নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
নদীভাঙন, আসলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
বর্ষা মৌসুমে উজানে তীব্র বৃষ্টিপাত হলে নদীর পানি বেড়ে যায়। তখন নদীতে স্রোতও বেড়ে যায়। সাধারণত নদী, তার পানির গতিপথে কোনো বাধা পেলে তাতে তীব্র আঘাত করে। বারে বারে এই আঘাতে কৃষি জমির এক বিরাট অংশ একসময় নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। প্রতি বছর নদীভাঙনের কারণে লক্ষ লক্ষ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষেতের ফসল, ফসলি জমি ও বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। দেশের ৪৮৯টি থানার মধ্যে প্রায় ১০০টি থানায় নদীভাঙন ঘটছে। নিঃস্ব, রিক্ত, সর্বস্বান্ত মানুষ ভূমিহীনের কাতারে সামিল হয়ে নতুন আশ্রয়ের খোঁজে দেশ-দেশান্তরে ঘুরে বেড়ায়। বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১২ লক্ষ লোক প্রত্যক্ষভাবে নদীভাঙনের শিকার হয়। এর ফলে বার্ষিক আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক পঞ্চাশ কোটি ডলার। প্রায় ৩ লক্ষ গৃহহীন পরিবার উন্মুক্ত আকাশের নিচে, পথের পাশে, বাঁধ, ফুটপাথ ও সরকারের খাস জমিতে এসে আশ্রয় নেয়। গরীব, ধনী নির্বিশেষে সবাই এ নদীভাঙনের শিকার হয়। অধিকাংশ নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র ও অসহায় লোকজন একে প্রাকৃতিক ঘটনা হিসেবে ধরে নেয়। আবার অনেকে আল্লাহর গজব বলে থাকেন। এই গজব থেকে বাঁচতে দোয়া-মানৎ ইত্যাদির শরণাপন্ন হয়।
দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর প্রায় তিনশ ‘ভাঙনপ্রবণ' এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্রতি বছর মার্চ মাস থেকে জুলাই পর্যন্ত নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া থেকে হ্রাস পাওয়ার সময় পর্যন্ত নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। কাজী নজরুল ইসলামের জনপ্রিয় গান আছে– ‘এ কূল ভাঙে, ও কূল গড়ে/ এই তো নদীর খেলা/ এই তো বিধির খেলা/ সকালবেলা আমির রে ভাই/ ফকীর সন্ধ্যা বেলা'। কিন্তু বাংলাদেশে যেভাবে নদী একই এলাকা বছরের পর বছর ভেঙে চলে, বা চলতে দেওয়া হয়, তার নজির আর কোনো ব-দ্বীপে নেই। আমরা জানি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এড়ানোর উপায় নেই। বিশেষত বাংলাদেশের মানুষ বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেই টিকে আছে। যুগের পর যুগ ধরে। কিন্তু অন্যান্য দুর্যোগের সঙ্গে নদী ভাঙনের পার্থক্য হচ্ছে, ভাঙন কবলিত মানুষ এক ধাক্কায় পায়ের নীচের মাটিটুকুও হারিয়ে ফেলে। বন্যায় সব ধুয়ে গেলে, ঘূর্ণিঝড়ে উড়ে গেলেও ভিটে মাটিটুকু থাকে। কিন্তু নদীভাঙনে সেটুকুও থাকার জো নেই। গত চার দশকে কমবেশি এক লাখ হেক্টর ভূমি নদীগর্ভে চলে গেছে। এনিয়ে কারো কোনো চিন্তা নেই।
প্রতি বছরই বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ হয় ভাঙন রোধে।
স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত কত টাকা পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার নামে ব্যয় হয়েছে, সেই হিসাব কারো কাছে নেই। দীর্ঘ অবহেলা ও পরিকল্পনাহীনতা কিংবা উন্নয়নের ভ্রান্ত মডেলই আমাদের গ্রাম ও শহরগুলোকে নদীর করাল গ্রাসের কাছে বিপন্ন করে তুলেছে। নদীকে বশে রাখতে হলে পাড় বাঁধতে হয়। যে প্রক্রিয়ায় এবং যে ধরণের দ্রব্য ব্যবহার করে নদীর পাড় মজবুত করতে হয়, সরকারের লোকজন দুর্নীতি করতে গিয়ে বাঁধের বারোটা বাজিয়ে দেয়। সেই বাঁধ এক বছরও টিকে না। আমাদের দেশটা পলি গঠিত বদ্বীপ। এই দ্বীপে ভাঙা-গড়ার খেলা চলছে হাজার হাজার বছর ধরে। নদীভাঙন এমনই একটি বিষয় যার সাথে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে দেশবাসী সকলেই জড়িত। নদী ভাঙনের শিকার- মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, কবরস্থান, শ্মশান, হাট-বাজার, শিক্ষাঙ্গন, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, শিল্প-কারখানা ইত্যাদি। ভূমিকম্প, ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস এবং আগুনে পোড়া আকস্মিক বলে সবার চোখে পড়ে। নিউজ হয় জোরালো। দেশি-বিদেশি ত্রাণ এবং সাহায্যও পাওয়া যায় বেশ। কিন্তু নদীভাঙন ক্রনিক রোগের মতো হয়ে গেছে। প্রায়ই সংবাদপত্রে খবর ছাপা হয়। ওই পর্যন্তই। প্রতিকারের জন্যে সরকারি যে ব্যবস্থা নেয়া হয়, তা শুধু একটি বিশেষ শ্রেণীর কল্যাণে আসে। ভুক্তভোগীরা কিছুই পায় না। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে অথচ আজ পর্যন্ত নদীভাঙ্গন রোধ করা গেলো না।
নদী ভাঙন রোধের কি কোনো উপায় নেই?
সরকার অনেক বছর ধরেই ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের চিন্তা করছে। নদীভাঙন রোধ করতে হলে সম্ভাব্য স্থানে নদীর বাঁক সোজা করতে হবে এবং গভীরতা ও প্রশস্ততা বাড়িয়ে নিতে হবে। কাজে হাত দিতে হবে শুষ্ক মৌসুমে। বাংলাদেশের যত প্রধান সমস্যা আছে তার মধ্যে প্রধান সমস্যার একটি নদীভাঙ্গন। সর্বনাশা নদীর ভাঙ্গনে প্রতিবছর নিঃস্ব হচ্ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। আমাদের দেশ নদীমাতৃক দেশ হলেও আমাদের জন্য নদী যেন আজ অভিশপ্ত। নদীভাঙ্গন এমনই একটি বিষয় যার সাথে প্রতক্ষ্য ও পরোক্ষভাবে দেশবাসী সকলেই জরিত। সরকারের আন্তরিকতা থাকলে অবশ্যই নদীভাঙ্গন খুব সহজেই রোধ করা যাবে। গ্রামদেশে বহুল প্রচলিত একটা কথা আছে- চোর-ডাকাতের কবলে পড়লেও মানুষ অর্থসম্পদ হারায় কিন্তু মাথার ওপর একটা চাল থাকে, থাকে আশ্রয় নেয়ার মতো একটা জায়গা। কিন্তু নদীভাঙনে মানুষ তার এই শেষ আশ্রয়টিও হারিয়ে সর্বহারায় পরিণত হয়। বাংলাদেশে নদীভাঙন স্থায়ী সমস্যায় পরিণত হয়েছে বহু যুগ ধরে। প্রতি বছর বাংলাদেশে কত মানুষ যে নদীভাঙনের কবলে পড়ে অসহায়, সর্বহারায় পরিণত হচ্ছে তার হিসাব নেই।
পৃথিবীতে বাংলাদেশ ছাড়া অন্যান্য দেশেও নদ-নদী আছে।
সেসব দেশে তো নদীভাঙন এমন ভয়াবহ আকার ধারণ করে না। বাংলাদেশ কি কোনোভাবেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে না? বাংলাদেশে শুকনো মৌসুমে পানির অভাবে কৃষক ফসল ফলাতে পারে না, নৌপথে যাতায়াত সম্ভব হয় না, বর্ষাকালে বন্যার কবলে পড়বে, আবার বর্ষায় নদীভাঙনের শিকার হতেই থাকবে, এর কি কোনো প্রতিকার নেই? দেশের নদীগুলোর প্রধান ক্ষতির কারণ পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাদের কোনো গবেষণা নেই। নেই কোনো অনুসন্ধান। এমনকি তারা যখন যে এলাকায় কাজ করে সেখানকার স্থানীয় জনগণের সঙ্গেও কথা বলে না। বছরে শুধু নদী ভাঙনের শিকার হয়ে গড়ে প্রায় দেড় হাজার মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়ছে। এই আশ্রয়হীনদের বেশীরভাগই শহরের বস্তিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া দু’শ ৫৪টি আন্তর্জাতিক নদীর মধ্যে প্রধান চারটি নদীতেই ভাঙন বেশি। নদীগুলো হচ্ছে-পদ্মা, যমুনা, মেঘনা ও গঙ্গা। অযৌক্তিক ড্রেজিং, নদী খনন ও বালু উত্তোলনের জন্য নদীভাঙন দেখা দেয়। পত্র-পত্রিকায় প্রায় প্রতিদিন ভাঙনের ভয়াবহ রূপ তুলে ধরা হলেও এর স্থায়ী প্রতিকারে কার্যকর কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
দেশের চিরন্তন ক্ষতির উৎস এই নদীভাঙ্গন।
প্রধান নদ-নদীসহ ৫৪টি নদী ভারতের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করাই যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের খেয়াল-খুশির উপর বাংলাদেশের পানি পাওয়া-না পাওয়া নির্ভর করছে। অথচ ভারত নাকি আমাদের বন্ধু! নদীভাঙন নিয়ে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী এবং এমপি মহোদয়রা নির্দেশ দেন, কঠোর হুশিয়ারী দেন। তাদের নির্দেশ এবং কঠোর হুশিয়ারীর ফলাফল শূণ্য। দেশ থেকে দারিদ্র্যতা দূর করতে হলে অবশ্যই আগে নদীভাঙন রোধ করতে হবে। তাই সরকারকে এখনি নদী ভাঙন রোধে ও নদীকে নিয়ন্ত্রণে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিতে হবে। শুধু বন্যা এলেই তদারকি, দুর্নীতিবাজ এইসব কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে নদী ভাঙন রোধে নতুন কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে, সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে। নইলে বাজেটের টাকা বস্তা আর বালি কিনতেই শেষ হবে। একই ঘটনা প্রতিবছর! তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ইছামতি, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, মেঘনা, ধলেশ্বরী, আড়িয়াল খাঁ, গড়াই, কর্ণফুলী, মধুমতি, সুরমা, কুশিয়ারা, পদ্মা, মহানন্দা, মুহুরী, শঙ্খ, করতোয়া প্রভৃতি নদনদীর ভাঙনে প্রতি বছর লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে, আর এতে বাড়ছে আশ্রয়হীন পরিবারের সংখ্যা।
ভীষণ রকম নদীভাঙ্গনের শিকার এখন রাজবাড়ি, ফরিদপুর সদর এবং চরভদ্রসেন উপজেলার পদ্ম নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষগুলো। পদ্মার ভাঙনে ১৯৬৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৮৭ হাজার হেক্টরের বেশি জমি বিলীন হয়েছে। নদী ভাঙনের কারণে এক ব্যক্তির জীবনে গড়ে ২২ বার ঠিকানা বদল করতে হয়। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একটি স্বতন্ত্র ও স্বাধীন মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে দেশের পানি সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় একটি দূর্নীতিগ্রস্থ মন্ত্রণালয়। এর দায়িত্ব যিনি থাকেন তিনি দূর্নীতির আশ্রয় নেন। এ মন্ত্রণালয়ের নিচ থেকে উপর পর্যায় পর্যন্ত দূর্নীতি রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে নদীভাঙন রোধে নদীর পাড়ের মানুষেরা প্রচুর পরিমানে গাছ লাগাতে পারে। গাছ নদীভাঙ্গন কমাতে পারবে। নদীর কিনারায় পর্যাপ্ত বালুর বস্তা ফেললে প্রাথমিকভাবে উপকার পাওয়া যায়। নদীর কিনারায় Interlocking সিমেন্ট কংক্রিট ব্লক নদীভাঙ্গন অনেকখানি কমিয়ে দিতে পারে। দেশের নদী ভাঙনের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর জন্য সরকারীভাবে সাহায্যের হাত বাড়াতে হবে উদারভাবে। তাদের মাথা গোজার জন্য সরকারকেই নিতে হবে বড় প্রকল্প। জীবন ধারণের জন্য কর্মসংস্থান তাদের বড় একটি দাবী। নদীভাঙ্গা মানুষ ত্রান চায় না। তারা বলেন- ‘ত্রাণ চাই না, ভাঙ্গন ঠেকান’। আমি আমার দেশের মানুষ গুলোকে খুশী দেখতে চাই। সব সময় তাদের হাসি মুখ দেখতে চাই।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: একসময় আমাদের গ্রামের বাড়ি থেকে পদ্মার পাড়ে হেঁটে যেতে সময় লাগতো এক ঘন্টা। এখন হেঁটে যেতে সময় লাগে বিশ মিনিট। অর্থ্যাত বলা যায় আগামী ১০/১৫ বছরের মধ্যে পদ্মা আমাদের বাড়ির উঠানে চলে আসবে।
২| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:০৪
একাল-সেকাল বলেছেন:
স্থায়ী সমাধান আছে, করলে আয় রোজগার কমে যাবে।
এই দেশে পদ্দার উপর সেতু হয় কিন্তু পদ্মার ভাঙন রোধে ব্যাবস্থা নেয়া হয়না।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: হবে হবে। নদীভাঙ্গন বন্ধ হবে। অপেক্ষা করুন। আমাদের আশাবাদী হতে হবে।
৩| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:০৮
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এপাড় ভেঁঙ্গে ওপাড় গড়ে এইতো নদীর খেলা।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: না এরকম ভাবলে হবে না।
৪| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:২৪
একাল-সেকাল বলেছেন:
@রাজির নুর,
আমি আশবাদি পদ্মার জল অয়েল হবে, আমরা কুয়েত হব
২৪ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: জেটা হাস্যকর আশাবাদী।
৫| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:২৬
একাল-সেকাল বলেছেন:
@রাজির নুর,
আমি আশবাদি পদ্মার জল অয়েল হবে, আমরা সিঙ্গাপুর থেকে কুয়েত হব
২৪ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: এরকম আশাবাদী হওয়াটা বোকামো।
৬| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:৫১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নদী ভাঙ্গনের স্বীকার হওয়ার আগে কয়েক বছর সময় পাওয়া যায়। এই সময়ে বিকল্প ব্যবস্থা করার সুযোগ থাকে। অনেক ক্ষেত্রে প্রকৃতির কাছে আমরা এখনও অসহায় এই বিজ্ঞানের যুগেও।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: সঠিক চিন্তা, পরিকল্পনা এবং সদ্বিচ্ছা থাকলে নদীভাঙ্গন থেকে বাঁচার উপায় আছে।
৭| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৫২
অজ্ঞাতকুলশীল বলেছেন: সরকারের আন্তরিকতা থাকলে নদী ভাঙ্গন অবশ্যই খুব সহজে রোধ করা যাবে।
দেশে এত বেশি দুর্নীতিবাজ কেন !
২৪ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: দরিদ্র দেশ। এর মধ্যে দুষ্টলোকে ভরা। পরিত্রান অবশ্যই আছে।
৮| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:১২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: হবে হবে। নদীভাঙ্গন বন্ধ হবে। অপেক্ষা করুন। আমাদের আশাবাদী হতে হবে। আপনে আশা নিয়া বইসা থাকেন, ওইদিকে নদী ভাঙ্গতে থাকুক। একদিন দেখবেন আপনের নিজেরই পায়ের তলায় মাটি নাই।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: দরিদ্র দেশ। দরিদ্র জনগন। বহু লোকেরই পায়ের তলায় মাটি নেই।
৯| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪১
মুজিব রহমান বলেছেন: ভাঙ্গনরোধে বিজ্ঞানভিত্তিক কোন পরিকল্পনা নেই। আর যেসব টাকা আসে তার সিংহভাগই লুটপাট হয়ে যায়।
আমি পদ্মাপাড়ের মানুষ। বাড়ি ঘর বহুবারই ভেঙ্গেছে পদ্মায়। সুদীর্ঘকাল থেকেই দেখে আসছি বাঁশ-কাশ দিয়ে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করা হয়। কখনো বাঁশের বদলে গজারী থাকে। আমাদের বাজার রক্ষার জন্য একবার ৯৪ লক্ষ টাকা আসলো। কন্ট্রাক্টর রাতের আঁধারে কয়েক বস্তা জিওব্যাগ ফেলে টাকা তুলে নিয়ে যায়। সেই ব্যাগ বর্ষা শেষে কেউ চোখেও দেখেনি। অথচ আমাদের গ্রামেই রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমার নানী বাড়ি বহু আগের ডুবে গেছে। ভেসে গেছে।
সরকারের উচিত এদিকে মনোযোগ দেওয়া। আর দূর্নীতিবাজদের অনবিলম্বে গ্রেফতার।
১০| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০৭
ইসিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ
২৪ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২০
রাজীব নুর বলেছেন: ভালোবাসা।
১১| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক টা আসলেই খারাপ। এটা এমন একটি অবস্থানে আছে যেখানে বন্যা ঘূর্ণিঝড় এই জাতীয় বিপদ-আপদ সারাবছর লেগেই আছে।
একই কারনে এখানে নদীগুলো সাজানো হয়নি। সাজানো সম্ভব ও না। তাই ভেঙ্গে চুরে একাকার হয় সারা বছরই।
১২| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের কোনো খারাপ কি আপনাকে স্পর্শ করে না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:২৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: পদ্মায় বাতিঘর নামে একটা বহুতল স্কুল ভেঙ্গে পড়ৈছে