নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নব নির্বাচিত দুই মেয়রের কাছে শহরের মানুষ যা চায়

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪০



জনাব আতিক এবং তাপস সাহেব।
আপনাদের অভিনন্দন জানাই। শহরবাসীদের পক্ষ থেকে সালাম গ্রহন করুন। আপনারা কঠিক এক দায়িত্ব নিয়েছেন। এই শহরকে মানুষ করা খুব কঠিন কাজ। কারন এই শহরের মানুষ গুলো ভালো না। এরা বিরাট বদ। অতি দুষ্ট। এরা কোনো নিয়ম কানুন মানে না। নিয়ম কানুন না মানাটাকেই এরা আধুনিকতা মনে করে। ফ্যাশন মনে করে। এজন্য তারা গর্বিত। অথচ লজ্জিত হওয়ার কথা ছিলো। এই শহরে যত সমস্যা তার জন্য এই শহরের মানুষ গুলোই দায়ী। এই অতি দুষ্টলোকদের লাইনে আনা অনেক কঠিন কাজ। আমার শিক্ষক বলতেন বাবা'রা লাইনে থাকিস। শহরের লোকজন লাইনে নেই তাই আজ শহরের এই অবস্থা। নেতা-নেত্রী, এমপি, মেয়র, মন্ত্রী-আমলারা তথা নামিদামি সকলেই তিলোত্তমা ঢাকা গড়ার কথা বলেন। কিন্তু কেউই আজ পর্যন্ত তা পারেন নি। পুরো ঢাকা শহরটা যেন একটা আবর্জনার স্তূপ। অতীতে অনেকেই বড় বড় কথা বলেছেন। কিন্তু তারা কিছুই করতে পারেন নি। আপনারা কিছু করে দেখান। আল্লাহর দোহাই লাগে কিছু করে দেখান। এ শহরে দম বন্ধ হয়ে আসে। আমাদের সুস্থ ও শান্তিতে বাঁচতে দেন।

গনপরিবহন গুলো খুব করুন অবস্থা।
বাসে উঠতে এবং নামতে জীবন শেষ হয়ে যায়। দৌড়ে দৌড়ে বাসে উঠতে হয় এবং চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে নামতে হয়। নিদ্দিষ্ট স্থানে বাস কখনই থামে না। কারন বাসওয়ালারা খুব বেয়াদপ। এরা কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করে না। প্রতিটা দিন লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাসে উঠতে হয়। সীমাহীন কষ্ট তাদের। বাসে সিট পাওয়া তো দূরের কথা পা রাখার জায়গা পর্যন্ত থাকে না। ভাড়া নিয়েও রোজ ঝামেলা হয়। গনপরিবহনের সমস্যার শেষ নেই। আপনারা অবশ্যই এদিকে নজর দিবেন। সিএনজি ওয়ালারা মিটারে যায় না। এদের জন্যও ব্যবস্থা নিবেন। বাইকওয়ালারা সবচেয়ে বেশি বেয়াদপ। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন। ময়লা ও ড্রেন পরিষ্কার করার কাজটি নিয়মিতভাবে হচ্ছে না। কেন হচ্ছে না? পুরান ঢাকার অবস্থা আরো খারাপ। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ ইত্যাদি বন্ধ করতে হবে। রাস্তা দখলমুক্ত ও হকারমুক্ত করতে কি আপনারা পারবেন? অতীতে কিন্তু কেউ পারে নি। আপনারা যদি আপনাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে না পারেন তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আপনাদের গালি দিবে।

সিটি করপোরেশনের ইনকামের অভাব নেই।
এই শহরে আপনাদের অনেক কমিউনিটি সেন্টার আছে, রাস্তার সাইন বোর্ড, বিল বোর্ড, ট্রেড লাইসেন্স থেকে শুরু করে পাবলিক টয়লেট ইত্যাদি থেকেও আপনাদের অনেক ইনকাম। ইনকাম করা টাকা গুলো দিয়ে শহরের কল্যানে কাজে লাগান। আপনাদের ডিপার্টমেন্টে একটা টাকাও যেন দূর্নীতি না হয়। আপনাদের প্রতিষ্ঠান গুলোতে যারা দূর্নীতি করবে তাদের কান ধরে বের করে দিবেন। সৎ ইচ্ছা থাকলে ভালো-ভালো কাজ করা যায়। আপনারা ভালো কাজ করে দেখিয়ে দিন। শহরের মানুষকে আপনারা কথা দিয়েছেন। যে কারনেই হোক- যারা ভোট দিতে যায়নি, আপনারা ভালো কাজ করে তাদের দেখিয়ে দিন। আপনাদের ভালো কাজ অদৃশ্য ভাবে তাদের মুখে চপেটাঘাত করবে। এই শহরের কেউ নিয়ম মানে না। পরিবার থেকেও হয়তো নিয়ম মানান শিক্ষা দেওয়া হয় না। ফুটপাতে গাড়ি আর বাইক পাকিং করে রাখে। তাদের কিছু বলতে গেলে, তারা বলে জানিস আমি কে? আমি অমুক। অমুক। ক্ষমতার দাপটের কাছে আইন অসহায়। এই শহরের মানুষদের আইন মানতে বাধ্য করুন।

আপনারা শুধু আরাম করে চেয়ারে বসে থাকবেন না।
শহরের প্রতিটা অলিতে গলিতে হুটহাট চলে যাবেন। নিজের চোখে সমস্যা গুলো দেখবেন। তারপর সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। প্রচুর পরিশ্রম আপনাদের করতে হবে। অন্য কোনো উপায় নেই। যেহেতু দায়িত্ব নিয়েছেন অবশ্যই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন। গত দশ বা বিশ বছর আগেও ফুটপাত দখল ছিলো আজও তাই। কেউ পারে নাই। আপনারা কি পারবেন? আপনারা নিশ্চয়ই জানেন ফুটপাত থেকে ইনকাম হয় কোটি কোটি টাকা। এই টাকা পুলিশ পায়। পুলিশদের ঘুষ খাওয়া কি আপনারা বন্ধ করতে পারবেন? এই দেশে ভালো কাজ করাও অনেক মুশকিল। মেয়রগণ দয়া করে কঠোর হস্তে কর্ম পরিচালনা করুন। তাহলেই দুই তিন বছরের মধ্যেই রাজধানী ঢাকার চেহারা পাল্টে যাবে। আপনাদের জনপ্রিয়তা হবে আকাশছোঁয়া। শহরের গুলিস্তান, গাবতলি, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, মহাখালীসহ আর যতো বাস টার্মিনাল আছে এবং সদরঘাট ইত্যাদি এলাকায় ভয়াবহ অবস্থা। এসব এলাকায় নানান রকম সমস্যাসহ রয়েছে চোর ছিনতাইকারী আর পকেটমার। শহরের মানুষভালো থাকতে চায়। নিরাপদে থাকতে চায়।

এই শহরে কোথাও নিরাপদ খাদ্য নেই।
বাজারে নকল পন্য। ওজনে কম দেয়। মহিষের মাংসকে গরুর মাংস বলে চালায়। ভেড়ার মাংসকে ছাগলের মাংস বলে চালায়। এই শহর এখন হয়ে গেছে দুষ্ট লোকদের শহর। ভন্ডদের শহর। খাবার হোটেল গুলো ভয়াবহ নোংরা। খাবারের মান ভালো না। রাস্তাঘাটে এবং রেস্টুরেন্ট গুলোতে খাবার মান অতি জঘন্য। দাম নিচ্ছে দুই তিন গুন বেশি- এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। কর্মের খাতিরে যাদের সারাদিন বাইরে থাকতে হয় তারা বাধ্য হয়ে এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার খায়। এই শহর থেকে দালাল দূর করতে কি পারবেন? প্রতিটা সরকারী অফিসে এবং হাসপাতালে দালাল দিয়ে ভরা। এদের একদম নির্মূল করতে হবে। প্রচন্ড নোংরা এই শহর। কঠিন-কঠিন আইন করুন। এবং এমন পরিস্থিতি করুন এই দুষ্ট জনগন যেন আইন মানতে বাধ্য হয়। পুলিশকে পঞ্চাশ টাকা দিয়ে যেন পার না পাওয়া যায়। প্রতিটি জেলা, উপজেলার ডিসি, এসপি, এমপি, সচিব তাঁদের পরিবার কোথায় থাকে? ঢাকাতেই থাকে। ইদানীং দেখা যাচ্ছে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের পরিবারও ঢাকায় থাকে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে যায় সমস্ত ভালো ভালো পরিকল্পনা।

শহরের সৌন্দর্য ও পরিচ্ছন্নতার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করুন।
এই শহরের এমন কোনো অলি-গলি বাদ নেই যেখানে নেশা দ্রব্য পাওয়া যায় না। সামান্য বৃষ্টিতে শহর ডুবে যায়। দশ বিশ বছরেও এই সমস্যা অতীতের কোনো মেয়র সমাধান করে পারে নি। আপনারা তা করে দেখান। খুব অসম্ভব কিছু না। ২০ মিনিটের পথ মানুষকে ২ ঘণ্টায় পাড়ি দিতে হয়। গাড়ি চলে না। তরুণরা রাস্তায় সাইকেল চালাতে চায়। বয়স্করা স্বাভাবিকভাবে সড়কে হাঁটতে চান। নারীরা নিরাপদ ট্রান্সপোর্ট চান। ঢাকায় কয়েক লাখ গার্মেন্ট কর্মী নারী। বাসে উঠতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাঁদের। ‘ঘোড়ায় চড়ে রাজ্য জয় করা সহজ কিন্তু রাজ্য শাসন করতে হয় ঘোড়া থেকে নেমে আর এটাই সব থেকে কঠিন কাজ’। দুই নগর মেয়রকে অনুরোধ আরাম আয়েশে গা ভাসিয়ে দিবেন না। দায়িত্ব নিয়েছেন, দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করুন। আমরা এই শহরে সুন্দরভাবে বাঁচতে চাই। শান্তিতে নিঃশ্বাস নিতে চাই।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বসে থাকবে না।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: তাই যেন হয়।

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কিচ্ছু চাই না
খালি ফুটপাতে মুতা বন্ধ করুক, ফুটপাত থাইকা অবৈধ দোকান তুইলা দিক
পরিস্কার ঢাকা গড়ুক

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১২

রাজীব নুর বলেছেন: কোণ এলাকার ফুটপাত ? মতিঝিল??

৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
তারা কি জানেন না কী দরকার???

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: শুধু জানলেই হবে না। গভীর ভাবে উপলব্ধি করতে হবে।

৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হ ভাই আর ফুটপাতের উপর দোকান ভর্তি । এসব থেকে পুলিশ টাকা খায় ।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: পুলিশ টাকা খাওয়া বন্ধ করলেই অনেক সমস্যার সমাধান এমনিতেই হয়ে যায়।

৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



মানুষ চায়, উনাদের লোকজন যেন মানুষের জমি দখল না করে।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: ক্ষমতাবান তাদের ক্ষমতা দেখানোর জন্য অনেক কিছুই করে।

৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২০

খাঁজা বাবা বলেছেন: ওনারা দায়িত্ব নেন নাই, ওনারা ক্ষমতা নিয়েছেন।
সাধারন মানুষের অনেক কিছু প্রয়োজন, কিন্তু ওনাদের কাছে কোন চাওয়া আছে বলে মনে হয় না।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: উনাদের বুঝাতে হবে
উনারা দায়িত্ব নিয়েছেন, তাই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৫

একাল-সেকাল বলেছেন:
যেখানে save bangladesh চাওয়ার অধিকার হরণ করা হয়, সেখানে save dhaka চাওয়া এক প্রকার ভাউতাবাজি মাত্র!

সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে নানাভাবে চাপ দিচ্ছেন। এতে ঢাবি শিক্ষার্থী নাসির আবদুল্লাহ পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হেনস্তার শিকার হচ্ছেন।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক।

৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

একাল-সেকাল বলেছেন: গুরুত্ব খুঁজলে গুরুত্ব আছে, মজা খুঁজলে মজাই মজা :) :D B-)

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: সে যাই হোক, এখন তো উনারা মেয়র।
তাই শহরবাসীর সুবিধা অসুবিধা দেখবেন না???

৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩

একাল-সেকাল বলেছেন:
নিজ দায়িত্বে দেখা উচিৎ। তবে প্রশ্ন ফাঁসের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রের কাছ থেকে বেশী আশা করিনা। নগরটাকে মশক আর আবর্জনা মুক্ত রাখলেই আপাতত খুশি। এর বেশী পারলে হাত তালি দিতে কৃপণতা করবনা।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১১

রাজীব নুর বলেছেন: দেখি তারা কি কি করেন। দেরী হোক যায় নি সময়।

১০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০০

এম এ হানিফ বলেছেন: নির্বাচিত হওয়া কঠিন, দায়িত্ব পালন করা কঠিনতর; আর সেটা কঠিনতম হয় যখন আমাদের মত মানুষেরা হার হামেশাই আইন ভঙ্গ করে, নিয়ম মানতে চায় না। সবাই সবার দায়িত্ব টুকু সঠিক ভাবে পালন করে, একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি আমার জায়গা থেকে, আপনি আপনার জায়গা থেকে, দায়িত্ব প্রাপ্তরা তাদের নিজেদের জায়গা থেকে সব কিছু নিয়মের মধ্যে, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সৎ ভাবে চলে, অবশ্যই বদলে যাবে এ দেশ।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: এখন থেকে যারা নিয়ম মানবে না, তাদের কি বাজে গালি দিবো? যেহেতু ভালো কথায় কাজ হচ্ছে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.