নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
কীর্তনখোলা নদী।
খুব তেজী নদী। এই নদীর তীরে বরিশাল শহর অবস্থিত। নদীর পার ঘেঁষেই শহরের সবচেয়ে পুরনো হাট রয়েছে। প্রচলিত রয়েছে, সেখানে কীর্তনের উৎসব হতো। সেই থেকে এই নদীর নাম হয়েছে কীর্তনখোলা। আমি আর সুরভি নৌকায় করে যাচ্ছি। নদী শান্ত। ঠান্ডা বাতাস। বাতাসে সুরভি'র শাড়ির আঁচল উড়ছে। মাঝি আপন মনে নৌকা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সুন্দর বিকেল। ইচ্ছা আছে কবি জীবনানন্দ দাশের বাড়ি দেখব। দর্শন করব তার প্রিয় ধানসিঁড়ি নদী।
নৌকা সব সময় দোলে!
পানির ছলাৎ ছলাৎ শব্দটা বেশ লাগে। আমাদের নৌকাটা যাচ্ছে নাম না জানা একটা গ্রামের পাশ দিয়ে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা নদীতে লাফালাফি করছে। একলোক তার মহিষকে গোছল করাচ্ছে। কয়েকজন মহিলা নদীতে গোছল করছে। ভেজা শাড়ি তাদের গায়ের সাথে লেপটে আছে। দূরে দেখা যাচ্ছে সন্ধ্যা নদী। সেখানে জেলেরা মাছ ধরছে। শুনেছি সন্ধ্যা নদীতে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যায়। এই সন্ধ্যা নদীর মাছ শুধু ঢাকাতে আসে। আর কোনো জেলায় যায় না।
সুরভি মুগ্ধ হয়ে নদী দেখছে!
সুরভির মুগ্ধ হওয়ার ক্ষমতা অসাধারন। এই পরিবেশের কারনে কিনা জানি না, সুরভিকে খুব সুন্দর লাগছে! হঠাত মুহূর্তের মধ্যে আকাশ ভরা মেঘ দেখা দিল। হু হু করে মেঘের পর মেঘ জমে যাচ্ছে! দেখতে দেখতে চারপাশ গাঢ় অন্ধকার হয়ে গেল। মাঝির চোখে মুখে আতঙ্ক। বলল, তুফান আইতাছে। আমি সুরভিকে বললাম, তোমার ভয় করছে না? সুরভি বলল, তুমি পাশে থাকলে আমার কোনো কিছুতেই ভয় লাগে না। মুহুর্তের মধ্যে প্রচন্ড ঝড় শুরু হলো।
আমরা দু'জন জানি না সাঁতার।
মাঝি কি আমাদের বাঁচাবে? নাকি নিজের জীবন নিয়ে পালাবে? আমি সুরভি'র হাত ধরলাম। হাতের স্পর্শ দিয়েই বুঝিয়ে দিলাম ভয় পেও না, আমি আছি। প্রচুর বাতাস এবং বৃষ্টি। প্রচন্ড বাতাস এবং বৃষ্টি। যেন নৌকাসহ আমাদের উড়িয়ে নিয়ে যাবে! নৌকা ডানে বামে খুব বেশি দুলছে। আর কি আশ্চর্য, বিশাল এক ঢেউ এসে আমাদের নৌকাটা উলটে দিল। আমরা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছি। আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। আমি সুরভির হাত শক্ত করে ধরে রেখেছি। মরলে একসাথেই মরবো।
আমার ঘুম ভাঙল।
আমার সারা শরীর ঘামে ভেজা। দেখি, ঘুমের মধ্যে সুরভি আমার হাত শক্ত করে ধরে রেখেছে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ভোর সাড়ে চারটা। কিছুক্ষনের মধ্যেই হয়তো আযান দেবে। সুরভি'কে ঘরে রেখে আমি ছাদে গেলাম। অনেকদিন ভোরের আকাশ দেখি না। ভোরের আকাশ দেখা দারুন একটা ব্যাপার। মনে মনে ভাবছি এক কাপ চা হলে দারুন হতো। ঠিক তখন দেখি সুরভি দুই কাপ চা নিয়ে এসে হাজির। আমরা চা খেতে খেতে ভোর হওয়া দেখছি। মনে হচ্ছে মানব জীবনটা মন্দ নয়।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অসাধারণ একটি পোস্ট।
It is really an excellent post.
c'est vraiment un excellent article.
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি একজন রোমান্টিক মানুষ।
৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মানব জীবনটা আসলেই মন্দ নয়।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: কেন আপনার এরকম মনে হলো?
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: কেন আপনার এরকম মনে হলো?
৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ভালো করে হাত-মুখ ধুয়ে দাঁত ব্রাশ না করে চা খাওয়া ঠিক না।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: আরে নাই ভাই, সকালে ব্রাশ করার আগে গরম চা খাওয়া ভালো। উপকার আছে।
৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৯
ইলি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ ইলি। ভালো থাকুন।
৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৪
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সুন্দর সপ্ন।সপ্ন ঠিক আছে,কিন্তু জাগরণে ঠিক নাই।যে ১১/১২টার আগে ঘুম থেকে উঠে না সে ছাদে যাবে সূর্য উঠা দেখতে,বিশ্বাস করতে একটু কষ্ট হয়।
বরিশালের লোক কি ‘তুফান আইতাছে’ বলে।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: বরিশাল অঞ্চলের ভাষা আমি বুঝি। কিন্তু বলতে পারি না।
মাঝে মাঝে এক আধদিন ভোরে উঠি। উঠতে হয়। তখন আকাশ দেখি। ভোর হওয়া দেখি।
৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
চট্টগ্রামে মাত্র ১টি নদী, কর্ণফুলী; মানুষ এখানে নৌ-ভ্রমণে যায় না তেমন।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: ফজাতি চট্রগ্রামের একটা আঞ্চলিক শব্দ। এটার মানে কি জানেন?
৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
লেখক বলেছেন: কেন আপনার এরকম মনে হলো? - এ বিষয়ে আস্ত একটি পোস্ট লিখতে হবে। আমি লিখে আপনাকে অবস্যই জানাবো।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: অপেক্ষায় থাকলাম।
৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৩
আহমেদ রুহুল আমিন বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
১০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
"ফজাতি" শব্দটা বুঝতে পারিনি; বাক্য বললে হয়তো চেষ্টা করতে পারতাম।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২১
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে। আমি বিস্তারিত যেনে আপনাকে জানাবো।
ফজাতি সম্ভবত ঝগড়াঝাটি সম্পর্কিত কিছু।
১১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:০৬
অনল চৌধুরী বলেছেন: ফজাতি মানে কি - কি উপজাতি না প্রজাতি !!!!!!!
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমার বাড়ি বিক্রমপুর।
১২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০১
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা জীবনটা মন্দ নয়! নৌকা ডুবি বাদে বাকি কাহিনীটুকু সত্যি হলে ভালই হত- হয়তো সত্যি সেটুকু।
আপনাদের ভালোবাসা চির অমলিন থাকুক
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
১৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমাদের এই দিকে নদীতে এখন জোয়ার আসে না । ক্ষমতাবানেরা বালু উত্তোলন করায় নদীতে ভাঙ্গন বেড়ে গিয়েছে
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২০
রাজীব নুর বলেছেন: দেশের সব নদীরই এক অবস্থা।
১৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
কীর্তনখোলা নদীর নামকরনের ইতিহাস জানা গেল ।
বেরসিক ঝড়টা কেন যে অসময়ে এল? তবে স্বপ্ন ভঙ্গ হওয়ায় ভালই হয়েছে
তা নাহলে কি যে হতো, সাতার না জানলে নাকি জীবন ষোল আনাই মিছা
তা প্রমান হয়ে যেতো !! দুজনেই ভাল আছেন সেটাই এখন বড় শান্তনা
সত্তরের দশকে কীর্তনখোলা নদী সাতরিয়ে পার হয়েছি কয়েকবার
নদীর একপারে বরিশাল শহড় অন্য পাশে কাওয়ার চর তবে দেখতে
ছিল খুবই সুন্দর , যার অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে ইটের ভাটার কারণ ।
শহরের বর্জ ও স্টিমার লঞ্চ আর ইঞ্জিন নৌকার নিংরানো তেলে
কীর্তনখোলার স্বচ্ছ পানি কি রং ধরেছে দেখতে ইচ্ছে করে । জানতে
ইচ্ছে করে নদীটির মাঝ বরার ছুটে চলা শুশুকের ডিগবাজী দেয়া কি
এখনো চোখে পড়ে। আবার যদি কখনো কীর্তনখোলা যান তবে
জানাবেন দয়া করে।
শুভেচ্ছা রইল
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২১
রাজীব নুর বলেছেন: নদীরে শূশক দেখা যায় না। তবে বঙ্গোপসাগরে শূশক দেখা যায়। আমি নিজে দেখেছি সুন্দরবন যাওয়ার পথে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১০
জাহিদ হাসান বলেছেন: