নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাস্তায় পাওয়া ডায়েরী থেকে- ১৩৪

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৫



১। আমাদের অস্তিত্বের দু'টো মৌলিক অংশ (মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমি) তা শুধু মায়ের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে।

২। মানুষ যে কখন কীভাবে বদলায় তা কেউ বলতে পারে না। জলন্ত আগুনের সামনে হঠাৎ খুব কাপুরুষও সাহসী হয়ে উঠতে পারে। কেউ দেখছে না, কেউ জানছে না, তবু বিবেক দপ করে জ্বলে ওঠে আগুনের মতন।

৩। নিউ মার্কেটে এক বিকেলে হাজার লোকের ভিড়ে আমি দু'টি মানুষকে দেখছিলাম। শ্যামলা একটি মেয়ে, সুন্দর মুখশ্রী। সে একটি গাঢ় নীল রঙের শাড়ি পরেছে। তখন সন্ধ্যা হয় হয়। তবু তার চোখে সোনালী ফ্রেমের চশমা ছিল। মেয়েটির পাশে একজন বয়স্ক মহিলা। সাদা শাড়ি তার পরনে, মুখে এক আকাশ বিষন্নতা।
একটা ফাজিল রিকশাওলা তার সাথে খারাপ ব্যবহার করছিল। আমি কাছে গিয়ে শুনলাম-বয়স্ক মহিলা বলছে- এতো ভাড়া চাইছো কেন! ওই ভাড়ার চেয়ে কমে সিএনজি'তে আসা যেত। রিকশাওলা তাকে অপমান করার জন্যই চেঁচিয়ে বলল- হেঁটে গেলে আরো সস্তা হয়। হেটেই চলে আসতেন!
বয়স্ক মহিলাটি বললেন- শহরে নতুন এসেছি বলে...তোমরা ঠক, প্রতারক। হঠাৎ নীল শাড়ি পরা মেয়েটি বয়স্ক মহিলাটর হাত ছুঁয়ে বলল- বাদ দাও মা। মেয়েটির গলা এমন ভদ্র, এত সুন্দর! যেন পৃথিবীর কারো উপর সে কখনো রাগ করেনি। তারপর বয়স্ক মহিলাটি বলল- আমি আমার অন্ধ মেয়েটিকে নিয়ে বেরিয়েছি বলে...! আমি রিকশাওলাটিকে ধমকাতে পারতাম। কিন্তু আমি কিছুই পারি নি।

৪। সিরাজ শিকদারের একটি কবিতার লাইনঃ” আর কয়েকটা শত্রু খতম হলেই তো গ্রামগুলো আমাদের; জনগণ যেনো জল, গেরিলারা মাছের মতো সাঁতরায়…”

৫। নতুন লেখকের প্রতি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেছেন- প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। পৃথিবীতে সব গল্পই লেখা হয়ে গেছে, কিছুই বাকি নেই। কেবল পুরনোকেই নতুন করে উপস্থাপন করা। একজন যখন লেখালেখি করতে আসবে পৃথিবীর তাবৎ লেখক তখন তার প্রতিদ্বন্দ্বী। সকলের সঙ্গে তাকে পাঞ্জা লড়তে হবে।

৬। রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে একটা কৌতুক গল্প চালু আছে হাঙ্গেরিতে। হাঙ্গেরিয়ানদের পক্ষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই পুরো নামটা উচ্চারণ করা বেশ শক্ত। ওদেশে কেউ যখন খুব মাতাল হয়ে যায়, তখন তার বন্ধুরা তার নেশার পরিমাণ পরীক্ষা করার জন্য জিগ্যেস করে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বানান কর তো। এই গল্প শুনে রবীন্দ্রভক্তদের ক্ষুদ্ধ হওয়া উচিত না, কারণ এই গল্পেও প্রমাণ হয় যে ওদেশে সাধারণ মানূষের মনে রবীন্দ্রনাথ কতখানি জুড়িয়ে আছেন! (আমাদের দেশের মাতালরা রবীন্দ্রনাথের ধার ধারে না)।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



৪) সিরাজ শিকদার মগজহীন শীতল জল্লাদ ছিলো; একে অনেক আগেই ধরার দরকার ছিলো, হু অবলা নারীকে বিধবা করেছে ফাকড-আপ গার্বেজটা

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১২

রাজীব নুর বলেছেন: এই লোকটাকে নিয়ে আপনি একটা পোষ্ট দেন। আমি তার সম্পর্কে জানতে চাই।

২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৩৩

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: শিরোনামের সাথে লেখার মিল বুঝলাম না।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১২

রাজীব নুর বলেছেন: ্মিল নাই। তবে সামঞ্জস্য আছে।

৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৭

নিভৃতা বলেছেন: সত্যিই তাই। পৃথিবীতে সব গল্পই লেখা হয়ে গেছে। :(

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: না একথা আমি বিশ্বাস করি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.