নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
সারাবিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস।
শুধু আতঙ্ক না, মানুষও মরছে। পৃথিবীর ইতিহাসে ছয়টি ভাইরাসকে সবচেয়ে বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। এই ছয় ভাইরাসের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, ২০১৪ থেকে ২০১৫ সালে ইবোলা মহামারিতে আফ্রিকার পশ্চিমাংশের দেশগুলোতে ১১ হাজার ৩৩৩ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। এইডস মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে সাত কোটি মানুষ এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছে। এবং প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ মানুষ এইচআইভিতে মারা গেছে।
যে কোনো সমস্যার সাথে ধর্মের সম্পর্ক আছে।
পাপের জন্যই বিভিন্ন আজাব ও মহামারী নেমে আসে বলে হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন কোনো জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে, তখন তাদের মধ্যে দুর্ভিক্ষ ও মহামারী ব্যাপক আকার ধারণ করে, যা তাদের পূর্ববর্তীদের মধ্যে ছিল না।’ ধর্ম মতে, করোনা ভাইরাস আল্লাহ প্রদত্ত। পাপাচারের শাস্তি হিসেবে অতীতেও আল্লাহতায়ালা মহামারী দিয়েছেন। অবাধ্য জাতিকে ধ্বংস করেছেন। আমরা জানি, দুনিয়ার সব কিছু আল্লাহর ইশারাতেই হয়। এবং খুব শ্রীঘই আল্লাহর ইশারাতেই কোরআন রিসার্চ করে ইহুদী নাসারারা করোনা ভাইরাসের ওষুধ আবিস্কার করে ফেলবে। এদিকে যারা করোনাতে মারা যাচ্ছেন- তারা যুদ্ধ না করেই শহীদের মর্যাদা পাবেন।
হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘পাঁচ প্রকার মৃত্যুতে শহীদ হওয়া যায়।
১। মহামারীতে মৃত,
২। পেটের পীড়ায় মৃত,
৩। পানিতে ডুবে মৃত,
৪। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে মৃত এবং
৫। যে আল্লাহর পথে মৃত্যুবরণ করেছে।’
হাদিসে রাসুল (সা.) আরও বলেছেন, যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় তিনবার বলবে ‘বিসমিল্লা-হিল্লাজি লা ইয়াদ্বুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদ্বি ওয়ালা ফিস সামা-ই, ওয়াহুয়াস সামি উল আলিম'। সকাল হওয়া পর্যন্ত তার প্রতি আকস্মিক কোনো বিপদ আসবে না। আর যে তা সকালে তিনবার বলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার ওপর আচমকা কোনো বিপদ আসবে না। যারা করোনাতে অলরেডি মারা গেছেন তারা কেন নবিজির দেখানো পথে গেলেন না? তারা কেন ‘বিসমিল্লা-হিল্লাজি লা ইয়াদ্বুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদ্বি ওয়ালা ফিস সামা-ই, ওয়াহুয়াস সামি উল আলিম'। পড়লেন না? ডাক্তাররা কেন নবিজির দেখানো পথের কথা বলছেন না? তাহলে তো মৃত্যু সংখ্যা কমে যায়। আসল কথা হলো- সূরা দিয়ে মানুষ বাচানো যায় না। যুগ বদলে গেছে।
প্লেগ মহামারী দেখা দেয় ১৯১০ সালে।
চীনের মাঞ্চুরিয়ায় অঞ্চলে দুই বছরে মারা যায় প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। কোনো সূরাই তাদের বাঁচাতে পারে নাই। সূরা বা নামাজ দিয়ে রোগ শোক থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। আসলে মনে হয়, পৃথিবীর মানুষ এতই পাপিষ্ঠ হয়ে গেছে যে তাদের মধ্যে কোনো সূরাই কাজ করছে না। কোনো মহান গ্রন্থের বানীও তাদের পাপ থেকে দূরে রাখতে পারছে না। তাই রোগশোক সূরা দিয়ে নির্মূল সম্ভব না। যদি না মহান প্রভু অলৌকিক ভাবে কিছু করেন। যদিও আজ পর্যন্ত প্রভু অলৌকিক কোনো খেলা দেখান নি। তবে দুই একটা অলৌকিক খেলা দেখানো মানুষ পাপ কম করতো। তখন পৃথিবীটা বেশ আনন্দময় হতো।
ধর্ম থেকে জানতে পারি-
মানবজাতি যখন অধিকহারে মাদকে ডুবে যাবে, গান বাজনা ও অশ্লীল কথাবার্তাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দান করবে, তখন আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসতে থাকবে। ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির আগুন, ভাইরাস, মানববিকৃতির মতো নিত্য নতুন মহাদুর্যোগ আমাদের গোনাহ ও নাফরমানিরই ফল। যদি আজাব মোকাবেলার সাহস ও সক্ষমতা আমাদের না থাকে, তাহলে সর্বপ্রকার গোনাহ ও নাফরমানি বর্জন করে আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করাই হবে মানবজাতির জন্য সত্যিকার বুদ্ধিমান ও কল্যাণকর কাজ। অথচ মানুষ ধর্মের দিকে ঝুকেনি। তাই, পৃথিবীতে যুগে যুগে অসংখ্য মহামারীর ঘটনা ঘটেছে এবং এসব মহামারীতে মৃত্যু হয়েছে কোটি কোটি মানুষের। পশ্চিম আফ্রিকায় ২০১৪ সালে ইবোলা জ্বরে মারা যায় অন্তত ১১,৩০০ জন। ধর্মের বানী মেনে চললে এত গুলো লোক মারা যেত না। মানুষ এত বোকা কেন!
প্রাকৃতিক দুর্যোগে যুগে যুগে শত শত নগর সভ্যতা বিলুপ্ত হয়ে গেছে যেমন।
৪৩০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এথেন্সে মহামারী হয়েছিল টাইফয়েড, টাইফাস জ্বর, গুটিবসন্ত কিংবা অ্যানথ্রাক্সে। পঞ্চম শতকে ইরাক, ইরান তথা মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে প্রায় ২ লক্ষ মানুষ মারা যায় প্লেগ রোগে। আমাদের মাথার উপর অনেকগুলো হুমকি: জলবায়ুর পরিবর্তন, পরমাণু যুদ্ধ, মহামারী কিংবা মহাকাশ থেকে ছুটে আসা অ্যাস্টরয়েড বা গ্রহাণুর আঘাত। এর যে কোন একটিই পৃথিবী থেকে মানবজাতিকে নিশ্চিহ্ণ করে দিতে পারে। ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়েছিল মহাকাশ থেকে ছুটে আসা এক গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত হানার পর। যদি জনসংখ্যা বৃদ্ধি থামানো না যায়, তাহলে জলবায়ুর পরিবর্তন ঠেকানো যাবে না। ভয়াবহ দূর্যোগ নেমে আসবে। আর বিশ্বায়নের যুগে যে কোন রোগ ছড়াতে পারে অতিদ্রুত, কারণ এখন মানুষ বিমানে দিনেই পাড়ি দিতে পারে কয়েকটি মহাদেশ।
আশার কথা হলো-
আজকাল ধর্মের ভয় ভীতিতেও মানুষ ভয় পায় না। আধুনিক মানুষ তো ধর্মের বানী গুলোকে হাস্যকর মনে করে। মানুষের সাথে কেউ পারবে না। মানুষের ক্ষমতা সীমাহীণ। অচিরেই করোনা ভাইরাসের ওষুধ বের হবে। মানুষ সব কিছুকেই জয় করবে। মানুষ অন্ধকার গুহা থেকে জয় করতে করতেই এত দূর এসেছে। মানুষ হারতে জানে না। ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষকে ভড়কে দেবার দিন শেষ। মানুষ আজ সচেতন। ধর্মকে পেছনে ফেলে মানুষ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বীরদর্পে। জয় হোক, মানুষের। জয় হোক মানবতার। ধর্মকে আকড়ে ধরে কুসংস্কার বিশ্বাসীরা দিনদিন অসহায় হয়ে পড়ছে।
১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিলওয়ালারা বাটপার হয়।
২| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন:
১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন:
৩| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বিরিয়ানির সাথে আলাদা ঝাল তরকারি আছে খেয়ে বিশ্রাম করুন বাসায়।
১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: বাসমতি চালের বিরানী আমি খাই না। আর এত তেলওয়ালা তরকারীও আমা খাই না।
৪| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২৪
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধর্মে সবকিছু তার থিউরিতে রিফাইন করে যেমন বিজ্ঞান রিফাইন করে তার দৃষ্টিতে। মানলে মানীওয়ালা না মানলে নাস্তিক ওয়ালা।
ধর্মের সর্বশেষ ভার্সন এসে গেছে। নতুন কোন ভার্সন আসবেনা। কিন্তু বিজ্ঞান প্রতি নিয়ত এগিয়ে চলছে, চলবে। প্রযুক্তির কল্যাণে এখন আর কোন মানুষ নবী বলে দাবি করবেনা বা করতে সাহস পাবেনা। হ্যা. একমাত্র বিজ্ঞানই নবী আসার পথকে সিলগালা করে দিয়েছে। অত্যন্ত যে সমস্ত এলাকায় বিজ্ঞানের আলো পৌঁছিয়েছে সে সমস্ত এলাকায় নতুন ধর্ম প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। হয়ত ধর্মে র পুরানো কোন ভার্সণ কে নতুনভাবে বা বিকৃত করে উপস্থাপন করতে পারে।
করোনা ভাইরাসের প্রকট এবং প্রভাব সাময়িক। হয়ত করোনা ভাইরাস মানুষ পুরাপুরি নিয়ন্ত্রণ করে নিবে, এটাই বিজ্ঞান করবে। এটা কর্মপদ্ধতির ফল।
১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: হুম ঠিক বলেছেন।
শেষমেশ সব কিছুতে বিজ্ঞানেরই জয় হয়।
১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন:
৫| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩২
Subdeb ghosh বলেছেন: জয় হোক মানুষের।জয় হোক মানবতার।মানুষ হারতে জানেনা,ঠিকই ঔষধ বের হবে।
১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস।
৬| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:০৬
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: স্বাধীনতার পরবর্তী রাজনৈতিক নেতাদের মতো এদেরও জাতি গঠনে কোন অবদান নেই। তবে ইউটিউবে ভিউয়্যরে তাদের অবদান আছে। এক্ষেত্রে হিরো আলমকেও তালিকায় নিতে হবে।
১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০১
রাজীব নুর বলেছেন: ইউটিউবের নতুন প্রজন্ম কুলাঙ্গারে পরিণত হয়েছে।
৭| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
রাজীব খান মুসলমান হিসেবে আমার উচিৎ আপনার কথার
কঠোর সমালোচনা করা। আপনি যা বোঝেন না তা নিয়ে
বা যা সম্পর্কে আপনার ধারণা নাই, বিশেষ করে ধর্ম নিয়ে
মনগড়া বক্তব্য প্রদান করবেন না। আল্লাহর প্রতি আপনার
বিশ্বাস না থাকতে পারে সেটা আপনার ব্যাপার কিন্তু অপর
মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার অধিকার আপনার নাই।
বিধর্মীরাও ইসলামকে এবং কোরআনকে যে সম্মান করে
আপনার মধ্যে সেটুকু বিশ্বাস ও সম্মান নাই। সুতরাং ধর্ম
নিয়ে কটুক্তি না করাই শ্রেয়। আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত
দান করুন। আমিন
১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী মুরুব্বী।
মুরুব্বীর মতোই কথা বলেছেন।
৮| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ইউটিউবের নতুন প্রজন্ম কুলাঙ্গারে পরিণত হয়েছে। - আমি এর পক্ষে ১৭ কোটি ভোট দিচ্ছি।
আর আপনার পছন্দের খাবার কি আওয়াজ দিয়েন। আমার সাথে খেতে পারবেন কি ? আমি দই চিড়া গুড়, রুটি নিরামিষ এইসব হত দরিদ্রদের খাবার খাই।
১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: না হত দরিদ্র খাবার আমি খেতে পারি না। যদিও আমি দরিদ্র মানুষ।
৯| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৩৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লেখক বলেছেন: হুম ঠিক বলেছেন। শেষমেশ সব কিছুতে বিজ্ঞানেরই জয় হয়।
আজ বিজ্ঞান যা আবিস্কার করছে তা ১৪০০ বছরের আগে পবিত্র কোরআনে বর্নিত হয়েছে।
সুতারং বিজ্ঞানের সাফল্যে বিজ্ঞানীদের নিয়ে ফালপাড়ার কিছু নাই। যত প্রশংসা তার প্রাপ্য
একমাত্র মহান আল্লহতা'য়ালার। কোরআন এমনই এক সময় নাজিল হলো, যখন মানুষের
জ্ঞান বিজ্ঞানের বহর ছিল ঠিক উপরের অবস্থা সেই সময়েই নাযিল হয়েছিল আল-কোরআন।
যাতে শুধু বিজ্ঞানের সাথে রিলেটেড আয়াতের সংখ্যাই আছে হাজারের বেশি। অথচ সেই
কোরআনেরই ১ টি আয়াতও পর্যন্ত মিথ্যা প্রমাণিত হয় নি। বরং বিজ্ঞানেরই কিছু ভুল ধারণা
পরবর্তিতে সংশোধন করলে দেখা গেছে, তা কোরআনের সাথে মিলে গেছে।
এরকমই কয়েকটি উদাহরণঃ
(১) আকাশের খুটি: সেই সময়ে নাযিল হওয়া কোরআনে লেখা হল- আকাশের কোন দৃশ্যমান খুটি নেই। আল্লাহ সুভহানাহুওাতা’লা পবিত্র কুরআন শরিফে বলেন “তিনিই আল্লাহ যিনি আকাশমন্ডলিকে উচুতে স্থাপন করেছেন কোন দৃশ্যমান স্তম্ভ ছাড়া, যা তোমরা বুঝতে পারবে। (সূরা রাদ:২)। আর আমাদের বিজ্ঞান আজ জানিয়েছে আকাশমন্ডলির কোন দৃশ্যমান স্তম্ভ নেই। এর আছে একটি অদৃশ্য স্তম্ভ-মধ্যাকর্ষন শক্তি! আর কোরআনও বলে দিচ্ছে একই কথা।
(২) বিগ ব্যাং থিওরি: “সত্য প্রত্যাখানকারীরা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলি ও পৃথিবী মিশে ছিল ওতপ্রোতভাবে; অত:পর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম” (আম্বিয়া:৩০)।আয়াতটি আমাদেরকে একেবারে পরিস্কারভাবে বলছে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ-নক্ষত্রেরা একসময় একজায়গায় পুঞ্জিভুত ছিল। এবং একটা নির্দিষ্ট সময়ে এদের জন্ম হয়। আরআজকের বিজ্ঞান কি বলে এ সম্বন্ধে ? ষ্টিফেন হকিং এর বিগ ব্যাং থিওরী আজ সর্বময় স্বীকৃত। এ থিওরী অনুযায়ী মহাবিশ্বের সকল দৃশ্য অদৃশ্য গ্রহ নক্ষত্র সৃষ্টির শুরুতে একটি বিন্দুতে পুঞ্জিভুত ছিল। এবং একটা বিশাল বিষ্ফোরণের মাধ্যমে এরা চারিদেকে ছড়িয়ে যেতে থাকে। কিভাবে মরুভুমির বুকে সংকলিত দেড় হাজার বছর আগের একটি বই এ এই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাটা ধারণ করতে পারল ? ড:মিলার বলেছেন, এই আয়াতটি নিয়ে চিন্তা-গবেষণার পর কোরআন যে ঐশী গ্রন্থ তা মেনে নিতে বাধ্য হই। যারা প্রচার চালাচ্ছে কোরআন হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর নিজস্ব বক্তব্য তাদের দাবি নাকচ করার জন্য এই একটি আয়াতই যথেষ্ট। ড:মিলার বলেছেন, দেড় হাজার বছর আগে ইসলামের নবীর পক্ষে কিভাবে মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য নিয়ে কথা বলা সম্ভব, যিনি কোন দিন কোন স্কুলে পড়ালেখা করেন নি। কারণ এটি এমন এক বৈজ্ঞানিক বিষয়, যা সম্পর্কে তত্ত্ব আবিষ্কার করে মাত্র কয়েক বছর আগে ১৯৭৩ সালে নোবেল পুরুস্কার পেয়েছেন এক বিজ্ঞানী। মিলারের মতে এই আয়াতে সেই বিগ ব্যাং এর কথাই বলা হয়েছে যার মাধ্যমে পৃথিবী, আকাশমন্ডলী ও তারকারাজি সৃষ্টি হয়েছে। এই বিগ ব্যাং থিওরীর একটা অনুসিদ্ধান্ত হল “অনবরত দূরে সরে যাওয়া গ্রহ নক্ষত্রগুলো একসময় আবার কাছাকাছি আসা শুরু করবে কেন্দ্রবিমুখী বল শুন্য হয়ে যাওয়ার ফলে এবং সময়ের ব্যাবধানে সব গ্রহ নক্ষত্র আবার একত্রে মিলিত হয়ে একটা পিন্ডে পরিনত হবে”। আল্লাহ সুভহানাহুওাতা’লা পবিত্র কুরআন শরিফে বলেন “সেই দিন আকাশমন্ডলীকে গুটিয়ে ফেলব, যেভাবে গুটানো হয় লিখিত দফতর” (সূরা আম্বিয়া : ১০৪) কি কিছু বুঝা গেল ? এই হল কোরআন।
(৩)ব্লাক হোলস: আল্লাহ সুভহানাহুওাতা’লা পবিত্র কুরআন শরিফে বলেন “আমি শপথ করছি সেই জায়গার যেখানে তারকারাজি পতিত হয়। নিশ্চই এটা একটা মহাসত্য, যদি তোমরা তা জানতে।” (সূরা ওয়াক্বিয়া : ৭৫, ৭৬) ৭৫ নং আয়াতটি স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে, মহাবিশ্বে এমন জায়গা আছে, যেখানে তারকা পতিত হয়। ঠিক পরের আয়াতেই এটাকে, মহাসত্য বলে দাবি করা হয়েছে। মহাকাশে এরকম স্থান আছে, এটা মাত্র কিছুদিন আগে আবিষ্কার করা হয়েছে। এই জায়গাগুলোর নাম দেয়া হয়েছে ব্লাক হোলস। এগুলোতে শুধু নক্ষত্র নয়, যে কোন কিছুই এর কাছাকাছি এলে, এখানে পতিত হতে বাধ্য।
(৪) সাত আসমান: আল্লাহ সুভহানাহুওাতা’লা পবিত্র কুরআন শরিফে বলেন “তিনিই সেই সত্ত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন, যা কিছু যমিনে রয়েচে সেই সমস্ত, অতপর তিনি মনোযোগ দিয়েচেন আকাশের প্রতি। বস্তুত তিনি তৈরী করেছেন সাত আসমান। আল্লাহ সর্ববিষয়ে অবহিত”। (সূরা বাকারাহ:২৯) আমাদের মাথার উপরের আকাশ অর্থাৎ বায়ুমন্ডল সাতটি বিভিন্ন স্তরে বিভক্ত। এটা এখন বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। এই কিছুদিন আগে বিংশ শতাব্দির আধুনিক যন্ত্রপাতি দ্বারা ইহা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানীত হয়েছে। কোরআনে দেড় হাজার বাছর আগে এই সাতটি স্তরের কথাই এভাবে বলেছে!খুবই বিষ্ময়কর।
এই সাতটি স্তরের নামগুলো এরকম-
1. ট্রাপোস্ফিয়ার,
2. স্ট্রাটোস্ফিয়ার,
3. ওযনোস্ফিয়ার,
4. মেসোস্ফিয়ার,
5. থার্মোস্ফিয়ার,
6. আয়নোস্ফিয়ার,
7. এক্সোস্ফিযার।
৫। থিওরী অফ রিলেটিভিটি: রিলেটিভিটি থিওরী মতে আমাদের দৃশ্যমান সময়ের পরিমান, আমাদের নিজেদের আপেক্ষিক বেগের উপর নির্ভর করে। সহজ কথায় সময়ের পরিমাণ বেগের সাথে পরিবর্তনশীল। আইনস্টাইনের আগে কোন বিজ্ঞানী আমাদেরকে এই বিষয়ে ধারণা দিতে পারেন নি। মানুষ তখন সময়কে একটা ধ্রুব রাসি হিসেবে বিবেচনা করতো। আথচ দেড় হাজার বছর আগের কোরআনে আছে আমরা যে সময়কে বাস্তবে বিবেচনা করতে পারি, সেই সময়ই অন্য একটি ক্ষেত্রে সময়ের পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে। আল্লাহ সুভহানাহুওাতা’লা পবিত্র কুরআন শরিফে বলেন “ফেরেশতারা আর রুহেরা আল্লাহর দিকে উর্ধগামী হয়, এমন একদিনে যাহার পরিমান একহাজার বছরের সমান।” (সূরা মায়ারিজ:৪) এবং আরো বলেছেন “তিনি আকাশ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত সমস্ত কার্য পরিচালনা করেন, অত:পর তা তার কাছে পৌছবে এমন এক দিনে, যাহার পরিমাণ তোমাদের গণনায় হাজার বছরের সমান”। (সূরা সেজদাহ:৫) সময়ের পরিমান ক্ষেত্রভেদে ভিন্ন হয়, এই কথাটা থিওরী অফ রিলেটিভিটি যতটা পরিস্কারভাবে বলেছে, তার থেকেও বেশি পরিস্কারভাবে বলা হয়েছে এই আয়াতদুটিতে। ভুলে গেলে চলবেনা, থিওরীটি আবিষ্কার হয়েছে মাত্র এক শতাব্দি আগে!
৬। গাছের নি:শ্বাস-ফটোসিনথেসিস: আল্লাহ সুভহানাহুওাতা’লা পবিত্র কুরআন শরিফে ইরশাদ করেন “শপথ সকালের যখন তারা দিনের আলোয় নি:শ্বাস নেয়”। (সূরা তাকভীর:১৮)। ফটোসিনথেসিস আবিষ্কার করার পূর্বে, এই আয়াতটি বেশ রহস্য তৈরী করে রেখেছিল। মানুষ ভাবতো এটা এমন কি হতে পারে যা দিনের আলোয় নি:শ্বাস নেয়! লোকজন খুব অবাক হয়ে ভাবতো এমন কিছুর কথা, কিন্তু তারা খুজে পায়নি এটা। যতদিন না ফটোসিনথেসিস পদ্ধতির কথা মানুষ জানলো। এই পদ্ধতি মানুষকে জানালো এমন এক প্রক্রিয়ার কথা যেটা ব্যবহার করে গাছ কার্বণ-ডাই-অক্সাইড কে শোষণ করার মাধ্যমে নিজের জন্য খাদ্য প্রস্তুত করে। একইসাথে অক্সিজেনকে পরিবেশ এ মুক্ত করে। এই প্রক্রিয়াটি কেবল দিনের বেলাতেই ঘটে, যেহেতু আলো এখানে অনঘটক হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ গাছ কেবল দিনের বেলাতেই নি:শ্বাস ক্রিয়া চালায়। আর এ কথাটিই বলা হয়েছে পবিত্র কোরআনে। এখানে আল্লাহ তায়ালা সরাসরি গাছের উল্যেখ করে আয়াতটি নাজিল করেন নি। বোধহয় এ কারনে যে, ভবিষ্যতেও কোরআন যে কালোত্তির্ন, এই বিষয়টি যাতে পরিষ্কার হয়।
কাকে কি বলি !! আপনার লিলিপুটিয়ান মস্তিস্কে এসব ঢুকবেনা।
আল্লাহর প্রশংসা করুন।
১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: এরকম সস্তা মন্তব্য করবেন না।
নিজ থেকে যা মন চায় দুই লাইন লিখুন তাও ভালো।
১০| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: পত্রিকায় দেখলাম ওয়াজ মাহফিল নিশিদ্ধ হয়েছে । গুড ডিসিশন
১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস।
১১| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৫৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লেখক বলেছেন: এরকম সস্তা মন্তব্য করবেন না।
কোরআন, হাদিসের ব্যখ্যা আপনার কাছে সস্তা মনে হবারই কথা।
আশ্চর্য হলামনা মোটে্ই
২০ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: মুরুব্বী আসসালামু আলাইকুম।
১২| ২০ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৫:১৯
সুপারডুপার বলেছেন: মুরুব্বী লেখককে হেদায়াত করার জন্য অবিরাম চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এমনটাওতো হতে পারে আল্লাহর কাছে লেখক অলরেডি হেদায়াত পেয়ে গেছেন, কিন্তু মুরুব্বীর কাছে মনে হচ্ছে লেখক এখনো হেদায়াত পান নি। কিন্তু কেন এইরকম হচ্ছে? উত্তরঃ নিজ নিজ পালিত ধর্মের মতে অন্য আরেকজন না আসলে, ধর্মানুভূতির লোকেরা মনে করে অন্য আরেকজন হেদায়াত পায় নি।
মুরুব্বী যদি লেখকের একটা ভালো চাকরি জুটিয়ে দেওয়ার জন্য অবিরাম চেষ্টা করে যেতেন, লেখকের জন্য বেশি উপকার হতো।
২০ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: মুরুব্বী আছেন অন্ধকারে।
১৩| ২০ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:৫৭
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কিছু মোল্লা দেখলাম মসজিদে যাওয়ার জন্য ঈমানী জোসে খুবই চেচামেচি করছে, আবারপোষ্টে আপনি যার ছবি দিলেন তিনি করোনার সাথে কথা বলে তাকে ঠেকানোর ফর্মুলাও নিয়ে নিয়েছে। আবার আরেক জন দেখলাম অলরেডি স্বপ্নে পাওয়া ঔষধ বিক্রি করা শুরু করেছে। ভারতের গোমু্ত্র খাওয়া আর গোবর থেরাপির আবিস্কর্তাদের সাথে এদের বেশ ভালো মিল......দুই গ্রুপই বাস্তবতা বিবর্জিত।
২০ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: আরে ভাই দেশে নির্বোধ লোকের সংখ্যাই বেশি।
১৪| ২০ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:৫৮
আসোয়াদ লোদি বলেছেন: ধর্ম মতে রোগ ব্যাধি আল্লাহ দিয়ে থাকেন,আর মানুষ নতুন নতুন ওষধ আবিষ্কার করে সেই রোগকে করে নির্মুল ও নিয়ন্ত্রণ। অতীত ইতিহাস থেকে দেখা যায় এক্ষেত্রে মানুষ বেশ সফল। সত্যিকার অর্থে ধর্ম মানুষকে ভয় দেখাতে গিয়ে, আল্লাহকেই মানুষের কাছে ছোট করে ফেলেছে। বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখি একই খেলা খেলতে খেলতে খেলোয়াড় যখন বারবার পরাজিত হতে থাকে, তখন খেলা থেকে রিটার্য়াডে চলে যান। আল্লাহ কেন নিজের পরাজয় জেনেও বারবার একই খেলা খেলে যাচ্ছেন? নাকি তাঁর কাছে নতুন কোনো ইভেন্ট নেই?
২০ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো মন্তব্য করেছেন।
১৫| ২০ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:২৯
কলাবাগান১ বলেছেন: @নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
"অর্থাৎ গাছ কেবল দিনের বেলাতেই নি:শ্বাস ক্রিয়া চালায়"
অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী.....
মরুভুমির ও অন্তত গরম এলাকার গাছ রাতে নি:শ্বাস ক্রিয়া চালায়...দিনের গরমে তার নিশ্বাস নেওয়ার 'নাক' (stomata) সে বন্ধ রাখে (যাতে তার শরীর থেকে পানি বাস্পীভূত না হয়) আর রাতের ঠান্ডায় সেই 'নাক' খুলে সে CO2 নেয় ..দিনের বেলায় সে
Crassulacean Acid Metabolism (CAM) Photosynthesis
In this pathway, stomata open at night, which allows CO2 to diffuse into the leaf to be combined with PEP and form malate. This acid is then stored in large central vacuoles until daytime. During the day, malate is released from the vacuoles and decarboxylated.
২০ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৬| ২০ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:২৫
নীল আকাশ বলেছেন: রাজীব ভাই,
ধর্মের সমালোচনা আর বিশেষ ব্যক্তিদের সমালোচনা এক নয়। আপনি এই ২টা জিনিস গুলিয়ে ফেলেছেন। ধর্ম নিয়ে যে দেশ ব্যবসা করা হয় এটা সদা সত্য। কিন্তু আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তো বিবেক-বুদ্ধি দিয়েছে, জ্ঞান অর্জন করতে বলেছে। ভন্ড লোকজন'কে অনুসরণ করতে বলে নি।
আরেকটা কথা, নবী করীম (সা.) এর পৃথিবীতে আসার পর সরাসরি আগের মতো আসমানী গজব উনার সম্মানে বন্ধ করা হয়েছে।
২০ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন:
ওরে বাটপার। তুই মুফতি।