রেখে আশে পাশে কোথাও ভিক্ষা করতে গেছে।
উন্নয়নের মহাসড়কে এক অবুঝ শিশু গভীর ঘুমে।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক।
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৯
অদৃশ্য প্রতিভা বলেছেন: কি আর কহিবো দুঃখে,
মানুষতো নয় তাহারা;
মরুজ রোগ কিংবা অসুখে।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৭
নজসু বলেছেন:
মানিকের মুখটা দেখে খুবই মায়া হচ্ছে।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: তার মানে আপনি মানবিক।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: তার মানে আপনি মানবিক।
৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৮
আখ্যাত বলেছেন: ধনী-গরীবের ব্যবধান দিন দিন বাড়ছে।
ধনীরা আরো ধনী, গরীবরা আরো গরীব হচ্চে।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: যুগ যুগ ধরে তো এমনই হচ্ছে।
৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯
জাহিদ অনিক বলেছেন: জীবনের গল্প -- বাকী অনেক বাকী- জীবন অনেক কষ্টের দুঃখের
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ কবি।
৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩
দেবদাস বাবু বলেছেন: এদেরকে নিয়ে ভাবা ও লেখাও কিন্তু এক প্রকার মহত কাজ
এই লাইনটি সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে....... উন্নয়নের মহাসড়কে েএক অবুঝ শিশুর গভীর ঘুম
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।
৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০০
সিগন্যাস বলেছেন: খুবই বাস্তব কথা রাজিব ভাই। খুঁজলে এরকম হাজার শিশু পাওয়া যাবে।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: এরা আমাদের দেশের লোক, আমাদের সমাজের অংশ। এদের জন্য কিছু করা উচিত।
৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৪
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: আল্লাহ সবার মঙ্গল করুক ।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: আমিন।
৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০
কাজী মাসউদ বলেছেন: এদের নিয়ে ব্যবসাও হয়।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: এদের দিকে তো কেউ ফইরেও তাকায় না।
১০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি এই ধরণের মা'দের জন্য কাজ করার উপায় বের করতে পারেন কিনা দেখেন!
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: ইনশাল্লাহ।
১১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৮
তারেক ফাহিম বলেছেন: মানিকের হাসিটা চমৎকার।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: রাইট।
১২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৫
হাবিব বলেছেন: কেউ আমার কাছে ভিক্ষা চাইলে আমি তাকে কিছু না কিছু দেই।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: দরিদ্র মানুষ কিছু চাইলে দিতেই হয়।
১৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২৬
মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনি যে প্রস্তাবটি করেছিলেন, তা খুব অল্প কিছু মানুষের পক্ষেই সম্ভব।
মহান আল্লাহ্ আপনার মংগল করুন।
মহান আল্লাহ্ আমাদের সকলের সহায় হউন।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:১৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় ছোটভাই ,
দেশে এরকম হাজারো মানিক আছে যারা খোলা আকাশের নিচে নিশি যাপন করে। সরকারি সাহায্য বা বিভিন্ন ফাউন্ডেশন তারা সাহায্য করে বা করবে ঠিকই ; কিন্তু মানিকের মায়েদের যদিও স্থায়ী কর্মসংস্থান হয় সেটা অনেক বেশি কল্যাণকর বৈকি। ভিক্ষাবৃত্তি কখনোই কোন পেশা হতে পারে না। শহরে দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা না করে একটা বাড়িতে কাজ করলেও সে কিন্তু একটা নির্দিষ্ট জীবিকা পেতে পারে। মানিকের জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় ছোট ভাইকেও।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: মানিকের মা অসুস্থ। তাই বাসা বাড়িতে কাজ করতে পারে না। তাছাড়া মানিককে রাখবে কার কাছে?
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: মানিকের মা অসুস্থ। তাই বাসা বাড়িতে কাজ করতে পারে না। তাছাড়া মানিককে রাখবে কার কাছে?
১৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৮
শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: মানিকের মা কিন্তু কর্মক্ষম ,সেতো বাসা বাড়িতে কাজ করতে পারে । বাসা বাড়িতে কাজের অনেক ডিমান্ড ঢাকাতে । এজন্য তার বাচ্চা নিয়ে ঘুরতে একটু কষ্ট হবে বাট ভালই দিন চালাতে পারবে । ঢাকার শহরে ভিক্ষাবৃত্তি এত বেড়েছে যে মানুষ এখন অতিষ্ট ।এরকম ছিন্নমূল মানুষের জন্য সরকারি কোন উদ্যোগ আছে কিনা জানা নেই ।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে তাহলে ভিক্ষা বৃত্তি বাড়বে কেন?
১৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৩
গরল বলেছেন: আমাদের বাসায় প্রায়ই এরকম ভিক্ষুক আসে, বাচ্চা নিয়ে বা বাচ্চা ছাড়া। বাসায় কাজের বুয়ার খুব অভাব, বয়স ৫০ এর নিচে হলেই আম্মা অনুরোধ করে যে ঘরটা মুছে দিয়ে যাও ৫০ টাকা দিব, বা মাছগুলো কেটে দিয়ে ৫০ টাকা নিয়ে যাও বা আজকের বাসার সব কাজ করে দিয়ে যাও ২০০ টাকা দিব আর দুপুরের খাবার দিব। কিন্তু আজ পর্যন্ত একজনকেও পায় নি যে কাজ করতে রাজি হয়েছে। আমার বাসার কাজের মেয়ে কে ৩০০০ টাকা দেই দিনে দুই ঘন্টার জন্য আর সে চার বাসায় কাজ করে। কোন এক বাসায় ৫০০০ টাকাও পায়। মাসে ১২০০০ টাকা যেখানে সহজেই আয় করা যায় দিনে ৮-৯ ঘন্টা কাজ করে, আবার সপ্তাহে একদিন ছুটি। তারপরেও তারা দিনে ১৮ ঘন্টা দাড়িয়ে দাড়িয়ে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে ভিক্ষা করে কেন আমার কাছে খুব আশ্চর্য্য লাগে।
১৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো যুক্তি দিয়েছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এসব ভাবলে নিজেকে খুব অসহায় লাগে। সরকারগুলো এদের নিয়ে ভাবে না, ভাবে বিরোধী দল নিয়ে...