নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'পার্থিব\' উপন্যাস রিভিউ

১৯ শে মে, ২০২০ রাত ১:৩৬



'পার্থিব' উপন্যাসের লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।
উপন্যাসটি আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশি হয় ১৯৯৪ সালে। এর আগে ধারাবাহিক ভাবে 'দেশ' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই উপন্যাসে লেখক মানুষের নিজের সাথে নিজের বোঝাপড়ার মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করেছেন অত্যন্ত চমতকার ভাবে। 'পার্থিব' মানে- পৃথিবী-সংক্রান্ত, জাগতিক, ইহকাল বুঝায়। 'পার্থিব' বিশাল এক উপন্যাস। ৭১৩ পৃষ্ঠা। এত বড় উপন্যাস কিন্তু পড়তে একটুও বিরক্ত লাগে না। আমি উপন্যাসটি এবার নিয়ে তিনবার পড়লাম। যত পড়ি তত ভালো লাগে। লেখক সহজ সরল ভাবে কি সুন্দর করেই না লিখে গেছেন! আমাদের দেশে কি বর্তমানে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের সাথে তুলনা করা যায় এমন কোনো লেখক আছেন?

পুরো উপন্যাসে অনেক গুলো চরিত্র।
অথচ কোথাও একটুও জট পাকায় নি। এই বিশাল উপন্যাসে কে যে কেন্দ্রিয় চরিত্র সেটা নিয়ে আমি সন্দিহান। প্রতিটা চরিত্রই আমাকে মুগ্ধ করেছে। যখন যার অংশ পড়েছি তাকেই প্রধান চরিত্র বলে মনে হয়েছে। উপন্যাসটি পড়তে শুরু করলেই বুঝা যায় লেখক খুব দরদ দিয়ে, পরম মমতায় চরিত্র গুলো তৈরি করেছেন। প্রতিটা চরিত্রের প্রতি লেখক সমান ভালোবাসা দেখিয়েছেন। উপন্যাসটি পড়তে পড়তে এমন হয়েছে- আমি যেন চরিত্র গুলোর সাথে মিশে গিয়েছি। তাদের আনন্দে আনন্দ পাই। তাদের কষ্টে পাই। লেখকের লেখার গুনের জন্য মনে হয় উপন্যাসের প্রতিটা চরিত্র যেন আমি নিজ চোখে দেখছি।

উপন্যাসটি শুরু হয় বিষ্ণুপদকে দিয়ে।
তিনি তার গ্রামের ভাঙ্গা ঘরের উঠানে বসে ভাবেন। ভাবতে থাকেন। তার ভাবতে বড় ভালো লাগে। বিষ্ণুপদ'র অনেক গুলো ছেলেমেয়ে। কিন্তু কোনো ছেলে মেয়ে'ই তেমন লেখাপড়া হয় হয়নি। তবে তার বড় ছেলে কৃষ্ণবিশ্বাস একজন পরিবেশ বিজ্ঞানী। তিনি তার বউ আর ছেলে মেয়ে নিয়ে থাকেন কোলকাতায়। তিনি জীবনে সাফল্য পায় শতভাগ। পৃথিবীর অনেক দেশ ঘুরে বেড়ায় কৃষ্ণবিশ্বাস। বিখ্যাত সব ইউনিভার্সিটিতে লেকচার দেন। কৃষ্ণবিশ্বাস একটা বই লিখেন 'ডার্লিং আর্থ’ প্রকাশিত হয় আমেরিকা থেকে। কৃষ্ণবিশ্বাসের এক বোনের নাম বীনাপানি। সে যাত্রাদলের সাথে জড়িত। বীনাপানির স্বামী নিমাই। নিমাই খুব ধার্মিক এবং সৎ লোক।

উপন্যাসে একটা চরিত্র আছে 'চয়ন' নাম।
বড় দুঃখী ছেলে। তার মৃগী রোগ আছে। ইংরেজি আর অংকে সে বেশ পটু। টিউশনি করে বেশ কয়েকটা। কৃষ্ণজীবনের মেয়ে সোহানীকে পড়ায়। টিউশনি করেই সে অনেক টাকা জমিয়ে ফেলে। এই টাকা দিয়ে সে পৃথিবীর ভালোর জন্য কিছু করতে চায়। চয়নের দাদা আর বৌদি আছে। তারা অনেক দুষ্টলোক। তারা চয়নকে অনেক অপমান করে। এমন কি খুব মারে। চয়নকে হাসপাতালে ভরতি হতে হয়। অনিন্দা নামের একটা মেয়ে চয়নকে খুব পছন্দ করে ফেলে। চয়নকে জোর করে ধরে নিয়ে গিয়ে নাটক সিনেমা দেখায়। চয়ন নাটক সিনেমা দেখে কোনো আনন্দ পায় না। চয়ন শুধু চায় কোনো রকমে বেঁচে থাকতে। বেঁচে থাকাটাই তার কাছে অনেক বড় ব্যাপার।

হেমাঙ্গ নামে দারুন একটা চরিত্র আছে।
হেমাঙ্গ বড় অদ্ভুত মানুষ। সে শুধু ইলেকট্রিক জিনিসপত্র কিনে। নদীর ধারে সে ছোট্র একটা বাড়ি কিনে। অফিস বাদ দিয়ে সে নদীর পাড়ের বাড়িতে গিয়ে বসে থাকে। এদিকে হেমাঙ্গের বাবা মা চিন্তায় অস্থির। ঘটনা চক্রে হেমাঙ্গের রশ্মি নামে একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হয়। রশ্মির সাথে বিয়ে হতে হতে হয় না। রশ্মি শিক্ষিতা আধুনিক মেয়ে। বিদেশ থেকে লেখাপড়া করেছে। হেমাঙ্গের এক বোন চারুশীলা সে মনে প্রানে চেয়েছিলো রশ্মির সাথে হেমাঙ্গের বিয়ে হোক। চারুশীলা অদ্ভুত এক নারী। তার স্বামী বিরাট ধনী। চারুশীলা কোনো উছিলা পেলেই বাসায় পার্টি দেয়। যাই হোক, অনেক নাটকীয়তার পর ঝুমকি নামে একটা মেয়ের সাথে হেমাঙ্গের বিয়ে হয়।

উপন্যাসে আরো অনেক চরিত্র আছে।
মনীশ। মনীশের স্ত্রী। তাদের ছেলে মেয়ে। কাকা, আপা, কুসুম, বাসন্তী, বাকা মিয়া, সজল, পটল, গোপাল। আরো অনেকে। বহু ঘটনা। বহু চরিত্র। এবং সবার সাথে সাথে সবার একটা কাকতালীয় ভাবে যোগাযোগ আছে। লেখক মানুষের জীবনের নানা টানাপোড়েন, উত্থানপতন, ঘাত-প্রতিঘাত ফুটিয়ে তুলেছেন নিপুন হাতে। পার্থিব উপন্যাসের প্রথম লাইন হচ্ছে- "বাদামতলায় রামজীবনের পাকা ঘর উঠছে ওই ।" আর শেষ লাইন হচ্ছে- "এসো আমার সঙ্গে তুমিও কাঁদো, এসো কান্নায় একাকার হয়ে যাই। একাকার হয়ে যাই।" উপন্যাসটি বুঝিয়ে দেয়- জীবন কি। জীবনের অর্থ কি। মানুষ কি চায়। মানুষের শেষ পরিনতি কি।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ২:৩৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: বাঙ্গালী কি কান্নকাটি ছাড়া কিছু বুঝেনা?
শরৎ,মানিক,বিভূতি সবার লেখাতেই এক অবস্থা !!
অথচ কতো আগে ইউরোপয়ীরা বিজ্ঞানপ্রযুক্তি অভিযান নিয়ে গল্প উপন্যাস লিখেছিলো।
এজন্যই ওরা এতো উন্নত আর এদিককার লোকজন এখনো মরাকা
ন্না কাদছে !!!

১৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: বাঙ্গালীরা বড়দুঃখী ভাই।

২| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ৩:১৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এতো বড় বই পড়ে এতো সময় নষ্ট করার মতো সময় কি এখন মানুষের আছে?

১৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: সময় নষ্ট হয়নি। পড়ে আনন্দ পেয়েছি।

৩| ১৯ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালীর জীবন ফুটে উঠেছে?

১৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: সমস্ত বাঙ্গালীর জীবন ফুটে উঠে নাই। তবে কয়েকটা পরিবারের মানসিক যন্ত্রনা, পাওয়া না পাওয়া ফুটে উঠেছে।

৪| ১৯ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:৪১

অধীতি বলেছেন: এখনই বই পড়ার সময়।কাজেও লাগাচ্ছেন।আপনার পর্যালোচনা বেশ ভালো হয়েছে।বুঝাই যাচ্ছে অনেক পছন্দের বই।শীর্ষেন্দু অমায়িক।

১৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: ঘরে নতুন বই নাই। তাই পুরোনো বই গুলোই আবার পড়ছি।

৫| ১৯ শে মে, ২০২০ সকাল ৭:১৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অনেক বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় পড়েছিলাম।

১৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: গুড।

৬| ১৯ শে মে, ২০২০ সকাল ৮:৩৫

কল্পদ্রুম বলেছেন: বইটা পড়া হয়নি।ভবিষ্যতে কোন একদিন পড়বো।

১৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: পড়ে ফেলুন। ভালো লাগবে।

৭| ১৯ শে মে, ২০২০ সকাল ৮:৪৯

সোহানী বলেছেন: আমার ভীষন প্রিয় একটি বই। এবার দেশে আসার সময় নিয়ে এসেছি। আমার বইগুলো আমার সন্তানের মতো। তাই এবার যতটুকু পেরেছি নিয়ে এসেছি সাথে করে।

১৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: গুড। আপনার আশে পাশে যারা বাঙ্গালী আছেন তাদের পড়তে দিবেন।

৮| ১৯ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:১৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমি পার্থিব পড়েছি। বিচিত্র কারণে এদের বইয়ের ভালো কদর আছে, তবে শরৎ - শীর্ষেন্দু হুমায়ূন আহমেদের চেয়ে ভালো লেখক নন।

১৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ অন্য জিনিস।

৯| ১৯ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৪৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই লেখকের বই পড়লে মনে হয় এ ধরনের এক জন লেখকও বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেননি।

১৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

১০| ১৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৩১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনি পড়ুয়া মানুষ। পড়ুয়া মানুষ আমার অতি পছন্দ।
আজ পড়ে সেশ করলাম "ঠগি"। আপনার পোস্ট পড়ে অনুপ্রাণিত হলাম। দেখি ঠগি নিয়ে কিছুএকটা লিখতে পারি কিনা।

১৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই লিখবেন।

১১| ১৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৫১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




শরৎ বাবু শীর্ষেন্দু বাবুর বই পড়ে মানুষ আত্মহত্যা করবে।
কারণ তাদের সমস্ত বইয়ে দুঃখে কষ্টে মানুষ মরে যাওয়ার জন্য প্রণোদনা দিয়েছেন। এগুলো সমাজের গার্বেজ সাহিত্য। শরৎ বাবু তার সমস্ত সাহিত্যে মদ গাঁজা আফিম ভাং যেভাবে প্রণোদনা দিয়েছেন তাতে পরিস্কার প্রমাণ হয় শরৎ বাবু সমাজের জন্য দেশের জন্য কি করে গেছেন!

বই পড়ে মানুষ জীবন লড়তে শিখবে নাকি পরাজয় শিখবে - আপনি কি মনে করেন?

১৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: বই পড়ে মানুষ মানবিক হবে। হৃদয়বান হবে।
বই পড়ে কেউ আজ পর্যন্ত কেউ আত্মহত্যা করে নি।

১২| ১৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আমাদের দেশের মানুষ বই পড়ে না। তারা ফেসবুক পড়ে। তাদের হাতে বই পড়ার মতো সময় নেই। তারা বড়ই ব্যস্ত মানুষ। সারা দিন বা সারা রাত টিভিতে ক্রিকেট খেলার ধারাভাষ্য দেখে।

সময় আসলেই নষ্ট করা উচিত না। জ্ঞান, বিজ্ঞান ইতিহাস, দর্শন, অর্থনীতি সব ধরেনর বই্ পড়া উচিত। আমি আর্টস বা কমার্সে পাস করেছি বলে যে বিজ্ঞান আর মানব্কি কলার বই পড়বো না সেটা তো কোন কথা নয়।
বই্ মানুষের জন্য অপরিহার্য।

১৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:১০

রাজীব নুর বলেছেন: মালোশিয়াতে বাংলাদেশের বই পাওয়া যায়?

১৩| ১৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:২৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বই পড়ে মানুষ মানবিক হবে। হৃদয়বান হবে। - চাঁদগাজী
ব্লগিং করে মানবিক হবে। হৃদয়বান হবে। - চাঁদগাজী

ব্লগার চাঁদগাজী সাহেবের মন্তব্য !



১৯ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা----

সব বাদ দিলাম। কিন্তু বইই মানুষের সবচেয়ে ভালো বন্ধু।

১৪| ১৯ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: পার্থিব এক আশ্চর্য উপন্যাস, আমার কাছে এই বইটা পড়ার পর মনে হল উপন্যাস পড়ছি না...বরং চোখের সামনে মানুষের পার্থিব জীবনের প্রবাহগুলো দেখছি...অনুভব করছি। আমাদের দেশে শীর্ষেন্দুর সমপর্যায়ের কোন লেখক আছে কি না?- প্রশ্ন রেখেছেন আপনি। এক কথায় উত্তর হল- না। তবে একেক লেখকের লেখার ধরন তো একেক রকম। শীর্ষেন্দু যেভাবে জীবনকে দেখেছেন, যেভাবে মনস্তাত্বিক ব্যাপারগুলো ফুটিয়ে তুলেছেন বা তার উপন্যাসের ঘটনার বিস্তৃতি-- এইসব দিক থেকে শীর্ষেন্দুর সমপর্যায়ের কেউ আমাদের দেশে বর্তমানে নেই। বইটি তিনবার পড়ে ফেলেছেন এরই মধ্যে?!

১৯ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা বইটা তিন বার পড়েছি।

দুঃখ লাগে আমাদের দেশে সুনীল সমরেশ বা শীর্ষেন্দুর মতোণ কোনো লেখক নেই বলে।

১৫| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৪৭

এন ইসলাম রনি বলেছেন: "দূরের নক্ষত্রের দিকে চেয়ে শুয়ে আছো ছাদে চিৎপাত তোমার সর্বস্ব হারিয়ে যাচ্ছে অনন্ত নক্ষত্র বীতির রহস্যময়তায়, তখন কে তুমি মনে পড়ে? ওই নক্ষত্র রা কি তোমার সঙ্গে কথা বলে? বলতে চায়? সময় কি ব্যাখ্যা করে এক মহৎ কবিতার অন্তলোক...." পার্থিবের শেষের কথাগুলো বেশি অসাধারণ ছিলো। শীর্ষুন্দু বরাবর ই ভালো কিন্তু তিন তিন বার এতো বিশাল উপন্যাস পড়া অসীম ধৈর্যের ব্যাপার!!

১৯ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: আলে হাতের কাছে নতুন কোনো বই নেই। অথচ হাতে অনেক সময়। তাই পড়ে ফেললাম।

১৬| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৪৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লেখক বলেছেন: মালোশিয়াতে বাংলাদেশের বই পাওয়া যায়?

এখানকার বইয়ের দোকানে প্রচুর পরিমাণে মালয় ভাষার বই পাওয়া যায় । চাইনিজ ভাষার বই পাওয়া যায়। তামিল ভাষার বই পাওয়া যায় । ইংরেজি ভাষার বইও পাওয়া যায় প্রচুর। কিন্তু বইয়ের দাম খুব বেশি। বাংলা ভাষার কোন বই এখানে পাওয়া যায় না।


আমার দুই ছেলে- মেয়ে এবং আমি ন্যাশনাল লাইব্রেরী অব মালয়েশিয়ার মেম্বারশিপ নিয়েছি । ওখান থেকে প্রতি বার ছয়টি করে বই বাসায় আনা যায়। আমরা তিন জন মিলে 18 টি বই বাসায় আনতে পারি। মজা করে পড়া যায়। তার পরে ফেরত দিয়ে আসলেই হল । কোন টাকা লাগে না।

২০ শে মে, ২০২০ রাত ১:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমেরিকাতে বাংলা বইয়ের দোকান আছে। মালোশিয়াতে নেই!!!

১৭| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৫৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সব মিলিয়ে উপন্যাসটাকে আমি ১০ এর মধ্যে ৫ দিতে পারি। অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে শীর্ষেন্দু নিজের সেই গোড়া মানসিকতাকেই রেখে ঢেকে প্রকাশ করেছেন।

২০ শে মে, ২০২০ রাত ১:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ বোন মন্তব্য করার জন্য।

১৮| ২০ শে মে, ২০২০ রাত ১:১৮

চাঙ্কু বলেছেন: পার্থিব ৩ বার পড়েছেন? #:-S
অবশ্য বিশাল বই হলেও পার্থিব এ খুব সহজেই ডুব দেয়া যায়। চরিত্রগুলো খুব সুন্দর করে গল্পটা টেনে নিয়ে গেছে। আপনার আরও কোন একটা পোস্টে মনে হয় পার্থিব নিয়ে মন্তব্য করেছিলাম।
ভালো থাকবেন।

২০ শে মে, ২০২০ রাত ১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: হুম মনে আছে।

সহজ বই। তাছাড়া হাতে অনেক সময় আছে। তাই পড়ে ফেলেছি।

১৯| ২০ শে মে, ২০২০ রাত ২:৫৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাঙ্গালী প্রথম হতে গরীব বলে লেখকদের লেখায় তা ফুটে উঠেছে

২০ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: হুমায়ূন সুনীল আর শীর্ষেন্দু দারুন গরীবের কথা ফুটিয়ে তুলেন।

২০| ২০ শে মে, ২০২০ রাত ৩:২৭

কানিজ রিনা বলেছেন: পার্থিব বইটা পরেছিলাম আজ থেকে পনের
বছর আগে। নাম গুল দেখে স্মৃতিতে ভেসে
উঠল। ধন্যবাদ।

২০ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: আরেকবার পড়ুন।

২১| ২০ শে মে, ২০২০ রাত ৩:৪৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: পার্থিব যখন প্রকাশ পেয়েছিল তখনই পড়েছিলাম। বিশাল গল্পে তখন তন্ময় ছিলাম মনে আছে। বিশাল বই এক নাগারে পড়ে শেষ করেছিলাম। এখন পড়লে অন্যরকম লাগতে পারে। সময় এবং চরিত্রগুলো যুগ উপযোগী অবশ্যই। সমাজে বিভিন্ন মানুষের বসবাস তাদের এক সাথে করে সুন্দর গল্প বলেছেন।

২০ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: আরেকবার পড়ুন ভালো লাগবে। অন্যরকম লাগবে।

২২| ২০ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:৩২

কানিজ রিনা বলেছেন: পার্থিব বইটা পরেছিলাম আজ থেকে পনের
বছর আগে। নাম গুল দেখে স্মৃতিতে ভেসে
উঠল। ধন্যবাদ।

২৩| ২০ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:০৬

কানিজ রিনা বলেছেন: আমার মন্তব্য আরেকবার সাবমিট হয়েগেছে।
দয়া করে মুছে দিন।

২৪| ২১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৬

ইসিয়াক বলেছেন: আবার পড়বো। আমার প্রিয় বইগুলোর একটি। কিছু পাতা পোকায় কেটে ফেলেছে।মনটা এই জন্য খুব খারাপ লাগছে।

২১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: পড়ার তো এখন সময়।

২৫| ২২ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:২১

মেহবুবা বলেছেন: এমন সব উপন্যাস আর কি লেখা হয়?
অনেক দিন হলো পড়া হয় না বই অথচ এখনও পাশে আরণ্যক!
অসম বয়সের সম্পর্ক এর বিষয়ে তখন বিরক্ত হয়েছিলাম, হুমায়ুন আহমেদ শাওনের সম্পর্ক এর কথা জানতে পেলে পার্থিবের কথা মনে হতো।

২২ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.