নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ঢাকা শহরে জীবনটা পার করে দিচ্ছি।
জন্ম এই শহরে। মৃত্যুও মনে হয় এই শহরে হবে। মাঝে মাঝে মনে হয় এই শহরের সমস্যা গুলো আমার চেয়ে ভালো আর কেউ জানে না। মেয়র সাঈদ খোকনও জানেন না। সমস্ত শহর আমার চেনাজানা হয়ে গেছে। অলি-গলিও বাদ নেই। একসময় আমার একটা সাইকেল ছিল। বিশ বছর আগের কথা। সাইকেল নিয়ে সারা শহর ঘুরে বেড়াতাম। ক্ষুধা পেলে কিছু খেয়ে নিতাম। কি আনন্দময় সময়'ই না পার করেছি তখন। কোনো রকম চিন্তা ভাবনা ছিল না। ঘর সংসার ছিলো না। পরী ছিল না, সুরভি ছিল না। পকেটে এক শ' টাকা থাকলে নিজেকে রাজা মনে হতো। আর এখন পকেটে এক হাজার টাকা থাকলেও মনে হয়, অতি সামান্য টাকা আছে। এই টাকা দিয়ে দুই কেজি গরুর মাংসও পাবো না। এমন কি দুইটা দেশী মূরগীও পাবো না। যাই হোক, ঢাকা শহরের পথে পথে আজও ঘুরে বেড়াই। মন চাইলে দুই একটা ছবি তুলি। সেই সব ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
১।
মগবাজার মৌচাক ফ্লাই ওভার থেকে।
২।
এই শহরে একটা বাসার বেলকনি। বাসাটা সুরভির।
৩।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল। দশনার্থীরা তাদের রোগিকে দেখতে এসেছে। বসার জায়গা না পেয়ে সিড়িতে বসে আছে।
৪।
ছবিটা ভালো করে দেখুন। স্কুলের ছেলেরা বাসের জানালায় বসে আছে। এরা বড় বেয়াদপ হয়। কোনো কথা বললে এরা শুনে না।
৫।
এক বৃষ্টির দিনে রেললাইনে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেদিন বৃষ্টিতে ভিজে আমি শেষ।
৬।
ছবিতে তেজগাঁ এলাকার কিছু অংশ দেখা যাচ্ছে। ছবিটা তুলেছি দশ তলা থেকে। লিফটের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম, তখন।
৭।
ছবিটা ভালো করে দেখুন। বাচ্চাটা পানি নিয়ে যাচ্ছে। বাচ্চার বাবার রাস্তার ধারে চায়ের দোকান আছে। বাচ্চাটার অবশ্যই কষ্ট হচ্ছে। না আনন্দ পাচ্ছে?
৮।
একটি হাসপাতালের দৃশ্য। জুতো রাখার জায়গায় কেউ জুতা রাখছে না। লোকজনের সমস্যা কি? আসলে আমাদের দেশের লোকজন এরকমই।
৯।
গ্রেট ছয় নম্বর বাস। এই বাসে যারা উঠে নি। তারা বুঝবে ছয় নম্বর বাস কি জিনিস। রাস্তায় লম্বা জ্যাম। ছবিতে ছেলেটা আমার কাঁধে মাথা রেখে কঠিন ঘুম দিয়েছিল।
১০।
ছেলেটা বাস থামলেই বাসে উঠে পানি, জুস বিক্রি করে। ছেলেটার বয়স কত হবে? আমার ভাবতে কষ্ট লাগে, উন্নয়নের মহাসড়কে যে দেশ, সেই দেশের ৮/১০ বয়সের একটি ছেলে স্কুলে না গিয়ে বাসে-বাসে পানি বিক্রি করে।
১১।
উন্নয়নের মহাসড়কের দেশে আরেক ছেলে বাসে বাসে চিপস বিক্রি করে। এসব দেখলে আমার ভীষণ কষ্ট হয়।
১২।
বাসের ভেতর থেকেই এই ছবিটি তুলি। হাতিরঝিল।
১৩।
রাত ৯ টা। মৌচাক মার্কেটের সামনে। আমি বাসের ভেতরে ছিলাম।
১৪।
একদিন দুপুরবেলা গুলোশান-১ নম্বরে দাঁড়িয়ে ভাবছিলাম কোথায় যাবো? কার কাছে যাবো?
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: একটা ছবিও ভালো হয় নাই।
২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৬
ইসিয়াক বলেছেন: আপনার বাসার লোকেশন আমি চিনে ফেলেছি ।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: ভেরি গুড।
৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ছবিতে জীবনের অনেক কঠিন সত্য উঠে এসেছে!
১০ নাম্বার ছবির কষ্টতো বলার বাইরে!
আহারে উন্নয়নের চাপা! সম্রাট গংয়ের উন্নয়ন তো পুরো দেশের উন্নয়ন নয়?
লুটেরাদের ফুলে ফেঁপে ওঠা টাকা তো উন্নয়নের সূচক, মাপকাঠী নয়!
রাস্তার প্রতিদিনের জীভেন লুকানো আছে সত্যিকারের সূচক!
বাস্তবতার কঠিন সত্য।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য হচ্ছে।
৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ঢাকাকে বুঝতে সহজ হচ্ছে।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: আপনারা যারা দূরে থাকেন তাদের কথা মনে করেই এই পোষ্ট।
৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮
কিরমানী লিটন বলেছেন: সুইজারল্যান্ডের টুকরো চিত্র, সরি জাপান- না সিঙ্গাপুর!!!
খুব ভালো লাগলো এই চেনা- অচেনা শহরের, জীবনের খন্ডচিত্রগুলো। শুভকামনা জানবেন প্রিয় রাজীব নুর ভাই....
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: ভালোবাসা নিরন্তর।
৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৩৮
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ফটো ব্লগ ভালো পাই, তাই অনেক অনেক ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার ফোটো ব্লগও আমার কাছে খুব ভালো লাগে।
৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫৫
ইসিয়াক বলেছেন: বন্ধু আপার বাসায় টবে লাগানো পাতা বাহার বা যে নামই বলেন না কেন , গাছগুলো কিন্তু বিষাক্ত । আপনি কি জানেন?
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: এটা দিয়ে আমার ঘর ভরা।
৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:৪৭
সুপারডুপার বলেছেন: ছবি ১০ :
এম পি - মন্ত্রীরা গাড়ি নিয়ে বের হলেও, হয় চোখ বন্ধ করে রাখেন অথবা ভাবেন ১৬ কোটি ৭১ লাখের মানুষের দেশে ৪৮ লাখ শিশু ( মোট শিশুর ১২.৬%) শ্রম করলে কিছু হয় না। আমাদের শিশুরা তো দুধে -ভাতে আছে।
জানিনা বাংলাদেশের জনগণ কিভাবে এই অমানুষ এমপি -মন্ত্রীদের মেনে নিয়ে চলে যাচ্ছে।
এই শিশুদের জন্ম -ই তাদের অমানুষিক শিশু শ্রম ভাগ্য নির্ধারণ করেছে। জন্মের আগে যদি কোনো জীবন থেকে থাকে, জানিনা এই শিশুরা সেই জীবনে কি অপরাধ করেছিল, যে তাদের এই বাংলাদেশে এমন দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করতে হয়েছে, যেখানে তাদের স্কুল যাওয়া বাদ দিয়ে অমানুষিক শিশু শ্রম করতে হচ্ছে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: এই দেশে কেউ ভালো নেই।
শুধু রাজনীতিবিদ এবং তাদের ছত্রছায়ায় লোকজন ছাড়া।
৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৬
শাহাবুিদ্দন শুভ বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট। সবার সচেতনতা প্রয়োজন।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
১০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
১১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭
অয়ন আহমেদ বলেছেন: সুন্দর ছবি ও গল্প। ভালো লাগল।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান।
১২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩
মা.হাসান বলেছেন: ছবি ভালো লেগেছে।
বিশ্লেষনের ক্ষেত্রে পজিটিভ হবার অনুরোধ করবো।
হাসপাতালের সিড়িতে বসার কথা না ভেবে ভাবুন এত বড় হাসপাতাল, জ্যামের কথা না ভেবে ভাবুন সবার কাছেই গাড়ি, ছেলেটার বয়সের কথা না ভেবে ভাবুন দেশে তৈরি চিপস। সবই উন্নয়নের ফল। উন্নয়ন হচ্ছে বলেই এত কিছু দেখছেন।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী ঠিক বলেছেন।
আমাকে পজেটিভ হতে হবে।
১৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৬
প্রামানিক বলেছেন: ছবি বর্ননা ভালই লাগল। ধন্যবাদ
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক শুকরিয়া জনাব।
১৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৭
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ৮ নাম্বার ছবিটি বলছে যে, জাতি হিসেবে আমরা শৃঙ্খলা মানতে নারাজ। সব জাগাতেই এমন এলোমেলো অবস্থা।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: জাতিকে ঠিক করতে হবে।
১৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৩৪
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: সে যাই বলেন ভাইয়া, আমি কিন্তু টের পেয়ে গেছি যে ভাবী অনেক টাকাওয়ালা ! বাসার মানিপ্ল্যান্টের গাছগুলো দেখলেই বুঝা যায়
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা--------
১৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:১৮
রক বেনন বলেছেন: রাজীব ভাইয়ের বাসা তাহলে টাকার গাছে ভরা!!
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০
ইসিয়াক বলেছেন: ছবিগুলান ভালো হইছে