নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকার পথে পথে- ৩১ (ছবি ব্লগ)

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০১



আজ সকালে মনে পড়লো-
অনেকদিন 'ঢাকার পথে পথে' ছবি ব্লগ দেই নাই। মোবাইলে বেশ কিছু ছবি জমেছে। মানুষ দরকারে ঘর থেকে বের হয়। আমি কোনো প্রয়োজন বা দরকার ছাড়াই প্রতিদিন ঘর থেকে বের হই। এই শহরের অলি গলিতে রোজ ইচ্ছা মতোন ঘুরে বেড়াই। কত রকম মানুষ যে চোখে পড়ে প্রতিদিন! এই শহরে ভালো কোনো মানুষ নেই। সবই মন্দ লোক। এত এত মন্দ লোকের ভিড়ে নিজেকে বড্ড অসহায় লাগে। দম বন্ধ হয়ে আসে। এ শহরের প্রতিটা ব্যবসায়ী (ফুটপাত থেকে বড় দোকান) সবাই চায় ঠকাতে। ঠকাতে পারলেই ভাবে আমি জিতে গেলাম। লোকজন ব্যবসা শুরুই করে ঠকানোর মানসিকতা নিয়ে। চারিদিকে মিথ্যা আর প্রতারনা। চারিদিকে দুষ্টলোক। কেউ কারো চেয়ে কম না। এই শহরের প্রতিটা মানুষকে আমার অমানুষ বলে মনে হয়। কারো মধ্যে মায়া, দয়া নেই। চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায় প্রতিটা মানুষ অমানবিক। নিষ্ঠুর। একজন সাংসারিক মানুষও ঘর থেকে বের হলেই কেমন অমানবিক আর অমানুষ হয়ে যায়। মানুষের অমানুষ হওয়া দেখতে দেখতে আমি ক্লান্ত, বিধ্বস্ত। আমি দেখেছি, আমি উপলব্ধি করেছি মানুষ কিভাব অমানুষ হয়, কিভাবে অমানবিক হয়। কিভাবে বদমাশ হয়।


১। এই ছবিটার পেছনে চমৎকার একটা গল্প আছে। এবং এই গল্পটা আমি কখনও ভুলব না। ভুলে গেলেও, ছবিটা যখন দেখব তখন গল্পটা মনে পড়ে যাবে। আমার তোলা যে কোনো ছবি দেখলেই আমার ছবিটার পেছনের গল্প স্পষ্ট মনে পড়ে যায়।

২। খিলগাও রেলগেট। এখান থেকে ১০/১৫ মিনিট হেঁটে গেলেই কমলাপুর রেলস্টেশন যাওয়া যাবে। আমি প্রতিমাসে তিনদিন এই পথে দিয়ে হেঁটে হেঁটে কমলাপুর যাই। মানুষের ব্যস্ততা দেখি।

৩। আমি যে চায়ের দোকানে আড্ডা দেই। তার পাশে একলোক পুরাতন ফানিচারের ব্যবসা করেন। সে ফানির্চার গুলো ধুয়ে মুছে ফুটপারে রাখেন। এখানে প্রচুর কুকুর আছে। প্রচুর। এই কুকুরগুলো ফুটপাতে যখন ঘুমায়, কেউ লাথথি দেয়, কেউ ইট উড়িয়ে মারে, কেউ পানি ছিটিয়ে দেয়। তাই কুকুরটা শোকেসের ভেতরে আরামে ঘুম দিচ্ছে। এবার কেউ বিরক্ত করতে পারবে না।

৪। এই ছবিটার পেছনে চমৎকার একটা গল্প আছে। সন্ধ্যা তখন ঘনায়মান। এই গল্প গুলো আমাকে লিখতে হবে। অথচ সময় কত কম!

৫। ছবিতে আমার বাসার ছাদ। প্রথমে লেবু গাছ, তারপর আম গাছ, আম গাছের পরে পেয়ারা গাছ। এপাশে আরো কিছু গাছটাছ আছে, যদিও ছবিতে আসে নাই।

৬।
সেদিন পুরান ঢাকায় গিয়েছিলাম দুপুরে খেতে। মাসে কমপক্ষে দুই একদিন রেস্টুরেন্টে না খেলে ভালো লাগে না। পুরান ঢাকাতে মনে হয় পানির সমস্যা আছে। রাস্তায় মধ্যে পানির কল। কলকাতাতে এরকম রাস্তায় পানির কল দেখেছি।

৭। উর্দ্দু রোড গিয়েছিলাম। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ঠিক পেছনেই উর্দ্দু রোড। সেখানে বেশ কিছু মেয়েদের পাইকারী কাপড়ের দোকান দেখলাম। সুরভির জন্য দু'টা কুর্তি কিনে নিলাম। দাম তুলানামূলক সস্তা বলা যায়। তবে কুর্তি সাইজে ছোট হয়ে গেছে। হা হা হা---

৮।
আমাদের পাশের বাসায়। তারা পাকা টাংকি এখনও করে নি। এই প্লাস্টিকের ট্রাংকি দিয়েই কাজ সারেন। কিন্তু টাংকি ভরে গেলেও তারা মটরের সুইচ বন্ধ করে না। পানি পড়তেই থাকে। বিদ্যুতের অপচয় হয়, পানিরও অপচয় হয়। সুইচ বন্ধের কথা বলতে গেলে তারা বলে আপনাদের কি? পড়ুক পানি।

৯।
আমি প্রতিদিন এই গাছটার সামনে দিয়ে হেঁটে যাই। গাছটা আমার চোখের সামনে বড় হয়েছে। মায়া পড়ে গেছে। কিছু দিন পরপর গাছটাকে না দেখলে ভালো লাগে না।

১০। গুলিস্তান। গোলাপ শাহ মাজার। খুব বাজে একটা এলাকা। ঢাকা শহরের সবচেয়ে ফালতু এলাকা। দুষ্টলোকে ভরা।

১১। বাড্ডা। আমার এক বন্ধু এখানে বাড়ি করছে। ওর বাড়ির ছাদ থেকে বাড্ডার রাস্তা দেখা যায়। বাডা এলাকায় বন্ধুর আরো দুটা বাড়ি আছে।

১২। চক বাজার। হিজিবিজি এলাকা।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:০৯

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: সবকিছুই যেনো জীবন্ত তবে গাছের বয়স অনেক হল তার মানে আপনার বয়স কত

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: গাছের বয়স বেশী না। আসলে অল্প বয়সে গাছটা বড় হয়ে গেছে।

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:১৮

আমি সাজিদ বলেছেন: বেশ চমৎকার

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।

৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৪৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: একদম প্রথম ছবিটা বুঝতে পারছি না । ১নং ছবিও একটু জাপসা । নাকি আমার চোখের কারণ?

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: একদম প্রথম ছবিটা কাঠাল গাছের।

১ নং ছবিটা ভড় সন্ধ্যায় তোলা। হঠাত বৃষ্টি শুরু হলো। একটা চায়ের দোকানে বসে ছিলাম।

৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১০

পদ্মপুকুর বলেছেন: একটা প্রশ্ন: আপনি যখন কোথাও যাওয়ার জন্য রাস্তায় বের হন, ঠিক সময় মত কি পৌঁছুতে পারেন? এত এত গল্প জমাতে জমাতে কিভাবে সময় সামলান?

রেললাইনের ছবি দেখলেই আমার একধরনের নস্টালজিয়া এসে ভর করে। লাল লোহার ওয়াগনগুলো দেখলে আরও মন ভার হয়ে যায়।

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২১

রাজীব নুর বলেছেন: আমার কোনো তাড়াহুড়া নেই। আমার হাতে অনেক সময়। আমি সব কাজ আস্তে ধীরে করি।
গল্প মাথায় জমতে থাকে। সেই গল্প না লেখা পর্যন্ত শান্তি পাই না। এখনও মাথায় অসংখ্য গল্প জমে আছে। লিখি লিখি করে লেখা হচ্ছে না।

আপনি তো ভীষন ব্যস্ত মানূষ। সারাদিন আপনার চলে যায় অফিসেই। আপনার হাতে সময় থাকলে বলতাম চলেন কোনো রেলস্টেশন থেকে ঘুরে আসি।

৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসাধারণ সুন্দর একটা পোস্ট।

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২২

রাজীব নুর বলেছেন: আই ফিল দ্যাট- আপনি আমাকে অনেক ভালোবাসেন।

৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৯

ইসিয়াক বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার ছবি ব্লগ। এবার গল্পগুলো লিখে ফেলুন।

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১২

রাজীব নুর বলেছেন: হুম লিখব। লিখব।

৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনাদের আশেপাশে কলকারখানা আছে?

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: আছে সামান্য কিছু। তবে সবচেয়ে বেশি আছে বিস্কুটের কারখানা।

৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ২:৩৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কাপড়ের স্ত্রী লিঙ্গ আছে জানা ছিল না।

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.