নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১। পৃথিবীতে এই যে এত অরাজকতা, পাপ, পূন্য, হিংসা-বিদ্বেষ এগুলো থাকবেই। বংশ পরম্পরায় এগুলো প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বয়ে যাচ্ছে। চেষ্টা করলেও তা শোধরানো সম্ভব নয়। কারণ এটি উত্তরাধিকার সূত্রে পায় মানূষ। যদি মাথা থেকে এই অংশটুকু কেটে বাদ দেয়া যেত কেবল তবেই মানুষ খাটি হতে পারত।
২। মৃত্যুর আগ মুহূর্তে, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পূর্ব সময়ে আর্নেস্তো চে গুয়েভারাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি কি তার অমরত্বের কথা ভাবছেন? চে জবাব দেন ‘আমি ভাবছি, বিপ্লবের অমরত্বের কথা’। তারপর তাকে প্রায় ১০টি গুলি করা হয় এবং তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এটা ১৯৬৭ সালের ৯ অক্টোবরের ঘটনা। সন্দেহ নেই, বিপ্লবের ব্যাপারে অবিচল পুরুষ ছিলেন আর্নেস্তো চে গুয়েভারা। কিন্তু তার যে বিপ্লব, যে আদর্শ, যে চেতনা—একে লালন করার সামর্থ্য এবং অধিকার সমকালীন পৃথিবীবাসীর নেই।
৩। ডরিমনের একটি পর্ব এই রকম-
এক দৌড়ে ঘরে এল নবিতা। পড়ার টেবিলে স্কুলব্যাগটা রেখেই সে ‘ডোরেমন’ ‘ডোরেমন’ বলে চেঁচাতে শুরু করল। তার চিৎকার শুনে ঘরে ঢুকল ডোরেমন। নবিতা জানালো জিয়ান তাকে আবারও বিনা কারণে মেরেছে! তাকে শাস্তি দিতেই হবে। কী করা যায়? সমাধানটা অবশ্য ডোরেমনের অজানা নয়। পকেট থেকে গ্যাজেট বের করে দিলেই হয়ে গেল। সেই গ্যাজেট দিয়ে নবিতা শাস্তি দেবে জিয়ানকে। প্রথম দিকটায় আপত্তি জানালেও শেষ পর্যন্ত নবিতার কথায় ডোরেমন রাজি হল। রাজি না হয়ে উপায়ইবা কী! নবিতার চিৎকার যে থামতেই চায় না। অবশেষে বাধ্য হয়ে ডোরেমন সিক্রেট হোল পেন্সিল নামে একটি পেন্সিল বের করল পকেট থেকে। পেন্সিলটি দিয়ে গোল দাগ কাটলে গুপ্ত গুহা তৈরি হবে। জিয়ান এরপর নবিতাকে মারতে এলেই সে গুহার ভেতর ঢুকে পড়বে, ব্যস। নবিতাকে আর খুঁজে পাবে না জিয়ান। গ্যাজেটটি পেয়ে নবিতার আনন্দ তখন দেখে কে!
৪। জঙ্গলের মাঝে গভীর তপস্যায় নিমগ্ন এক যুবক। একাগ্রচিত্তে সে ধ্যান করে যাচ্ছে। ঈশ্বরের সন্তুষ্টি লাভে নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়েছে। বৈষয়িক কোনো ব্যাপারেই এখন তার কোনো আগ্রহ নেই। জঙ্গলে হিংস্র প্রাণীর কোনো অভাব না থাকলেও তার ভয়ডর বলে কোন কিছু ছিল না।
সাধনার ফলে এই যুবক একদিন ঈশ্বরের আশীর্বাদ লাভ করে। ঈশ্বর তাকে বর দেন, ‘তুমি যা ভাববে, তা-ই হবে।’ ঈশ্বরের বর পেয়ে যুবক আত্মহারা। ভাবলো এই গহীন জঙ্গলে সোনার এক বিশাল প্রাসাদ হলে কেমন হয়। সাথে সাথে হলোও তা-ই। আনন্দে লাফিয়ে উঠলো সে। হঠাৎ মনে হলো ক্ষুধা লেগেছে তার। ভাবলো সোনার থালায় সব মজাদার খাবারের কথা। সাথে সাথে সামনে হাজির। মজাদার সব খাবার খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলল সে। শরীর এখন একটু বিশ্রাম চাচ্ছে। সোনার পালঙ্কে গা এলিয়ে দিল।
হঠাৎ তার মনে হলো প্রাসাদের মাঝে থাকলেও এর চারপাশে রয়েছে গহীন জঙ্গল। এখন যদি একটা বিরাট বাঘ এসে তাকে খেয়ে ফেলে! আর যায় কোথায়! যেই মনে করা ওমনি এক বিরাট বাঘ এসে তাকে খেয়ে ফেলল। সোনার প্রাসাদে পড়ে রইল শুধু তার কয়েক টুকরো হাড়।
কথায় বলে, ‘বনের বাঘে খায় না মনের বাঘে খায় ।’
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ বোন।
২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৬
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: জোসস.....
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১৭
কানিজ ফাতেমা বলেছেন: ৪ নং দারুণ হয়েছে । ডিপ থট ।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ বোন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কথায় বলে, ‘বনের বাঘে খায় না মনের বাঘে খায় ।’
সত্য বচন।