নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
মানুষের জীবনে একাধিক গল্প থাকে।
জীবনের গল্প গুলো সাধারনত সহজ সরল হয় না। পৃথিবী যতদিন থাকবে, ততদিন মানুষের গল্প ফুরাবে না। চারিদিকে নানান রকম মানুষ, নানান রকম তাদের গল্প। সেই গল্প গুলো লিখতে হবে, পড়তে হবে, অপরকে জানাতে হবে। আমি বুঝতে চেষ্টা করি মানুষকে। জানতে চেষ্টা করি মানুষের গল্প গুলো। বাঙ্গালীদের আনন্দের চেয়ে দুঃখের গল্প বেশি। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মানুষের চেয়ে বাঙ্গালীদের গল্প অনেক বেশি। আমি ঠিক করেছি জীবনের গল্প ব্লগারদের বলব। মানুষ বাস্তব গল্প শুনতে ভালোবাসে। মানুষ অন্যের জীবনের গল্প নিজের সাথে মিলিয়ে নেয়। তারপর গোপনে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে!
আমার বন্ধু বাবলু।
জগন্নাথ থেকে বাংলায় মাস্টার্স করেছে। খুব ভালো ছেলে। সব সময় শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে। কথায় কাজে বেশ দক্ষ। ঢাকা শহরে বাবলুর কেউ থাকে না। বাবলু মেসে থাকে। চাকরির খোজে বাবলুর জুতো অনেক গুলো ক্ষয় হয়েছে। অথচ কত অগা-মগা-জগা চাকরি করছে। জীবন তেজপাতা করে অবশেষে আমার বন্ধু একটা চাকরি যোগাড় করতে পেরেছে। ট্রাভেল এজেন্সীতে। বেতন মাত্র ১৪ হাজার টাকা। বাবলু অনেক খুশি। মাস্টার্স পাশ করে ১৪ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করতে হচ্ছে। অথচ একই প্রতিষ্ঠানে মালিকের গাড়ির ড্রাইভার ক্লাশ ফাইভ পাশ করে বেতন পাচ্ছে বাইশ হাজার টাকা। উপরি ইনকামও আছে। দুপুরের খাবার ফ্রি। মালিকের ড্রাইভার হওয়াতে অফিসের সবাই তাকে তোয়াজ করে চলে। অথচ আমার বন্ধু সারাদিন গাধার মতো পরিশ্রম করে। তার লেখাপড়ার দামটা রইলো কোথায়? অবশ্য এই শহরে গাড়ি চালানোও বিরাট দিকদারি। অনেক কষ্ট।
আমাদের সমাজে বৈষম্য দিয়ে ভরা।
ঘরে বাইরে, অফিস আদালতে সব জাগায় বৈষম্য। অথচ দেশ নাকি উন্নয়নের মহাসড়কে। এখন বন্ধু বাবলু ১৪ হাজার টাকা বেতন পেয়ে ঘর ভাড়া দিবে কি? খাবে কি? বাবলু এমন পজিশনে আছে যে দূর্নীতি করার সুযোগও নেই। দূর্নীতি করার সুযোগ থাকলে আমি বলতাম দূর্নীতি কর। ইচ্ছা মতো দূর্নীতি কর। অথচ ড্রাইভারের এক্সট্রা ইনকাম আছে। ড্রাইভার আমার বন্ধুর সাথে খুব ভাব নেয়। আমার বন্ধুকে তুমি তুমি করে বলে। যাই হোক, অন্য কথা বলি- মেয়েদের লেখাপড়ার দরকার আছে? অবশ্যই দরকার আছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এযুগের মেয়েরা লেখাপড়ায় অনেক দূর এগিয়েছে। অনার্স-মাস্টার্স পাশ করা মেয়ের অভাব নেই সমাজে। বহু মেয়ে বেশ ভালো ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে। সেলারিও বেশ ভালো। কিন্তু বহু মেয়ে লেখাপড়া শেষ করে চাকরি করে না। তারা ঘর সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তাহলে তাদের লেখাপড়া শিখে লাভটা কি হলো?
অন্য মানুষের কথা কি বলব!
আমার ঘরেই তো এই অবস্থা। সুরভি মাস্টার্স পাশ করে এখন ঘর সংসার নিয়ে ব্যস্ত? আমি সুরভিকে বলি- লেখাপড়া শিখলে অথচ তোমার লেখাপড়া দেশের কোনো উপকারে আসলো না। তাহলে লেখাপড়া শিখে লাভটা কি হলো? সুরভি অবাক চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে! সুরভির মতো এরকম বহু মেয়ে আছে। লেখাপড়া শিখে ঘর সংসার করে। আমার কথা হলো- যদি ঘর সংসার করবি তো তাহলে এত লেখাপড়া করলি কেন? ইন্টার পর্যন্ত পড়লেই তো হতো। শুধু শুধু বাপ মায়ের টাকা নষ্ট। অবশ্য সুরভি আমাকে বলে, তাহলে আমার একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দাও। তখন আমি বলি- থাক, চাকরির দরকার নাই। মন দিয়ে সংসার করো। যে মেয়েরা চাকরি করে তারা কি খুব ভালো আছে? চাকরিতে সম্মান যেমন আছে, বেশ লাঞ্ছনা আছে। এই আধুনিক যুগে এসেও আমাকে বলতে হচ্ছে- মেয়েদের জন্য কোথাও নিরাপদ স্থান নেই।
নিজের চোখে দেখা একটা ঘটণা বলি।
এক কোম্পানীতে আমি ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছি। সেখানে দেখি, একটা মেয়ে এসেছে ইন্টারভিউ দিতে তার বাবাকে সাথে নিয়ে। আরেক মেয়ে সাথে করে নিয়ে এসেছে তার মাকে। আরেকজনকে দেখলাম মামাকে নিয়ে এসেছে। দেখুন, দেশের অবস্থা মাস্টার্স পাশ করা একটা মেয়ে ইন্টারভিউ দিতে একা যেতে সাহস পায় না। সাথে করে বাবা, মা বা মামাকে নিয়ে যেতে হয়। অথচ দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। এমন উন্নয়নের মুখে লাথি মারি। যুগ যুগ ধরে এই সমাজ আর ধর্ম মেয়েদের কোনঠাসা করে ফেলেছে। খুব দুঃখজনক। আমাদের দেশের মানুষ ভালো না। প্রত্যেকে যার যার জায়গা থেকে বিরাট বদ। বিনা দ্বিধায় তাদের অমানুষ বলা যায়।
০৬ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে!
২| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তুলনাহীন !!
আপনি যা বলেন তাতে মনস্থীর রাখতে পারেন না।
একবার বলেন মেয়েরা লেখা পড়া শেষ করে চাকুরী
করুক, আবার যখন সরভী চাকুরীর জন্য আপনার
সমর্থন চায় তখন তাকে তা থেকে বিরত থাকতে
বলেন। আপনি কূল রাখেন আবার শ্যমও .......
০৬ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: মুরুব্বী এই জনমে আপনি আমাকে বুঝতে পারবেন না।
৩| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৬
ইসিয়াক বলেছেন: কি বোঝালে প্রিয় তুমি কি কহিলে বলো।
একবার তুমি ডাইনে যাও আরেকবার বা”য়ে চলো।
০৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: উফ!!!
৪| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:০৮
নিভৃতা বলেছেন: চাওয়ার পাল্লাটা হালকা রাখলে দুঃখের গল্প কম হয়। যার চাওয়ার পাল্লাটা যত ভারী হয় তার দুঃখের পাল্লাটাও তত ভারী হয়।
০৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের চাহিদার তো শেষ নেই।
৫| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৫
সানহিমেল বলেছেন: বাস্তবধর্মী লেখা।
০৭ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:০২
রাজীব নুর বলেছেন: আমি সব সময় বাস্তবেই থাকি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনন্যসাধারণ লেখা।