নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
বাংলামোটর থেকে বাসায় ফিরছি।
সাধারন আমি হেঁটেই বাসায় ফিরি। হেঁটে হেঁটে বাসায় ফিরতে আমার সময় লাগে ৭৮ মিনিট। আর বাসে আসলে সময় লাগে ১৫৬ মিনিট। আজ কি মনে করে লাফ দিয়ে বাসে উঠে গেলাম। কপাল ভালো জানালার পাশে সিট পেয়ে গেলাম। আমার হাতে নতুন একটা বই। বইটার নাম- বজলু জানে লাশের পরিচয়। লেখক হাবিবুল্লাহ ফাহাদ। গল্পের বই। বইটিতে মোট ১২টি গল্প আছে। বইটি এবার একুশে বইমেলাতে বের হয়েছে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স থেকে। বাস থেমে আছে। রাস্তায় জ্যাম। তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি 'বজলু জানে লাশের পরিচয়' বইয়ের প্রথম গল্পটি পড়া শুরু করলাম। প্রথম গল্পটির নাম- 'কৃষ্ণপক্ষে যাত্রা'।
'কৃষ্ণপক্ষে যাত্রা' গল্পটির কাহিনি এই রকম-
''দিবাকর বদ্যি তার মেয়েকে দেখতে যাচ্ছেন। মেয়ের নাম কিরণবালা। কিরণবালার বাচ্চা হবে। এমনিতে দিবাকর দু'সপ্তাহ পরপর মেয়েকে দেখতে যান। কিন্তু এবার যাচ্ছেন এক সপ্তাহ বাদে। কারন তিনি গতকাল কিরণবালাকে নিয়ে একটা নিষ্ঠুর স্বপ্ন দেখেছেন। দিবাকর হেঁটে হেঁটে ঘুঘুদহ গ্রামে যাচ্ছেন। ঘুঘুদহ গ্রামের নরেনের সাথে দিবাকর তার মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। ঘুঘুদহ গ্রামে যেতে যেতে দিবাকরের অনেক কিছু মনে পড়ে যায়।
সন্ধ্যার আগে আগে দিবাকর মেয়ের বাড়ি পৌঁছান।
গিয়ে দেখেন মেয়ে ভীষন অসুস্থ। খুব রক্তপাত হচ্ছে। দিবাকর বদ্যি লতাপাতা দিয়ে বহু মানুষের চিকিৎসা করিয়েছেন। আধুনিক ডাক্তার তার পছন্দ না। আধুনিক চিকিতসাও তার পছন্দ না। কিরণবালার অবস্থা দেখে জবা আর ডুমুরের একটা মিশ্রন নিজ হাতে বানিয়ে খাওয়ান মেয়েকে। খেয়ে কিরনবালার কোনো পরিবর্তন হয় নি। বরং বমি করে দেয়। এদিকে কিরণবালার স্বামী নরেন গিয়েছে গান গাইতে। গানই তার আয়ের একমাত্র উৎস। দিবাকর মেয়েকে নিয়ে কি করবেন? অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপের দিকেই যাছে।
কিরনবালার কিছুতেই রক্তপাত বন্ধ হচ্ছে না।
রক্তে শাড়ি ভিজে যাচ্ছে। গল্পের শেষের দিকে নরেন গরুর গাড়িতে করে কিরনবালাকে নিয়ে রওনা দেয় ডাক্তার বাড়ি। যে করেই হোক কিরনবালাকে বাঁচাতে হবে। কিরনবালার বাবা দিবাকর মন খারাপ করে গরুর গাড়ির দিকে তাকিয়ে থাকেন। গরুর গলায় ঘন্টি বাধা। গরুর গাড়ির দুই চাকার মাঝে হারিকেন জ্বলছে।'' গল্পটি এতটুকুই নয়। আরো আছে। অথবা আর কিছুই নেই। একেই কি পরাবাস্তবতা বলে? নাকি মিথ?
বাসের মধ্যেই প্রথম গল্পটি পড়ে ফেললাম।
খুব ভালো লাগলো। চমৎকার গল্প। ভাষা সুন্দর। লেখক প্রকৃতির দূর্দান্ত বর্ণনা দিয়েছেন যা অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। 'কৃষ্ণপক্ষে যাত্রা' গল্পটি কোনো প্রেম ভালোবাসার গল্প নয়। থ্রিলার গল্প নয়। ভূতের গল্পও নয়। অতি সাধারন গল্প। কিন্তু গল্পটি পড়ে শেষ করার পর বুকের মধ্যে কেমন হাহাকারে করে উঠলো। কেমন একটা পাওয়া না পাওয়া 'ভাব' কাজ করলো বুকের গভীরে। লেখক চমৎকারভাবে খুব ধীরে ধীরে গল্পের ভিতরে প্রবেশ করেছেন। লেখকের মুন্সিয়ানায় আমি মুগ্ধ।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: ও !
২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫৭
ইসিয়াক বলেছেন: বইমেলাতে গিয়েছিলেন ?
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: না । যাই নি।
লোক পাঠিয়ে কয়েকটা বই আনিয়েছি।
৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: একরাশ মুগ্ধতা,
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩০
নীল আকাশ বলেছেন: রাজীব ভাই, রিভিউ ভালো লেগেছে।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০০
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯
নিভৃতা বলেছেন: বাহ! বইটা মনে হয় ভালোই হবে। পড়তে ইচ্ছে করছে।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২০
রাজীব নুর বলেছেন: বইমেলায় গিয়েছিলেন?
৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: বই এর নাম দেখেই আর কিছু বলার ভাষা খুজে পাচ্ছি না !!!!
যাই হোক অভিনেতা ও গীতিকার মারজুক রাসেলের কবিতার সংকলন ‘দেহবন্টনবিষয়ক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর’ মেলায় সর্বোচ্চ বিক্রির তালিকায় রয়েছে । লেখকের বিস্তারিত পরিচয় এক দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে যা দেখে রীতিমত টাস্কি খাইলাম!!
নাম : মারজুক রাসেল
মাতা : হোসনে আরা
পিতা : শেখ সিকান্দার
সাং : টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ
জন্ম সময় : ১৫ আগস্ট, কোনো এক সময়।’
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২১
রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্যের কি উত্তর দিব বুঝতে পারছি না।
৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১
নিভৃতা বলেছেন: না। বইমেলায় যাওয়া আমার জন্যএত সহজ না
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: বইমেলায় যাওয়া কোনো ঘটনাই না।
আগামীমকাল আমার সাথেই চলুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪৯
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: চমৎকার হচ্ছে রাজীব দা