নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আমার ঘরে দুইটা টিকটিকি আছে।
কোথা থেকে যে ওরা এ্লো! বিরাট বড় সাইজ। দেখলেই ভয় করে। গা ঘিন ঘিন করে। মনে হয় অনেক খাবার খায়- এই জন্য খেয়ে দেয়ে এত মোটা হয়েছে। তাছাড়া মনে হয় ওদের অনেক বয়স হয়েছে। নড়াচড়া খুব একটা করে না। ঘন্টার পর ঘন্টা একই জায়গায় থিতু হয়ে থাকে। আমি টিকটিকি ভয় পাই। আমার চেয়ে বেশি ভয় পায় সুরভি। এই দুই হারামজাদা আমাকে খুব ভয় দেখায়। গতকালের কথা। সুরভি গভীর ঘুমে। রাত তিনটা বাজে তখন। আমি মুভি দেখছিলাম। হঠাত সিগারেট খেতে ইচ্ছা করলো। বেলকনিতে গিয়েছি সিগারেট খাবো। তখন দেখি এক কোনায় টিকটিকিটা। অবাক চোখে মাথা উচু করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি হুস হুস করলাম। কিন্তু হারামজাদা একটুও নড়ে না। মনে হচ্ছে হারামজাদা আমার উপর এখনই লাফ দিবে। বেশ ভয় লাগলো। সিগারেট ফেলে ঘরে চলে এলাম। আমি বাসার যে জায়গা গুলোতে সিগারেট খাই- দুই হারামজাদাকে সেখানটা বেশি দেখা যায়।
আমি বুয়ার অপেক্ষায় আছি।
বুয়া এলে বলবো- এই দুই হারামজাদাকে বাসা থেকে বের করো। পুরস্কার হিসেবে দুই শ' টাকা পাবে। বুয়াকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। করোনা মুক্ত হলে বুয়া আসবে। বুয়াকে বলা হয়েছে কোনো চিন্তা করবে না। যে ক'দিন কাজ করবে না- সে ক'দিনের টাকা তোমাকে দেওয়া হবে। যাই হোক, সুরভি প্রতিদিন বিকেলে কোনো না কোনো নাস্তা বানাচ্ছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করতেই থাকে। এত কাজ করে যে আমার নিজেরই খারাপ লাগে। আমি বলি- সব ফেলে রাখো। বিশ্রাম নাও। মনে হয় সুরভির শুচিবায়ুগ্রস্ত। সারাদিন সাত বার করে ঘর মুছে। দশবার করে বিছানা ঝাড়ু দেয়। আজ বিকেলে দেখি, সুরভি সিংগারা বানাচ্ছে। আমাদের বাসায় সদস্য সংখ্যা দশ জন। একজন যদি তিনটা করে সিংগারা খায়, তাহলে মোট ত্রিশটা সিংগারা বানাতে হবে। আমি সুরভিকে সিংগারা বানাতে সাহায্য করলাম। কলিজা সিংগারা। খেতে বেশ স্বাদ হয়েছে। গতকাল বিকেলে সুরভি নাস্তার জন্য বানিয়ে ছিলো- অনথন।
দুইটা বেশ বড় তরমুজ কিনেছিলাম।
গলির মাথায় ভ্যানে করে বিক্রি করছিলো। দাম বেশ সস্তা মনে হলো। দুইটা দাম রাখলো চার শ' টাকা। বাসায় এসে তরমুজ কেটে মনটা খুশিতে ভরে গেল। লাল টকটকা। আর দারুন মিষ্টি। সবরি কলা কিনেছি এক ডজন। দাম নিয়েছে আশি টাকা। সবরি কলা আমি খাই না। কি মনে করে একটা খেলাম। কলা খেতে বেশ লাগলো। আজ দুপুরে ভাত খেলাম লই্ট্রা শুটকি মাছ দিয়ে। চমতকার হয়েছে রান্না। আলু আর বেগুন চিকন চিকন করে কেটে লইটা দিয়ে রান্না করেছে। দারুন লাগলো। সাথে ছিলো লতি ভাজি। লতির সাথে চিংড়ি মাছ দিয়েছে। খেতে ভারী মজা লাগলো। ডিম আর কালিজিরা ভরতা ছিলো সাথে। ভরতা দূর্দান্ত হয়েছে। হাসের ডিমের ভরতা। কা্লিজিরা ভরতা তো বেশ স্বাদ লাগলো। এসব ভরতা, শুট্কি মাছ আর লতিফতি আমি আগে খেতাম না। আজকাল খাচ্ছি, ভালোই তো লাগে। সুরভি বলেছে, আগামীকাল যদি বৃষ্টি হয় তাহলে খিচুড়ি আর গরুর মাংস রান্না করবে। খিচুড়িতে মটরশুটি দিবে।
বর্তমানে বাসার পরিস্থিতি খুব খারাপ।
গত পরশু লুডু খেলা নিয়ে তুমুল গন্ডগোল হয়েছে। মার সাথে ছোট ভাইয়ের। ছোট ভাই দুদিন ধরে নিচে যায় না। মার সাথে কথাও বলে না। আরিশকে ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাকে দোতলা, ছয়তলা বা নিচতলায়ও যেতে দিচ্ছে না। এদিকে বড় ভাই রাগ করে লুডুই ছিড়ে ফেলেছে। সামান্য লুডু খেলা নিয়ে এত চিল্লাচিল্লি! আমি অবশ্য লুডু খেলি না। আমার মোবাইলে দাবা গেমস আছে। আমি মন দিয়ে দাবা খেলি। বারবার হারি। আমি বেশ আছি। একের পর এক মুভি দেখছি। বই পড়ছি। ব্লগিং করছি।
আজ রাতে যে মুভিটি দেখব সেটার নাম হলো- Into the wild। চমতকার মুভি। আগেও দুবার দেখেছি। মুভিতে নায়কের নাম থাকে ক্রিস। বাবা মা ঝগড়া করে তাই সে বাসা থেকে পালিয়ে যায়। ক্রিসের ধারনা তার বাবা মা এখন আর ঝগড়া করবেন না। তারা অ্নুতপ্ত হবেন। এরমধ্যে ক্রিস আলাস্কার জঙ্গলে ইচ্ছে মতোন ঘুরে বেড়াবে। শেষমেশ তার বাবা মায়ের ঝগড়া থামে কিন্তু সে আর বাড়ি ফিরে যেতে পারে না। এক কথায় অসাধারন একটা মুভি।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া জনাব।
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৪
প্রেক্ষা বলেছেন: টিকটিকিরা আপনার সিগারেট খাওয়া পছন্দ করে না,কি ভালো টিকটিকি।
হাঁসের ডিম এর ভর্তার মধ্যে একটু আচারের তেল নিয়ে নিবেন,খেতে দারুণ লাগবে।
একটা মজার ব্যাপার হচ্ছে,আপনার ডাইরির পাতা কোনদিন শেষ হবে না।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: ডায়েরির পাতা শেষ হবে।
আমি মরে গেলেই আমার ডায়েরির পাতা শেষ হবে।
৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২১
প্রেক্ষা বলেছেন: এভাবে তো ভেবে দেখিনি
২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: এভাবে না ভাবলেও ক্ষতি নাই।
৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩৯
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সিগারেট না খাওয়াই ভাল(সিগারেট খায় নাকি পান করে)সিগারেট খেলেই ক্যানসার হয় এলননা তবে যাদের ক্যানসার হয়েছে তাদের বেশিরভাগই সিগারেট খেত।
রেল ইস্টিশনের বিশ্রামঘরে বড় বড় টিকটিকি দেখাযেত।লুডু খেলতে গেলে কেউ কেউ ছোট খাট চালাকি করে। আলু বেগুন আর লইটটা মুন্সিগন্জবাসির একটা প্রিয় রান্না।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০০
রাজীব নুর বলেছেন: আমার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ তা জানেন??
৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৫৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: গতকাল এলিয়েন কি দেখা দিয়েছিলো?
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: মনে হয় এলিয়েন এসেছিলো।
ঘর অন্ধকার ছিলো তাই স্পষ্ট দেখতে পাই নি।
খুব আলসেমি লাগছিলো। তাই উঠে বাতি জ্বালাই নি।
৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:১৩
অনল চৌধুরী বলেছেন: সব সুপারহিরোর ছবি কেনো?
হলিউডে অভিনয় করতে চান নাকি?
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: ছবিটা ভালো করে দেখুন। ছবির অর্থ আলাদা। লক্ষ্য করুন।
৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:১৪
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: না আমি জানি না।তবে আমি যত ছোটগল্প পড়েছি,বিভূতীভূষন থেকে হরিশংকর জলদাস,এখন পড়ছি আপানাদের কিছু কিছুলিখা,তাতে আমার এই উপলব্ধি হয়েছে যে,কোন লেখকই তার ব্যাক্তিগত উপলব্ধি ছাড়া কোনএলাকার যথাযত বর্ননা দিতে পারে না।আপনার একটা গল্পে ঢাকা থেকে লঞ্চে বাড়ী যাওয়া এবং বাড়ীর যে সুন্দর বর্ননা আপনি দিয়েছ, তাতে আমার ধারনা আপনার বাড়ী ঐ এলাকায়।(আমার বাড়ী পদ্মারঐ পার)
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার বাড়ি ফরিদপুর?
আমার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ।
৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:২৪
ইসিয়াক বলেছেন: বেশ তো আছেন
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:২০
রাজীব নুর বলেছেন: তা আছি।
৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:৪৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: শুনেছি লুডু খেলা নিয়ে দুপক্ষের মারামারিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে 10 ব্যক্তি নিহত হয়েছে।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:২০
রাজীব নুর বলেছেন: এরকম প্রায়ই হয়।
১০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:২২
ইসিয়াক বলেছেন: আজ খুব সকাল সকাল উঠেছেন মনে হচ্ছে। কয়দিন তো দুপুর বারোটার আগেই উঠছিলেন না।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে গতকাল এক ফোটা ঘুম হয় নি। এখন শরির খারাপ লাগছে।
১১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৪১
ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: ডায়েরি ভালো লাগছে
আগেকার দিনে আমরা একটা মজার খেলা খেলতাম। সিলিঙে টিকটিকি দেখলে গামছা বা তোয়ালে জাতীয় একটা কিছু দলা পাকিয়ে ওপরে ছুঁড়ে মারতাম। এতে যেটা হতো, প্রায় কখনোই টিকটিকি পড়ত না কিন্তু টিকটিকির লেজ খসে পড়ত। এটা একটা মজার খেলা ছিল (এটা আমি স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগেকার দিনের কথা)
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: এই খেলাটা আমিও খেলেছি।
টিকটিকির লেজ খসে পরে বেশ কিছুক্ষন একা একাই নড়তো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৩
আল-ইকরাম বলেছেন: পড়লাম। সহজ সরল উপস্থাপনা। ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ।