নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
মনের শান্তির জন্য নিজেকে সময় দিন।
আজকে পৃথিবীতে লোকেদের মনে শান্তি নেই আর তারা একজন আরেকজনের সঙ্গে মিলেমিশে শান্তিতে থাকতে পারে না। কেন? আসলে এই পৃথিবীটা মনের জন্য প্রকৃত শান্তির জায়গা নয়। এখন আপনি আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন কেন শান্তির জায়গা নয়? পৃথিবীর মানুষগুলোর মনের মধ্যে সার্বক্ষনিক কোন না কোন বিষয় নিয়ে অশান্তি বিরাজ করছে। কারণ এই পৃথিবীতে মানুষের জীবন লিমিটেড। আবার এই লিমিটেড সময়ে মানুষকে সারাটা জীবন যুদ্ধ করেই বেঁচে থাকতে হয়। আর যুদ্ধ ক্ষেত্রের সর্বত্র অশান্তি বিরাজ করে, শান্তি নয়। জীবনে অনেক ব্যর্থতা আছে। ব্যর্থতা ছাড়া জীবনে সফলতা পাওয়া যায় না। সেই ব্যর্থতার অছিলায় আমরা অন্যদের হিংসা করি। কখনো সজ্ঞানে আবার কখনো জেনে শুনে। যদি শান্তি চান- হিংসায় বশবতী হয়ে কখনই কোন কাজ করবেন বা অপরের ক্ষতি করবেন না। মনে রাখবেন, হিংসা করে কখনই সুখি কিংবা সফল হওয়া যায় না। মানুষকে ভালোবাসুন, ভালোবেসে যান- বিনিময়ে কখনও কিছু আশা করবেন না।
ভুলেও কারো সমালোচনা করবেন না।
আমরা নিজেরা কিন্তু চাই না কেউ আমাদের নিয়ে বাজে কিছু বলুক, তাই আমাদেরও উচিত কাউকে বাজে কথা না বলা। আপনার জীবনের সব চাওয়া কখনও পূর্ন হবে না- এটা ধরে নিয়েই জীবন যাপন করুন। আমাদের মানসিক অশান্তির সবচেয়ে বড় কারণ মানুষ কী ভাববে, তা ভাবা। আসলে মানুষ আদতে আপনাকে নিয়ে কিছুই ভাবেনি কিন্তু আপনি অনেক কিছু ভেবে বসে আছেন। আরে ভাই, মানুষের এত সময় কই আপনাকে নিয়ে ভাবার? আমরা যে কোন আড্ডায় অন্যদের নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি। আমাদের পছন্দ হলেও বিষয়টি ভালো নয়। অবচেতন মনে অন্যদের নিয়ে কথা বলতে বলতে আমরা নেতিবাচক কথার দিকে চলে যাই। অন্যদের নিয়ে কথা বলার অভ্যাস পরিহার করতে হবে। চেষ্টা করুন নতুন নতুন ধারণা নিয়ে কথা বলতে। নতুন কোন বই, মুভি কিংবা ঘুরাঘুরি নিয়ে পরিকল্পনা করুন। যতটা সম্ভব আলাপ আলোচনায় নতুনত্ব আনার চেষ্টা করুন। সবসময় দূরে থাকুন অন্যদের নিয়ে বাজে আলোচনা করা তাহলে আপনার মনটা অনেকটা সুন্দর ও সাবলীল থাকবে।
যারা খুব ধার্মিক, তারা দিন শেষে আল্লাহর রহমতে ভালোই থাকে। তাদের বিশ্বাসই তাদের ভালো রাখে। ধার্মিকেরা এই দু'আ পড়বেন- 'আল্লাহুম্মা আংতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, হাইয়্যিনা রাব্বানা বিস-সালাম।’ অর্থ: হে আল্লাহ! তুমিই তো ‘সালাম’; শান্তি তো তোমারই পক্ষ থেকে বর্ষিত হয়। সুতরাং হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে সুখ ও শান্তিতে জীবিত রাখুন।’ সুতরাং দুনিয়ার সব ধরনের পেরেশানি থেকে মনকে শান্ত রাখতে উল্লেখিত দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ধরনা দেয়া যায়। আল্লাহ তাআলা মানুষকে অশান্ত মনকে শান্ত করে দিতে পারেন। মানুষকে নিয়মতান্ত্রিক স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনের আদেশ দেন। আর সেই আদেশ-বিধিনিষেধ মেনে চললে জীবনে শান্তি আসবে, সুখ আসবে। সৃষ্টিকর্তার ওপর যার বিশ্বাস যত দৃঢ়, বস্তু জগতে তিনি তত সুখী। ধর্মের সমস্ত নিয়ম কানুন আপনাকে ইহকাল পরকাল দুই জাহানেই ভালো রাখবে। কাজেই কোরআন হাদিসকে আকড়ে ধরুন।
সুখ-শান্তি বৈষয়িক বা জাগতিক কোনো ব্যাপার নয়।
সুখ বহুলাংশে মনস্তাত্ত্বিক বা আধ্যাত্মিক ব্যাপার। বস্তুজগতে কাম, ক্রোধ, লোভ-লালসা, মোহ, মাৎসর্য, ঈর্ষা ও প্রতিহিংসা আমাদের দুঃখ, কষ্ট, অশান্তি, অসুখ ও ধ্বংসের মূল কারণ। যে কোনো ঘটনা বা ভবিষ্যতে কী ঘটতে পারে এ আশঙ্কায় অনেকে অযথা উৎকণ্ঠিত ও চিন্তিত হয়ে পড়েন। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, জীবন মানেই কিছু সমস্যা থাকবে এবং এমন কিছু ঘটনা ঘটতে পারে যা জীবনে কাম্য নয়।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ জানাই।
২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৪
ইসিয়াক বলেছেন: নামায পড়বো।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: ভেরি গুড।
৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৩
কাউছার হোসেন বলেছেন: শিক্ষানীয় পোস্ট
ধন্যবাদ।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: বাঁচতে হলে জানতে হবে। শিখতে হবে।
৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: গুড পোস্ট!
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২০
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: গুড পোস্ট!
৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আসলেই ঠিক ।
আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস ,প্রাপতির প্রত্যাশা সীমাবদ্ধ রাখা ,আল্লার কাছে নিয়মিত প্রার্থনা করা , বিপদে ধৈর্য ধারন এবং অন্যের সমালোচনা থেকে দূরে থাকার দ্বারা আমরা মানসিক শান্তি পেতে পারি।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২২
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী অবশ্যই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৮
নুরহোসেন নুর বলেছেন: চমৎকার শিক্ষানীয় পোস্ট!
অসাধারন সাজিয়েছেন।
ধন্যবাদ।