নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আমাদের দেশের অধিকাংশ বাঙালি মুসলমান মনে করে ধর্ম পালন মানেই পাঁচ ওয়াক্ত নিয়ম করে নামায আদায় এবং রমযানে পুরো এক মাস উপোস থেকে রোজা রাখা। আর যাকাত ফেতরা দিলেই- আল্লাহ খুশি হয়ে যাবেন। আরে ভাই শুধু ধর্ম কর্ম করলেই বেহেশত মিলবে না। মানুষকে ভালোবাসতে হবে। মানুষের জন্য কিছু করতে হবে।
রণেশ বাউল একজন সাধারণ মানুষ।
একটু বাউল গান করতেন। এটার ওদের সহ্য হলো না। পুরো বাড়ী পুরিয়ে দেওয়া হলো। অনেকই তো ধর্ম বিক্রি করে টাকা কামায়। রণেশ বাউল তো ধর্ম বিক্রি করে নাই। কিন্তু এইসব করে রণেশ বাউলদের থামানো যাবে না। রণেশ বাউলরা ছিলেন এবং থাকবেন। রণেশ বাউলরা এদেশের সন্তান। মনে রাখতে হবে, এদেশ শুধু ধর্মওয়ালাদের না। এদেশ সবার।
বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের শিষ্য বাউল রণেশ ঠাকুরের সাধনার গানের ঘর, গানের বইপত্র, সমস্ত বাদ্যযন্ত্র ও বাউল গানের সংগ্রহ জ্বালিয়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। এই হায়েনাদের কোনো ভয় নাই, বিবেক নাই, ধর্ম নাই, মানবিক কোনো বোধ নাই। এই করোনা সময়ে এই মৃত্যুপূরীতে এই রোজার মাসে কি করে এরা এই বর্বরতা করতে পারলো? এদের প্রতি তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবী জানাচ্ছি।
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামে শিল্পী রণেশ ঠাকুর থাকতেন। গত রবিবার রাত্রে কে বা কারা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। ভাগ্য ভালো তখন বাউল রণেশ ঘরে ছিলেন না। আগুনে পুরো ঘর এবং ঘরের জিনিসপত্র পুড়ে চাহি হয়ে গেছে। গানের ঘরে আগুন কারা দিয়েছে সে প্রশ্ন করা বৃথা। প্রশাসন ইচ্ছে করলেই দুবৃত্তদের খুঁজে বের করতে পারবে।
পুরা দেশটা এই শুয়োর হারামজাদাদের দখলে চলে গিয়েছে।
একজনের সাথে আরেকজনের একমত না-ও হতে পারে। তাই বলে এভাবে প্রতিশোধ নিতে হবে? আমি ভিন্নমতকে সম্মান করি। ভাবনার যৌথতাকে ভালোবাসি। রণেশ ঠাকুর বলেছেন, গ্রামের বা আশ পাশের কারো সঙ্গেই তার কোন শত্রুতা নেই। কারা যে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা তিনি বুঝতেই পারছেন না। দুর্বৃত্তরা আগুন ধরানোর সময় ঘরের অন্য অংশে থাকা দুটি ভেড়াকে ছেড়ে দেয়। ভেড়া দুটি অক্ষত রয়েছে।
শেকড় কে কেটে দিচ্ছে পরিকল্পিত ভাবে দিনের পর দিন। দোষীদের বুঝতে হবে যে তারা আবহমান বাংলার সংস্কৃতিকে অস্বীকার করে অপমান করে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করছে। মৌলবাদ যখন ছড়ি ঘোরাতে শেখে, তখন এমন হাজারো বাউল ঘর, বৌদ্ধ মন্দির, শিল্পকলা, ভাস্কর্য পুড়ে খাক হয়, ভেঙ্গে চুরমার হয়, ধ্বংস হয়ে মিশে যায় এই দেশেরই শান বাঁধানো পথেঘাটে।
২০ শে মে, ২০২০ রাত ১:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: দুষ্ট লোক সব জাগায় আছে।
২| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ১০:০৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বর্তমানের বাংলাদেশ বলতে গেলে ধর্মান্ধতা দিয়ে ভরে গেছে । এর চেয়ে পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের মানুষ অনেক বেশি প্রগতিশীল ছিল । এমনকি নব্বইয়ের দশকেও প্রগতিশীল মানুষ দেখা গেছে। এখন সব ভরে গেছে হুজুর আর কাঠমোল্লা দিয়ে। আফসোস।
আল্লাহ সুবহানাতায়ালা এই সব অমানুষদের কে হেদায়েত করুন।
২০ শে মে, ২০২০ রাত ১:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ হেফাজত আর হেদায়েত করে দূর্নীতিবাজদের। অসৎ লোকদের।
৩| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ১০:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধর্মের একটা দিক হচ্ছে, অন্য ধর্মের লোকদের ক্ষতি করা।
২০ শে মে, ২০২০ রাত ১:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: ক্ষতি বেশি করে মুসলিম আর হিন্দু ধর্মের লোকেরা।
৪| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ১০:১৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধর্মের একটা দিক হচ্ছে, অন্য ধর্মের লোকদের ক্ষতি করা।
আমরা নামাজ শেষে ইহুদি খ্রিস্টান ও নাসারাদের ধ্বংস কামনা করে থাকি।
২০ শে মে, ২০২০ রাত ১:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: ওরা যত ধ্বংস কামনা করে ইহুদি খ্রিস্টান ও নাসারা তত উন্নতি করে।
৫| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৩৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নিন্দনীয় ঘটনা তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম ধর্ম কখনো
মারামাারি বা হিংসাত্মক কার্যকলাপ সমর্থন করেনা।
কারন ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ধর্মেরই অবমাননা।
মানব জাতির ইতিহাসে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি কখনোই
কোনো কল্যাণ বয়ে আনেনি। বরং পৃথিবীতে যখনই
কোনো সম্প্রদায় ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করেছে তখনই
তাদের পতন ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের রাসূল (সা.)
অবিশ্বাসীদের সঙ্গে কোনো প্রকার বাদানুবাদে লিপ্ত হননি।
তিনি আল্লাহ কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে তাদের পরিষ্কার জানিয়ে
দিয়েছেনঃ 'লাকুম দিনুকুম ওয়ালিয়াদিন' অর্থাৎ
তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্য আর আমাদের
ধর্ম আমাদের জন্য।
২০ শে মে, ২০২০ রাত ১:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: সবাই তো আপনার মতো করে চিন্তা করে না।
৬| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ১১:০০
ডার্ক ম্যান বলেছেন: ঘর জ্বালিয়ে বই পুস্তক নষ্ট করে জ্ঞান চর্চা থামানো যায় না ।
২০ শে মে, ২০২০ রাত ১:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: কিন্তু এই জঘন্য কাজ যারা করেছে তাদের পিটিয়ে পাছা লাল করে ফেলা দরকার।
৭| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ১১:০৯
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ধর্ম মানুষকে ধার্মিক করেছে,মানুষ করেনি।
২০ শে মে, ২০২০ রাত ১:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: দামী কথা বলেছেন।
৮| ২০ শে মে, ২০২০ রাত ১২:১৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এক শ্রেণির লোকজন দুই লাইন হাদিস পড়ে নিজেই আল্লাহর স্থানে বসে বিচার শুরু করে দেয়।
২০ শে মে, ২০২০ রাত ১:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: এই শ্রেনী বড় ভয়ংকর।
৯| ২০ শে মে, ২০২০ রাত ৯:১৫
সুপারডুপার বলেছেন: আপনিতো দেশেই আছেন , এছাড়াও দেশে পত্রিকা অফিসে কাজ করেছেন ও দীর্ঘদিন ধরেই ব্লগে আছেন। আশাকরি কিছু ধর্মীয় এক্সট্রিমিস্ট ও ফ্যানাটিক ব্লগারদের চিনতে পেরেছেন ও তাদের চিন্তাভাবনা জানতে পেরেছেন। আপনার সব অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতেই পারছেন কোন চিন্তাভাবনার লোকেরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাহিরে , দেশ সমন্ধে যা জানি বন্ধু বান্ধবের সাথে কথা বলে, সংবাদপত্র পড়ে ও দেশের ব্লগারদের পোস্ট মন্তব্য দেখে। এই কমিউনিকেশন থেকে আশংকার বিষয় এটাই উন্নয়নশীল ডিজিটাল বাংলাদেশে তাদের সংখ্যা নাকি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: দেশে আসবেন কবে?
আসুন। নিজের দেশ, মন্দ হলেও নিজের দেশ। নিজের দেশে পা দিয়েই টের পাবেন কেমন শান্তি শান্তি লাগে।
১০| ২০ শে মে, ২০২০ রাত ১১:২৫
সুপারডুপার বলেছেন:
লেখক বলেছেন: দেশে আসবেন কবে? আসুন। নিজের দেশ, মন্দ হলেও নিজের দেশ। নিজের দেশে পা দিয়েই টের পাবেন কেমন শান্তি শান্তি লাগে।
- মাতৃভূমির মাটিতে পা দিলে সত্যিই অনেক শান্তি লাগে। এখন করোনা সমস্যা চলছে। করোনা সমস্যা শেষ হলে হয়তো যাবো। অনেক ভালো লাগলো আপনার কথাটা শুনে।
২১ শে মে, ২০২০ রাত ২:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই করোনা মিটে গেলে তারপর আসবেন।
১১| ২১ শে মে, ২০২০ রাত ৩:৩৩
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: খবরটা পড়ে খুব খারাপ লাগলো। মানুষ কতটা বিবেকহীন হলে এমন হীন কাজ করতে পারে ! হঠাৎ বাউলদের উপর এমন অত্যাচার শুরু হলো কেন ? সবাই সবার মতো থাকলে সমস্যা কোথায় বুঝিনা।
২১ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: সমস্যা হলো মানুষ অমানবিক হয়ে গেছে।
১২| ২১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯
ইসিয়াক বলেছেন: নিন্দা জানাই এমন ঘটনার ।
মানুষ আরো মানবিক হোক। আরো সহনশীল হোক।
২১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ হৃদয়হীণ হয়ে গেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ৯:০৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সরকার এর উপযুক্ত বিচার করতে হবে। কেন এমন করে নরপশু