নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
জ্যোৎস্না রাতে ছাদের রেলিং- এর ধারে পাশাপাশি দু'জন দাঁড়ানো।
প্রচুর বাতাস। বাতাসে নীলার শাড়ির আঁচল উড়ছে। নদী্র মাঝখানে বাতাস তো থাকবেই। নদীর নাম কীর্তনখোলা। বরিশাল এবং ঝালকাঠি জেলার একটি নদী। এই নদীর তীরে বরিশাল শহর অবস্থিত। কীর্তনখোলা ছাড়াও বরিশালে আর বেশ কিছু ছোট বড় নদী আছে। আরিয়ালখা নদী, পায়রা নদী, সন্ধ্যা নদী, কালিজিরা নদী, ইলিশা নদী। একসময় নদীর পাড়ে কীর্তনের উৎসব হতো। তাই এই নদীর নাম হয়েছে কীর্তনখোলা। বরিশাল বাসীদের গর্ব এই নদী। শাহেদ আর নীলা বরিশাল যাচ্ছে। নদী পথে কোনো জ্যাম নেই। খুব দ্রুত চলছে এম ভি মাছ রাঙ্গা লঞ্চটি। বিশাল তিন তলা লঞ্চ। চাঁদটাকে মেঘ ঢেকে দিলেই চারিদিকে গাঢ় অন্ধকার। হঠাৎ হঠাৎ লঞ্চের সারেং ফ্লাড লাইট জ্বেলে দেন। তখন ফ্লাড লাইটের আলোতে অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যায়। মাঝে মাঝে কিছু মাছ ধরার নৌকা দেখা যায়। সারারাত অন্ধকারে কি করে মাছ ধরে তা শাহেদ-নীলা জানে না।
নীলা শাহেদের হাত শক্ত করে ধরে আছে।
নদীতে চাঁদের আলো এসে পড়েছে। আলোটুকু যেখানে পড়েছে সেখানে ঝকমক করছে। শাহেদ নীলা দুজনেই মুগ্ধ হয়ে দেখছে। নীলা মনে মনে বলল- এত সুন্দর! এত সুন্দর!
শাহেদ বলল, কেমন লাগছে?
নীলা বললো, আমার মরে যেতে ইচ্ছা করছে। এত সুন্দর আমি সহ্য করতে পারছি না।
শাহেদ বলল এসে নদীতে ঝাঁপ দেই।
নীলা বলল, না আমার অনেকদিন বেঁচে থাকতে হবে।
কেন বেঁচে থাকতে হবে?
তোমার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য।
তারপর তারা দুইজন চুপ হয়ে গেলো।
আর কোনো কথা নেই। কথা না থাকলেও মনে মনে কত ক্থা হয়ে যাচ্ছে প্রতিটা মুহুর্তে। হাতে রেখে হাত, আঙ্গুলে আঙ্গুলের স্পর্শে কত কথা বলা হয়ে যাচ্ছে। এই কথার মানে কেউ বুঝবে না। কেউ জানবে না। শুধু জানে তারা দুজন। নীলা'ই প্রথম নিরবতা ভাঙ্গলো।
বলল, খুব চা খেতে ইচ্ছা করছে।
শাহেদ বলল, লঞ্চের চা কখনই ভালো হয় না। তুমি ফ্লাক্সে করে চা নিয়ে এলে না কেন?
নীলা বলল, তাড়াহুড়ায় ভুলে গিয়েছি। চলো, লঞ্চের ক্যান্টিন থেকে পচা খেয়ে আসি।
শাহেদ বলল, ক্যান্টিনে যেতে হবে না। আমি আগেই বলে এসেছি। দু'কাপ চা এখানেই দিয়ে যাবে। শাহেদের কথা শেষ হওয়ার আগেই ক্যান্টিন বয় দু'কাপ চা নিয়ে এসে হাজির।
শাহেদ বলল, সারারাত কি আমরা এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবো?
নীলা বলল, ভালোই তো লাগছে। থাকি।
শাহেদ বলল, তাহলে এত টাকা দিয়ে কেবিন ভাড়া করলাম কেন?
নীলা, একটু মিটি মিটি হেসে বলল, কেবিনে গিয়ে কি করবে?
শাহেদ বললো, কেবিনে গিয়ে জিং জিং করবো?
নীলা বললো, জিং জিং আবার কি? এটা কি ভাষা।
শাহেদ বলল, এটা চাঁদগাজীর নিজস্ব ভাষা।
নীলা বলল, চাঁদগাজী কে?
শাহেদ বলল, আছে একজন। তুমি চিনবে না? দারুন বুদ্ধিমান একজন মানুষ। মুক্তিযুদ্ধও করেছেন।
( ২য় পর্ব আগামীকাল।)
০৭ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: না ঠিক না।
শুধু মাত্র একটা দেশের মধ্যে আবদ্ধ থাকা ঠিক না।
পুরো বিশ্বটাকেই নিজের দেশ বলে ভাবতে হবে।
২| ০৭ ই মে, ২০২০ রাত ১১:১৪
মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন:
আহা!!!
এন্ডিংটা চমকপ্রদ
০৭ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে---
৩| ০৭ ই মে, ২০২০ রাত ১১:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
সারছেন
০৭ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: মাঝে মাঝে এরকমও দরকার আছে।
তা না হলে বড্ড বোরিং হয়ে যাবে যে সব কিছু।
৪| ০৭ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৫২
মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন:
দারুন একটা শব্দ শিখলাম জিং জিং
০৮ ই মে, ২০২০ রাত ১২:০১
রাজীব নুর বলেছেন: ব্লগে থাকুন। নতুন নতুন শব্দ শিখুন।
৫| ০৮ ই মে, ২০২০ রাত ১২:১৯
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এতক্ষনে বেড়াতে যাবার আসল উদ্দেশ্য জানা গেল।বরিশালে জীবনানন্দের নদী ছিল ধানসিঁড়ি,এখন শুঁকিয়ে গেছে।কতদিন পর পর এমন বেড়াতে যান।
ছোট ছোট বাক্যে লিখা।মনে হয় হুমায়ূন আহমেদ এর গল্প পরছি।ভাল লিখেছেন।
০৮ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৬| ০৮ ই মে, ২০২০ রাত ১২:১৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+
০৮ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার কবিতার মতন সুন্দর?
৭| ০৮ ই মে, ২০২০ রাত ৩:১৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: লেখা পড়ে ভালো লেগেছে।
০৮ ই মে, ২০২০ রাত ৩:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ০৮ ই মে, ২০২০ ভোর ৬:৪৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই সময়ের লঞ্চ ভ্রমণ বিপদজনক । বৈশাখী ঝড়ে লঞ্চ যাবে উল্টে।
০৮ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: যৌবন বয়সে বিপদের ভয় কম থাকে।
৯| ০৮ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:৪৩
নিমো বলেছেন: লিখেছেন বেশ।
শাহেদ বলল, এটা চাঁদগাজীর নিজস্ব ভাষা।
পিগমি, লিলিপুট সম্ভবত উনি সৈয়দ মুজতবা আলীর থেকে ধার করেছেন। কেননা সৈয়দ মুজতবা আলীর কিছু লেখায় নেতিবাচক অর্থে পিগমি, লিলিপুট শব্দের ব্যবহার আছে। অন্যদিকে ইতিবাচক অর্থে আছে কুতুবমিনার। সেই হিসেবে সৈয়দ সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাষায় আপনার লেখাটা হয়েছে কুতুবমিনার।
তবে জিংজিং , ম্যাঁওপ্যাঁও এর আদি উৎস উনিই বলতে পারবেন।
০৮ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: হতে পারে।
তবে শব্দ গুলো আমার কাছে ভালো লাগে।
১০| ০৮ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:০৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাজীসাব পুরাই মগজ ধোলাই করেছে খানসাবের।
সেকারনে খানসাবের লিলিপুটিয়ান মস্তিস্কে এখন
পিগমী জাতীয় শব্দ ম্যাওপ্যাও ব্যবহার করেন।
জিংজিং খেলার স্বাদ মিটান অন্যেকে দিয়ে।
০৮ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: না মগজ ধলাই হয় নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই মে, ২০২০ রাত ১১:০৮
ঊণকৌটী বলেছেন: আপনারা খুব ভাগ্যবান, এতো নদ নদী বিশাল গ্রাম্য এলাকা প্রকৃতির কোন কৃপণতা নেই, এই সুবিশাল মহান বাংলাদেশ এর জন্যে। ভীষণ ভীষণ miss করি,আমার এই মনের, প্রাণের, রক্তের সম্পর্কের প্রিয় দেশ টাকে ।