নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
যখন রাতে ঘুম আসে না।
আমার একটুও বিরক্ত লাগে না। বরং ভালো লাগে। পুরোনো দিনের ঘটনা গুলো খুজে খুজে বের করে। তারপর ভাবি, মন খারাপ হয়, মন ভালো হয়, শিহরিত হই, অভিভূত হই। আজ ঘুম আসছে না। তাই বুকের গভীর থেকে একটা ঘটনা টেনে বের করলাম। এখন এই ঘটনা নিয়ে ভাববো। রোমাঞ্চিত হবো, পুলকিত হবো। এবং এক সময় ঘুমিয়ে পড়বো। আজকের ঘটনাটি বুকের মধ্যে হাহাকার করে দিবে মনে হচ্ছে। বিষন্ন করে দিবে।
অনেক বছর আগের কথা।
তখন মাত্র কলেজ পাশ করেছি। বন্ধুর সাথে তার গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম। ছবির মতো সুন্দর গ্রাম। স্পষ্ট মনে আছে- করতোয়া নদীর কাছে একটা শ্মশান ছিলো। সেই শ্মশানে গিয়েছিলাম। মনে আছে শ্মশানের পাশেই বিশাল একটা দীঘি ছিলো। দীঘির পানি একদম কাচের মতো স্বচ্ছ। আমি দীঘির ঘাটে বসে ছিলাম। দুটা বাচ্চা ছেলে দীঘিতে গোছল করছিলো। আমারও খুব ইচ্ছা করলো দীঘিতে লাফালাফি আর ঝাপাঝাপি করি। কিন্তু আমি সাতার জানি না। তাছাড়া দীঘির মাটি থাকে নরম পা ডেবে যায়।
শ্মশানটা ছিলো দীঘির কাছেই।
দেখলাম, শ্মশানে একটা মেয়েকে আনা হয়েছে পোড়ানোর জন্য। চিতায় সাজানো হচ্ছে তরুনী মেয়েটিকে। সারা শরীরের উপর টুকরো টুকরো লম্বা করে ফালি করে কাটা কাঠ দিয়ে মেয়েটিকে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। শুধু মেয়েটির মুখ আর পায়ের পাতা দেখা যাচ্ছে। কি সুন্দর মুখ! কি সুন্দর পায়ের পাতা! এত সুন্দর মুখ আমি অনেকদিন দেখিনি। পায়ে সুন্দর করে আলতা দেওয়া হয়েছে। মুখটা কি মায়াময়। বছরের পর বছর ওই মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলে একটুও বিরক্ত লাগবে না। একবার ইচ্ছা করলো- মেয়েটির ঠোটে একটি চুমু দেই। বিয়ের সময় হিন্দু মেয়েদের সেভাবে সাজানো হয়, ঠিক সেভাবে সাজানো হয়েছে।
এক সময় মেয়েটির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হলো।
বেশ কয়েকজন গ্রাম্য নারী চোখের জল ফেলছেন। কেউ কেউ ফিসফিস করে নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলেন। জানতে পারলাম মেয়েটি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। কারণ তার প্রিয় মানুষটি তাকে ছেড়ে চলে গেছে অন্য কোনো নারীর সাথে। কী গভীর দুঃখে মেয়েটি নিজের জীবন নষ্ট করে দিল। কেন যেন হঠাত আমার বুকটা মুচড়ে- চোখে পানি এসে যাচ্ছিল। ওই মেয়েটি আমার কেউ নয়। তবু ওর জন্য খুব কষ্ট হচ্ছিল। পট পট করে কাঠ পোড়ার শব্দ হচ্ছে। পুড়ে যাচ্ছে মেয়েটি সারা শরীর। পুড়ে যাচ্ছে আমার মন।
(ছবিঃ আমার তোলা।)
১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: আমি কি এখন বুড়া?
২| ১৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৫৩
বিজন রয় বলেছেন: শিরোনামটি ভাল। ভিতরে পড়ে দেখি।
আচ্ছা শিরোনামে মূখ হবে না মুখ কোনটা?
১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: বানান আমি খুব ভুল করি। আপনি সঠিক।
৩| ১৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৫৬
কল্পদ্রুম বলেছেন: 'দিঘীর জলে কার ছায়া গো' বইয়ের নাম মনে পড়লো।আপনার পড়ার কথা।
১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: পড়েছি। দুবার। বইটা যেন কে নিয়ে গেছে। থাকলে আরেকবার পড়তাম।
৪| ১৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫৫
সাইন বোর্ড বলেছেন: ভাল অনুভব, মানুষই মানুষের জন্য কষ্ট পায় ।
১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ মানুষের জন্য আনন্দও পায়।
৫| ১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: মর্মস্পর্শী স্মৃতি!
১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৬| ১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯
নীল প্রজাপ্রতি বলেছেন: আপনার তোলা ছবি বেশ হয়েছে।
১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ প্রজাপতি। ভালো থাকুন।
৭| ১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:১০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর হয়েছে অসাধারণ একটি কবিতা।
১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:০২
রাজীব নুর বলেছেন: বড় ভাই কবিতা নয়। বাস্তব গল্প।
৮| ১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: +++
১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
৯| ১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর হয়েছে অসাধারণ একটি কবিতা।
১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: বড় ভাই আমার আন্তরিক ভালোবাসা জানবেন।
১০| ১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: মনোমুদ্ধকর লেখা ।
১৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আলি ভাই।
১১| ১৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮
ইসিয়াক বলেছেন:
মন ভালো নেই
************
মহাদেব সাহা
*************
বিষাদ ছুঁয়েছে আজ, মন ভালো নেই,
মন ভালো নেই;
ফাঁকা রাস্তা, শূন্য বারান্দা
সারাদিন ডাকি সাড়া নেই,
একবার ফিরেও চায় না কেউ
পথ ভুলকরে চলে যায়, এদিকে আসে না
আমি কি সহস্র সহস্র বর্ষ এভাবে
তাকিয়ে থাকবো শূন্যতার দিকে?
এই শূন্য ঘরে, এই নির্বসনে
কতোকাল, আর কতোকাল!
আজ দুঃখ ছুঁয়েছে ঘরবাড়ি,
উদ্যানে উঠেচে ক্যাকটাস্
কেউ নেই, কড়া নাড়ার মতো কেউ নেই,
শুধু শূন্যতার এই দীর্ঘশ্বাস, এই দীর্ঘ পদধ্বনি।
টেলিফোন ঘোরাতে ঘোরাতে আমি ক্লান্ত
ডাকতে ডাকতে একশেষ;
কেউ ডাক শোনে না, কেউ ফিরে তাকায় না
এই হিমঘরে ভাঙা চেয়ারে একা বসে আছি।
এ কী শান্তি তুমি আমাকে দিচ্ছো ঈশ্বর,
এভাবে দগ্ধ হওয়ার নাম কি বেঁচে থাকা!
তবু মানুষ বেঁচে থাকতে চায়, আমি বেঁচে থাকতে চাই
আমি ভালোবাসতে চাই, পাগলের মতো
ভালোবাসতে চাই-
এই কি আমার অপরাধ!
আজ বিষাদ ছুঁয়েছে বুক, বিষাদ ছুঁয়েছে বুক
মন ভালো নেই, মন ভালো নেই;
তোমার আসার কথা ছিলো, তোমার যাওয়ার
কথা ছিল-
আসা-যাওয়ার পথের ধারে
ফুল ফোটানো কথা ছিলো
সেসব কিছুই হলো না, কিছুই হলো না;
আমার ভেতরে শুধু এক কোটি বছর ধরে অশ্রুপাত
শুধু হাহাকার
শুধু শূন্যতা, শূন্যতা।
তোমার শূন্য পথের দিকে তাকাতে তাকাতে
দুই চোখ অন্ধ হয়ে গেলো,
সব নদীপথ বন্ধ হলো, তোমার সময় হলো না-
আজ সারাদিন বিষাদপর্ব, সারাদিন তুষারপাত-
মন ভালো নেই, মন ভালো নেই।
১৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: =কবিতা সুন্দর।
১২| ১৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দুনিয়াটা আজব বড় ভেবে চিন্তে দেখি
যােদের ভাবি প্রাণের সুহৃদ আসলেতে মেকি।
কথা কার্য আলাপ যাহাই করি তােদের সাথে
পানের থেকে চুন খসিলে চলে অন্য পথে।
কবিতাটি শেষ করতে চেয়েও পারিনা্ই
হচ্ছা করছে না ....................
১৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: যেদিন ইচ্ছা করবে শেষ করবেন।
১৩| ১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:০২
বিজন রয় বলেছেন: তো বানানটি ঠিক করে দিলেন না যে!
১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: থাক। ভুল করেছি প্রমান থাক।
১৪| ১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর লেখা
আর মূখ বানান ঠিক করেন
১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২১
রাজীব নুর বলেছেন: না ঠিক করবো না।
১৫| ১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপনার ইচ্ছা :/
১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে---
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তরুণ বয়সের খেয়াল...