নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
পৃ্থিবীর অবস্থা দিনদিন খারাপ হচ্ছে।
মানুষ হয়ে পড়ছে হিংস্র, অমানবিক। মার্কিনীরা পারমানবিক বোমা তৈরী করছে। ধনী দেশগুলো তৈরি করছে নানান রকম আধুনিক অস্ত্র। বিশেষ করে উন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশ গুলোকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সবকিছু দখল করছে পুঁজিবাদীরা। দরিদ্র দেশ গুলো খাবার পাচ্ছে না, পাচ্ছে গ্রেনেড, অস্ত্র আর গোলা বারুদ। এই আধুনিক যুগে এসে পৃথিবী থেকে মায়া-মমতা মানুষের মন থেকে উঠেই গেছে। এমতবস্থায় আমাদেরকে পৃথিবী বাঁচানোর জন্য কিছু করতেই হবে। কিন্তু সবাই আছে নিজ নিজ বাসনা আর ধান্দায় মত্ত। দিনরাত ভাবি, কি করে পৃথিবীটাকে সুন্দর করে সাজানো যায়। কিভাবে পৃথিবীর মানুষ গুলোকে সুখী করা যায়।
অনেক ভেবেচিন্তে ঠিক করেছি- আমি পৃথিবীটাকে সুন্দর করে সাজাব। সব খারাপ ব্যাপার গুলোকে পৃথিবী থেকে উধাও করে দিব। তবেই পৃথিবী হবে আনন্দময়। কোনো দুঃখ, হিংসা, বিদ্ধেষ থাকবে না। পৃথিবীটাকে সুন্দর করে সাজানোর জন্য আমার কিছু মানুষের সাহায্য দরকার। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হলো, আমি যাদের সাহায্যে নেব তারা কেউ বেঁচে নেই। আমি আইনস্টাইন, ডারউইন, সক্রেটিস, আব্রাহাম লিংকন, রবীন্দ্রনাথ, টেড হিউজ, ব্রার্ট্রান্ড রাসেল, ফয়েড, আরজ আলী মাতুব্বর, হো চে সিন, পীথাগোরাস, প্লেটো, এডিসন- এদের কথা বলছি। যে করেই হোক, এদের আবার পৃথিবীতে জীবিত ফিরিয়ে আনব। এদেরকে দিয়েই পৃথিবীটাকে নতুন করে সাজাব। এখন যারা আছেন তাদেরকে দিয়ে সম্ভব নয়।
পৃথিবীটাকে সব মানুষকে একত্রিত করব।
মানুষের অস্থিত্বের গভীরে প্রলয়ঙ্করী ঝড় সৃষ্টি করবো। এই প্রচন্ড আলোড়নই শেষ পর্যন্ত জাগিয়ে তুলবে প্রবল জীবনতৃষ্ণা, মনুষ্যজীবনের শ্রেষ্ঠ বোধ, শ্রেয়কে অনুসন্ধান ও প্রাপ্তির ক্ষান্তিহীন বাসনা। এখন আমার প্রয়োজন- বিশাল একটা গবেষনাগার (প্রায় বিশ একর জায়গা জুড়ে)। এই গবেষনাগারের মঞ্চে পৃথিবীর সব কিংবদন্তী মানুষ আর জ্ঞানীগুনীরা সেমিনার করবে। এই বিশ্ব সেমিনার স্যাটালাইটের মাধ্যমে সবাই ঘরে বসেই দেখতে পারবে লাইভ। গবেষনাগারটি পৃথিবীর সব জ্ঞানী মানুষদের তীর্থকেন্দ্র হয়ে উঠবে।
সেমিনারে মহৎ সব কথা দিয়ে পৃথিবীবাসীকে মোহগস্ত করা হবে। কোনো বাদ্যযন্ত থাকবে না। আমার কথা হলো- সত্যকে বিশ্বাস ও লালন করতে হবে এবং সত্যকে মনে প্রানে ধারন করতে হবে। যুক্তির মাধ্যমে সবার সামনে সমস্যা গুলো তুলে ধরব। কারন সত্যকে আমি বিশ্বাস করি এবং 'সত্যের' পথ অনুসরন করেই আমি চলেছি। কেউ হয়ত কৌতুহলী হয়ে প্রশ্ন করতে পারেন' আমি কেন প্রকাশ্যে রাষ্ট্রিয়ভাবে আলোচনা করছি না। তার কারন হলো- আমি এক স্বর্গীয় বা অলৌকিক ভবিষ্যদ্ধানীর দাস মাত্র।
এখনই আমাদের চিন্তা করার সময়- ভাবতে হবে, মন দিয়ে নিঁখুতভাবে ভাবতে হবে। দীর্ঘকায় কোনো মানুষের পাশে ক্ষুদ্রকায় কোনো মানুষ দাঁড়ালে ভাবতাম একজনের মাথা অপরজনের চেয়ে উচ্চতর, আমার ধারনা- নিঃসন্দেহে আমি জানি দশ, আটের চেয়ে দুই বেশী এবং দুই ফুট এক ফুটের চেয়ে বেশী। যেহেতু দুইয়ের অর্ধেক এক।
আমাদের বুঝতে হবে- মৃত্যু ভয়ে যেন ভীত না হয়ে বরং মৃত্যুকে আনন্দস্বরুপ গ্রহন করতে পারি। আর আমাদের স্মরন রাখতে হবে, মৃত্যু কিংবা জীবনে অথবা এ জীবনের পরও একজন মহত্তম ব্যক্তির কেউ কখনও ক্ষতি করতে পারে না, আরো মনে রাখতে হবে -স্বর্গের দেবতারাও সবসময়ই শুভ ও মঙ্গলের পক্ষে।
আমি জানি, মৃত মানুষদের আবার পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু খুব কঠিন নয়। আগে জানতে হবে -মানুষ কি? আসলে মানুষ বলতে কোনো কিছু নেই। কোটি কোটি এ্যাটম (Atom) একত্রে জড়ো করে মানুষ সৃষ্টি করা হয়েছে। দেহ বিজ্ঞানের মতে, জীবকোষ বিভক্ত হতে হতে প্রথম কোষ থেকে মাত্র পঞ্চাশ বা বায়ান্ন বার বিভক্ত হলেই প্রায় ত্রিশ কোটি কোষের অভিনব এবং অবিশ্বাস্য ভাবে মনুষ্য সৃষ্টি সম্ভব। গোটা মানব দেহটার এই যে পূর্নগঠন ও অবয়ব, এ সর্ম্পূন শরীরটার কোটি কোটি এ্যাটম গুলো কীভাবে পরস্পর সামঞ্জস্য রেখে দেহকে এত সুষ্ঠভাবে খাড়া করে চালিয়ে নিয়ে যায়।
অনেক বিষয় আছে- যা স্থুলজ্ঞানে বা যুক্তিতে বা দৃষ্টি শক্তিতে ধরা পড়ে না। প্রেমানুভূতি, ভালোবাসা, ব্যাধি পীড়ার যন্ত্রনা, ব্যর্থতার অভিক্ষেপ, সর্প দংশন জ্বালা, বিচ্ছেদ-বেদনা, প্রসব ব্যাথা ইত্যাদি আরো অনেক বিষয় আছে যা কোনোদিন জ্ঞানে বা যুক্তিতে বা দৃষ্টিতে ধরা পড়বে না। দেখিনা-বুঝিনা-জ্ঞানে খাটে না বলে সব বিষয় বা সত্তাকে বা সত্যকে উড়িয়ে দেয়া ঠিক না। যেমন একজন নারীর প্রসব ব্যাথায় ভোগে, দুনিয়ার কোনো বৈজ্ঞানিক এবং দার্শনিক বা যে কোনো নম্বরের জ্ঞানীলোক এই একটি প্রসব ব্যাথা, অনুভুতি জ্ঞান খাটিয়ে বা যুক্তি দিয়ে অনুধাবন করা যাবে না- এবং পারবে না বলেত প্রসব ব্যাথাকে অস্বীকার করা যাবে না। অনেক সমস্যা আছে যা ঐ সমস্যায় না পড়লে বোঝা যাবে না।
মানবদেহের অনুগুলো জীবন্ত এবং জৈব শরীরের যত বিবর্তনই হোক না কেন দেহের অনুগুলো কোনোকালেও ধ্বংস হয় না। এরা বিভিন্ন রুপান্তর গ্রহন করে মাত্র। যারা মনে করে মানুষ মরে গেলে দেহটা পঁচে যায় বা আগুনে পুড়লেই ছাই বা ভস্ম হয়ে যায়, তাদের এই ধারনাটা একটা অলীক ও সেকেলে ধারনা। মরার পরে মানবদেহ পুড়েই যাক বা গলেই যাক বা দুর্ঘটনায় ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে যাক বা জীব জন্তুতে ভক্ষন করুক মানুষ কোনোদিন'ই ধ্বংস হয় না। আসল ঘটনা হচ্ছে, অসংখ্য অনুকে একটা প্রচ্ছন্ন জীবনীশক্তির অচ্ছেদ্য বন্ধন দিয়ে জালকের মত জড়িয়ে দেহকে চলমান করে রাখা হয়েছে। অনুগুলো আপন শক্তিতে স্বকীয় সত্তায় দেহে অস্তিত্বমান আছে। এই অদৃশ্য জীবনী শক্তিকে জীবাত্মা বলে ধারনা করা হয়। যার কারন দেহের ভেতর নিউক্লিক এসিড সক্রিয় থাকে, তাতে করে মানবদেহ সজীব থাকে এবং দেহের বিভিন্ন সিস্টেমগুলো কর্মক্ষম থাকে। যার ফলে মানুষ তার অনুভূতির জৈব বহিঃপ্রকাশ করতে সক্ষম হয়। মরনের পরে মানুষের নাভীমূল কোনোদিন ধ্বংস হয় না।
দেহের অসংখ্য অনুগুলো জীবাত্মার সান্নিধ্যে থাকাকালীন তাদের অজৈব শরীরে জৈব শক্তির একটা নিবৃ্ত প্রবাহ সক্রিয় থাকে। যেমন- চুম্বকের সাথে থাকতে থাকতে সাধারন লোহাও চুম্বক শক্তি প্রাপ্ত হয়। চুম্বকপ্রাপ্ত লোহার টুকরাটি যেখানেই সরিয়ে নেয়া যাক, আসল চুম্বকের গুনাগুন তার মধ্যে বিরাজমান থেকে যায়। যদিও সে আসল চুম্বকের মত শক্তিশালী না থাকুক।
এখন, মানুষকে পুনরায় সৃষ্টি করতে হলে- দেহের একটি পরমানু খুঁজে পেলেই হবে। এক একটা পরমানুর ভেতরে একটি করে জ্যান্ত মানুষ ধূলিরুপে মানুষের দেহে দেহেই লেগে থাকে। কাজেই কোটি কোটি অনু দিয়েই মৃত মানুষদের আবার পৃথিবীতে নিয়ে আসা সম্ভব। হুম...এই কথা সত্য যে মহাজাগতিক রশ্মি মানুষের অনুকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, এ কথার মানে এ নয় যে, অনুগুলো একেবারেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের ক্ষমতার অভাব নেই। অথচ মানুষ তা জানে না।
২| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫৪
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: হ্যাঁ, কোন কিছুই অসম্ভব না...............
২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস।
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
সাধারণ মানুষের ভেতরকার ভুলগুলো অনেক জাতিকে ধ্বংস করছে; আফগানিস্তান, ইরাক, ইয়েমেন, সিরিয়ার ধ্বংসের কারণ এসব জাতির মানুষ নিজ জাতির স্বার্থ, নিজ মানুষের শান্তি চাহেনি; বাংলাদেশ ও পাকিস্তানও একই দিকে যাচ্ছে।
২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশ সব মন্দ বাদ দিয়ে এগিয়ে যাবে। আমি সেই অপেক্ষায় আছি।
৪| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮
ইসিয়াক বলেছেন: এভাবেই হয়তো মানুষ তার নিজের ভুলগুলোর জন্য একদিন পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবী যতদিন থাকবে ততদিন মানুষও থাকবে।
৫| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:০২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অচিরে আমরা পৃথিবী সুস্থ হয়ে উঠবে । বাংলাদেশও একদিন ভালো মানুষের দেশ হবে
২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই।
৬| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:০৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কার্ল মার্ক্স, মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাখতে পারেন। উনারা লোক ভালো।
২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: বিবেচনায় রাখলাম।
৭| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২০
ইসিয়াক বলেছেন: দেশে বন্যা চলছে। ব্লগে তার উপরে কোন পোস্ট নেই।প্লিজ আপনি একটা পোস্ট দিন ছবি সহ। কত মানুষ যে কষ্টে আছে।
২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই লিখব।
৮| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০১
ঢুকিচেপা বলেছেন: এর আগে একজনকে দিয়েছিলাম।
আজ আপনাকে একটা দিলাম, যাদুর কাঠি।
২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: অশেষ শুকরিয়া।
৯| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৩
কল্পদ্রুম বলেছেন: ইসিয়াক ভাইয়ের বক্তব্য আমারও।বন্যা নিয়ে কিছু লিখতে পারেন।আমি এ ব্যাপারে জানলে লিখতাম।
এই লেখাটা ভালো লেগেছে।অনেক ভাবনার সাথে পরিচিত হলাম।
২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী লিখব। কিন্তু আপনি তো আমাকে গুরুভাই এর কোনো খোজ দিলেন না।
১০| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনি ভাল মানুষ, আপনার চিন্তা ভাবনাও ভাল।
২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: ভোট চাই ভোটারের। দোয়া চাই সকলের।
১১| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৮
কল্পদ্রুম বলেছেন: খবর জানলে তো দেবো! আচ্ছা,যদি জানতে পারি আপনাকে জানাবো কথা দিলাম।
২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। অপেক্ষায় থাকলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৯
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এখন মানুষের কাছে অনেক কিছুই সম্ভব।