নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবজাতক শিশুর যত্ন

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৩



জন্মের পর থেকে ২৮ দিন পর্যন্ত বয়সী শিশুকে নবজাতক বলা হয়।
শিশুর জন্মের পরে প্রথম ও একমাত্র কাজ হলো মায়ের দুধ (শালদুধ) খাওয়ানো। শিশুর জন্মের তিন দিনের মধ্যে নবজাতককে গোসল করানো যাবে না। নাভি না শুকানো পর্যন্ত ডাক্তাররা সাধারণত শিশুর গোসল দিতে বারণ করে থাকেন। ততদিন পর্যন্ত শিশুর গা নরম ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দেওয়া যেতে পারে। নবজাতকের স্বাভাবিক ওজন হলো ২.৫ কেজি। শিশু জন্মের পরে নবজাতককে মধু বা চিনির পানি খাওয়ানো ঠিক নয়। শিশু জন্মের পর মাকে বেশি করে পানি খেতে হবে। জন্মের পর থেকে ২৮ দিন পর্যন্ত বয়সী নবজাতককে যে ঘরে রাখা হয়, অনেকে সেই ঘরের দরজা–জানালা বন্ধ করে রাখে। এটা করা কখনোই ঠিক নয়। নবজাতক ও মাকে যে ঘরে রাখা হয়, সেই ঘরের দরজা–জানালা খোলা রাখা উচিত। যাতে বাইরের আলো–বাতাস ঘরে আসতে পারে।

নবজাতকের যত্ন নেওয়া ক্লান্তিকর এবং চ্যালেঞ্জিং।
শিশুকে সঠিক সময়ে খাওয়ানো খুব গুরুত্বপূর্ণ। নবজাতককে প্রতি ২ থেকে ৩ ঘণ্টায় খাওয়ানো উচিত, যার অর্থ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনাকে ৮-১২ বার দুধ খাওয়াতে হবে। কমপক্ষে ১০ মিনিট ধরে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান। বাচ্চাকে খাওয়ানো হয়ে গেলে, তাকে ঢেঁকুর তোলাতে হবে। খাওয়া শেষে শিশুর চিবুক আপনার কাঁধে এলিয়ে দিন। আপনার অন্য হাত দিয়ে খুব আস্তে আস্তে তার পিঠে টোকা দিন বা চাপড়াতে থাকুন যতক্ষণ না সে ঢেঁকুর তোলে। শিশুর নাভি এলাকা পরিষ্কার এবং শুষ্ক রাখুন। বাচ্চাদের নখ খুব দ্রুত বাড়ে। শিশু ঘুমিয়ে গেলেই তার নখ কাটুন, তাহলে নড়াচড়ার বা কেটে যাওয়ার ভয় থাকবে না।

শিশুকে প্রতিদিন কয়েক ঘন্টা ডায়পার ছাড়া থাকতে দিন।
আপনার হাতে অল্প পরিমাণে শিশুর তেল বা লোশন ছড়িয়ে নিন। তারপর, আস্তে আস্তে এবং ছন্দময় গতিতে তার শরীরে টোকা দিন। মালিশ করার সময় তার চোখে চোখ রাখুন এবং তার সাথে কথা বলুন। বাচ্চাকে মালিশ করার ভালো সময় হল তার স্নানের আগে। কখনো আপনার বাচ্চাকে ঝাঁকাবেন না, কারণ তার অভ্যন্তরীণ অঙ্গ কমনীয়, জোরে ঝাঁকালে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। প্রতিদিন কিছুক্ষণের জন্য আপনার বাচ্চাকে উপুড় করে শুইয়ে রাখুন। এটি তার ঘাড় এবং পিঠের পেশীকে শক্তিশালী করবে। এটি তার দৃষ্টিকেও উন্নত করবে, কারণ সে উপরের দিকে ও পাশের দিকে দেখতে পাবে।

নবজাতকদের প্রথম ২ মাসে প্রায় ১৬ ঘন্টা করে ঘুমাতে হবে।
শিশু সাধারণত ২ থেকে ৪ ঘন্টা ধরে ছোট ছোট করে ঘুমিয়ে নেয় এবং তারা ক্ষুধার্ত হলে বা ভিজিয়ে ফেললে জেগে ওঠে। শিশুর মা জন্মের পর যেকোনো খাবার খেতে পারেন, কারণ এটি বুকের দুধের মাধ্যমে আপনার শিশুর বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বিকাশে সহায়তা করে। শিশুর চোখে কখনো কাজল বা কোনো প্রসাধনী প্রয়োগ করা উচিত নয়। বাচ্চাদের চোখ কাজল প্রয়োগ করলে তার চোখ স্বাস্থ্যকর বা সুন্দর হয় না। একটি শিশুর চোখ এবং ত্বক সংবেদনশীল, তাই একটি শিশুর জন্য কোনো প্রসাধনী ব্যবহার না করা ভালো। ছয় মাস বয়সের আগে বাচ্চাদের পানি দেওয়া উচিত নয় কারণ শিশুর তৃষ্ণা ও ক্ষুধা রোধের জন্য বুকের দুধ যথেষ্ট পরিমাণে জল সরবরাহ করে। শিশু তার জন্মের ঠিক পরেই দেখতে পারে। তার দৃষ্টি আবঝা বা অস্পষ্ট হতে পারে, কিন্তু সে নিশ্চিত করে দেখতে পারে। এবং তার দৃষ্টি বড় হওয়ার সাথে বাড়ে।

দুধ খাবার কারনে শিশুর জিহ্বায় সাদা আস্তর পড়তে দেখা যায়।
পরিষ্কার নরম শুকনো কাপড় ব্যবহার করে মুছে দিন আপনার ছোট্ট সোনাবাবুর জিভ ৷ডায়াপার পরানোর আগে যদি ঐ জায়গাতে বেবি অয়েল মাখিয়ে নেন তাহলে ডায়াপারের ঘষা থেকে ত্বক সুরক্ষিত থাকবে ৷ অনেকে ডায়াপার পরাবার আগে পাউডার ব্যবহার করেন। কিন্তু পাউডার ব্যবহারে শিশুর ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। সকালের রোদটা নবজাতকের জন্য খুব উপকারী। সকাল ৮টা পর্যন্ত রোদকে কোমল রোদ বলা হয়। শিশুর জন্ডিস কিংবা ঠান্ডাজনিত সমস্যা সমাধানে কোমল রোদ খুব কার্যকরী। গোসলের আগে অলিভ অয়েল কিংবা বেবি অয়েল দিয়ে হালকা ম্যাসাজ দেওয়া যেতে পারে। সরিষার তেল ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এর ঝাঁজালো গন্ধে শিশুর ক্ষতি হতে পারে। বারবার খেয়াল রাখতে হবে, শিশু প্রস্রাব-পায়খানা করেছে কিনা। মলমূত্র কাঁথায় কিংবা ডায়পারে বেশিক্ষণ থাকলে শিশুর ঠান্ডা লেগে যাবে।

(চারিদিকে প্রচুর নতুন শিশুর জন্ম হচ্ছে।
বন্ধুবান্ধব, পরিচিত এবং আত্মীয়স্বজনদের প্রচুর নতুন শিশু জন্ম নেওয়ার খবর পাচ্ছি। নতুন শিশু জন্ম নিলে কি করতে হবে তাই নেট থেকে জেনে নিলাম। আলাপে পড়লে তাদের দুই একটা জ্ঞান দিতে পারবো। টানা তিন ঘন্টা পড়ালেখা করলাম, নবজাতকের যত্ন কিভাবে নিতে হবে। ভাবলাম ব্লগেও লেখাটা শেয়ার করি। কারো না কারো কাজে লাগতে পারে।)

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৩

মা.হাসান বলেছেন: আপনার পরিবারে নতুন অতিথি আসছে যেনে আমরা আনন্দিত। অভিবাদন নিন।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: হায় হায়---

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২০

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: পরী বুড়ো ছেলেমেয়েদের সাথে আর কত খেলবে?? ওর বানিয়ে বানিয়ে বলা রূপকথার গল্পগুলো শুনানোর জন্য ওর একজন সঙ্গী দরকার!! দ্রুতই ওর মতামতটা জানতে চাওয়া দরকার যে, তোমার একজন সঙ্গী চাও কি!!

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: হে হে---

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৭

জোবাইর বলেছেন: বড় দেরি করে ফেলেছেন! টানা তিন ঘন্টা নেটে লেখাপড়া করে নবজাতক সম্পর্কে যা শিখলেন সেটা যদি পরীর জন্মের আগে শিখতেন তাহলে সে জ্ঞান বাস্তবে প্রয়োগ করতে পারতেন এবং পরীর মায়েরও কষ্ট একটু কম হতো। যা-ই হোক, এখন নতুন জনক-জননীরা উপকৃত হলেই হলো।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী আগেই শেখা উচিত ছিলো। আমি সব কিছুই দেরীতে শিখি।

৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:২৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বাংলাদেশে গুণীর কদর নেই।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: একেবারে যে নেই, তা না।

৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৪

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: নবজাতক হয়েছে নাকি

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: না।

৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি একজন ডাক্তারনীর সহায়তা নিয়ে বস্তীর নতুন মাগুলোকে সাহায্য করার কথা ভেবে দেখতে পারেন।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: এজন্য সরকারী অনেক সংস্থা আছে এমন কি বহু এনজিও আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.