নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
মধ্যবিত্ত খুবই খারাপ আছে এই সময়ে। যেমন আমি। পৃথিবীতে এরকম একটা বিপর্যয় হবে কেউ সেভাবে উপলব্দি করেনি আগে। সংক্রমণ বেশি না হওয়ায় বাঙালী সূক্ষ্ম আত্নতৃপ্তিতে ভুগছে। গ্রামাঞ্চলে মানুষ দেদারসে রাস্তায় ঘুরছে, বাজার করছে, চা খাচ্ছে। পুলিশ চলে যাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে সব স্বাভাবিক। গ্রামের তথাকথিত শিক্ষিতরা বলছে, এটা শহরেই সীমাবদ্ধ থাকবে, গ্রামে আসবে না।
পরিচিত পৃথিবীটা কেমন যেন হঠাৎ করে অনেকটা অপরিচিত হয়ে গেল। আমার মাঝে মাঝে মনে হয়- এই সময়টা প্রয়োজন ছিলো। মানুষ ভাবতে শিখছে। মানুষের ভাবনাশক্তি প্রায় অচল অথর্ব হয়ে পড়েছিলো বলা চলে। প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন, কিন্তু বাকিদেরকে উনার সাথে তাল মিলাতে হবে।
মানুষ যেমন বিপদ ডেকে আনে, মানুষই আবার মুক্তির পথ দেখায়। আমাদের শিক্ষিত বেকার আছে, কারণ মেধাহীন শিক্ষিতরা প্রশাসন ও সরকার চালা্চ্ছে। প্রেসিডেন্ট জানেন না প্রধান মন্ত্রী কি করতে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী জানেন না বাকী মন্ত্রীরা কি করছেন। ব্যুরোক্রেটরা কি করছে তা কেহই জানে না।
সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
আমাদের দেশে কেউ দায় নিতে প্রস্তুত নয়। কারো'ই সামাজিক দায়বদ্ধতা নেই। না সরকারের না জনগনের। প্রত্যেকেই নিজের স্বার্থে পরিস্থিতি বিচার করে। বাংলাদেশে গার্মেন্টস সেক্টর গড়ে ঊঠেছিল পরিকল্পনাবিহীন তাই এ সেক্টরকে চাইলেও পরিকল্পনায় আনা সম্ভব নয়। বিগত কয়েকবছরে এই সেক্টরের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা হারিয়ে গেছে প্রায় অনেক শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। রুবানা হক যতই শাঁক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্ঠা করেন না কেন, পরিণতি অনস্বীকার্য।
দেশের প্রাণ হচ্ছে গার্মেন্টস এর মেয়েগুলো।
প্রধানমন্ত্রীর উচিত, বিদেশী এডভাইজার ও দেশের ইউনিভার্সিটির শিক্ষকদের থেকে একটা ফোরাম করে, তাদের থেকে বুদ্ধি নেয়া। তার যারা উপদেষ্টা তারা ম্যাও প্যাও বুদ্ধি দেয়। বাংলাদেশের মানুষ শুধুমাত্র ক্যাপিটেলিজমে বিশ্বাস করে। অথচ এই দেশটি স্বাধীন হয়েছিল সোস্যালিজমের জন্য। বাইরের দেশে কি কি পদক্ষেপ নিচ্ছে সেটা জানা তো এখন সাধারন ব্যাপার, দেশের ১৮ কোটি মানুষের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পদক্ষেপ নিতে হবে।
ক্ষুধা সব চেয়ে বড় ভাইরাস।
কেনো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা লাগবে, শ্রমিকদের বেতন দেয়ার জন্য? যে শ্রমিকদের শরীরের রক্তকে ঘাম করা টাকায় মালিকরা বিভিন্ন দেশে সেকেন্ড হোম বানায়। করোনার এইদিনে ঈশ্বরের করুণা বর্ষিত হোক সবার প্রতি এটাই প্রার্থনা।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০২
রাজীব নুর বলেছেন: দরিদ্র দেশ গুলো এরকমই হয় ভাই।
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৫
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সূর্যের বাইরের স্তরের নামও করোনা।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমরা সব কিছু বুঝি তবে একটু দেরীতে!
দেশের এই অবস্থা হতোনা যদি আমরা একটু
আগে করোনার ভয়াব্হতা বুঝতে চেষ্টা করতাম।
আমাদের অবস্থা দেখিনা কি হয় !!
০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: করোনা মানুষকে অমানবিক করেছে।
করোনা সংক্রমনে যুবক মারা গেছে এমন সন্দেহে মরদেহের সৎকারে এগিয়ে আসছে না কেউ।
৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩১
Subdeb ghosh বলেছেন: ভাই মধ্যবিত্তের জীবনটা হল ঘরপোড়া গরুর মত খুব অল্পতেই ভয় পায়।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: আমি মানুষটা জটিল। মরে গেলে মরে যাবো,নো জীবনযুদ্ধ,ভেবে ফূর্তিতে আছি।
বেঁচে গেলে, আরো কিছুদিন পৃথিবীর আলোহাওয়ায় বাঁচতে পারব ভেবে ফূর্তিতে আছি!
৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৭
মৃন্ময়ী শবনম বলেছেন: দেশের গার্মেন্টস সেক্টরের শ্রমিকদের প্রায় ৭৫-৮০ ভাগই নারী।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: অসহায় নারী।
৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩৫
শের শায়রী বলেছেন: এই নিউজটা কি দেখছেন প্রথমবারের মতো বিবিসি রেডিওতে নামায সম্প্রচার রাজীব ভাই
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। মাত্র ঘুম ভাংলো।
৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সবাই যথার্থ ই মানুষ হয়ে ওঠুক।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: স্বাধীনতার এত বছর পরেও যখন মানুষ মানুষ হয় নাই। আর হবেও না।
৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৩৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: করোনা ধরলে হবে
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: ভিয়েতনামে করোনাভাইরাসে কোনো ব্যক্তি এখন পর্যন্ত মারা যায়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ (৭ এপ্রিল) তথ্য অনুযায়ী ভিয়েতনামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৪৫। দেশটিতে ইতিমধ্যে ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ১২৩ জন।
৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অর্ধেক গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাবে দীর্ঘ দিন অপরিকল্পিতভাবে চলার খেসারৎ দিতে। করনার আগেও অনেক গার্মেন্টস প্রচণ্ড প্রতিযোগিতার মধ্যে ছিল। কোনও ধরণের কাড়খানাই ভর্তুকি দিয়ে বেশী দিন চালানো যায় না। গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা তাদের অর্জিত সম্পদ নিয়ে নতুন করে ঝুঁকি নিবে না। প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারালে টাকা দিয়ে তা সামলানো যায় না।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কোনও দেশে কখনও সমাজতন্ত্র আসে নাই। একটা দেশের সংবিধানে একই সাথে গনতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্র কিভাবে থাকে? সমাজতন্ত্র না বলে বলা উচিত কল্যাণ রাষ্ট্র ( ইউরোপের অনেক দেশের মত)।
১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: চিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৭
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আজব এক দেশে বাস করছি ভাই।এখানে বেশিরভাগ মানুষের মাঝেই দায়বদ্ধতা নেই।যেসব মানুষ দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করে তারাও এগিয়ে যেতে পারেনা বেশিদূর কারন সিস্টেমের চেয়ে সিস্টেম লস এখানে বেশি।