নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
রাত তিনটা একুশ মিনিটে ভয়াবহ এক দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভাঙ্গল।
ঘামে আমার সারা শরীর ভিজে গেছে। স্বপ্নে দেখি- আমাকে একটা ছোট্র অন্ধকার ঘরে বন্ধী করে রাখা হয়েছে। ঘর ভর্তি সাপ আর সাপ। সাপ গুলো আমার সারা শরীরে কিলবিল করছে। ছোটবেলা থেকেই সাপ আমি অনেক ভয় পাই। আমার সারা শরীরে সাপ গুলো প্যাচিয়ে আছে। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। এর মধ্যে একটা সাপ আদুরে ছোট বাচ্চাদের মতন আমার গলা প্যাচিয়ে ধরেছে এবং একটু পরপর বিষ দাত বসিয়ে দিচ্ছে। আমি চোখে অন্ধকার দেখছি। তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে গেছে। চিৎকার করে কাউকে ডাকবো কিন্তু গলা দিয়ে কোনো শব্দ বের হচ্ছে না। বুঝতে পারছি, আমার সময় শেষ। কিন্তু মরার আগে শরীরের সব শক্তি দিয়ে একটা গা ঝাড়া দিলাম। ঠিক তখন ঘুম ভেঙ্গে গেল এবং ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি সময় রাত তিনটা একুশ মিনিট।
স্বপ্নের চেয়ে ভয়াবহ জিনিস আমার জন্য অপেক্ষা করছিল।
পানি খাওয়ার জন্য বিছানা থেকে নামতেই দেখি- কে যেন সোফায় চুপ করে বসে আছে। আলো জ্বালিয়ে দেখলাম- সোফায় বসে আছি আমি। অথবা আমার মত দেখতে কেউ একজন। হায় হায়! এসব কি হচ্ছে? আমি বেসিনে গিয়ে চোখে মুখে পানির ছিটা দিলাম। ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানির বোতল বের করে দুই গ্লাস পানি খেলাম। এবং ঠান্ডা মাথায় ভাবতে শুরু করলাম।
আমি একজন আধুনিক মানুষ।
কোনো প্রকার কুসংস্কারে আমার আস্থা নেই, বিশ্বাস নেই, ভরসা নেই। আমি সোফায় গিয়ে ছেলেটির পাশে বসলাম, অথবা আমার পাশেই আমি বসলাম। আমি যেভাবে গালে একটা আঙ্গুল রেখে চুপ করে বসে থাকি- ছেলেটিও সে ভাবে বসে আছে। ছেলেটিকে দেখে কেন জানি খুব মায়া লাগছে। ছেলেটির বসার ভঙ্গির মধ্যে এমন একটা ব্যাপার আছে- দেখেই মায়া-মায়া লাগছে।
আমি মার ঘরে- মাকে ডাকতে গেলাম।
দেখি মা আরাম করে ঘুমাচ্ছেন। সারাদিন মা ঘরের অনেক কাজ করেন। এখন এত আরাম করে ঘুমাচ্ছেন- তাই মাকে আর ডাকলাম না। আমি আমার ঘরে চলে এলাম এবং দেখি ছেলেটির পাশে মা বসে আছে। কিন্তু মা তো মার ঘরে ঘুমাচ্ছে। কি হচ্ছে- এইসব! আমি দুইটা, মা দুইটা! আজিব ব্যাপার! কি করবো আমি? এমন হচ্ছে কেন? কি ঘটছে? কে ঘটাচ্ছে?
এমন হতো- আমি সারারাত মদ খেয়েছি।
টাল হয়ে গেছি- তাই সব কিছু দু'টা দেখছি। মদ আমি খাই না। তবে কি চোখের ভুল? নাকি হেলুসিয়েশন হচ্ছে? নিজেকে বললাম- মাথা ঠান্ডা রাখো বালক। ভাবো, ভাবো। কার্যকারণ ছাড়া এই পৃথিবীতে কিছুই ঘটে না। অনেক ভাবলাম, ভেবে ভেবে কোনো কুলকিনারা পেলাম না। এরা কি এলিয়েন? অন্য গ্রহ থেকে আসছে? আমার ঘরে কেন? আবার দেখতে মা'র মতো! আমার মতো! চুপ করে বসে আছে। কোনো কথা বলছে না!
মসজিদে ফযরের আজান শেষ হলো।
আমি আমার মতো দেখতে 'আমাকে' এবং মাকে ঘরে রেখে- ছাদে গেলাম। যাওয়ার আগে সোফায় বসে থাকা- আমাকে এবং মাকে বললাম, ছাদে যাচ্ছি, আশা করি- ফিরে এসে তোমাদের দেখতে পাবো না। আমি ছাদে চলে এলাম। আকাশ ফরসা হতে শুরু করেছে। আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবলাম- দিনের আলোয় আমার অস্থিরতা কেটে যাক এবং সব ঘটনা পরিস্কার হয়ে যাক। আমাকে এবং মাকে ভুলে থাকতে চাই। সব চিন্তা বাদ দিয়ে আমি ভোরের আকাশের দিকে মন দিলাম। ভোরের আকাশ দেখা দারুন ব্যাপার। অনেকদিন আগে, খুব ভোরে নীলা আমাকে ফোন করে একটা গান শুনিয়েছিল-
''ডাকে পাখি, খোল আখি,
দেখ সোনালি আকাশ, বহে ভোরেরও বাতাস
ফুলে ফুলে ওই দোলে প্রজাপতি দোলে,
নিজে নিজে ওই বেলা বেড়ে চলে আলোতে
কেনো তবে যে ঘুমেরও বিলাস…
বহে ভোরের ও বাতাস।"
আকাশ ফরসা হয়ে গেছে। রোদ উঠে গেছে।
কখন এত সকাল হয়ে গেছে বুঝতে পারিনি। অনেক ক্ষুধা লেগেছে। আমি নীচে নেমে এলাম। ঘরে ঢুকে দেখি- আমার মত দেখতে, সেই ছেলেটি এবং মা বসে আছে সোফায়। সেই একই রকম শান্ত ভঙ্গিতে বসা। যেন কোনো কাজ নেই। বসে থাকাটাই একমাত্র কাজ। ছাদে গিয়ে ওদের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। আমার ক্ষুধা লেগেছে। মা ঘুমে আমাকেই নাস্তা বানাতে হবে। আমি ছেলেটি এবং মার দিকে তাকিয়ে বললাম- তোমাদের ক্ষুধা পেয়েছে? নাস্তা খাবে? ছেলেটি আমাকে অবাক করে দিয়ে বলল- টেবিলে নাস্তা দেওয়া হয়েছে। খেয়ে নাও। গলার স্বর শুনে চমকে উঠলাম। ছেলেটি দেখতে শুধু আমার মতন, গলার স্বরও আমার মতন। আমি বললাম, তোমরা খাবে না? মা আর ছেলেটি বলল- আমাদের ক্ষুধা হয় না। আমি অনেকদিন পর খুব আরাম করে সকালের নাস্তা খেলাম। তারপর এক কাপ চা।
চায়ের কাপ হাতে নিয়ে আমি আমার এবং মার মুখোমুখি বসলাম।
ব্যাপারটার একটা ফয়সালা করতে হবে। হবেই। আমি কোনো ভনিতা না করে সরাসরি বললাম- মুল ব্যাপারটা কি? আমাকে বুঝিয়ে বলো, ঘটনা কি? নো তেরিং বেরিং।
ছেলেটি এবং মা দুইজন দুইজনের দিকে তাকিয়ে একটু হেসে নিল। যেন তারা আমার এই প্রশ্নের অপেক্ষায় ছিল। তারা দুইজন উঠে দাঁড়ালো। এবং তাদের চেহারা বদলে গেল। চারপাশে তীব্র আলোর ঝলক। আমি তাকাতে পারছি না। শুধু আমার কানে আসল স্পষ্ট এবং স্বচ্ছ কয়েকটা শব্দ। 'আমরা তোমাকে নিতে আসছি, আমাদের গ্রহে। আমাদের গ্রহের নাম টাইটান। তোমাকে নিয়ে আমাদের অনেক রকম পরিকল্পনা আছে। পৃথিবী নামক গ্রহে- তুমি সবার থেকে আলাদা। তোমাকে আমাদের খুব প্রয়োজন। এক বছর ধরে তুমি আমাদের পর্যবেক্ষণের মধ্যে আছো। ব্যালকনিতে গিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখ- তোমাকে নেওয়ার জন্য বিশাল একটা রকেট অপেক্ষা করছে।'
(রিপোষ্ট। তবে কিছুটা ঘষামাজা করেছি)
২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: এটা কোনো গল্পই না। কোনো ক্যাটাগরিতেই যায় না।
এটা হলো হাবিজাবি।
২| ২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ৩:৫৪
জেন রসি বলেছেন: এত রাতে এই টাইপ গল্প পড়ার একটা আলাদা আনন্দ আছে।
২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে----
ভালোবাসা ভাই।
৩| ২৬ শে জুন, ২০২০ ভোর ৪:৩৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পৃথিবী নামক গ্রন্থে সত্যিই আপনি আলাদা ।তবে
তারা আপনাকে সেখানে নিয়ে গেলে আপনি ঠিকই
কায়দা করেচ চলে আসবেন । চলে আসার সময়
তাদের ভিন গ্রহে চলাচলের কৌশলটা ভাল করে
শিখে আসবেন ।যেন আমরা যখন খুশী তখন
ভিন গ্রহে চলে যেতে পারি ।
শুভেচ্ছা রইল
২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: একদিন আবিস্কার করে ফেলল যদি আপনাদের ভালোবাসা পাই।
৪| ২৬ শে জুন, ২০২০ ভোর ৫:২৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অসাধারণ সাবলীল লেখা
২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আলি ভাই।
৫| ২৬ শে জুন, ২০২০ ভোর ৬:৪৩
ইসিয়াক বলেছেন:
ভালো
২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ৭:০০
পারভীন শীলা বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে যে কোনো নরম মনের মানুষ ভয় পাবে।ভালো লাগার পাশাপাশি ভয়ও কাজ করছে ।
২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: না ভাই ভয় নেই। ভালো করে দেখুন শুধু আনন্দ আছে।
৭| ২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:০৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের কোন একটি বইয়ে এরকম ঘটনা হয়তো পড়েছিলাম।
২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস। ঠিক ধরেছেন।
৮| ২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩৪
কাছের-মানুষ বলেছেন: আগেই পড়েছিলাম মনে হয় এটা।
২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
খানসাব বুঝতে পারছি ঘষা মাজাটা কোথায় করেছেন !!
সাজ্জাদ ভাই কিছুটা আঁচ করতে পেরেছেন!!
চালিয়ে যান আপনার হবে!!
২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
১০| ২৬ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৬
সাইন বোর্ড বলেছেন: টাইটান না হোক একদিন তো কোথাও যেতেই হবে, প্রস্তুতি আগে থেকে থাকলে আরো ভাল ।
২৬ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: হুম কবরে যাবো।
১১| ২৬ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩১
কল্পদ্রুম বলেছেন: আমরা সবাই আলাদা।আমি এটাকে গল্প হিসেবে ধরে নিচ্ছি।
২৬ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মহানুভবতা।
১২| ২৬ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আপনাকে হেদায়েত দান করুন আমিন।
২৬ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: হেদায়েত না আমি চাই প্রদীপ। আশ্চর্য প্রদীপ।
১৩| ২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৪
মোঃ মােজদুল ইসলাম বলেছেন: Good writing but hoping I will get something. But failed and hopeless. However what was finding that is lamp. If you need lamp "if you want to see, go to the master, to hear go to God's servant, u will get the lamp"its a song from Fakir alomgir.
২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৪| ২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:২২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এমন একটা সময় আসবে এই বাংলাদেশে গান নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।
সেই সময় খুব বেশী দূরে নয়।
তাই সময় থাকতে প্রাণভরে গান শুনে নিন সবাই।
সামনে সময় খারাপ।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: না এরকম হবে না।
১৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বেশ, আরো ভালো হবে।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: স্যরি। আমি ভুল বলেছি। এই গল্প না।
অন্য একটা। কিন্তু এখন সেই গল্পের নাম মনে করতে পারছি না। মনে পড়লে জানাবো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ২:২৭
স্বর্ণবন্ধন বলেছেন: সুন্দর। তবে এটাকে কোন ক্যাটাগরিতে ফেলব বুঝতে পারছি না। সায়েন্স ফিকশন না সাইকোলজিক্যাল গল্প? সেক্ষেত্রে অটোস্কপিক হ্যালুসিনেশনের গল্প ভাবা যেতে পারে।