নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আমার ভাবতে ভালো লাগে, বাংলাদেশ হবে একটি আনন্দময় দেশ। কোনো দুঃখী মানুষ থাকবে না। ফুটপাতে কারো ঘর থাকবে না। প্রতিটা শিশু স্কুলে যাবে। সিগনালে গাড়ি থামলে একজনও ভিক্ষুক খুঁজে পাওয়া যাবে না। পত্রিকা খুললেই সব ভালো ভালো খবর থাকবে। কেউ কাউকে কুঁপিয়ে মারবে না। সবার প্রতি সবার থাকবে এক আকাশ ভালোবাসা। এটা কঠিন বা অসম্ভব কিছু না। একটু চেষ্টা করলেই সম্ভব। এই দেশ বদলে যেতে শুরু করেছে। খোজ নিয়ে দেখুন গত দশ বছরে কত কত গাড়ি আর বাইক বিক্রি হয়েছে। কত কত ফ্লাট বিক্রি হয়েছে।
অনেক ভেবেচিন্তে দেখলাম, বাংলাদেশের বেশির ভাগ লোক'ই ভালো। তারা দেশকে ভালোবাসে, ভালোবাসে দেশের মানুষকে। পৃথিবীর অনেক দেশেই মেয়েরা বাসে ট্রেনে দাঁড়িয়ে তাদের গন্তব্যে যায় কিন্তু আমাদের দেশে কোনো মেয়ে দাঁড়িয়ে তাদের গন্তব্য যায় না, আমরা সিট ছেড়ে দেই। আমি নিজে দেখেছি- আমাদের দেশের ট্রাফিক পুলিশ- রাস্তার সব গাড়ি থামিয়ে ছোট ছোট বাচ্চা আর বৃদ্ধ ও বৃদ্ধাকে হাত ধরে রাস্তা পার করে দিচ্ছেন। ভাবতেই আনন্দ হয়, মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু! প্লেনের টিকিট পাওয়াই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। অসংখ্য লোক রোজ ইউরোপ আমেরিকা বেড়াতে যাচ্ছে।
আমি নিজে দেখেছি, আকাশ ভরা মেঘ দেখে এক রিকশাওয়ালা রাস্তার পাশে তার রিকশা থামিয়ে চা শেষ করে বেনসন সিগারেট ধরায়। কারো রক্তের প্রয়োজন হলে ছুটে যায় রক্ত দিতে। অচেনা কোথাও গিয়ে কাউকে ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে দেখবেন, সে আপনাকে খুব সুন্দরভাবে চিনিয়ে দেবে। বাসে উঠলে টাকা নেই বললে, কন্ট্যাকটরও হাসি মুখে মেনে নেয়। দেখেছি, সরকারী হাসপাতাল গুলোতে ডাক্তার দরিদ্র লোকদের এক আকাশ ভালোবাসা নিয়ে চিকিৎসা করছেন। শপিংমল গুলোতে উপচে পড়া ভিড়।
জানি, ছোট একটা দেশ, মানুষ অনেক। তাই কিছু সমস্যা তো থাকবেই। সমস্যা গুলো আমাদের সবাইকে মিলে সমাধান করতে হবে। আমরা জানি, দেশের প্রতি আমাদের কত ভালোবাসা। অন্য কোনো জাতি আমাদের মতো এতো দেশ নিয়ে ভাবে না। রাস্তার পাশে কোনো চায়ের দোকানে দাঁড়ালেই আপনি তা বুঝতে পারবেন। যখন ক্রিকেট খেলা হয়- আমরা চিৎকার করে গলা ভেঙ্গে ফেলি। যদি জিতে যাই- আনন্দে একটু পরপর চোখ মুছি। পতাকা নিয়ে রাস্তায় বেড়িয়ে পড়ি। ১৫০ টাকা পেঁয়াজের কেজি। তবু মানুষ পেঁয়াজ কিনছে। আসলে মানুষের হাতে টাকা আছে।
বর্তমান সরকার দেশের জন্য অনেক কাজ করছে। তারা যে বলে, ’এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ’ কথাটা খুব একটা ভুল বলে না। আপনি একটি বার ভেবে দেখুন- ছোটবেলা দেখতাম, ভিক্ষুকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিকট সুরে ভিক্ষা করত কিন্তু এখন তারা অনেক স্মার্ট হয়েছে- সিগনাল পড়লে খুব ভদ্রভাবে এসে বলে স্যার পাঁচটা টাকা দেন। অথবা একটা হকার এসে বলবে, স্যার এডলফ হিটলারের ভালো একটা অনুবাদ বই আছে, ইচ্ছা হলে আপনি সংগ্রহে রাখতে পারেন। একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন, দেশে বেকারের সংখ্যা খুব দ্রুত কমছে। প্রতিদিন বড় বড় শহর গুলোতে নাচ গানসহ নানান রকম অনুষ্ঠান হচ্ছে।
বাজারে গেলে মনটা খুশিতে ভরে যায়- কোনো কিছুর অভাব নেই। কি সুন্দর করে সবজি গুলো সাজিয়ে রাখে। লাইটের আলোতে মাছ গুলো ঝকমক করে, দেখেই মনটা খুশিতে ভরে যায়। এখন আর এদেশে কেউ না খেয়ে থাকে না। আমি বিভিন্ন বস্তিতে গিয়ে দেখেছি- একদম দরিদ্র লোকেরা ছোট্র মাটির চুলা বা কেরোসিনের চুলায় নানান রকম খাবার রান্না করে পরিবারের সবাই মিলে খাচ্ছে। এবছর অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক ইলিশ মাছ হয়েছে। দামও কম। এখ আমি মানুষ একটা ইলিশ মাছ কিনে না। এক হালি কিনে। আমি নিজেই সাতটা ইলিশ কিনে ফ্রিজে রেখে দিয়েছি।
একসময় এদেশের মানুষ খুব দুঃখী ছিল। তারা ভাতে দুঃখী, কাপড়ে দুঃখী, ভালোবাসায় দুঃখী। কিন্তু আজ দেশের প্রতিটা মানুষ তিনবেলা খায়। উলঙ্গ একজন পাগলও চোখে পড়ে না সমসত শহরে। ঘরে-বাইরে, পার্কে, কলেজে, বড় বড় শপিং মলে এমন কি অফিসে পর্যন্ত মানুষের হাসিমাখা মুখ। হাসিমাখা মুখ দেখে আমার মনটা খুশিতে নেচে ওঠে। একটু আগে চা খেয়েছি, তারপরও আবার রাস্তার পাশের দোকানে দাঁড়িয়ে বলি- মামা এক কাপ চা দেন। দুধ চিনি বেশি। চা বিক্রেতা হাসি মুখে চায়ের কাপ এগিয়ে দেয়। আমিও হাসিমুখে কাপ হাতে নিই। একজন চা বিক্রেতাও মাসে ৩০/৪০ হাজার টাকা আয় করে।
অনেককেই দেখি, রাস্তায় যানজটে পড়লে মুখটা কুঁচকে থাকেন। আরে ভাই, একটু ভালো করে দেখুন- একটা ছেলে কি হাসি মুখে আমড়া বিক্রি করছে। আমড়া গুলো কি সুন্দর করে সাজিয়ে ধরে রেখেছে। কেউ বাদাম বিক্রি করছে, বাদাম কিনলে সাথে আবার ছোট্র একটা কাগজে এক চিমটি লমও দিয়ে দেয়। আমড়া, বাদাম ভালো না লাগলে- ভালো করে তাকিয়ে দেখুন- একটা ছোট ছেলে খবরের কাগজ বিক্রি করছে, পাঁচ টাকা দিয়ে কিনে পড়তে শুরু করেন। যদি তাও ভালো না লাগে তাহলে মোবাইলে গেমস খেলুন। মেট্রোরেলটা হয়ে গেলে মুহুর্তের মধ্যে উত্তরা থেকে মতিঝিল চলে আসবো।
শুধু গ্রামের মানুষ না। ঢাকা শহরের মানুষ গুলোও সহজ সরল। কোথাও আগুন লাগলে সাধারন মানুষ পর্যন্ত সাহয্যের জন্য এগিয়ে আসে। যখন আপনার মন মেজাজ বিক্ষিপ্ত থাকবে তখনই শুধু আপনার মনে হবে এরা বদ। বিরাট বদ। সব কিছু সহজ ভাবে দেখুন। দেশের মানুষকে ভালোবাসুন তাহলেই আপনার দেশকে ভালোবাসা হয়ে যাবে। আর এভাবে একদিন দেখবেন ঠিকই বাংলাদেশ আনন্দময় একটা দেশে পরিনত হবে। এজন্য আমাদের সবার মিলে মিশে থাকতে হবে। রাগ, হিংসা, বিদ্বেষ এবং অলসতা সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। আসুন গান গাই-
''আমরা করব জয়, আমরা করব জয়- একদিন,
ও বুঁকের গভীরে আছে প্রত্যয়, আমরা করব জয় নিশ্চয়।
জয় বাংলা।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে এরা ঢাকা শহরের স্থায়ী বাসিন্দা না।
হুট করে খালি হাতে ঢাকা চলে আসছে। দিন শেষে গ্রামে ফিরে যাবে।
২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩০
সোনালী ডানার চিল বলেছেন: দেশের মঙ্গল হোক-
জয় হোক গণমানুষের!
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই অবশ্যই।
৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০২
ইসিয়াক বলেছেন: আমরা করব জয় , আমরা করব জয় ,
আমরা করব জয় নিশ্চয় |
আহা বুকের গভীর, আছে প্রত্যয়
আমরা করব জয় নিশ্চয় | আমরা করব জয় , আমরা করব জয় ,
আমরা করব জয় নিশ্চয় |
আহা বুকের গভীর, আছে প্রত্যয়
আমরা করব জয় নিশ্চয় | আমাদের নেই ভয়, আমাদের নেই
ভয়,
আমাদের নেই ভয় আজ আর ,
আহা বুকের গভীর, আছে প্রত্যয়
আমরা করব জয় নিশ্চয় | আমরা নই একা, আমরা নই একা,
আমরা নই একা আজ আর ,
আহা বুকের গভীর, আছে প্রত্যয়
আমরা করব জয় নিশ্চয় | শত যে সাথী, শত যে সাথী ,
শত যে সাথী মোদের,
আছে মুক্তি নুতন বক্ষ পাতি,
শত যে মোদের সাথী | আমরা করব জয় , আমরা করব জয় ,
আমরা করব জয় নিশ্চয় |
আহা বুকের গভীর, আছে প্রত্যয়
আমরা করব জয় নিশ্চয় |
আমরা করব জয় নিশ্চয় |
আমরা করব জয় নিশ্চয় | .
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: !
৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৪
ইসিয়াক বলেছেন: আমরা করবো জয়!
আমরা করবো জয়!
আমরা করবো জয়!
একদিন...
আহা বুকের গভিরে আছে প্রত্যয়
আমরা করবো জয়!একদিন...
আমরা করবো জয়!
আমরা করবো জয়!
আমরা করবো জয়!একদিন...
আহা বুকের গভিরে আছে প্রত্যয়
আমরা করবো জয়!
একদিন...
একদিন সূর্যের ভোর
একদিন স্বপ্নের ভোর
একদিন সত্যের ভোর আসবেই...
এই মনে আছে বিশ্বাস
আমরা করি বিশ্বাস
সত্যের ভোর আসবে একদিন...
একদিন সূর্যের ভোর
একদিন স্বপ্নের ভোর
একদিন সত্যের ভোর আসবেই...
এই মনে আছে বিশ্বাস
আমরা করি বিশ্বাস
সত্যের ভোর আসবে একদিন...
আর নয় ধ্বংশের গান
জনতার ঐকতান
সৃষ্টির সুরে হবে গান একদিন...
এই মনে আছে বিশ্বাস
আমরা করি বিশ্বাস
সৃষ্টির সুরে হবে গান একদিন...
আর নয় ধ্বংশের গান
জনতার ঐকতান
সৃষ্টির সুরে হবে গান একদিন...
এই মনে আছে বিশ্বাস
আমরা করি বিশ্বাস
সৃষ্টির সুরে হবে গান একদিন...
আমরা মানি নাকো বাঁধা বন্ধন
হাতে বাধি রাঁখি বন্ধন
সাম্যের সত্যের জয় একদিন...
এই মনে আছে বিশ্বাস
আমরা করি বিশ্বাস
সাম্যের সত্যের জয় একদিন...
আমরা মানি নাকো বাঁধা বন্ধন
হাতে বাধি রাঁখি বন্ধন
সাম্যের সত্যের জয় একদিন...
এই মনে আছে বিশ্বাস
আমরা করি বিশ্বাস
সাম্যের সত্যের জয় একদিন...
আমরা করবো জয়!
আমরা করবো জয়!
আমরা করবো জয়!
একদিন...
আহা বুকের গভিরে আছে প্রত্যয়
আমরা করবো জয়! একদিন...
আমরা করবো জয়!
আমরা করবো জয়!
আমরা করবো জয়!
একদিন...
আহা বুকের গভিরে আছে প্রত্যয়
আমরা করবো জয়! একদিন...
আমরা করবো জয়!
একদিন...
আমরা করবো জয়!
একদিন...
আগের মন্তব্যটি মুছে দিন রাজীব ভাই
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: না থাক।
৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩০
আরাফ পাটোয়ারী বলেছেন: কেন জানি মনে হচ্ছে পরিস্থিতি একটু নাজুক, বিচারব্যবস্থা একটু হালকা, কিছুটা নড়বড়ে।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: সব ঠিক হয়ে যাবে।
৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইয়ের আজকের পোস্টটি ব্যতিক্রমী। চমৎকার লাগল। এমন পজিটিভ ভাবনা শক্তি একটা দেশে যত বেশি সংখ্যক মানুষের থাকবে সে দেশের উন্নতি তত দ্রুত হতে বাধ্য।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: পজেটিভ ভাবনা ভাবাই বুদ্ধিমানের কাজ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর লেখা
কিন্তু এখনো রাস্তাঘাটে অসংখ্য ভাসমান মানুষ
দেখলে বড় কষ্ট হয়