নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ভেবে দেখুন, বেশ কয়েকজন মিলে আপনাকে লোহা দিয়ে পিটিয়ে মারছে। অথবা হুট করে আপনার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিল। দা দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে মারছে। অনেকে দাঁড়িয়ে দেখছে, কিন্তু কেউ আপনাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলো না। রাত্রে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুমিয়ে আছেন। গভীর ঘুম। হঠাত দেখলেন কারা যেন আপনার বাড়িয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আপনি ছেলে মেয়ে নিয়ে ঘর থেকে বের হতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু বাইরে থেকে দরজা লাগানো। আপনার চোখের সামনে আপনার সন্তান সহ আপনি নিজে আগুনে পুড়ে মরলেন। কিছু মানুষ এত নিষ্ঠুর হয় কেন? কিভাবে সম্ভব?
এবার আসুন একটু অন্য দিকে যাই। রাত্রে বাসায় ফিরছেন- হঠাত কয়েকজন এসে আপনার সব কিছু ছিনতাই করে নিয়ে গেল। অথবা চোর বা ডাকাত আপনার বাসার সব মূল্যবান জিনিস নিয়ে গেল। আরও একটু অন্যভাবে চিন্তা করুন- আপনি রিকশা করে কোথাও যাচ্ছেন- পেছনে থেকে আপনার রিকশাকে একটা ট্রাক বা গাড়ি ধাক্কা দিল। আপনার হাত-পা ভেঙ্গে গেল অথবা আপনি মরেই গেলেন। আরও চিন্তা করুন। আরও ভাবুন। গভীর ভাবে ভাবুন। সব চিন্তা ভাবনা বাদ দিয়ে এই বিষয় গুলো নিয়েই ভাবুন। নিজের প্রিয় মানুষের মুখ চোখের সামনে নিয়ে ভাবুন। সময় খুব কম। পৃথিবীটা কেন এত খারাপ? কেন এত নিষ্ঠুর? কেন চারদিকে সবসময়েই এত বিপদ আপদ? এত সব ঝামেলা আর গন্ডগোলের মধ্যে কী করে বেঁচে থাকবে ভবিষ্যত প্রজন্ম?
এইবার একটু সহজ করে ভাবুন- আপনি চাকরি করছেন। হঠাত আপনার চাকরি চলে গেল। এদিকে পরিবারের সবাই আপনার উপর ভরসা করে আছে। নির্ভর করে আছে। আপনি বাজার করতে না পারলে খাওয়া বন্ধ। বাচ্চাদের লেখা পড়া বন্ধ। অথবা ধরুন, কোনো ক্ষমতাবান লোক আপনাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে ঢুকিয়ে দিল। তখন আপনার পরিবারকে কে দেখবে? দুষ্টলোক মুক্ত পৃথিবী কি আমরা কখনও পাবো না? আমরা জানি, কিছু লোকের প্রচুর টাকা নেই বলে তারা খারাপ কাজ করে। আর কিছু মানূষের প্রচুর টাকা আছে বলেই তারা খারাপ কাজ করায়। কিন্তু তারা যদি বদলে যায়। খারাপ কাজ আর না করে। বরং ভালো ভালো কাজ করে। যেমন- যার ঘর নেই তাকে ঘর করে দিল। যে গ্রামে স্কুল ঘর ভাঙ্গা সেই স্কুল ঘর পাকা করে দিল। যে গ্রামে কাঁচা রাস্তা, সেই রাস্তা পাকা করে দিল। ইত্যাদি ইত্যাদি।
কেন প্রতি বছর খরা বা বন্যা হয়?
বাংলাদেশের মানুষ জানেই না কিভাবে নদীকে ব্যবহার করতে হয়। পানি তো আমাদের সম্পদ। কিন্তু আমরা এই সম্পদকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারি নাই। আগামী শতাব্দীর মাঝামাঝি মানুষের অস্তিত্বে বড় ধরনের ধাক্কা লাগবে। মানুষের হাতে খুব বেশি সময় নেই। তবু মানুষ গাছ লাগাচ্ছে না। বরং বন জঙ্গল উজার করছে। পৃথিবীর সঙ্গে মানুষের এক নিবিড় সম্পর্ক। কিন্তু লোভী মানুষ পৃথিবীর কাছ থেকে শুধু লুটপাট আর তছনছ করেছে। তৈরি করেছে শুধু জটিলতা। পৃথিবীর সব দেশের মানুষ সবাই এক হয়ে যদি পৃথিবীর কথা ভাবতো- পৃথিবী ছোট্র একটা গ্রহ, তার অফুরন্ত সম্পদ নেই। যা আছে, যতটুকু আছে তার যত্ন নেওয়া দরকার।
এক দেশের প্রতি আরেক দেশের যেন উদাসীনতা না থাকে। আমেরিকায় ভূমিকম্প হলে চীন যেন চুপ করে না থাকে। ইথিওপিয়ায় দুর্ভিক্ষ হলে তার ক্ষুধা যেন স্পর্শ করে অস্টেলিয়াকে। মধ্যপ্রাচ্যে মহামারী হলে তা যেন উদ্বিগ্ন করে সুইজারল্যান্ডকে। পৃথিবীর ক্ষমতায় থাকা মানুষ গুলো যদি এক টেবিলে বসে সিদ্বান্ত নিতো আমরা আর যুদ্ধ করবও না। পারমানবিক বোমা বানাবো না। নতুন নতুন অস্ত্র বানাবো না। যেসব অস্ত্র আছে, সেগুলো আটলান্টিক মহাসাগরে ফেলে দিব। গ্রামে গেলে গাছপালা গুলোকে আমার বন্ধু বলে মনে হয়। আমি পৃথিবীর প্রতিটা গাছপালার বন্ধু হতে চাই। নদী, কীটপতঙ্গ আর পশু পাখির বন্ধু হতে চাই। শহরের পাট চুকিয়ে খুব শ্রীঘ'ই গ্রামে চলে যাব। প্রকৃতির সাথে তখন আমার খুব ভাব হবে।
এই গ্রহের সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রানী মানুষ। আবার এই গ্রহের সবচেয়ে দুষ্টলোকও মানুষ। একবার অন্ততপক্ষে ভাবুন- সে(মানুষ) কেন পৃথিবীতে এসেছে? সে কেন আরেকজনের শান্তি নষ্ট করবে? এই পৃথিবীতে একজন মানুষ কেন আসে? শুধু লেখা পড়া করে চাকরি করার জন্য? বিয়ে করে বাচ্চা উৎপাদন করার জন্য? যে রিকশা চালায়, সে কি সারা জীবন শুধু রিকশা'ই চালাবে? তারপর মরে যাবে? যে সরকারি অফিসে দশটা পাঁচটা কাজ করে, সারা জীবন এই কাজ করেই মরে যাবে? অথবা যে ব্যবসা করে, সারা জীবন ব্যবসা করেই, অনেক টাকা কামিয়ে মরে যাবে? এ জন্যই তারা পৃথিবীতে এসেছে?
কোথায় যেন পড়েছিলাম- যারা শুধু মাত্র চাকরির জন্য লেখা পড়া করে তারা দেশের মেরুদন্ড টাই নড়বড়ে করে দেয়। আমরা এই পৃথিবীতে এসেছে- আমাদের অনেক দায়-দায়িত্ব আছে। আমরা পৃথিবীর কাছে ঋণী। এই ঋণ শোধ করার জন্য আমাদের সবার কিছু না কিছু করা উচিত। সবাই যদি একটু একটু করে কিছু করি- তাহলে এই পৃথিবী ঝকমক করে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এক আকাশ আনন্দ নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে। আপনার যদি টাকা পয়সা না থাকে, অন্ততপক্ষে একটা গাছ লাগান রাস্তার পাশে। যত্ন দিয়ে গাছটা বড় করতে সহায়তা করুন। একসময় এই গাছ আপনাকে অনাবিল আনন্দ দিবে-শান্তি দিবে।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: লোভ দেখাই না।
২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৫
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: একটু মিষ্টি পাঠিয়ে দেন আমার কাছে।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: মিষ্টি ব্লগের সবাইকেই খাওয়াবো।
৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৫
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: কি মানুষ বানাইলা ভবে
জানে না কাল কি হবে
তবু ভাবে সারাক্ষণ....রে দয়াল।
মনে হয় বাচবে আজীবন।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: আহ !
৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মানুষ প্রাণী হিসাবে বুদ্ধিমান এটা ঠিক। কিন্তু খুব বিপজ্জনক প্রাণী। মানুষের চেয়ে বিপজ্জনক ও হিংস্র প্রাণী পৃথিবীতে নাই।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: দিন শেষে মানুষ বড্ড অসহায়।
৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৫
Ahamed বলেছেন: You are absolutely right. how long does it take to learn python?
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪১
শাহ আজিজ বলেছেন: একটা জট লেগে গেছে । যেমন যানজট , জলজট । এটি ছাড়ানোর উদ্যোগ নেই কারো । একটি কর্মমুখিন , কল্যানকামী সমাজের লক্ষ্যে ।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: হবে । হবে। অপেক্ষা করুন।
৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১২
কল্পদ্রুম বলেছেন: ছবি দেখে ভেবেছি পাথরকুচি নামের নতুন মিষ্টির কথা বলবেন।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে--
এটাই আমার স্টাইল।
৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অমানুষ।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: এত রাগ ভালো না।
৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নতুন চাকরী সৃষ্টির চেয়ে চাকরীপ্রার্থী অনেক বেশী। সরকার না পেরে এখন তরুণদের বলছে উদ্যোক্তা হতে। সবার পক্ষে উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব না।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০১
রাজীব নুর বলেছেন: সবার পক্ষে উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব না।
আমি চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু পারি নি। হাল ছেড়ে দিয়েছি।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২২
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: খাওনোর লোভ দেখাছেন