নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
এই সমাজ বদলে গেছে।
গত বিশ বছরে সব বদলে গেছে। দীর্ঘদিনের সব নিয়ম-কানুন বদলে গেছে। এই বদলে যাওয়াটা অবশ্যই ভালো অর্থে না। বর্তমানের সাথে তুলনা করলে বলা যায়, আশির দশকে বা নব্বই এর দশক সমাজ বেশ ভালোই ছিলো। তখনও বাঙ্গালী এতটা নষ্ট হয়ে যায় নি। যদিও তখনও ধর্ষন হতো, চুরী ডাকাতি বা ছিনতাই হতো। এখন বাঙ্গালীর নষ্টামীর শেষ নেই। এখন এই দেশের মানুষের মধ্যে কোনো মায়া-দয়া নেই। প্রতিটা মানুষ হৃদয়হীন হয়ে গেছে। নিজের পরিবারের বাইরে কারো জন্য মায়া মমতা নেই। কেউ কারো কথা ভাবে না। সবাই শুধু নিজ নিজ চিন্তা নিয়ে ব্যস্ত। রাস্তায় একজন মানুষ অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলেও কেউ ফিরে তাকায় না। প্রতিটা লোক নিজেকে জাহির করার জন্য ব্যস্ত। সে নিজেই বড়, সে মস্ত পণ্ডিত, সে নিজেই সব জান্তা। বাকি সবাই লাউ।
সব নষ্টের মূলে হলো-
ডিশ, ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোন। নানান রকম নাটক সিনেমা দেখে মানুষের মাথা আউলায়ে গেছে। বাংলাদেশের বেশির ভাগ ছেলে মেয়ের কাছে ইন্টারনেট মানে- পর্ন, ফেসবুক, ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম আর টিকটক। এর বাইরে তারা আর কিছু করে না। জানেও না। এটাই তাদের জীবন-মরন। এযুগের ছেলে মেয়েরা তাদের নতুন ভাষা তৈরি করেছে। এদের বুঝা যায় না। চেনা যায় না। চিপা চিপা প্যান্ট পড়ে, চুল গুলো খাড়া করে রাখে, লাল কেডস পড়ে এবং সবার হাতে স্মার্ট ফোন। এই তাদের দুনিয়া। তিন বন্ধু একসাথে হলেও কেউ কারো সাথে কথা বলে না। সবাই যার যার মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত। এই প্রজন্ম বই পড়ে না। বইয়ের প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ নেই। এরাই হবে ভবিষ্যতে জাতির বোঝা। এরা হবে বড় ভয়ঙ্কর।
আমাদের ছোটবেলা কত সুন্দর কেটেছে।
মোবাইল ছিলো না, ডিস ছিলো না, ইন্টারনেট ছিলো না। আমরা বন্ধুরা দলবেঁধে স্কুলে যেতাম। বিকেলে দলবেঁধে ক্রিকেট বা ফুটবল খেলতাম স্কুল মাঠে। মাগরিবের আযানের আগে বাসায় ফিরে হাত-পা ধুয়ে পড়তে বসতাম। মা বলতেন জোড়ে জোরে পড়ো যেন আমি রান্না ঘর থেকে শুনতে পাই। চিৎকার করে পড়তাম। পড়াও তাড়াতাড়ি মুখস্ত হয়ে যেত। রাতে খেয়ে নয়টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তাম। বড় আনন্দময় আর শান্তির জীবন ছিলো। বিটিভি ছাড়া আর কোনো চ্যানেল ছিলো না। টিভির অনুষ্ঠান মানে ম্যাগগাইভার, রোবকোপ আর থান্ডারকিডস কার্টুন। বাপ মায়ের হাত ধরে বেড়াতে যেতাম রমনা পার্ক, শিশু পার্ক। বার্ষিক পরীক্ষার শেষে যেতাম গ্রামের বাড়ি। আর এখন গ্যাদা গ্যাদা পিচ্চি পোলাপান স্মার্ট ফোনে ভিডিও বানায়, টিকটক করে, মারামারির মুভি দেখে। এবং তারা নিজেরাও মারামারি করে। এবং সবার গার্লফ্রেন্ড আছে।
এযুগের বাপ মা-ও যেন কেমন!
ছেলেমেয়ে কই যায় কিচ্ছু খোঁজ খবর রাখে না। স্কুল বাদ দিয়ে বয়ফ্রেন্ডের সাথে ফাস্টফুডের দোকানে লদকালদকি করে। এরা চুলের বিছছিরি কাট দিলেও এদের বাপ মা কিচ্ছু বলে না। আমার মনে আছে, চুল বড় হয়ে গেলেই আমার বাপ ধরে সেলুনে নিয়ে যেতেন। চুল একদম ছোট করে কেটে দিত। চুল এত ছোট করতো যে মুঠ করে চুল ধরাও যেত না। চুল কাটাতে নিতো আট টাকা, দশ টাকা। এখন নেয় কমপক্ষে একশ' টাকা। সেসময় কোনো মেয়ে চুল কালার করতো না। এখনকার মেয়েরা চুলে নানান রকম কালার করে। এযুগের ছেলে মেয়েদের লাজলজ্জা খুব কম। এরা নিজেদের হিরো-হিরোইন ভাবে। এরা আধুনিকতার নামে যা-তা করে বেড়াচ্ছে। এই প্রজন্ম বড় ভুলের মধ্যে আছে। এদের শুধরে দিতেও কেউ আসে না। বাপ-মা চুপ। শিক্ষকরাও চুপ। এলাকার ময়মুরুব্বীরাও চুপ। তাই এই প্রজন্ম বেলাইনে চলে গেছে।
দুই হাজার সালের পর থেকেই এদেশে লেখাপড়ার মান কমতে শুরু করেছে।
দুনিয়ার স্কুল, কলেজ আর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি খোলা হয়েছে। লেখাপড়া না করেই পরীক্ষা দিলেই ছেলেমেয়েরা পাশ করে যাচ্ছে। অথচ একপাতা দরখাস্ত ঠিকভাবে লিখতে পারে না। এক লাইনে তিনটা অতি সহজ বানানও ভুল করে। মামা চাচার জোরে এরা চাকরীও পেয়ে যাচ্ছে কেউকেউ। অথচ দেশ পিছিয়ে যাচ্ছে। সরকারী অফিসে কর্মরত লোকজনদের দেখলে মনে হয় এদের রাস্তায় চায়ের দোকানদারি করা উচিত ছিলো। অথচ বড় বড় পোষ্ট দখল করে বসে আছে। সমানে ঘুষ খাচ্ছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর হতে চলল- দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার কথা কিন্তু দেশ থমকে আছে। এত এত অযোগ্য আর অদক্ষ লোক দিয়ে জাতি করবে কি? এরা সমাজের বোঝা।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। তাদের দায় টাই বেশি।
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫
ইসিয়াক বলেছেন: সামনে হতাশা জনক দিন। ভয়াবহ বিপর্যয় আসন্ন। কোন সমাধান নাই্ ।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: সমাধান আছে। তবে সমাধান কেউ চায় না।
৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অত্যন্ত সঠিক কথা বলেছেন।
আসলেই 90 সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ খুবই ভালো ছিল।
এরপর শুরু হয়েছে অধঃপতন।
সামনে যে কি হবে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা ভালো জানেন।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১০
রাজীব নুর বলেছেন: সামনে গজব অবস্থা হবে।
৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলো আসলে 'সার্টিফিকেট বিক্রয় কেন্দ্র'; এগুলো মালিকেরা ডাকাত, শিক্ষকেরা দুষ্ট
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১০
রাজীব নুর বলেছেন: ওদের কত টাকা দরকার?
ওদের তো এমনিতেই টাকার অভাব নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: দুই পরিবার ঠিক মত দেশ চালাতে পারেনি। তাই আজ এ দশা...