নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
কয়েকদিন আগের কথা।
আমার বাসার সামনে দু'টা হাসপাতাল। বারাকা হাসপাতাল আর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল। প্রচুর ভিড় হয়। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর এত রোগী হয় যে ভেতরে পা রাখার জায়গা থাকে না। প্রতিদিন একই চিত্র। ঘটনা শুরু- সন্ধ্যায় আমার বন্ধু বলল, দোস্ত বুকের ডান পাশে ব্যথা করছে। বেশ ব্যথা। আমি ভাবলাম গ্যাস্টিকের ব্যথা। একটা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাইয়ে দিলাম। কিন্তু তারপরও ব্যথা কমে না। মনে মনে ভাবলাম বুকে যেহেতু ব্যথা স্ট্রোক করলো কিনা! আমি অবশ্য ডাক্তার হাসপাতাল খুবই কম বুঝি। পারতপক্ষে হাসপাতালে যাই না। পরিচিত কেউ অসুস্থ হলেও হাসপাতালে দেখতে যেতে ইচ্ছা করে না। বেশ কিছুদিন ধরে আমার নিজের শরীরও ভালো না। তবু ডাক্তারের কাছে যাচ্ছি না।
যাই হোক, যে কথা বলছিলাম-
বন্ধুকে নিয়ে বারাকা হাসপাতালে গেলাম। জরুরী বিভাগে। এদিকে বন্ধুর বৌ কাঁদতে কাঁদতে হাসপাতালে চলে এসেছে। আমি বললাম, ভাবী কান্নার কিছু হয় নাই। আপনি চুপ করে বসুন। কোনো ভয় নেই। আমি আছি। জরুরী বিভাগে গিয়ে দেখি ডাক্তার মোবাইলে ইউটিউবে নাচ গান কিছু একটা দেখছেন। আমার প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হলো। একজন ডাক্তার ডিউটিরত অবস্থায় মোবাইল দেখবে কেন? আমি রোগীকে ডাক্তারের চেম্বারে বসালাম। চেম্বারে আরেক মহিলা আছেন। উনি সম্ভবত ডাক্তারের সহযোগী। আমি বললাম, ডাক্তার আমার বন্ধু। বুকে ব্যথা। ডাক্তারের সহযোগী বললেন, ই সি জি করতে হবে। আমি বললাম, ওকে।
আমি গিয়ে ই সি জি'র বিল দিয়ে আসলাম।
ডাক্তার মনে হয় ইন্টার্নি করছে। ই সি জি রিপোর্রটের দিকে চেয়ে আছে। কিছু বলছে না। অনেকক্ষন পর ডাক্তার বললেন, আমার মনে হয় কোনো সমস্যা নাই। সব ঠিকই আছে। বুকে ব্যাথা হচ্ছে ঠান্ডা থেকে। এমন সময় ডাক্তারের সহকারী মহিলা হয়তো ডাক্তারকে কোনো ইশারা দিলো আর বলল, বড় প্রফেসর আছেন। ই সি জি তাকে দেখাতে হবে। উনি নিজেই সেই ডাক্তারের সাথে দেখা করে এলেন। এবং বললেন, যান স্যারের কাছে যান। স্যার ফ্রি আছেন। (ই সি জি রিপোর্ট বড় প্রফেসরকে না দেখালেও হতো। এটা ইন্টার্নি ডাক্তার এবং তার সহকারী ভালো করেই জানেন। এখানে হয়তো তাদের কোনো ধান্দা আছে)। হাসপাতাল সেবা করার জায়গা, ধান্দা করার জায়গা না।
বড় প্রফেসরের রুমে গেলাম।
ছোট্র একটুখানি খূপরি রুম। প্রফেসর মোবাইলে কারো সাথে কথা বলছেন। বলেই যাচ্ছেন। টানা দশ মিনিট কথা বললেন। এতক্ষন আমি আমার রোগী নিয়ে চুপ করে বসে থাকলাম। ই সি জি দেখে ডাক্তার বললেন, ঠিক আছে। কোনো সমস্যা নেই। একটা প্রেসক্রিপশনে কয়েকটা ওষুধ লিখে দিলেন। পনের দিন খেতে বললেন। এবং বললেন আমার বিল ৬০০ টাকা। জরুরী বিভাগে টাকা দিলাম। তারা পাঠালেন প্রফেসরের কাছে। এখন প্রফেসরকে টাকা দিলাম। প্রফেসরের রুম থেকে বের হতেই একলোক (হাসপাতালের লোক) হাতে একটা কার্ড দিলো। আর বলল, আমাদের একটা শাখা আছে। সেখানে কম খরচে সব রকম টেস্ট এবং এক্স-রে করা যাবে। ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার বন্ধুর বুকে ব্যথা- আর ঐ লোক বন্ধুর সাথে ঘ্যান ঘ্যান শুরু করছে। তাদের কাছ থেকে টেস্টমেস্ট করাতে।
হাসপাতাল মানেই টাকার খেলা।
এই দেশে দরিদ্র লোকের সংখ্যা বেশী। চিকিৎসা ব্যয় আমাদের দেশে অনেক। দরিদ্র মানুষ বড় অসহায়। তাদের বড় কষ্ট। আজকালকার ডাক্তাররা মানূষকে সেবা করার জন্য ডাক্তার হয় না। টাকা ইনকাম করার জন্য ডাক্তার হয়। বাঙ্গালীরা ব্যবসা করতে ভীষন পছন্দ করে। তারা শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা করে, চিকিৎসা নিয়ে ব্যবসা করে, রাজনীতি নিয়ে ব্যবসা করে, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে, খাদ্য নিয়ে ব্যবসা করে। সরকারের উচিত শিক্ষা, খাদ্য আর হাসপাতালে বেশি নজর দেওয়া। শক্তিশালী প্রজন্ম তৈরি করতে হলে তাদের ভালো শিক্ষা দিতে হবে, ভালো খাদ্য দিতে হবে এবং উন্নত চিকিৎসা দিতে হবে। তবেই না দেশ এগিয়ে যাবে।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: বিদেশ যাওয়ার টাকা তো আমার নাই ভাই।
সরকারী হাসপাতালের খরচ যোগাতেই আমার সীমাহীন কষ্ট।
২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৬
আমি সাজিদ বলেছেন: আল বারাকা হাসপাতাল একটা প্রাইভেট হাসপাতাল। ওখানে ইন্টার্ন করা যাবে কিভাবে ? ইন্টার্ন হচ্ছেন সরকারী বা বেসরকারী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে ওই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাই রোটেশন ডিউটি ডাক্তার হিসেবে কাজ করা ও শেখা। আমার মনে হয় উনি সদ্য পাশ করা ডাক্তার ছিলেন। এরপর আসে ইসিজির কথা। ইসিজির কমপক্ষে তিন হাজার ধরনের ভ্যারিয়েশন আছে। এবং কমন কিছু ইসিজি ছাড়া কোন ইসিজিতে সন্দেহ হলে কারডিওলজিস্ট মানে বুকের বিশেষজ্ঞের কাছে রোগী রেফার করা চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যেই পড়ে। জুনিওর ডাক্তার সিনিয়রের কাছে রেফার করবেন স্বাভাবিক। এরপর দেখেন আপনি বললেন, এক লোক আপনার বন্ধুর কাছে টেস্ট করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন । ওই লোক কি ডাক্তার ? ঐ লোক ক্লিনিকের এজেন্ট। ডাক্তার না। এবং ঐ যে টেস্ট করার জন্য যে চাপাচাপি করছিলেন তার দায় ডাক্তারের উপর বর্তায় না। আমার দেখা মতে এখানে, জুনিয়র ডাক্তারের দেরীতে কথা বলা এবং ( ইউটিউবে ভিডিও দেখা ডিউটি টাইমে) সবচেয়ে বড় অপরাধ মনে হয়েছে। এরপর আপনার চিকিৎসার কোন ত্রুটি তো আমি দেখতে পাচ্ছি না। ৬০০ টাকা তো আপনি প্রতিদিন ডাক্তারকে দিচ্ছেন না । তাই না ? আর ডাক্তারি একটা সেবামূলক কাজ নয় সেবামূলক পেশা। অন্য পেশাজীবিদের মতোই ডাক্তারদের আর্থিক দিকটাও থাকা লাগে। আপনার যদি ৬০০ টাকা সমস্যা হতো তাহলে সরকারী হাসপাতাল যেমন ডিএমসিতে যেতেন। ওখানে চিকিৎসা ব্যয় অনেক কম। দশ টাকায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররের পরামর্শ নিতে পারতেন। বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ বেশী হবে স্বাভাবিক। খোদ আমেরিকায় অনেক নাগরিক চিকিৎসা পান না, খরচ বেশী বলে।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী আপনি ঠিক বলেছেন, সদ্য পাশ করা ডাক্তার হবেন।
আমি আমার পোষ্টে বলেছি ডাক্তার হাসপাতাল আমি কম বুঝি।
ইসিজি রিপোর্ট সাথে সাথেই দিয়েছে। আর বন্ধু সমস্যা হলো- প্রচন্ড ঠান্ডায় বুকের বাম পাশের মাংশ পেশী কামড়ে ধরে রেখেছিলো। তাই ব্যথাবোধ হচ্ছিল।
যে লোক বন্ধুকে বলছিলো টেস্ট ফেস্টের কথা বলছিলো ওই লোক হাসপাতালের লোক। বাইরের কেউ না।
৬০০ টাকা ভিজিট না নিয়ে ৩০০ বা ২০০ টাকা ভিজিট নেওয়া উচিত ছিলো। একজন রোগীকে ডাক্তার সর্বোচ্চ ৫ মিনিট সময় দেন। পক্ষে ৩০/৪০ জন রোগী দেখেন।
৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৩
আমি সাজিদ বলেছেন: আপনি আমাকে যুক্তি দিয়ে বুঝান এখানে ডাক্তার কসাই কেন ? আপনার বন্ধু চিকিৎসা পেলেন। তার ইসিজি দেখে ডাক্তার বললো কোন সমস্যা নেই। তাও একজন জুনিয়র এবং একজন সিনিয়র ডাক্তার দেখলেন। ডাক্তার কিছু পরীক্ষা দিলেন আর বললেন যে ঐগুলা করালে ভালো কারন ব্যাথার কারনটা জানা দরকার। শত কারনে ব্যথা হতে পারে বুকে। ইসিজি ছিল হার্টের কোন সমস্যা নাকি সেটা যাচাইয়ের পরীক্ষা। কারন ম্যাক্সিমাম বুকে ব্যাথার প্রধান কারনগুলোর মধ্যে হার্ট এর সমস্যা অন্যতম। আপনার সমস্যা ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেড়িয়ে টেস্টের খরচ নিয়ে টেনশন তাই তো ? সেটাতে ডাক্তার কসাই হলেন কোথায় ? বরং আল বারাকা হাসপাতালের ম্যানেজমেন্টে অভযোগ করতেন যে হসপাতালে বাইরে টেস্ট করাতে বলা দালালের আনাগোনা বেশী। আমার মতে আপনার বন্ধুর উপকার করেও ডাক্তার এখানে কসাই। কারন আপনাকে বাঁচালেও ডাক্তার কসাই , না চিকিৎসা করলে তো মহা কসাই , তাই না ভাই ?
কোন পেশার প্রতি হিংসা ছড়ানো ভালো নয়। আশাকরি পোস্ট টা রিমুভ করবেন ভাই। ধন্যবাদ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি ডাক্তার? বা বারাকা হাসপাতালে কাজ করেন??
প্রথমে জরুরী বিভাগে ডাক্তার এবং তাদের সহকারী মহিলা ইচ্ছা করে প্রফেসরের কাছে নিয়ে গেছেন। তাদের অবশ্যই এখানে কোনো ধান্দা আছে। সেটা আমি মহিলার চোখ মুখ দেখে বুঝতে পেরেছি।
ওনেক সময় টাকা পয়সা কোনো ব্যাপার না। চায়ের দোকানে আড্ডায় বসলে চা-সিগারেটের বিল ৩০০ টাকা দেই।
কিন্তু প্রতিষ্ঠানের জরুরী বিভাগের মহিলা চালাকি করেছে। এটা তার আচরন দেখেই বুঝতে পেরেছি। তার মধ্যে আন্তরিকতা মটেও ছিলো না।
৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১২
আমি সাজিদ বলেছেন: আমি ডাক্তার। তবে আমি আল বারাকা হাসপাতালের কেউ না। আমি ওই হাসপাতালকে ডিফেন্ড করতেসি না। আমি ঢাকাতেই থাকি না। আমি বলতেসি আপনি কোন যুক্তিতে কসাই বলেছেন সেটা আমাকে বুঝাতে ? প্রথমত আপনি বলেছেন আপনি হাসপাতালের কিছু বুঝেন না। এরপর বললেন আপনার বন্ধুর ঠান্ডা লেগে মাংস পেশী ব্যাথা করছিল, আমার তো মনে হয় ভাই আপনি ভালোই বুঝেন। তাহলে বাসায় ঠান্ডা লেগে মাংসপেশী ব্যাথার চিকিৎসা দিয়ে দিতেন হাসপাতালে আনার কি দরকার ছিলো ? আমরা অনেক সময় রোগীদের সমস্যা স্বজনরাই ধরে ফেলি। তাই হাসপাতালে আনতে দেরী করি, যখন সিরিয়াস কিছু হয় দোষ দেই হাসপাতালের। সে যাই হোক, বুকে ব্যাথা মানেই বুকে ব্যাথা। এখানে সন্দেহ করে অপেক্ষা করার চেয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলে অন্তত একটা ইসিজি করে হার্ট এর সমস্যা যে হয় নি সেটা এন সিউর হওয়া যায়।
যাই হোক। আমি আপনাকে বললাম, জুনিয়র ডাক্তার যদি কোন রোগীকে নিয়ে সন্দেহ করেন তাহলে সিনিয়রকে দেখাতে বা রেফার করতে পারেন। আর আপনার কি মনে হয় একজন প্রফেসরকে কনসাল্ট করার খরচ ২০০ বা ৩০০ টাকা ? কেমনে ভাই ? আপনি বললেন চায়ের দোকানে বসলে চা বিড়ির খরচ আসে ৩০০ টাকা। সেখানে একজন প্রফেসরের বিদ্যার মূল্য আপনার কাছে ২০০ বা ৩০০ টাকা কেমনে হয় ভাই ? আর রোগীকে সময় দেওয়াটা নির্ভর করে রোগীর অবস্থা কতোটা খারাপ সেটার উপর। আপনার রোগীর ইসিজি ভালো। তাহলে মেডিসিন দিয়ে আপনার রোগীকে পনের দিন খেতে বললেন প্রফেসর, এরপর তো গল্প করার কিছু নাই । সময় দেওয়ার কিছু নাই। এখানে ডাক্তার কেমনে কসাই এই ঘটনায়, আমাকে একটু বুঝিয়ে বলেন প্লিজ ?
অবশ্য আপনি আন্তরিকতা নামের একটা কথা বলেছেন। ওখানে তো কেউ আপনাকে গালি দেয় নি। তবে আমি স্বীকার করি, হাসপাতালের স্টাফদের আচরন খারাপ। সরকারি হাসপাতাল বা বেসরকারি হাসপাতাল সবজায়গায় একই অবস্থা। কিন্তু এখানে ডাক্তারের দোষটা কোথায় আমাকে বুঝিয়ে দেন। আপনি বললেন ভাই ডাক্তার কসাই। আমাকে বুঝান। কসাই প্রান নেয়, ডাক্তার কি আপনার বন্ধু কে মেরে ফেলেছে ? আপনি বরং পোস্টে বলতে পারতেন আল বারাকা হাসপাতালের বাজে ব্যবস্থাপনার কথা। সেটা নাহয় মানা যেত। কিন্তু কসাই কোন যুক্তিতে ডাক্তার ?
এই দেশে ডাক্তারের হাতে কতজন মরেছে যতোজন বাস ড্রাইভার ট্রাক ড্রাইভারের গাড়িরচাপায়, প্রাইভেট কারের গাড়ির চাপায়, রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের হামলায়, মিছিলে মিটিং এ মরেছে ? শেয়ারবাজার কেলেংকারিতে অনেকে আত্নহত্যা করেছিল, কেউ তো কসাই বলে না ওদের ? আর যারা আপনার প্রান বাঁচাচ্ছেন তাদের শুধুমাত্র হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার দোষে আপনি কসাই বলছেন ভাই ? খারাপ লাগে।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০০
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ডাক্তার আপনাকে স্যলুট করি।
ভালো ডাক্তারদের প্রতি আমার অন্যরকম আবেগ কাজ করে। তাদের আমি শ্রদ্ধা করি। আমার মা বলেন, ডাক্তার আসলেই ভগবান। এরা মানুষকে সুস্থ করে তোলে।
আপনিই বলুন ডাক্তাররা কেমন? সব ডাক্তার কি ভালো? কেউ কেউ নিষ্ঠুর। আবার কেউ কেউ মানবিক। মানবিক ডাক্তার খুব কম। আমি আমার পোষ্টে যা লিখেছি - মিথ্যা লিখিনি। আমি হাসপাতালে যেয়ে যেরকম দেখেছি, যেরকম আচরন পেয়েছি তাই লিখেছি। এরা আমার শত্রু নয়। বা তাদের সাথে আমার কোনো শত্রুতা নেই।
আমি যদি ডাক্তার হতাম। অবশ্যই মানবিক দিক থেকেই রোগীর চিকিৎসা করতাম। তখন আমার কাছে টাকা মূখ্য বিষয় হতো না। আর যদি আমার আসল নেশাই থাকে টাকা তাহলে ডাক্তার হতাম না। কোনো ব্যবসা করে শুধু টাকা কামাতাম।
৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ডাক্তারদের মধ্যে কসাই যেমন আছে, তেমনি ভালো মানুষও আছে।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: তা ঠিক।
তবে ছবিটা নেট থেকে নিয়েছি। ছবিটা আমি বানাই নি। নেটে সার্চ দিলে এরকম ছবির অভাব নেই।
৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪০
ইসিয়াক বলেছেন: পোষ্ট এবং মন্তব্যগুলো পড়লাম।
সব জায়গাতে ভালো মন্দ মিলিয়ে মানুষ আছে। আমার জানা মতে প্রচুর ভালো এবং মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন ডাক্তার অনেক অনেক আছে।
তবে দরিদ্র মানুষ হিসাবে আমি বলতে চাই কোন কোন ডাক্তারের ফি অনেকটাই বেশী । আন্তরিক হয়তো সবাই কিন্তু বেশী ফি এর কারণে অনেকেই সঠিক সেবা পেতে ব্যর্থ হন ।যেটা খুবই দুঃখজনক।
শুভকামনা।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য বন্ধু।
৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯
আমি সাজিদ বলেছেন: ভাই আমার আপত্তি শুধু কসাই শব্দটা নিয়ে। আপনি এই জায়গায় ডাক্তারের কি দোষ পেলেন যে তাকে কসাই বললেন, সেটা আমাকে ক্লিয়ার করেন নাই। আসল আলোচনার বিষয়গুলো থেকে আমরা সরে গেছি। আমাকে প্লিজ বুঝান যে প্রফেসর ছয় শত টাকা ভিজিট নিলো দেখে উনি কসাই, এই সাপেক্ষে যুক্তি কি ? আরেকটা কথা ভাই, ডাক্তারি পেশা সেবামূলক এবং মানবিক কিন্তু সবার উপরে সেটা একটা পেশা, এটা মাথায় রাখবেন। ছয়শত টাকা আজকের যুগে আমি বলবো টাকার মানে অনেক কম। কনসাল্টেশন ফি ছয়শত টাকা হতেই পারে। আপনার যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে যার ফি ছয়শত উনার কাছে যাবেন, যদি না থাকে তাহলে একই কোয়ালিটির সেবা সরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহিবিভাগে মাত্র দশ টাকায় পাওয়া যায় ওখানে যাবেন। ওখানেও স্পেশালিস্ট বসেন। সপ্তাহে প্রতিদিন, ছুটির দিন ছাড়া। সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত।দশ টাকা দিয়ে টিকেট কাটবেন। একই মানের সেবা পাবেন। আমাকে বলেন পৃথিবীর কোথায় ডাক্তারিতে শুধু সেবা আছে, পেশা যুক্ত নাই ? বরং আমি বলবো আমাদের দেশে ডাক্তারের ভিজিট অনেক কম। আপনি এজন প্রফেসরকে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় দেখাতে পারবেন, এবং একজন জেনারেল প্র্যাক্টিসনারকে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় দেখাতে পারবেন। বাইরের হিসেবটা একটু দেখেন ?
একজন ডাক্তারের কনসাল্টেশন ফি কতো ? আরেকটা মজার কথা বলে নেই, আমাদের দেশে অনেক প্রফেসর আছেন যারা চেম্বারে লিখে রাখেন, টাকা দিতে অপরাগ হলে জানাবেন। আমি অনেক স্যারের সাথে কাজ করেছি যারা দিনে যদি চেম্বারে ৩০ জন রোগী দেখেন তাহলে ১০ জনকে ফ্রি দেখেন। এদের মধ্যে অন্তত ৫ জনকে সম্পূর্ণ ফ্রিতে টেস্ট করার সুপারিশও দিয়ে দেন।
ভাই আপনি আমার কথা বিশ্বাস না হলে একদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজের আউটডোরে যাবেন, ওয়ার্ডে গিয়ে জিজ্ঞেস করবেন কেমন খরচ হয় সেবায় ? উত্তরটা পেয়ে যাবেন।
আপনি বলেছেন, আমি যদি ডাক্তার হতাম। অবশ্যই মানবিক দিক থেকেই রোগীর চিকিৎসা করতাম। তখন আমার কাছে টাকা মূখ্য বিষয় হতো না। আর যদি আমার আসল নেশাই থাকে টাকা তাহলে ডাক্তার হতাম না। কোনো ব্যবসা করে শুধু টাকা কামাতাম।
আপনি কিভাবে বলতে পারেন যে ডাক্তাররা মানবিক না ? আর পেশাগত সততার পাশাপাশিও যে মানবিক হওয়া যায় না এইটা কিভাবে আপনি জানেন ? আসলে টাকা মুখ্য বিষয়ও না। সম্মানটাই আসল। আপনি ভাই যেভাবে ডাক্তারদের ঢালাওভাবে কসাই বললেন, সেটা কতোটুকু যুক্তিযুক্ত আমার প্রশ্নটাই সেখানেই। আপনারাই কসাই বলবেন, গালি দিবেন। সিগারেট চায়ের পেছনে এক বসাতে ৩০০ টাকা খরচ করবেন। একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ফি ৬০০ টাকা কেন সেটা নিয়ে সমালোচনা করবেন। সব করতে পারেন ভাই। কিন্তু আপনাদের কথা শুনে আমরা মন খারাপ করে বসে থাকলে যে আপনাদেরই ক্ষতি হবে, দেশের ক্ষতি হবে। তাই গালি অভিশাপ যাই দেন আমাদের বসে থাকার উপায় নাই। একতা সল্পউন্নত দেশে চিকিৎসা সেবা দেওয়া কতটা কঠিন কাজ সেটা আমরাও জানি, আপনারাও জানেন।
আমাকে ভাই দয়া করে স্যালুট দিবেন না। আমি কেমন মানবিক হতে পারবো সেটা সময়ি বলে দিবে কিন্তু ভাই আপনি দয়ে করে ছবিটা , যেখানে ডাক্তারকে কসাই বলা হয়েছে সেটা সরান। কসাইও মানুষ, ডাক্তারও মানুষ। এক মানুষকে ছোট করতে আরেক মানুষের পেশা ছোট করতে শুধু নচিকেতার মতো আবেগী গায়করাই পারেন।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: আমি কাউকে কসাই বলি নাই।
গুগল থেকে ছবি নিয়ে দিয়েছি। পোষ্টের সাথে এই ছবি আমার করা না। তাছাড়া ছবিটা আমি ভালো করে খেয়ালও করি নাই।
যদি বলেন তো ছবিটা সরিয়ে দিতে পারি।
আ্মাকে নানান কারনে সরকারী হাসপাতালে যেতে হয়। সেখানে একটু কষ্ট হলেও চিকিতসা ভালো পাওয়া যায়। এমন কি আমার মা স্কয়ার হাসপাতালে যাবেন না। উনার কাছে ঢাকা মেডিকেল বা পিজি হাসপাতাল বেশি ভালো লাগে।
আমাদের দেশটা দরিদ্র দেশ। বেশির ভাগ মানুষই গরীব। খুব গরীব। আপনার কাছে ৬০০ টাকা কোনো টাকাই না হলেও একজন দরিদ্র মানূষের কাছে ৬০০ টাকা অনেক টাকা। আর ছয় শ' টাকায় সব ঝামেলা শেষ হয়ে যায় না। এখন সব ডাক্তারই নানান রকম টেস্ট দেয়। এইসব টেস্ট করতেও অনেক টাকা লাগে। তারপর আছে ওষুধ। টেস্ট রিপোর্ট দেখাতে গেলেও টাকা লাগে।
দরিদ্র দেশের ক্ষেত্রে বিদেশের উদাহরন দেখালে হবে?
হুম, তা ঠিক কিছু ডাক্তার অল্প ভিজিট নেন। কিন্তু সব ডাক্তার না। সব ডাক্তার যদি অল্প টাকা নেয় তাহলেও ডাক্তাদের দিন শেষে বা মাস শেষে এমাউন্ট কম হবে না। আবারও বলছি ডাক্তাদের আমি কসাই বলি নাই। শুধু লেখাটার সাথে যে ছবিটা দিয়েছি তাতে কসাই লেখা। এবং এটা আপনি বলার আমি খেয়াল করেছি।
আমি নিজেই বেশ অসুস্থ। দুই একদিনের মধ্যে ডাক্তারের কাছে যাবো। কাজেই যার কাছে আমাকে যেতে হবে (অন্য কোনো উপায় নাই) তাকে কসাই বলে কি নিজের বিপদ ডেকে আনবো।
আপনার প্রতি সম্মান রেখেই ছবিটা সরিয়ে দিচ্ছি।
৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: 2005 সালে আমার পরিচিত লোক সরকারি চাকরিতে যোগ দেন । তার কিছু মেডিকেল টেস্ট করাতে হবে। সেগুলোর জন্য রেফার করা হয়েছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু চোখের টেস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রফেসর করলেন না । সেখান থেকে করা হলো ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে। সেখানে তাকে 300 টাকা ফি দিয়ে তারপরে টেস্ট করানো হলো। সুইটেস্ট ছিল চাকরিতে ঢোকার জন্য সে যোগ্য কিনা তা জানার জন্য।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এসব আজকালের সমস্যা না। যুগ যুগ ধরে দেশে হয়ে আসছে। তাই চিকিৎসা করতে বিদেশে যান। দ্যাখেন না, আমাদের প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্টসহ সবাই বিদেশে যান চিকিৎসা করাতে!!!
আমার তো মনে হয়, বিদেশের হাসপাতালগুলো আমাদের ডাক্তারদের ঘুষ দেয় রোগীদের সাথে দুই নাম্বারী করার জন্য, যাতে তারা কষ্ট করে হলেও বিদেশে যায়।