নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন ঢাকা শহরের মানুষ গুলো অমানবিক?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৩১



একসময় এই শহরের মানুষ গুলো সহজ সরল ছিল।
তারা দল বেঁধে আগ্রহ নিয়ে আবহানী মোহামেডানের ফুটবল খেলা দেখতে যেত। বৈশাখী মেলায় নাচ গান করে আনন্দ করতো। গ্রামের মানুষের মতোণ শহরের মানুষও রাত জেগে যাত্রাপালা দেখতো। শহরের মানুষজন সপ্তাহ শেষে সিনেমা দেখতে যেত পরিবার নিয়ে। বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌকাবাইচ দেখার জন্য মানুষ ছুটে যেত। পাড়ায় পাড়ায় গান বাজনার আয়োজন হতো। সমস্ত এলাকার মানুষ গান বাজনা উপভোগ করতো। প্রতিটা মহল্লায় বড় ভাইয়েরা খেলাধূলার আয়োজন করতো। স্থায়ীয় মাঠে এই খেলা দেখার জন্য বহু মানুষ ভীড় করতো। ১৬ ডিসেম্বর বা ২১ শে ফ্রেরুয়ারীতে অবশ্যই এলাকার ছেলেপেলেরা বেশ আড়ম্বরপূর্ন অনুষ্ঠান করতো। স্কুল শেষ করে নিয়ম করে প্রতিদিন বিকেলে মাঠে দল বেঁধে ফুটবল খেলতে যেত। সন্ধ্যায় মাগরিবের আযানের সাথে সাথে বাসায় ফিরে পড়তে বসা। এখন আর এরকম হয় না। নিয়ম বদলে গেছে। মানুষ বদলে গেছে। এই বদলে যাওয়াটা ভালোর দিকে নয়। মন্দের দিকে। এই শহরের এই ভয়ানক পরিস্থিতির জন্য এই শহরের মানুষ'ই দায়ী।

গত এক যুগ ধরে এই শহরের মানুষ খুব বেশি বদলে গেছে।
তাদের সব কিছুর মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনের জন্যই মানুষ অমানবিক, হৃদয়হীন হয়ে পড়েছে। আর দিন দিন এই শহরের লোকদের চক্রবৃদ্ধি হারে অমানবিকতা ও নিষ্ঠুরতা হওয়ার প্রবণতা বাড়ছেই। আজকাল বাসে একজন নারী দাঁড়িয়ে থাকলে তাকে বসার জন্য কেউ সিট দেয় না। রাস্তায় কেউ মাথা ঘুরে পড়ে গেলেও তার দিকে ফিরে তাকায় না। কেউ কাউকে বিনা কারনে মারলেও তাকে বাচানোর জন্য কেউ এগিয়ে আসে না। নিজে বাসে উঠার পর আরেকজন যেন বাসে উঠতে না পারে, তার জন্য বাসের হেলপারকে চিৎকার করে বলে, বাসের দরজা লাগাও। নইলে ভাড়া দিমু না। আর একজন লোককেও বাসে তুলবে না। অথচ এই চিন্তাটা করে না, দরিদ্র দেশ। মানুষ বেশি। বাস কম। সবার'ই গন্তব্যে যেতে হবে। রাস্তায় বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা লোকটাকেও তার গন্তব্যে যেতে হবে। তাকে সহযোগিতা করা উচিত। মায়ের বয়সী একজন বাসে উঠে দাঁড়িয়ে আছে। অথচ তাকে বসতে না দিয়ে মোবাইল টিপাটিপিতে ভীষন ব্যস্ত। ছেলে বুড়ো সবার এ কেমন মানসিকতা? একটা প্রতিষ্ঠান তখনই উন্নতি করবে, যখন প্রতিষ্ঠানের সবাই তাদের দায়িত্ব গুলো যথাযথ ভাবে পালন অরবে। ঠিক তেমনি একটা দেশ তখন'ই উন্নতি করবে যখন দেশের জনগন ভদ্র-ভালো হবে।

ঢাকা শহরের মানুষের প্রতি আল্লাহর বিশেষ রহমত আছে।
তা না হলে এই শহরে প্রতিদিন দশ হাজার লোক একসিডেন্টে মারা যাবার কথা। কেউ রাস্তায় নিয়ম মেনে চলাচল করে না। যার যেমন খুশি তেমনে চলছে। একটু ফাঁক পেলেই ঢুকিয়ে দেয়। শিক্ষিত অশিক্ষিত কেউ নিয়মের ধারে কাছে নেই। একজন সাংসারিক মানুষ বা একজন মমতাবান পিতাও রাস্তায় বের হলে বদলে যায়। নিষ্ঠুর হয়ে যায়। এই শহরের বাইকওয়ালারা প্রচন্ড বেয়াদপ হয়। এরা নিজেদের কি যে মনে করে! একটা বাইক কিনে নিজেকে রাস্তার রাজা-বাদশা মনে করে। এরা সবচেয়ে বেশি অনিয়ম করে। নির্লজ্জের মতো ফুটপাতে বাইক উঠিয়ে দেয়। অকারনে হর্ন দেয়। মূর্খ বাস ড্রাইবার এর চেয়ে এরা ভয়ঙ্কর। হিংস্র, বর্বর। রাস্তার নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য করতে হবে। অনেক টাকা জরিমানার সিস্টেম চালু করতে হবে। যেমন কেউ ফুটপাতে বাইক উঠালেই তিন হাজার টাকা জরিমানা। আবার কেউ জেব্রা ক্রসিং ছাড়া রাস্তা পার হলেই, তার এক হাজার টাকা জরিমানা। টাকা দিতে অপারগ হলে ১০০ বার কান ধরে উঠবোস করতে হবে। সত্যি কথা বলতে কি এই শহরের গজব অবস্থা। এই গজব অবস্থার মধ্যে যারা নিয়মিত বাইরে বের হোন তারা খুব ভালো করেই জানেন, এই দেশ মোটেও উন্নয়নের মহাসড়কে না। যারা বলেন, তারা মিথ্যা বলেন। আর যদি উন্নয়নের কথা ধরেন'ই, তাহলে বলল, শুধু তাদের (রাজনীতিবিদ) উন্নয়ন হয়েছে। এবং তাদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজনদের উন্নয়ন হয়েছে। যে ব্যাক্তি পরিবার নিয়ে দশ বছর আগে রাস্তায় ঘুমাতো, সে আজও রাস্তায় ঘুমায়। যে ব্যাক্তি দশ বছর আগে চুরী ছিনতাই করতো সে আজও চুরী ছিনতাই করে। যে দশ বছর আগে ভিক্ষা করতো, সে আজও ভিক্ষা করে।

এই শহরে চালাক চতুর আর বদমাশ লোক টিকে আছে।
বোকারা বার বার ধরা খাচ্ছে। ধরুন, আপনি একজন চাকরিজীবী। আমি নিশ্চিত আপনি শান্তিতে চাকরি করতে পারছেন না। বাংলাদেশের মানুষ একজন আরেকজনের শান্তি দেখতে পারে না। আনন্দ দেখতে পারে না। ভালো দেখতে পারে না। বর্তমান সময়ে মানুষ গুলো এত বেশি খারাপ হয়েছে যে, একটা চাকরি পাওয়ার চেয়ে, চাকরি পাওয়ার পর চাকরি টিকিতে রাখা বেশি কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকদিন আগে কাওরানবাজারে এক পাগলকে বলতে শুনেছিলাম। 'এই শহরের মানুষ গুলো ভালো না। এরা সবাই অমানুষ।' পাগল চিৎকার করে একই কথা বারবার বলে যাচ্ছিল। তখন হেসে ছিলাম। কিন্তু আজ বুঝতে পারছি, পাগল হলেও সে উচিত কথাই বলেছিল। ভালো মানুষ আমাদের সমাজে নেই। একজনও নেই। যাদেরকে আপনি ভালো মনে করছেন, তারাও ভালো না। বিশ্বাস করুন তারাও ভালো না। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব, আগে ছিল। এখন মানুষ সৃষ্টির সেরা বদমাশ। দেশভাগের পর, ভাষা আন্দোলনের এমন কি মুক্তিযুদ্ধের পরও এই শহরের মানুষের মধ্যে মায়া-মমতা ছিল, ভালোবাসা, আন্তরিকতা ছিল। এখন এই শহরের মানুষের মধ্যে ভালো কিচ্ছু নেই। সবাই অমানুষ। সবাই বদমাশ। একজন ভিক্ষুক থেকে শুরু করে রিকশাওয়ালা, সবজি বিক্রেতা, চা-ওয়ালা, ছাত্র-শিক্ষক, চাকরিজীবি-ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, নব্যধনী, সাংবাদিক, বাস ড্রাইভার-পথচারী, দালাল, চাটিকার, পুলিশ, আনসার, কুমিল্লা, মাগুরা কেউ ভালো না।

পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মানুষ কেমন আমি জানি না।
আমি এই শহরে বাস করি। কাজেই এই শহরের কথা খুব ভালো করেই জানি। এই শহরের মানুষের মানসিকতা এরকম- কাউকে ঠকাতে পারলেই যেন আমি জিতে গেলাম। কাউকে অপমান করতে পারলেই যেন আমি জিতে গেলাম। অফিসে অন্যায়ভাবে কাউকে কটূ কথা বলতে পারলেই যেন আমি হিরো হয়ে গেলাম। সহজ সরল সত্য কথা হলো- দিন শেষে এই শহরে ছেলে মেয়ে, পুরুষ-নারী কেউ ভালো না। এবং কেউ ভালো থাকবেও না। কেউ ভালো থাকার মতো কাজ করে না। নিজের পরিবারের বাইরে কেউ কারো জন্য কিছু ভাবে না। সরকারী খরচে যেমন দেশের সমস্ত মানুষকে জন্ম নিবন্ধন বা ভোটার আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছে। ঠিক তেমনি দেশের সমস্ত মানুষকে মানবিক হওয়ার জন্য, ভালো হওয়ার জন্য কাউন্সেলিং করাতে হবে। তিন মাসের কোর্স। নিয়মিত ক্লাশে তাদের কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে ভালো করার জন্য, মানবিক হওয়ার জন্য চেষ্টা চালাতে হবে। তা না হলে সামনে ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সবার চাই চাই আরো চাই, ক্রিকেটাররা হরতাল করেছেন!!!

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: যারা অল্পতে খুশি হতে জানে না, তারা দুষ্টলোক।

২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ভালো বলেছেন।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো কথার দাম নাই রে ভাই।

৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৩

ইসিয়াক বলেছেন: শুধু ঢাকা নয় সারা দেশের মানুষগুলোই এমন ।অমানবিক।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকা তো উদাহরন হিসেবে দিয়েছি।

৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:০৫

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: পরিশ্রম এর সঠিক মূল্য পেলে কেউ আর এমন করতো না।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: তারা সঠিকভাবে পরিশ্রমও করে না।

৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:১৫

আখেনাটেন বলেছেন: এক জায়গায় লিখেছেন, 'ঢাকা শহরের মানুষের প্রতি আল্লাহর বিশেষ রহমত আছে।। আবার লিখেছেন, 'এই শহরে চালাক চতুর আর বদমাশ লোক টিকে আছে'।

তারমানে কি দাঁড়াচ্ছে, ঢাকা শহরে চালাক চতুর আর বদমাশ লোকেদের উপর আল্লাহর বিশেষ রহমত বর্ষিত হচ্ছে। :P :-P

এটা হলে তো ভালো মানুষের জন্য গজব........ :((

আপনার লেখা পড়ে বোবা মানুষও হেড়ে গলায় গান গেয়ে উঠবে। ;)

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: বলুন আমি কি মিথ্যা বলেছি??

৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৫

বিজন রয় বলেছেন: শুধু কি ঢাকা শহরের মানুষ গুলো অমানবিক?
দেশের অন্য স্থানে নেই?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে পুরো দেশের একই অবস্থা।

৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩০

বিজন রয় বলেছেন: ঠিক তাই।
বাংলাদেশে থেকে এসব কবে দূর হবে বলে আপনি মনে করেন??

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: কোনো দিনও না।
দিন দিন আরো খারাপ অবস্থা হবে।

৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৩

নীলসাধু বলেছেন: প্রায় শতভাগ সত্য বলেছেন। প্রয়োজনীয় কথা।
আমাদের মানবিকতা তলানিতে ঠেকেছে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: এর থেকে পরিত্রান খুঁজে বের করতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাঁচাতে হবে।

৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৯

বিজন রয় বলেছেন: ঠিক ঠিক ঠিক বলেছেন।
১০০%।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: আর যদি পরিত্রান না হয় তাহলে এদেশ ছেড়ে পালাতে হবে।

১০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রাজনীতি যখন হয়ে ওঠে স্বার্থান্ধ, দলান্ধ, একচোখা দৈত্যের মতোন
তখন ভালর চাষবাসটা করেব কে?
মহল্লার গুন্ডাটা যখন আলাদিনের চেরাগের মতো দামী গাড়ি, বাড়ি করে ফেলে
তখন বাকীরা আর লেখাপড়া করে গাড়ী ঘোড়ায় চড়ার স্বপ্ন ভূলে যায়!
যে শিক্ষক সারাজীবন আন্তরিকতায় পরিয়েছেন, তার চোখের সামনে যখন দলান্ধ স্বার্থপর লোকটা
প্রধান শিক্ষক হয়ে যায়- সেই শিক্ষকের পরিণতিতে বাকীরা কি শিক্ষা নেবে? বলুন!
যে চাকুরীজীবি সততায় শুধূ নিত্য লাঞ্চনা পায়, আর চোখের সামনে পা চাটা অযোগ্যটা তরতর করে উপরে উঠে যায়
কে করতে চাইবে সততা চর্চা!

এভাবেই সেই গোড়ার গলদেই পুরো সমাজ ব্যবস্থা ধ্বসে গেছে।
এই সম্রাটতো একদিনের কিসসা নয়!
নয় লাখ কোটি টাকা পাচার কারী কারা?

পূর্ন বিপ্লব ছাড়া শুধূ কথায় চিরে ভিজবে না ভায়া
সফল বিপ্লব করে আসুন এরাই দেখবেন ভোল পাল্টে সব সাধূ সাজার নিরন্তর চেষ্টা করবে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
দেশটাকে বাঁচাতে হবে তো।

১১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঢাকায় সাধারণ মানুষ থেকে অসাধারণ মানুষের সংখ্যা অনেক অনেক বেশী; দেশের সব এমপি এখানে থাকেন, দেশের প্রায় সব পিএইচডি এখানে থাকেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জালিয়াতরা, কালোটাকার মালিকেরা, বাটপাড়রা এখানে থাকে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ ভরসা।
একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.