নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
সুন্দরবনে আমি অনেকবার গিয়েছি।
দুর্বলার চর, হিরন পয়েন্ট, কটকা ইত্যাদি এলাকায়। কিন্তু একবারও মনের মতো ছবি তুলতে পারি নি। আলোর স্বল্পতার কারনে। টানা তিনবার গিয়েছি পিকনিক করতে। ইয়া বড় জাহাজে করে। কমপক্ষে একশ' জন মিলে গিয়েছিলাম। খুব মজা হয়েছিলো। প্রত্যেকবারই শীতের সময় গিয়েছি। ওরে শীত! শীতে আঙুল বাঁকা হয়ে যায়- এমন শীত। বঙ্গোপসাগরের বাতাস এসে গায়ে তীরের মতো বিঁধে। বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে যখন আমাদের জাহাজ যায়- অসাধারন লাগে তখন। অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর সেই অভিজ্ঞতা। চারপাশ দেখে মন ভরে যায়। তবে টানা তিন চার দিন পানির উপর থাকতে কিছুটা বিরক্ত লাগে।
সুন্দরবনের দুই পাড়ের দৃশ্য অতি মনোরম।
হরিন আর বানর খুব বেশি দেখা যায়। ভাগ্য ভালো হলে কুমির দেখা যায়। অবহেলায় কাঁদা মাটিতে শুয়ে থাকে। নানান রকম গাছপালায় ভরা। একটা ঘটনা বলি- তখন রাত প্রায় একটা। এমভি মাছরাঙ্গা তিনতলা লঞ্চ। বিশাল লঞ্চ। প্রচন্ড শীত। যে যার মতো কবিনে শুয়ে বসে আছে। আমার ঘুম আসছিলো না। ভাবলাম একটু হাটাহাটি করি। আমার ছোট চাচার বন্ধুর কেবিনে দেখি খুব হইচই হচ্ছে। ঘটনা কি জানার জন্য কেবিনে ঢুকলাম। গিয়ে দেখি তারা মদ খাচ্ছে আর তাস খেলছে। বিরাট উত্তেজনা তাদের চোখে মুখে। চাচার বন্ধু আমার দিকে তাকিয়ে বললেন- আসো, আসো। বসো।
চাচার অন্য এক বন্ধু বললেন-
ভাতিজা একটু লাল পানি খাও। শরীরটা গরম করো। আমি বললাম, আমি মদদত খাই না। আহ হা একটু খাও, ভালো লাগবে। যা শীত! আমি সত্যি সত্যি পুরো এক গ্লাস খেয়ে ফেললাম। আধা গ্লাস মদ আর বাকিটা কোক মিলিয়ে। খেয়ে লঞ্চের ছাদে গেলাম। ছাদে গিয়ে আমার মাথা নষ্ট। কুয়াশা কেটে গেছে। আকাশ পরিস্কার। জোছনা রাত। তীব্র চাঁদের আলো। চাঁদের আলো ছড়িয়ে পড়েছে বঙ্গোপসাগরে। জোছনায় পানি গুলো ঝকমক করছে। এত সুন্দর! এত সুন্দর লাগছিলো যে, আমি সহ্য করতে পারছিলাম না। ইচ্ছা করছিলো এই সুন্দরের মধ্যে ডুবে যাই। মরে যাই। ডুব দেওয়ার নিমিত্তে প্রস্তুতি নিচ্ছি। একদম রেলিঙ ধরে ধরে কোনায় এসে দাড়িয়েছি। লাভ দিবো, এমন সময় পেছন থেকে আমার আব্বা এসে আমাকে জাপটে ধরে ফেলে।
একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি-
কলেজে ভর্তি হবার পর সব বন্ধুরা মিলে একবার সুন্দরবন গিয়েছিলাম। আমার সাথে আমার পাঁচ বন্ধু ছিল। সেবার গিয়েছিলাম দুবলার চর। লঞ্চ থেকে নেমে আমরা হাঁটতে হাঁটতে বনের গভীরে চলে গিয়েছিলাম। আমাদের সাথে তখন কোনো গার্ডও ছিলো না। বনের এতই গভীরে চলে গিয়েছিলাম আমরা পথ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আমরা হাঁটতে হাঁটতে বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। আমাদের সাথে কোনো খাবার নেই। এক বোতল পানি ছিলো। সেটা অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। আমার বন্ধুরা বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলো। আমি মোটেও ভয় পাই নি। নরোত্তম নামে এক বন্ধু বিড়বিড় করে বারবার বলছিলো- বাবা ভোলানাথ পথ দেখাও। পথে দেখাও। আর আসবো না কোনোদিন এ পথে, বাবা ভোলানাথ।
আমিই সবার আগে হাঁটছিলাম।
হুটহাট আমার সাহস খুব বেড়ে যায়। এমনিতে আমি খুব শান্ত। কেউ ধাক্কা দিয়ে ড্রেনে ফেলে দিলেও আমি কিছু বলি না। যাই হোক, হঠাত আমার বন্ধুরা আমাকে রেখেই উল্টো দিকে দৌড়ে শুরু করলো। আর চিৎকার করে বলতে থাকল বাঘ! বাঘ! আমি ভালো করে চারদিকে তাকিয়ে দেখলাম- কোথাও বাঘ দেখা যাচ্ছে না। বন্ধুরা কি আমাকে ভয় দেখাতে চাচ্ছে? আমার খুব রাগ লাগল, বন্ধুদের উপর। এতো রাগ লাগল যে, আমি অদৃশ্য বাঘের দিকে পাগলের মতো দৌড় লাগালাম। বাঘ হয়তো আমাকে দেখে, আমার চোখমুখ খিচিয়ে দৌড় দেওয়ার স্টাইল দেখে- ভয় পেয়ে উলটো দিকে দৌড় শুরু করলো। বাঘ ছুটছে, আমিও ছুটছি বাঘের দিকে। একটুর জন্য বাঘটাকে সেদিন ধরতে পারিনি। তারপর আমার বন্ধুরা আমার সাহস দেখে আমাকে 'টাইগার' উপাধি দেয়। হে হে।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া বন্ধু।
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫
ইসিয়াক বলেছেন: ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ যশোর কালেক্টরেট ভবনের সন্মুখভাগ ।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: বহু পুরানো ছবি।
৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো ।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি সিগারেট খান? বাঘ কিন্তু নিকোটিন বিরোধী
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: সিগারেট খাই। অল্প খাই।
৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এটাই সাহস!
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস।
৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭
পবন সরকার বলেছেন: বেশ ভালো লাগল
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৯
এম ডি মুসা বলেছেন: বেশ ভালো লাগল
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ।
৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৮
খোলা মনের কথা বলেছেন: শেষের অংশটা অবিশ্বাস্য।
আমার বাড়ি যশোর হয়ে ও সুন্দরবনে যেতে পারলাম না আফসোস। অথচ বাংলাদেশের খুব কম জায়গা বাদ আছে যেখানে যায়নি। তবে খুব দ্রুত যাবো।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: যান যান ঘুরে আসুন।
৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৫
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: বাঘা বাঙালি।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে---
১০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৫৮
এম এ কাশেম বলেছেন: ভাই আরেকটু দৌড়ে গেলে তো বাঘটা ধরে বাঘের পিঠে চড়ে হরিণ শিকার করতে পারতেন।
আমি তো গতবার তাই করলাম; জানেনতো বাঘের পিঠে চড়ে হরিণ শিকার করার মজাই আলাদা।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: পরের বার চেষ্টা করবো।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪
ইসিয়াক বলেছেন: বেশ মজার অভিজ্ঞতা।