নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আমার আর ভাল্লাগে না।
গত দু সপ্তাহ ধরে শুধু পোলাও আর পোলাও। সকালে পোলাও, দুপুরে পোলাও, রাতেও পোলাও। সাথে গরুর মাংস, মূরগীর মাংস। কখনো কখনো চিংড়ি মাছ আর ডিমের কোরমা। দুনিয়াতে কি এছাড়া আর কোনো খাবার নেই? আমার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা করে- আমাকে ভাত দাও। ধবধবে সাদা ভাত। সাথে আলু ভর্তা, ডাল ভর্তা অথবা শিম ভর্তা হলেই চলবে। কাচকি মাছ অথবা দেশী টেংরা মাছ হলে তো কথাই নেই। তা না শুধু পোলাও আর পোলাও। তিনবেলা পোলাও কারো ভালো লাগে? কি পাপ করেছি আমি? আমি সুরভিকে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি, বাকি জীবনে আমাকে কোনো দিন পোলাও দিবে না। নো, নেভার। আমি ভাত খাবো। সাথে ভর্তা, ভাজি। আর দেশী যে কোনো মাছ। ছোটবেলা পোলাও ভালো লাগত। এখন ভালো লাগে না। একটুও ভালো লাগে না।
এবার আসল ঘটনা বলি।
বাসায় দুই-একদিন পর-পর মেহমান আসছে। আসছেই। মেহমানকে তো ভাত দেওয়া যায় না। ভালো মন্দ দেওয়াই নিয়ম। সুরভির বান্ধবীরা আসলো। সুরভি রান্না করলো পোলাও, মাংস। আরো হাবিজাবি কি কি যেন। ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও আমাকেও সে খাবার হাসি মুখে খেতে হলো। এবং বলতে হলো সুরভি রান্না সেই রকম হয়েছে। খেয়ে খুব মজা পেয়েছি। আসলে রান্না ভালো হয়েছে। কিন্তু আমার খেতে ইচ্ছা করে সাদা ভাত। সুরভি সারাদিন লাগিয়ে রান্না করেছে। অনেক কষ্ট করেছে। বুয়াও আসে নি। তাই চুপ করে খানিকটা পোলাও খেয়ে নিলাম। মানুষের জীবন এই রকমই- যেটা ভালো লাগে না সেটাই বারবার সামনে আসে। পোলাও এর চেয়ে ভাত ভালো। ভাতে তেল, ঘি, হাবিজাবি থাকে না।
দোতলায় দাওয়াত ছিলো।
সেখানেও পোলাও। গরুর মাংস, মূরগীর মাংস। এক বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলাম সেখানেও পোলাও। সাথে গরুর মাংস, মূরগীর মাংস। পোলাও এর দিকে করুন চোখে তাকিয়ে আছি। কতদিন ভাত খাই না। দোতলায় না খেয়ে- বাধ্য হয়ে হোটেলে গেলাম। আজ মন ভরে ভাত খাব। হোটেলে গিয়ে দেখি ভাত শেষ। শুধু মোরগ পোলাও আছে। আরেকটা হোটেলে গেলাম। সেখানেও ভাত নেই। শুধু তেহারি আছে। মাত্র দুপুর তিনটা। সব ভাত শেষ! পোড়া কপাল আমার। আমি বাঙ্গালী। ভাত ছাড়া আমার চলেই না। পারলে আমি তিনবেলা ভাত খাই। পরের দিন সকালে নাস্তা খেতে বসেছি। সুরভি আমাকে পোলাও দিলো। আমি বললাম, পোলাও কেন? সুরভি বলল, গেস্ট এসেছে। অনেক পোলাও রান্না করেছি। ফ্রিজ ভরতি পোলাউ। পোলাও শেষ না হলে রুটি বানাবো না।
সুরভি তার বাবার বাড়ি গেছে।
সেখান থেকে বিকেলে ফোন করে বলল, রাতে সে খাবার পাঠাবে। তার বাবা অনেক রকম দেশী মাছ আনিয়েছে গ্রাম থেকে। মনে মনে খুশি হলাম। রাতে খেতে গিয়ে দেখি- পোলাও। সাথে গরু আর মূরগি। মেজাজ প্রচন্ড খারাপ হলো। ইচ্ছা করলো ফোন করে সুরভিকে দুইটা কঠিন কথা বলি। রাতে রাগ করে না খেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে আরিশের মা নাস্তা নিয়ে এলো। সুরভি বাসায় না থাকলে আরিশের মা সকালে নাস্তা দেয় আমাকে। নাস্তা খেতে গিয়ে দেখি পোলাও, মূরগী আর গরু। আমি বললাম, রুটি বানাও নাই? আরিশের মা বলল, গতকাল মায়ের বাসায় অনুষ্ঠান ছিলো। আমি অনুষ্ঠানে যাইনি, তাই মা খাবার পাঠিয়ে দিয়েছেন। ভাইয়া গরুর মাংসটা খেয়ে দেখেন খুব ভালো হয়েছে।
আজ সকালে মাকে বললাম রান্না করো।
মা বলল, কি রান্না করবো? আমি বললাম, ভাত। আর কোনো ভরতা টরতা করো। মা বলল, মাছ, মাংস? আমি বললাম, আর কিচ্ছু লাগবে না। দুপুরে খেতে গিয়েছি। দেখি মা ঘুমে। ছোট ভাই বলল, মার শরীরটা ভালো নেই। জ্বর জ্বুর। মাকে রান্না করতে মানা করছি। তাই হোটেল থেকে খাবার কিনে আনলাম। পোলাও আর গরুর মাংস। রহমানিয়া হোটেলের খাবার। সেই রকম স্বাদ। দুঃখে কষ্টে কলিজা ছিড়ে যাচ্ছে আমার। ভাত রে ভাত। হায়রে ভাত। আমার কপালে ভাত নাই। বাংলায় প্রবচন আছে- ভাত এমন চিজ, খোদার সঙ্গে উনিশ বিশ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তিনবেলা ভাত খাওয়ার তৌফীক দান করুক।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে
২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বিয়ের পরে ১ম শ্বশুর বাড়ি গেলাম
পর পর তিনদিনই দুপুর রাতে পোলাউ.
কারণ যানলাম বাজার না করলে এমন
চলবে প্রতিদিন। নিরুপায় হয়ে বাজার
করে পোলা্ওয়ের অভিশাপ তেকে মুক্ত
হয়ে ছিলাম।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: বিয়ের পর তো আমি তো বিরাট বাজার করেছি।
৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
রাজীব নুর ভাই,
বাজারের মাংস কেনার দলে আপনিও আছেন দেখতে পাচ্ছি? তাইতো বলি বাজারের এতো এতো মাংস যাচ্ছে কোথায়? জুন আপা বলেছেন পোড়া কপাল, অর্থাৎ কপালে বার্ণল ক্রিম দিয়ে দেখতে পারেন উপকার পেতে পারেন। আর আমি বলছি ১২ বছরের জন্য বনবাসে চলে যান, এই সমাজ মাছ মাংস পোকা মাকড় সব খেয়ে সাভার কিরে দিবে বলে পণ করেছে আপনি / আমি এই সামজে আনফিট। আমি নিরামিষভোজী মানুষ।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: ভীষন মজার মন্তব্য করেছেন।
৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪
ইসিয়াক বলেছেন: তাড়াতাড়ি খেয়ে নিন । গরম গরম।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: এইভাবে হিজি বিজি খাবার আমি খাবো না ।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: এক প্লেটেই সব। আমি এইভাবে হাই না।
আমাকে সব আলাদা আলাদা করে দিতে হবে।
৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বাই দ্যা ওয়ে, প্লেটে পোলাউ, কাঁচা মরিচ আর ডিজাইন করে কাটা টমেটো দেখতে পাচ্ছি মাংস কোথায় চুলায় গরম হচ্ছে? নাকি পোলাউয়ের নিচে লুকানো? জুন আপা রাজীব নুর হিমু ভাই আমাদের মাংসের তরকারীর ছবি দেখাতে চাচ্ছেন না এটি তো মানা যায় না, সাম্প্রদায়িকতা মনে হচ্ছে! রাজীব নুর হিমু ভাই তো সাম্প্রদায়িক মানুষ নন জানতাম !!!
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে---
ছবিটা নেট থেকে নিয়েছি।
খাবারের ছবি আমি তুলতে পারি না। নাইট ফটোগ্রাফী আর ফুড ফটোগ্রাফি পারি না। আমার হাতে আসে না।
৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬
ইসিয়াক বলেছেন: এবার চলবে?
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০০
রাজীব নুর বলেছেন: মোটামোটি।
৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: পোলাও আমার খুব প্রিয়। প্রতিদিন খেতেও আপত্তি নাই
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০১
রাজীব নুর বলেছেন: আমার আপত্তি আছে।
৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯
মোঃমোজাম হক বলেছেন: শেষের লাইন পড়ে ---
আমিন
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০২
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বিশ্বের "সেরা ধনী বেকার"।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০২
রাজীব নুর বলেছেন: আমি অতি দরিদ্র একজন মানুষ।
১০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১
হাবিব বলেছেন: আহা রে পোলাও ....... আমারও অপছন্দ!!
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০২
রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট।
১১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:১৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
চাঁদগাজী বলেছেন: আপনি বিশ্বের "সেরা ধনী বেকার"। - এক লক্ষবার সহমত।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমি চরম দরিদ্র একজন মানুষ। ইহা সত্য।
১২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৪৫
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা............. আপনার দু:খে সত্যিই দু:খিত। সবার বাসায়ই একই সিস্টেম, পোলাও ফ্রিজে রেখে ভাত রান্না হবে না।
তবে ভাই, একটা কথা না বলে পারছি না। একটু ভাত নিজে রান্না এ পর্যন্ত শিখলেন না?? আফসোস.... কতদিন আর মা বউ ভাবীর উপর ছড়ি চালাবেন। একবার একটু শিখে নিয়ে সুরভী ভাবীকে একটু নিস্তার দেন। সত্যি বলতে কি দেশের বাইরে এসেও দেশীয় ছেলেদের বাসার কাজের বিলাসিতা দেখলে এখনাকার স্বদেশীরা তাজ্জব হয়। ঘরের সমস্ত কাজের দায়িত্ব একাই বউদের। ছেলেরা এতে হাত দিলে মান-সন্মান নিয়ে টানাটানি চলে.......হাহাহা
ডোন্ট মাইন্ড, কথাটা আপনাকে নয় সকল পুরুষকূলকেই বলার চেস্টা করি।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: ভাত আমাকে রান্না করতে হবে??
এটা কি বললেন??
না না আমি পারবো না।
আমার জন্ম হয়েছে মহৎ কাজ করার জন্য।
১৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১০
সোহানী বলেছেন: সেইজন্যইতো বল্লাম, ঘরের কাজে হাত দিলে আপনাদের জাত যায়........। প্রেসার কুকার বা রাইস কুকারে ৫ মিনিট লাগে ভাত রান্না করতে। যতক্ষন এ লিখা লিখেছেন ততক্ষনে ৫ বার ভাত রান্না হয়ে যেত সাথে আলু ভর্তা আর ডিম ভাজি।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: বোন আপনি মনে হয় আজ রেগে আছেন। শান্ত হোন।
আমাদের বংশের ছেলেরা রান্না ঘরে যায় না।
১৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১১
ইসিয়াক বলেছেন: সোহানী আপুর সাথে আমি একমত এক্ষেত্রে আপনি আমার সাহায্য নিতে পারেন।
আমি আপনাকে সব শিখিয়ে দেবো ।
আমি সব কাজ পারি।ওকে
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:২৭
ইসিয়াক বলেছেন: মন খারাপ?
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: জানি না।
১৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: এত পোলাও
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২০
রাজীব নুর বলেছেন: হুম
১৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আসলেই পেট পুরো সাদা ভাত খেতে না পারলে বাঙালীর ভাললাগে না।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২১
রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস।
১৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমি যদি ভাইয়ের বাড়ির পাশে থাকতাম তাহলে অন্তত 2-3 দিন আমার বাড়ির সাদা ভাত দিয়ে ভাইয়ের বাড়ির পোলাও আনিয়ে খেতাম। ইস! সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেলো।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২২
রাজীব নুর বলেছেন: কুরিয়ার করে পাঠিয়ে দেই?
১৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১১
হাসান রাজু বলেছেন: আমার বাসায় চলে আসেন। আজ রাতে ভর্তা হবে। কয়েক পদের সবজি দিয়ে ভাজি হবে । আর ডাল হতে পারে।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: না। আসবো না।
২০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:৩৯
সোহানী বলেছেন: আমি মোটেও রাগে নেই। আপনাদের বিলাশিতা দেখে দু:খ হয়। ঘরের কাজকে আপনারা অপমানকর মনে করেন। আপনাদের বংশের ছেলেরা রান্না ঘরে যায় না কারন আপনারা ভাবেন সে কাজ দাসীদের। আর বউরা হলো দাসী শ্রেনীর। তাই ওটা ওদের দায়িত্ব।
একটি মেয়ে যে কাজ করতে কষ্ট হয় সেটা নিয়ে আপনাদের মনে কখনই আসে না।
এ নিয়ে একটা লিখা আছে আমার সেখানে আপনার মন্তব্য ও আছে। সাথে জী ভাইয়ের আরেকটি লিখাও আছে।
পতিসেবার- একাল ও সেকাল.......... নারী দিবসের নারী ভাবনা
যাহোক......... ভালো থাকুন সবসময়ই।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে তা না।
ঘরের কাজ পারি না।
ছোটবেলা থেকেই পারি না।
আমি মেয়েদের সম্মান করি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২২
জুন বলেছেন: পোড়া কপাল আপনার