নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
রাতে পৌঁছেই হোটেলে রুম নিয়ে নিলাম।
ফ্রেশ হয়ে নিচে নামলাম রাতের খাবার খাওয়ার জন্য। প্রিন্স রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খেলাম। রুই মাস, আলু ভর্তা, ডাল ভর্তা আর ডাল। ভাত খেয়ে আর কোথাও গেলাম না। বেশ ক্লান্ত আমরা। ঘুম দিলাম। গভীর ঘুম। এক ঘুমে রাত পার। সকালে উঠে দেখি ওয়াশ রুমে টিস্যু নেই, গরম পানির ব্যবস্থা আছে কিন্তু মেশিন নষ্ট, পানির বোতল নাই, তোয়ালে নাই, সাবান-সেম্পু কিচ্ছু নেই। এমন কি মোবাইল চার্জ দিতে পারলাম না। নিচে ওদের জানালাম আমাদের সমস্যা। ওরা আমাদের সমস্যার কথা কানেই নিলো না। বলল, টিস্যু এবং মোবাইল চার্জ দেওয়ার জন্য থ্রী প্লাগ বাইরে থেকে কিনে নেন। অথবা টাকা দেন আমরা কিনে এনে দেই। অথচ রুম ভাড়া নিলো ষোল শ' টাকা। বুঝে গেলাম ওরা বেয়াদপ। দুষ্টলোক। ওদের সাথে আর কোনো কথাই বললাম না। দুষ্টলোক থেকে আমি সারা জীবন দূরে থাকতে চেষ্টা করি। অন্য হোটেলে যে যাবো সেই উপায়ও নেই। রাতেই হোটেলের চার দিনের টাকা একসাথে দিয়ে দিয়েছি। যাই হোক, সকালে এক হোটেলে নাস্তা করলাম। নাস্তা করে নিউ মার্কেটের দিকে গেলাম। সুরভি হাবি-জাবি অনেক কিছু কেনাকাটা করলো। আমি আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম সুরভি যা কিনতে চায় কিনে দিব।
সুরভি মোট একান্ন হাজার টাকার কেনাকাটা করেছে।
নিজের জন্য কিনেছে। বান্ধবীদের জন্য কিনেছে। আমার ভাই ভাবীর জন্য কিনেছে। মা বাবার জন্য কিনেছে। যা-ই কিনেছে, আমি কিচ্ছু মানা করি নাই। আমাকে জিজ্ঞেস করেছে- এটা নিবো? আমি লক্ষ্মী ছেলের মতোণ বলেছি- লে লো। কোলকাতায় বেশির ভাগ লোকই দেখি হিন্দিতে কথা বলে। যারা বাঙ্গালী তারাও হিন্দিতে কথা বলে। ওদের সাথে হিন্দিতে কথা বলতে বলতে আমি নিজেও হিন্দিতে কথা বলা শুরু করেছি। একসময় দেখা গেল আমি সুরভির সাথেও হিন্দিতে কথা বলছি। সুরভি আমার হিন্দি শুনে হাসতে হাসতে শেষ। সুরভির হাসার কি আছে! আমি তো হিন্দি পারি। সুরভি কি কি কিনেছে তা একটু বলে নিই। কুর্তি পাঁচ টা, জুতো পাঁচ জোড়া, এমিটেশনের গহনা, কাজল, বডি স্প্রে, সাবান- ছয়টা করে, ক্রীম, পারফিউম, অলিভ ওয়েল তেল (বড় বোতল), লেডিস ব্যাগ দুইটা, পার্স দুইটা, শনপাপড়ি তিন প্যাকেট, কিটকেট বড় দুই পেকেটসহ ইত্যাদি জিনিসপত্র। আরো কি কি যেন আছে, এই মুহুর্তে ঠিক মনে করতে পারছি না। নিশ্চয়ই ভাবছেন আমি কি কিনেছি? আমি কিনেছি দুইটা জান্ডু বাম। চল্লিশ টাকা করে দাম। আর কিচ্ছু না। অবশ্য সুরভি অনেক কিছু কেনার জন্য আমাকে বলেছে। আমি কিছুই কিনি নি। আসলে আমার কিছুর প্রয়োজন নেই।
পদাতিক চৌধুরি। আমাদের ব্লগার।
উনার আন্তরিকতায় আমি এবং সুরভি মুগ্ধ। উনি অসংখ্য বার ফোন দিয়েছেন। প্রতিটা মুহুর্ত যোগাযোগ রেখেছেন। ফোনে না পেলে ম্যাসেজ দিয়েছেন। যাই হোক, দাদার কথা এখানে বলব না। দাদাকে নিয়ে আলাদা পোষ্ট দিবো। কোলকাতায় প্রথম দিন কেনাকাটা করেই কেটেছে আমাদের। কোথাও যাই নি। পরের দিন সকালে সুরভি আর আমি সকালের নাস্তা করেই এলোমেলো হাঁটা দিলাম। হাঁটতে হাঁটতে পাতাল ট্রেনের কাছে চলে গেলাম। কোলকাতা মেট্রো রেল। খুব সুন্দর। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। সকালের দিকে মানুষ সঠিক সময়ে অফিসে যাওয়ার জন্য মেট্রো রেলের দিকে ছুটছে। সবাই ভীষন ব্যস্ত। তাদের ব্যস্ততা দেখে ভালো লেগেছে। পথে পথে গেন্ডারি রসের অনেক দোকান। আমি আর সুরভি অসংখ্যবার আখের রস খেয়েছি। এক গ্লাস দশ/পনের টাকা করে। আমি প্রতিদিন ওদের দৈনিক পত্রিকা পড়েছি। বেশ কিছু দৈনিক আছে ওদের। তবে আমি পড়েছি- আনন্দবাজার, এই সময় এবং বর্তমান নামের দৈনিক। সুরভি কেনাকাটায় ব্যস্ত আমি পত্রিকা পড়ে সময় পার করেছি।
কোলকাতায় চার পাচ জনকে চিনি।
তারা একসময় বাংলাদেশে ছিলেন। এখন পাকাপাকিভাবে কোলকাতায় বসবাস করছেন। অবশ্য আমি যে কোলকাতায় আসছি তা তাদেরকে জানাই নি। শুধু মাত্র আমাদের পদাতিক চৌধুরী (দাদা)কে ছাড়া। যাই হোক, পরের দিন সকালে চলে গেলাম বোলপুর, শান্তিনিকেতন। হাওড়া থেকে ট্রেনের টিকিট কেটে নিলাম। স্টেশন ভর্তি মানুষ। এত এত লোক। নানান ভাষার লোক। নানান রকম লোক। বিশাল স্টেশন। সেই তুলনায় আমাদের কমলাপুর রেলস্টেনকে ছোট বলেই মনে হলো। যাই হোক, দুজনের টিকিট নিলো ষাট টাকা। বোলপুর, স্টেশনে নামলাম। বোলপুর যেতে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লাগলো। ট্রেনে বেশ ভালো লেগেছে তবে মাঝে মাঝে জানালা দিয়ে বিষ্ঠার বাজে গন্ধ এসেছে। যাই হোক, একটু পর ঝালমুড়ি ওয়ালা আসছে, গরম সিঙ্গাড়া, চা-কফি, সুই-সেফটিপিন, পত্রিকা, বই, আলুর চিপস ইত্যাদি হকার। হকারের ডাকে আমাদের কামরা গম গম করছে। ট্রেনেই এক বাঙ্গালী পরিবারের সাথে আলাপ হলো। পরিবারটি বেশ ভদ্র। শান্ত। তারা আমাদের শান্তিনিকেতন সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য দিলেন। তাদের ফোন নম্বর দিলেন, আমাদের ফোন নম্বর নিলেন। এমন কি সাথে সাথে সুরভির ফেসবুকে এড হলেন। বোলপুর স্টেশনে নামলাম। লিফট আছে। স্টেশন থেকে বের হতেই একগাদা দালাল আমাদের ঘিরে ধরলো। ভয়াবহ অবস্থা!
অটোতে করে শান্তিনিকেতন গেলাম।
অটোকে ওরা বলে টোটো। বিশ টাকা করে ভাড়া। অথচ আপনার কাছে টোটোওয়ালারা ত্রিশ বা চল্লিশ টাকাও চাইতেও পারে। শান্তিনিকেতন নেমে দেখি সব বন্ধ। সাপ্তাহিক বন্ধ। এমন'ই পোড়া কপাল আমার! অবশ্য পোড়া কপাল শুধু আমার না। আমার মতো বহু লোক শান্তিনিকেতনে এসেছে আজ। তাদের সবারই কপাল পোড়া বলা যায়। হে হে....। যাই হোক, তারপরও এপাশ থেকে ওপাশ পর্যন্ত খুব ঘুরে বেড়ালাম। হাঁটতে হাঁটতে পা ব্যথা। সুরভি আবার সেদিন শখ করে শাড়ি পড়েছে। প্রচুর ছবি তুললাম। প্রায় সারাটা দিন শান্তিনিকেতনে কাটিয়ে দিলাম। শান্তিনিকেতনের পরিবেশটা খুব সুন্দর। নানান ধরনের গাছগাছালিতে ভরা। দুঃখের বিষয় প্রস্বাব করার কোনো জায়গা খুঁজে পেলাম না। ছাত্রছাত্রীরা যে হলে থাকে সেখানে তো যাওয়া সম্ভব না। অগত্যা হাঁটতে হাঁটতে এক চমৎকার রেস্টুরেন্ট পেয়ে গেলাম। রেস্টুরেন্টের নামটা খুব সুন্দর। সেই সুন্দর নামটা এখন মনে করতে পারছি না। আফসোস। যাই হোক, সেখানে পরিস্কার, ঝকঝকে তকতকে ওয়াশরুম পেলাম। প্রস্বাব করার পর বেশ হালকা লাগলো নিজেকে। দুপুরে সেই রেস্টুরেন্টে খেলাম। খাবার মন্দ নয়। ফেরার পথে ভয়াবহ অবস্থা। সেই গল্প আগামী পর্বে করবো।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: সে গল্প পরে পোষ্ট করবো।
২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন:
প্রত্যাশা অনুযায়ীই ভ্রমণ চলছে । কিছু ত্রুটি থাকবেই ।
তারপরও উপভোগ করার চেষ্টা করুন
ভাবীকে খুব সুন্দর লাগছে সাথে আপনাকেও ।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৮
মা.হাসান বলেছেন: টানা রিকশায় ভুড়ি ওয়ালা যিনি বসে আছেন উনিই কি পদাতিক চৌধুরী? স্বাস্থ্য তো ভালোই। কোন দোকানের চাল খান উনি?
ঝান্ডু বাম শুধু কিনেছেন, লাগান নাই তো, লাগালে ভাবির এসব কেনাকাটায় কোনো মাথা ব্যথাই হতো না।
চার দিনের হোটেল ভাড়া অগ্রিম দিয়ে দিলেন?! জ্ঞানী লোকদের কারবারই আলাদা।
দুষ্টু লোকদের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেন ভালো, তাহলে ব্লগে কি করেন? এখানে কি আমরা সাধু? কেয়া বাত । আপনার মুখে ফুল চন্দন-দুব্বা পড়ুক।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা
না রিকশায় পদাতিক চৌধুরী নন।
আমার খুব মাথা ব্যাথা হয়। লম্বা সময় ধরে ব্যাথা থাকে।
হোটেলের টাকা আগাম দিয়ে দিলাম কারন- শেষে দেখা যাবে শপিং করতে করতে টাকা শেষ। তাই।
৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব্লগার পদাতিক চৌধুরিকে দেখে আনন্দ পেলাম। এরকম ভুড়িসর্বস্ব ব্লগারকে টানতে যে রিক্সাওয়ালার বেশ কষ্ট হচ্ছে, তা বেশ বোঝা যাচ্ছে (স্যরি পদাতিক চৌধুরি ) !!
ভালোই আনন্দ করেছেন। আমি শেষবার কোলকাতা গিয়েছিলাম ১৯৯৯ সালে। অনেক বদলে গিয়েছে নিশ্চয়ই এখন, কিংবা খুব একটা বদলায়নি......কে বলতে পারে!!
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: আগেরবার গিয়ে নিজের চোক্ষেই সব দেখে আসুন।
৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫২
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তোমরা কি রোববার গেছিলে শান্তি নিকেতনে???
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: রোববার বা সোম বার।
ঠিক মনে করতে পারছি না।
৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাচ্চার পড়ানোর টাইম! প্রথা ভেঙে লগইন করলাম। ইতিমধ্যে দুজন ব্লগার হাতে টানা রিক্সা ওয়ালার সওয়ারীর পরিচয় জানতে চেয়েছেন। উনাদের অনুমান একটু ভুল হয়ে গেছে। উপরের ছবিতে যিনি রিক্সাটা টানছেন তিনিই পদাতিক চৌধুরী। পদাতিক চৌধুরী অফ টাইমে কলকাতার রাস্তায় হাতে টানা রিকশা টানেন। মাঝে মাঝে ব্লগে লেখালেখি করেন। এহেন গরিব বেচারি চৌধুরীর জন্য দোয়া করবেন।
পোস্টটি যারা পড়বেন তাদের জন্য একটি অগ্রিম সতর্কবার্তা রইল। শান্তিনিকেতনে বুধবার ছুটি। ভুল করেও কেউ বুধবারে শান্তিনিকেতনে যাবেন না। আর ওখানে ভ্রমণের উদ্দেশ্য নেওয়া প্রত্যেকটি গাড়ির সঙ্গে আগাম কন্টাক্ট করে নেবেন নইলে দ্বিগুণ পয়সা খসাতে হবে।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: দাদা এক দুই দিনের মধ্যে আপনাকে নিয়ে পোষ্ট দিবো।
সব কিছু দিনের আলোর মতোন পরিস্কার হবে তখন।
৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৯
মা.হাসান বলেছেন: আমিও অনুমান করছিলাম, পদাতিক ভাই ছদ্মবেশে আছেন, ঠিক চেহারায় ছবি তোলানো ঐ পেশায় নিরাপদ না
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে
৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কোথায় যেন পড়েছিলাম, আমাদের পদাতিক চৌধুরি কোন বিদেশী গোয়েন্দা সংস্হায় কর্মরত। ছদ্মবেশ সেই ধারনাকে আরো সুসংহত করেছে। আর ভুড়ি নিয়ে মস্করা করার জন্য দুঃখিত। এমন ফিট বডি সহসা দেখা যায় না।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দামিনীক লাপিয়ের 'সিটি অফ জয়' করার পর তৎকালীন বাম সরকার খুব মনক্ষুণ্ণ হয়েছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কলকাতা শহরের সেই মনক্ষুণ্ণের জায়গাটা বা প্রদীপের নিচে অন্ধকারের জায়গাটা আজো সমান প্রবাহমান। তারই এক জ্বলন্ত উদাহরণ শহরের হাতে টানা রিকশা।মা হাসান ভাই, মফিজ ভাইয়ের ভুঁড়ি নিয়ে দুঃখিত হওয়ার কারণ দেখিনা। বরং ভুঁড়ি নিয়ে এখন থেকে মস্করা না করলে কষ্ট পাবো। শুধু আপনাদের জন্য যত দ্রুত সম্ভব একটি ভুঁড়ি বানানোর চেষ্টা করব। আমি ছোট ভাই রাজীব নূরকে তারই একটা স্যাম্পল কপি পাঠানোর চেষ্টা করছি হাহাহাহাহা
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: যে কোনো কাজেই কষ্ট আছে।
আর যারা টানা রিকশা টেনে নিয়ে যায়। তারা এই কাজ'ই করবে। তারা অন্য কাজ করবে না।
আমাদের বলেছি অন্য কাজ করেন না কেন?
তারা বলেছেন, এই কাজ করেই বেশ চলে যাচ্ছে। তাছাড়া টানা রিকশা যুগ যুগ ধরেই চলছে। এটা আমাদের ঐতিজ্য।
১০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫২
ইসিয়াক বলেছেন: বন্ধু আপনি লেখক মানুষ ।খুব আশা করেছিলাম বই পত্র কিনবেন ।কলকাতার নতুন বইয়ের খবর থাকবে আপনি দেখি তার ধারে কাছেও যাননি .....।বাংলাদেশ বইমেলার খবর পাবো আশা করেছিলাম । যদিও বুলবুল ঝড়ে মেলার লন্ড ভন্ড অবস্থা হয়েছে।
আচ্ছা কফি হাউজে ঢুঁ মারেন নি ? তাহলে কলকাতায় গেছিলেন কেন ? কসমেটিকস কিনতে ?
ব্যাথা পাইলাম। আমি তো কলকাতায় গেলে আগে কলেজ স্ট্রিট এ আগে যাই ।আনন্দ পাবলিশার্স, দে'জ পাবলিশিং, রুপা অ্যান্ড কোং, দেব সাহিত্য কুটীর, সাহিত্যম, পত্র ভারতী এই প্রতিষ্ঠানগুলো আপনাকে আকর্ষণ করেনি ?
মনে কষ্ট নিয়েন না বন্ধু । একটু সমালোচনা করলাম।
পদাতিকদা আপনার ছবি কি ফাঁস করে দেব ?
বিঃদ্রঃ আজ একটু সমালোচনার মুডে আছি হুহ। হে হে হে
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমার ভ্রমন কাহিনি এখনও শেষ হয়নি।
গল্প আরো বাকি আছে।
কাহিনি আবি শেষ নেহি হুয়া।
১১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আগের পর্বের নির্যাস মনে হলো!
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: আরো দুই পর্ব আছে নূর ভাই।
১২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দু্ই নম্বর ছব্টিার সম্পর্কে কিছু বলুন!
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০১
রাজীব নুর বলেছেন: কোথাও বেড়াতে গেলে সুরভি সব সময় নতুন জামা বানায়। এবং আমার জন্যও নতুন জামা কিনে।
হোটেলে আমাদের রুমটি ছিল একেবারে ছাদের উপরে। একটাই রুম। আর কেউ নেই।
পুরো ছাদ আমরা পেয়ে গেছি।
সকালে রুম থেকে বের হয়ে আমরা ছাদের কোনায় দাঁড়িয়ে ছবি তুলি।
১৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৮
হাবিব বলেছেন:
দিস ইজ পদাতিক চৌধুরী
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০২
রাজীব নুর বলেছেন: তাই নাকি?? !!!!
১৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কলকাতা ভ্রমনের আপনার ২য় পর্ব কয়টা?
বাঙ্গালীরে হাইকোট দেখান?
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: কোলকাতা ভ্রমন- ১
কোলকাতা ভ্রমন- ২
এছাড়া কোলকাতা ভ্রমন নিয়ে আছে ছবি ব্লগ। ক্লিয়ার??
১৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৬
ইসিয়াক বলেছেন: ইয়েস !!!!!!!
পদাতিক চৌধুরী ইজ অন ইয়ার ।
ধন্যবান হাবিব ভাই।
আমার তো মনে হচ্ছে পদাতিক চৌধুরী দাদা একটু সামনে আসতে চাচ্ছিলেন ।
মেঘ বাবা শুভেচ্ছা রইলো।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: !
১৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪১
গোধুলী বেলা বলেছেন: ভাবির সাথে সাথে আপনাকেও কিছু কেনার দরকার ছিলো। ভারতে আসল জিনিসটা পাওয়া যায়।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: আমার তো কোনো জিনিস দরকার নাই।
শুধু অপচয় কেন করবো?
১৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৮
মা.হাসান বলেছেন: @ইস্তিয়াক ভাই- কলেজ স্ট্রিটে কি লোকে বই কিনতে যায়? ওখানে যায় লেবুর জল খেতে। সুরভী আপাকে কে কখন চুরি করে নিয়ে যায় এই পাহারায় থাকতে থাকতে রাজীব ভাই অন্য কোথাও যায় নি। অথবা অন্য ভাবে বললে, রাজীব ভাইকে কখন কোন মেয়ে ধরে নিয়ে বার্গার খাইয়ে দেয় এই জন্য সুরভী আপা নজরে রেখেছিলো।
@ নূরু ভাই- শুধু হাইকোর্ট নাকি, ভিক্টোরিয়া মেমরিয়াল, ভুড়ি, বান্ধবিদের চুড়ি- সবই তো দেখিয়ে দিলো।
@ হাবিব স্যার -- ওটা কি আপনার ছেলে বেলায় তোলা? সাথে কে? রুবির বাবা?
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: সুরভিকে মার্কেটে একা ছেড়ে দিয়েছি। আমি ওর পিছু পিছু ঘুরি নি।
আমাআর এক কোনায় বসে পত্রিকা পড়ে গেছি।
ওর কেনাকাটা করে প্যাকেট গুলো আমার কাছে রেখে, আবার কেনাকাটা করতে গেছে।
১৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৭
জাহিদ হাসান বলেছেন: অভিনন্দন ।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: অভিনন্দন কেন??
আমি তো কোনো দিনই জয়ী হতে পারিনি। অবশ্য কোনো দিন জয়ী হতে চাই নি।
১৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোলকাতা এখনো সুন্দর আছে দেখলাম।
ছবি গুলোও সুন্দর।
পদাতিকদার সাথে দেখা হয়েছে শুনে ভাল লাগলো
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: দেখা হয়েছে।
একটা পোষ্ট দিব তাকে নিয়ে।
অবশ্যই পড়বেন।
২০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১০
হাবিব বলেছেন:
@ মা. হাসান, আমি পদাতিক দাদার পিক দিয়েছি।
@ নূর মোহাম্মদ নুরু ভাই, রাীজ ভাই কলকাতা ভ্রমন নিয়ে দুইটা সিরিজ চালাচ্ছেন। একটা ছবি ব্লগ, অন্যটা ভ্রমন কাহিনী।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১০
রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস।
ইউ রাইট ম্যান।
২১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: পদাতিকদার সাথে কি করলেন, কি গল্প করলেন, ব্লগ ও ব্লগারদের নিয়ে কি কথা হল, তা একেবারে ইন ডিটেইল পোস্ট চাই
সুরভী ভাবী মোটে পঞ্চাশ হাজার টাকার শপিং করেছে!! আপনে ভাগ্যবান।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১২
রাজীব নুর বলেছেন: পদাতিক দাদার সব গল্প লিখব। অবশ্যই।
আমি দরিদ্র মানুষ। এই টাকা আমার কাছে অনেক টাকা। পরিশ্রম করে ইনকাম করা টাকা। সৎ পথের টাকা।
২২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪১
এমজেডএফ বলেছেন: কোলকাতার পথে পথে - ছবি ব্লগ এবং কোলকাতা ভ্রমন - ১ ও ২ পড়লাম। আপনার ভ্রমণের ভালো-মন্দ অনেক কিছু জানলাম। যতটুকু বুঝলাম ভ্রমণের আগে তেমন কোনো পরিকল্পনা করেন নাই। বর্তমান ইন্টারনেট -অনলাইনের যুগে আগে থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জেনে নিলে নিম্নমানের এই বাজে হোটেলে উঠতে হতো না এবং বন্ধের দিন শান্তি নিকেতনে গিয়ে পস্তাতে হতো না।
কলকাতার রাস্তাঘাট, গাড়ি, টানা রিকশা ইত্যাদির ছবি দেখে মনে হলো এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও কলকাতার আশানুরুপ উন্নতি হয়নি। লোকজন, দোকানপাট, হকার, রেল ভ্রমণ সবকিছু অনেকটা ঢাকার মতই। আসলে বাঙালি হিসাবে আমাদের মধ্যে অনেক মিল শুধু পার্থক্যটা—একটা ঘটি আরেকটা বাঙাল! কাচলত প্রায় একরকম ।
এই পোস্টের ২য় ছবিটা দেখে প্রথমে মনে করেছিলাম কলকাতায় পুরানো দিনের বাংলা ছায়াছবি "হারানো সুর" দেখে উত্তম কুমার - সুচিত্রা সেনের পোস্টারের ছবি দিয়েছেন! পোস্টারের আসল নায়ক-নায়িকাকে চিনতে সময় লেগেছে । যা-ই হোক, ছবিটি খুব সুন্দর হয়েছে - পোউজ্, চাহনি, লাইটিং, এঙ্গেল সব কিছুর সুন্দর কম্বিনেশন। ছবিটি যিনি তুলেছেন তাকে এবং ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: আসলেই কোনো প্লান করি নি আগে থেকে।
ইচ্ছা করেই কোনো পরিকল্পনা করি নি।
আল্লাহর রহমতে কোনো সমস্যাও হয়নি।
ছবিটা সুরভি তুলেছে। সেলফি।
২৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৬
ইসিয়াক বলেছেন: ছবিগুলো কিন্তু অসাধারণ হয়েছে।
একেবারে রূপকথার রাজারাণি ......।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি আমার বন্ধু।
আপনি তো খারাপ বলবেন না।
২৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৩
সাইন বোর্ড বলেছেন: প্রথম পর্ব পড়লেও মন্তব্য রাখা হয়েছিল না, দ্বিতীয় পর্বও পড়লাম । খুব শীঘ্রই আমিও কোলকাতা যাব, তবে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে, ঘুরাঘুরিটা বোনাস হিসেবে থাকবে ।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২১
রাজীব নুর বলেছেন: গুড।
যান। তবে মনে করে অনেক ছবি তুলবেন।
২৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩২
হাবিব ইমরান বলেছেন: বাহ, আপনার লেখাটি ভালো একটা ভ্রমণ কাহিনী হিসেবে আমার কাছে মনে হচ্ছে। অসাধারণ।
যদিও দুষ্টুলোকেদের দুষ্টুমির জন্য সাময়িক অসুবিধায় পড়েছেন জেনে খারাপ লাগছে। ওরা আসলেই বেয়াদব। তাই এর প্রভাব ভ্রমণের আনন্দে ফেলবেন না।
হিন্দির ভাষায় কথা বলাটা কিন্তু দারুণ। আমি উপভোগ করেছিলাম খুব। বাংলার পাশাপাশি আরো দুয়েকটা ভাষা জানাটাও কিন্তু আনন্দের। এ বছরের মাঝামাঝিতে যখন সৌদিতে গিয়েছিলাম সেখানে ভারতীয় আর পাকিস্তানিদের প্রভাবে হিন্দি-উর্দুতে কথা বলায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। পনের দিনের মধ্যে পুরোদস্তুর হিন্দিভাষী হয়ে পড়লাম। শপিং কমপ্লেক্স, হোটেল, ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস সহ সব জায়গায় ভারত-পাকিস্তানের মানুষ এতো বেশি ছিলো যে নিজেকে আর বিদেশিই মনে হয়নি, মনে হয়েছিলো আমি ইন্ডিয়া বা পাকিস্তানের কোন স্টেটে আছি। আমি যে সৌদি আছি তাও ভুলে গেলাম। পনের দিন পর দেশে আশার পরেও কিছুদিন হিন্দির রেশ থেকে গিয়েছিলো।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: ভ্রমন কাহিনি কিভাবে লিখতে হয় আমি জানি না।
যা দেখেছি তাই লিখেছি।
২৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৬
ল বলেছেন: ব্লগের প্রিন্সের দেখি প্রিন্স হোটেলে খাবার খায় -
পদাতিক চৌধুরীকে নিয়ে ডিটেইলস পোস্টের অপেক্ষায় রইলুম।।।
@হাবিব স্যার -- আপনার বন্ধু প্রধান শিক্ষক ও কথাশিল্পী নির্মল চৌধুরী ও তার ছেলের ছবিটা সুন্দর।।।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমি দরিদ্র মানুষ। প্রিন্স টিন্স নই।
২৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৭
মিজান ঢাকা ব্লগ বলেছেন: আপনার ছবিগুলো আপনাদের দম্পতির মতই প্রাণবন্ত এবং ঝকঝকে। কি ক্যামেরা ভাই?
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: মোবাইল। হুয়াওয়ে
নোভা থ্রি আই।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৬
হাবিব বলেছেন: সাথে আরেকজনকে নিয়ে যেতে পারতেন ছবি তোলার জন্য। পদাতিক দা কি বাসায় নিয়েছিলো? জানার অপেক্ষায় রইলাম