নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘুম এবং তন্দ্রার মাঝামাঝি

১০ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫০





মানুষের ঘুমের প্রয়োজন আছে।
আমি মানুষ আমার ঘুমের দরকার আছে। কমপক্ষে পাচ ঘন্টা ঘুম হলেও আমার চলবে। কিন্তু আমার ঘুম আসে না। একেবারেই আসে না। ফযরের আযান দিয়ে দেয় কিন্তু ঘুম আসে না। সকাল ৭/৮ টা বেজে যায় কিন্তু ঘুম আসে না। মুভি দেখে, বই পড়ে রাত তিনটায় বিছানায় যাই। তিনটা থেকে সকাল আট টা পর্যন্ত বিছানায় গড়াগড়ি করি। একফোটা ঘুম আসে না। উফ কি যে যন্ত্রনা! কি যে কষ্ট! অথচ আমার পাশেই সুরভি গভীর ঘুমে। তার কোনো ঘুমের সমস্যা নাই। মুহুর্তের মধ্যে ঘুমিয়ে যায়। আজ পর্যন্ত আমি সুরভির ঘুমের সমস্যা দেখলাম না। স্বামীর ঘুম আসে না, আর স্ত্রী আরাম করে ঘুমায়। এটা কোনো কথা হলো! স্ত্রী লোকেরা স্বামীর সেবা যত্ন করবে। স্বামী না ঘুমালে স্বামীর পাশে বসে থাকবে।

আমি স্বপ্ন দেখি।
আমি না ঘুমিয়ে চোখ বন্ধ করে স্বপ্ন দেখি। ইচ্ছা করে নিজের মতো করে স্বপ্ন গুলো দেখি। স্বপ্ন দেখতে দেখতে একসময় স্বপ্নে আর আমার নিয়ন্ত্রনে থাকে না। এ বড় অদ্ভুত মজার খেলা। প্রতিদিনই আমি এই মজার খেলা খেলছি। গতকালের স্বপ্নের কথাটা বলি। ফযরের আযানের সময় নিশ্চি্ত হলাম- আজও ঘুম হবে না। আসলে ঘুম হওয়ার কথাও না। পরিশ্রম না করলে কি ঘুম আসে না। সারাদিন শুয়ে বসে আছি। আচমকা ইচ্ছা করে স্বপ্ন বানাতে শুরু করলাম। কিছু একটা নিয়ে ব্যস্ত থাকলে বিরক্ত লাগবে না। নিজেকে নিজে বুঝাচ্ছি রাজীব তুমি গভীর ঘুমে। এই ঘুম সামান্য শব্দে ভাংবে না। জানালা দিয়ে কিছু জোছনা আমার গায়ে এসে পড়েছে। আমি সেটা দেখছি না। কারন আমি গভীর ঘুমে। ঘুমন্ত স্ত্রীর মুখের দিকেও তাকাই না। তাতে প্রেম বেড়ে যেতে পারে।

কেমন একটা অচেনা জায়গায় চলে গেছি।
চারিদিকে কুয়াশা। এত কুয়াশা যে কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না। আমার বেশ শীত শীত করতে লাগলো। একটা পাতলা চাদর গায়ে দিতে পারলে ভালো লাগতো। কুয়াশা কেটে যাবে আমি সেই অপেক্ষায় আছি। হঠাত দেখি আমার পাশে একটা মেয়ে দাড়িয়ে আছে। মেয়েটাও কি আমার মতো কুয়াশা কেটে যাবার অপেক্ষায় আছে? খুব সুন্দর একটা মেয়ে। সহজ সরল সুন্দর। মুখটা ভীষন মায়ামায়া। সুন্দর একটা শাড়ি পরেছে। মেদবিহীন ফর্সা পেট দেখা যাচ্ছে অনেকখানি। বেশির ভাগ মেয়েই সুন্দর করে শাড়ি পড়তে পারে না। তাদের পেট বের হয়ে থাকে। দুষ্টপুরুষ লোকেরা কুৎসিত ভাবে তাকিয়ে থাকবে এই টেনশনে। যে মেয়ের পেট দেখা নিয়ে টেনশন নেই, সেই মেয়ের শাড়ি পরাটাই সব সময় সূন্দর হয়। দুই হাত ভরতি কাচের চুড়ি। কোমর পর্যন্ত চুল। চোখে মোটা করে কাজল দিয়েছে। কপালে ছোট্র একটা টিপ। মেয়েটাকে দেখে মনে হলো- একটা মানুষ এত সুন্দর হয় কি করে!

মেয়েটা চোখে মুখে এক আকাশ বিস্ময় নিয়ে বলল-
আপনার নৌকা ছেড়ে দিচ্ছে। ভালো করে তাকিয়ে দেখুন। আমি তাকিয়ে দেখলাম। বেশ বড় একটা নৌকা। নৌকায় বেশ কয়েকজন মানুষকে দেখা যাচ্ছে। সবার চোখে মুখে কেমন একটা আনন্দ আনন্দ ভাব! যেন সবাই পিকনিক করতে যাচ্ছে। আমি মেয়েটাকে বললাম, নীলা তুমিও আমাদের সাথে চলো। নীলা কিছুক্ষন কি যেন ভাবলো। তারপর বলল, আচ্ছা, ঠিক আছে চলুন। নৌকা বেশ দুলছিলো। আমি নীলার হাত ধরে নৌকায় তুললাম। আহ কি সুন্দর নরম কোমল হাত! নৌকা দুলতে দুলতে চলছে। আমি নীলাকে জড়িয়ে ধরে বসে আছি। নীলা আমার কাধে মাথা রেখেছে। নীলার গা থেকে মিষ্টি একটা সৌরভ আসছে। নীলা গুনগুন করে গান গাচ্ছে। চমতকার গলা। ''ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান/ তোমার হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান/ আমার আপনহারা প্রাণ, আমার বাঁধন-ছেড়া প্রাণ''।

স্বপ্ন আর আমার নিয়ন্ত্রনে নেই।
স্বপ্ন বদলাতে শুরু করেছে। মা চিৎকার করে বললেন, রান্না শেষ খেয়ে নে। মা খাবার বেড়ে দিলেন। আয়োজন বেশ ভালো। গরম গরম ইলিশ মাছ ভাজা। খিচুড়ি, বেগুন ভাজা। দুই রকমের আচার। মা বললেন, এই তোর পাশে মেয়েটাকে কে রে? আমি বললাম, এটা আমার বউ। মা রেগে গিয়ে বললেন, তুই আরেকটা বিয়ে করেসিছ। আমি বললাম, মা বকবক করো না তো খাবার দাও। নীলার খুব খিদে পেয়ছে। নীলা বলল, বাবু তুমি আমাকে খাইয়ে দাও। এক এক আকাশ ভালোবাসা নিয়ে আমি নীলাকে খাইয়ে দিলাম। এমন সময় কোথা থেকে একটা বাচ্চা মেয়ে এসে বলল, বাবা আমাকেও খাইয়ে দাও। আমি বলল, প্লীজ পরী বিরক্ত করো না। তোমার মাকে খাইয়ে দিতে বলো। পরী বলল, মা তোমাকে খাইয়ে দিতে বলেছে। নিজের মা আর কন্যা উপর বেশ বিরক্ত লাগলো। এরা কি চায় না আমি একটু আনন্দে থাকি।

নীলা আর পরীকে আমি খাইয়ে দিচ্ছি।
এমন সময় সুরভি এসে উপস্থিত। তার চোখ মুখ লাল। সুরভি চোখ মুখ খিচিয়ে বলল, এই মেয়ে কে? আমি খুব সহজ ভাবে বললাম, এটা আমার বউ। সূরভি বলল- তুমি বিয়ে করেছো? আমি বললাম, যাও তো সামনে থেকে। এখন বিরক্ত করো না। নীলার মনে হয় জ্বর এসেছে। পরী বেশ খুশি। সে নাচছে আর বলছে আমার দু'টা মা। আমার দু'টা মা। আমি বললাম, দেখো, সুরভি পরী কত খুশি। তুমিও খুশি হও। সুরভি একটা বটি নিয়ে এসেছে। সে আমাকে বটি দিয়ে কাটবে। তখন নীলা সুরভিকে বলল, আপনি এমন করছেন ক্যান? আসুন, আমরা সবাই মিলেমিশে থাকি। মিলে মিশে থাকতে পারলেই জীবনটা আনন্দময় হয়। সুরভি বলল, আজকে তোদের খবর আছে। বটির কোপ খাওয়ার আগেই আমি আর নীলা নদীতে ঝাঁপ দিলাম।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এত খারাপ সময় পৃথিবীর মানুষ এর আগে কখনো দেখেনি।
খুবই খারাপ সময়।

১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: এই গান টা শুনেছেন?
শোল আনা দিবি বলে আজ ও দিলি না, কেনো রে মন সাধুর সঙ্গ নিলি না..

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



সাঁতার জানেন তো?

১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: না, জানি না।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩

ইসিয়াক বলেছেন: সত্যি কথা বলেতে শারীরিক পরিশ্রমে প্রচুর ঘুম আসে সেই সাথে ক্ষুধা বাড়ে।
আর সবচেয়ে বড় কথা যে কোন মানের খাবাই হোক না কেন স্বাদে অমৃত লাগে। বাসায় আপনি বিভিন্ন ধরনের ব্যয়াম করেন দেখবেন শরীর মন দুটোই ভালো থাকবে। খাবারে রুচি ফিরবে। ভালো ঘুম হবো।
সামনে ভালো দিন আসছে। একটু দুশ্চিন্তা করবেন না। দেখবেন ভালো থাকবেন।

১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: এ দেখাই শেষ দেখা হয়তো। বন্ধু বন্ধুর সাথে, ভাই বোনের সাথে, সন্তান পিতামাতার সাথে, স্বজনের সাথে, কলিগের সাথে, শুভাকাঙ্ক্ষীর সাথে। মালাকুল মাওত দরজায়। অপেক্ষায়। প্রতিজনের জন্য।

৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২

সোহানাজোহা বলেছেন: মজাদার গল্প। পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো থাকুন।

১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: চেষ্টা করছি।

৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২১

ইসিয়াক বলেছেন: দুইটা বিয়ে করার খুব শখ হয়েছে :P
আবার সুরভী ভাবীকে ভিলেন বানানো হচ্ছে। ভাবীকে বলে দেবো কিন্তু। তখন দেখেন কেমন মজা।

১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: মানব সৃষ্ট পৃথিবীর কম্পন থেমে গেছে। গাড়ি নিস্তব্দ, ট্রেন নিশ্চুপ, বিমান নিশ্চল, জাহাজ নোঙরে আটকা। মানুষ ঘরে বন্দী, যন্ত্র বন্ধ, কলকারখানা মৃত। এ কেমন পৃথিবী? কোথায় গেল ইউরোপের রেঁনেসা, কোথায় গেল বার্লিনের দেয়াল ভাঙা, কোথায় গেল রুশ বিপ্লব।

৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ভালোইতো! ঘুম এবং তন্দ্রার মাঝামাঝি,এটা মেডিটেশনের একটা স্তর।চালিয়ে যান।

১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: মহামারী মানবতার মুখোমুখি একটি পরীক্ষা। আমরা আমাদের সমস্ত ধৈর্য, শৃঙ্খলা সহকারে এটি পাস করব এবং এখনও একে অপরকে ভালবাসব।

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: জেলা পুলিশের পোলো শার্ট পড়ে আছেন ক্যান? ডর লাগে।

১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার চোখ কিচ্ছু এড়ায় না।

পুলিশের এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম ঢাকার বাইরে। তারা দিয়েছে।

৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৭

জাহিদ অনিক বলেছেন: একই সমস্যা। ঘুম আসে না।
এপাশ ওপাশ করতে করতে সকাল ৯/১০টা বেজে যায়।

১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: এটা যে কি যন্ত্রনার আমি বুঝি।

৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৪

সাইন বোর্ড বলেছেন: ভালই তো লিখছেন, মৌলিক কিছু লিখুন, জীবনী লেখার সময় পরেও পাবেন ।

১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী। লিখব।

১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫০

আমি রানা বলেছেন: আপনাকেও নীলা পাইসে? সুতরাং সাবধান

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: কোনো নীলাই আমার কাছে আসবে না। হে হে--

১১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আর ঘুম আসে না। লিখতে থাকেন আমরা পড়তে থাকি

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

১২| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: ভাবী এ গল্প দেখলো?

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: দেখলে আমার খবর আছে।

১৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: '
বদের হাড্ডি !!
বেশ কিছুদিন যাবৎ আমি লক্ষ্য করছি আপনার লেখায়
আপনার দ্বিতীয় বিবাহ করার ইচ্ছা প্রকাশ পাচ্ছে!!
'ইনিয়ে বিনিয়ে গল্পের ছলে আপনার ভীতরে থাকা
খায়েশটা মাথাচাড় দিয়ে উঠছে!! সাহস আর সঙ্গতি
থাকলে করে দেখান !! দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর
দরকার কি? পুরুষ মরে একবার আর কাপুরুষ বার বার।

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: সাহসের অভাব।
আপনি কিছুটা সাহস দেন আমাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.