নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকার পথে পথে- ২৯ (ছবি ব্লগ)

০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:০৫



বিরানী খেতে গিয়েছিলাম পুরান ঢাকায় আজ।
বাসার কাউকে বলি নাই। চুপি চুপি চলে গিয়েছি। গতকাল বাসায় পোলাউ , রোস্ট, গরুর মাংস রান্না করেছিলো। খেয়ে আরাম পাই নি। তাই আজ পুরান ঢাকায় গেলাম বিরানী খেতে। দুপুরে সুরভি চিংড়ি মাছ আলু দিয়ে রান্না করেছে। পাঙ্গাশ মাছ ভূনা করেছে। আলু ভর্তা, ডাল আর পুইশাক ছিলো সাথে। হঠাত এসব খেতে ইচ্ছা করলো না। ইচ্ছা মতো বিরানী খেলাম। সাথে স্প্রাইট। ভালোই লাগলো। তবে সাথে আরেকজন থাকলে ভালো লাগতো। নাজিমউদ্দিন রোড থেকে হেঁটে হেঁটে দোয়েল চত্ত্বর এলাম। সেখান থেকে রিকশা নিয়ে বাসায় ফিরলাম। কিছু ছবি তুললাম। সেই ছবি গুলো নিয়েই আজকের ছবি ব্লগ। অনেকদিন ছবি ব্লগ দেই না।
একটা সাইকেল কেনার স্বাদ জেগেছে মনে। তাহলে হুটহাট এদিক সেদিক চলে যেতে পারব। স্কুলে পড়ার সময় আমার একটা সাইকেল ছিলো। সাইকেলটা দ্রুত কিনে ফেলতে হবে। না কেনা পর্যন্ত শান্তি পাবো না। একটা কিছু মনে এলে ওটা আমাকে করতেই হয়। না করা পর্যন্ত শান্তি পাই না।

১।
দোয়েল চত্ত্বর মনে হয় এরশাদ সাহেব করেছিলেন।

২।
ভ্যানে করে ঘাস নিয়ে কোথায় যাচ্ছে!

৩।
বাচ্চা মেয়েটা ভ্যানের উপর দাড়িয়েছে কেন, কে জানে!

৪।
পুরান ঢাকার একটা ছোট্র দোতলা বাড়ি।

৫।
রাজা রানী।

৬।
নাজিম উদ্দিন রোড।

৭।
এই ছবিটা খিলগাও এর। মাঝে মাঝে আমি এখানে এসে দাড়াই। খুব বাতাস এখানে। ঠান্ডা বাতাস।

৮।
বার্ন হাসপাতাল। সম্ভবত এশিয়ার সবচেয়ে বড়। আমাদের শেখ হাসিনা বানিয়েছেন।

৯।
খিলগাও, চৌরাস্তা।

১০।
শপিং মল গুলোতে বেচা কেনা নেই।

১১।
খুব পুরোনো মসজিদ।

১২।
চিপার মধ্যে একটুখানি দোকান।

১৩।
ওই যে শিক্ষা ভবন দেখা যাচ্ছে।

১৪।
শিশু একাডেমির সামনে।

১৫।
মেট্রোরেলের কাজ কি এখন বন্ধ?

১৬।
এটা মসজিদ নয় লাইব্রেরী।

১৭।

১৮।
মসজিদ।

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৫০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অতুলনীয় মুগ্ধ হলাম।

০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


খিলগাঁও মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কতদুর?

০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: খুব বেশি দূর না। হেঁটে গেলে আধা ঘন্টা লাগবে।

৩| ০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১:৫৮

কানিজ রিনা বলেছেন: এখন করনার দিনে আপনি বিরানী খেতে
হোটেলে গেছেন। অথচ বাসায় চার পাঁচ
পদের রান্না। আপনার বউটা নিশ্চয় অনেক
ধৈর্যশীল। বাসার কোর্মা পৌলাও ভাল লাগল
না বলে বিরানী খেতে বাইড়ে গেলেন,আপনার
মেয়ের জন্য এক প্যাকেট এনেছিলেন কিনা?
আপনার মেয়েকে চাষের পাঙাশ খাওয়ানো
উচিৎ না।
ভ্যানের উপর বাচ্চা মেয়েটা বেশ সুন্দর। ধন্যবাদ,

০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: মেয়ে পাঙ্গাশ মাছ খায় না।

৪| ০২ রা জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:৫৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: লোকে আছে দৌড়ের উপর আপনি আছেন খাওয়াপ উপর।

০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: আমি তো অতি সামান্য খাই।

৫| ০২ রা জুলাই, ২০২০ ভোর ৫:৫৩

ইসিয়াক বলেছেন: কোক বাদ স্প্রাইট ইন.......এই করোনার মধ্যে কেউ হোটেলে বিরিয়ানী খেতে যায়?
পুরাই মাথা নষ্ট।

০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: তিন মাস পরে গেলাম।

৬| ০২ রা জুলাই, ২০২০ ভোর ৫:৫৭

ইসিয়াক বলেছেন: ছোটবেলাতে আমার অনেকগুলো এরকম কাঠের পুতুল ছিলো।পুতুল বিয়ে খেলা করতাম।

০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: না পুতুল কখনও খেলি নাই।

৭| ০২ রা জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:০০

ইসিয়াক বলেছেন: ছবি ব্লগ মোটামুটি লাগলো।

০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ৭:০৩

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: মেট্রোর অর্থ সম্ভবত পদ্মা সেতুতে গেছে, কারন ওটা Priority

০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: না তা হয় না।

৯| ০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:৪৯

নাদিয়া জান্নাত বলেছেন: প্রিয় রাস্তা, গলি মনে করিয়ে দিলেন। কবে যে আবার স্বাভাবিক হবে সব!!

০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: খুব শ্রীঘই।

১০| ০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:০৮

এ কাদের বলেছেন: ছবি দেখে ভাল লাগল।

০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।

১১| ০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৪০

নিয়াজ সুমন বলেছেন: সকাল বেলা ক্যাকটাসের ছবি মনে ধরেছে।

০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: হে হে---

১২| ০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৫৫

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: খুব সুন্দর!

০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৩| ০২ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৫৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ছবি ব্লগ ভালো লাগলো

০২ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৪| ০২ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




দূরবীন দিয়ে যেই ছবিটি খুঁজেছি তা পাইনি! বিরিয়ানীর ছবি কোথায়? অন্তত রেষ্টুরেন্টের ছবি দিলে রেষ্টুরেন্ট চিনে রাখতে পারতাম। পুরো পোস্টে মস্তবড় ভুলটি কারো চোখে পড়েনি আশ্চর্য - যে পোস্ট বিরিয়ানী নিয়ে সেখানে বিরিয়ানী নেই - অসম্ভব!


রাজীব নুর ভাই, আপনার পোস্টে মন্তব্য করে যদি ব্লগার রা আপনার থেকে এক/দুই বাক্যের উত্তর পান তাহলে কিভাবে চলবে?



০৩ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: খাবারের ছবি দেওয়া বাহুলতা
অবশ্য আপনি যদি খাবারের ছবি চান তো আবার যাবো। খাবো এবং ছবি তুলে নিয়ে আসবো।
মন্তব্যের উত্তর কেউ ফিরে এসে পড়ে না, তাই ছোট ছোট উত্তর দেই।

১৫| ০২ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১২

ঢাবিয়ান বলেছেন: রাজকপাল যারে কয় সেইটা আপনার।

০৩ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: কিন্তু আমার ধারনা আমি একজন দুঃখী মানুষ।

১৬| ০২ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: খুবই সুন্দর একটি দেশ।
অথচ মানুষগুলো খারাপ।

০৩ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ গুলো খারাপের শেষ সীমানায় চলে গেছে।

১৭| ০২ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৫২

ইসিয়াক বলেছেন:
https://www.somewhereinblog.net/blog/rajib128/30008142

০৩ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

১৮| ০২ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬

ইসিয়াক বলেছেন:
সত্যি ভূতের গল্প
****************
রাজীব নূর খান
**************

তারিখ ৩ জুলাই '১৭

প্রথমেই বলে নিচ্ছি, দুর্বল হার্টের কেউ এই লেখাটা পড়বেন না। বাগেরহাট যাচ্ছি। সুন্দরবনের পাশে একটি গ্রাম। গ্রামের নাম রসুল পুর। সকাল ১০ টায় বাসে উঠলাম। রাস্তায় তিন বার বাস নষ্ট হলো। বিকেলে পৌঁছানোর কথা ছিল রায়েন্দা। আমি পৌছালাম রাত ৩ টায়। পনের বছর আগের কথা। তখন রাস্তা ঘাট খুব উন্নত ছিল না। প্রচন্ড শীত। বাস থেকে নেমে আমি কাঁপছি। চারপাশে ঘুট ঘুট অন্ধকার। আমার সাথে যে ক'জন মাস থেকে নেমেছিল তারা কে কোথায় চলে গেল। ঈদের ছুটিতে বন্ধুর গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। তখন মোবাইল ছিল না। গত পাঁচ বছর ধরে যাব যাব করছিলাম, যাওয়া আর হয়নি।
বাজারের মতো একটা জায়গায় বাস নামিয়ে দিয়েছে। চারপাঁচটা কুকুর একটা ভাঙ্গা চায়ের দোকানের সামনে জট পাকিয়ে আছে। আমি ভীতু টাইপ ছেলে না। আমার আছে লজিক। কত কঠিন কঠিন ভূতের বই পড়ে আর মুভি দেখে ভয় পাইনি। যাই হোক, আমার বন্ধু বাবলু বলেছিল- তুই বাস থেকে নেমে দেখবি আমি তোর জন্য হোন্ডা নিয়ে অপেক্ষা করছি। হয়তো বাবলু হোন্ডা নিয়ে বিকেলে থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করে চলে গেছে। বাবলু ছেলে হিসেবে খুব ভালো। যথেষ্ট আন্তরিক। বন্ধু বাবলু বলেছিল- রায়েন্দা থেকে ভ্যানে করে রসুলপুর গ্রামে যেতে আধা ঘন্টা লাগে। এত রাতে একটা ভ্যানও নেই। আমি সকাল হওয়ার জন্য অপেক্ষা না করে হাঁটা শুরু করলাম।

মাটির রাস্তা দিয়ে হাঁটছি। ভয়াবহ অন্ধকার। প্রচন্ড কুয়াশা। নাক দিয়ে ক্রমাগত পানি ঝরছে। বাতাসে গাছের পাতার শন শন শব্দ। বাবলু বলেছিল- মাটির রাস্তাটা যেখানে শেষ হয়েছে, সেখানেই আমাদের গ্রাম। বাবলুর বাবা গ্রামের ডাক্তার। খুব নাম ডাক আছে। সুন্দরবন থেকে নানাবিদ জিনিস পত্র নিয়ে যারা জীবিকা নির্বাহ করে তারা বনের পশু দ্বারা আক্রান্ত হলে বাবলুর বাবার ফার্মেসীতে আশে চিকিৎসা নিতে। কেউ মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে গেছে, কেউ বাঘের থাবা খেয়েছে, কেউ সাপের কামড় খেয়েছে। গ্রামের লোকদের ভয়-ডর খুব কম থাকে।

এই প্রচন্ড শীতেও আমি ঘেমে গেছি। অনেকক্ষন ধরে হাঁটছি। পথ আর শেষ হয় না। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। খুব ক্ষুধাও পেয়েছে। বিকেলের পর আর কিছুই খাইনি। ক্ষুধার সময় আমার মাথা কাজ করে না। ইচ্ছে করছে আশে পাশের কোনো বাড়িতে গিয়ে বলি- আমি অমুক,অমুক জায়গা থেকে আসছি। আমার খুব ক্ষুধা লাগছে আমাকে খাবার দিন। যদি কিছু না থাকে- তাহলে গুড় মুড়ি দেন। আর চাপকল থেকে ঠান্ডা এক মগ পানি। সমস্যা হলো আশে পাশে কোনো বাড়ি দেখতে পাচ্ছি না। মনে হয় জংলের মধ্য দিয়ে হাঁটছি। ঠিক সময় একটা ভ্যান গাড়ি দেখতে পেলাম। ভ্যানগাড়ির নিচে একটা হারিকেন মিট মিট করে জ্বলছে। আমি দৌড়ে ভ্যানগাড়ির সামনে গেলাম। এবং অন্ধকার আকাশের দিকে তাকিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলাম।

ভ্যানগাড়িতে সতের আঠারো বছরের একটা রুপসী মেয়ে বসে আছে। কিন্তু সে কাঁদছে। খুব কাঁদছে। একটা লোক শুয়ে আছে। তার সমস্ত শরীর ডাকা। আর বুড়ো মতো একলোক ভ্যান চালাচ্ছে। আমি ভ্যান চালককে বললাম- রসুলপুর গ্রামে যাব। ডা. শাহজাহান তালুকদারের বাড়িতে। মনে হয় আমি পথ হারিয়ে ফেলেছি। দয়া করে কি আমাকে সেখানে নিয়ে যাবেন? প্লীজ। বুড়ো ভ্যান চালক- মেয়েটিকে দেখিয়ে বলল শেফালি বুবুকে জিজ্ঞেস করেন। আমি শেফালি'র দিকে তাকাতেই, তিনি ভ্যানে উঠে বসতে ইশারা করলেন। এতটুকু করুনা করার জন্য আমার ইচ্ছা করলো মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরি।

অন্ধকার রাস্তা আর প্রচন্ড বাতাস ভেঙ্গে ধীরে ধীরে ভ্যান চলছে। বেশ ভালো লাগছে। মানুষের মনে এখনও মায়া মমতা আছে। এই মধ্যরাত্রে সাহায্য চাইতেই পেয়ে গেলাম। শেফালি এখনও কেঁদে চলেছে। আমার পাশে একটি লোক শুয়ে আছে। তার চোখ মুখ ঢাকা। এই মেয়েটি এইলোকটির কি হয়? আমি বেশিক্ষন চুপ করে থাকতে পারি না। শেফালিকে জিজ্ঞেস করলাম বোন আপনি কাদছেন কেন? কি হয়েছে? শেফালি কান্না থামিয়ে বলল- যে লোকটি শুয়ে আশে, সে আমার স্বামী। সাপের কামড়ে সে আজ সন্ধ্যায় মারা গেছে। তাকে নিয়ে উত্তর পাড়ার শ্মশানে যাচ্ছি। হঠাত করে আমি প্রচন্ড ভয় পেলাম। আমার হাত পা কাঁপছে। আমি এতক্ষন একটা লাশের পাশে বসে আছি! ইচ্ছা করছে- একটা লাফ দিয়ে বাবাগো মাগো বলে ধানক্ষেতের মাঝখান দিয়ে দৌড় দেই।

আমি গল্পের একদম শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। এরপর যা ঘটল, আমি তার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। ধুম করে লাশটি দাঁড়িয়ে গেল! তার হাতে ইয়া লম্বা একটা রাম দা। এই রাম দা দিয়ে সাত ফিট দূর থেকেও আমার গলা কেটে নিতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। শেফালি বুবু'র হাতে একটা চাইনিজ কুড়াল। মিথ্যা বলব না, চাইনিজ কুড়াল হাতে মেয়েটিকে খুব সুন্দর লাগছিল। বুড়ো ভ্যান চালক আমার পেছন দিয়ে এসে আমাকে জাপটে ধরল। বুড়োর এত শক্তি আমি বুঝতেই পারিনি। তাকে দেখে তো মনে হচ্ছিল তার ভ্যান চালাতেই খুব কষ্ট হচ্ছে।

মুহূর্তের মধ্যে আমার সব কিছু নিয়ে নিল। গলার চেন, হাতের আঙটি। ম্যানিব্যাগ। দুই ব্যাগ ভরতি জামা কাপড়। শেফালি বুবু বলল- ওর শার্ট প্যান্ট খুলে, ওকে ন্যাংটা করে ধানক্ষেতে ফেলে রাখলে কেমন হয়? ভ্যান চালক আর রাম দা হাতে লোকটি শেফালির কথায় শায় দিল। আমি মেয়েটির নিষ্ঠুরতায় প্রচন্ড মর্মাহত হলাম। দুঃখ,কষ্ট আর অপমানে আমি জ্ঞান হারালাম।

ভোরবেলা গ্রামের কিছু মুরব্বী মসজিদে ফযরের নামাজ পড়তে গিয়ে আমাকে ধানক্ষেত থেকে উলঙ্গ অবস্থায় উদ্দার করে। এরপর আমি টানা সাত দিন জ্বরে ভুগলাম। অনেক থানা পুলিশ হলো। সমস্ত গ্রামের মানুষ আমাকে দেখতে এলো। স্থানীয় সংবাদ কর্মী আমার উপর এই বিরাট প্রতিবেদন লিখল।

০৩ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

১৯| ০২ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২০

জাদিদ বলেছেন: পুরানো ঢাকার কোন দোকানে খেলেন? কি খাইলেন??

০৩ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: হানিফ বিরানী খেয়েছি ভাইজান।

২০| ০২ রা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১

রাকু হাসান বলেছেন:


ভাই প্লিজ অন্তত খাবারের কথা বলেন না যে। বের হতে পারছি না। লক ডাউন কাটলে তেহেরীরর দাওয়াত দিয়েন ;) । প্রথম ছবিটিই ভালো লাগছে বেশি।

০৩ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই দাওয়াত দিবো।
প্রথম ছবিটা আমার ব্যলকনি থেকে তুলেছি।

২১| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৭

এম ডি মুসা বলেছেন: এ রকম পোস্ট সবচেয়ে ভালো লাগে! স্থান ফটোগ্রাফি তো থাকবেই তার।

০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.